আজকেও বিভিন্ন জায়গায় সুইসাইড এটেম্পটের খবর পাওয়া গেছে । একটা পরীক্ষার
রেজাল্ট কারো জীবনের সফলতা ব্যর্থতা নির্ধারণ করেনা । অথচ আমরাই এমন একটা
পরিবেশ চারপাশে তৈরি করে রাখি যাতে একটা ছেলে বা মেয়ের মনে হওয়াই স্বাভাবিক
, এই পরীক্ষায় এ প্লাস না পেলে জীবনটা অর্থহীন ! ষোল আনাই বৃথা !
সবাইকে অংক পারতে হবে এমন তো কথা নেই । সবাইকে ইংলিশে ফটফট করে কথা বলতে হবে এমন তো কোন কথা নেই । সবাইকে বাংলা ব্যাকরণের পন্ডিত হতে হবে এমন তো কোন কথা নেই । থাকার কথা নয় । বারাক ওবামা কি বাংলা ব্যাকরণ জানে ? কাজী নজরুল কি ইংরেজি ভয়েস চেন্জ করতে পারতেন ?
কেউ হয়তো ইংরেজিতে কাঁচা কিন্তু সে বাংলায় খুব ভালো কবিতা বা গল্প লেখে । কেউ হয়তো অংকে কাঁচা কিন্তু খুব ভালো খেলে । কারো ইতিহাসে আগ্রহ বেশি , কারো হয়তো ধর্মতত্ত্বে আগ্রহ বেশি । এদেরকে আমরা কীভাবে বিচার করবো ? আমরা সবাইকে এক ছাপে নিয়ে আসতে চাই , একই মানদন্ডে বিচার করি । অথচ উচিৎ ছিল যার যেদিকে আগ্রহ , যার যেদিকে ঝোঁক , যার যে বিষয়ে ন্যাচারাল পারদর্শিতা তাকে সেদিকেই ঠেলে দেয়া । সেই বিষয়ের মানদন্ডে তার যোগ্যতা বিচার করা ।
ছোটবেলায় দেখেছি , সবাই এমনভাবে কথা বলতো , বৃত্তি পরীক্ষার আগে মনে হত বৃত্তি না পেলে আর বোধহয় বেঁচে থাকাই ঠিক হবে না ! এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার আগে মনে হয়েছিল , এ প্লাস না পেলে সব শেষ ! ভর্তি পরীক্ষার আগে মনে হয়েছিল , মেডিকেলে চান্স না পেলে সবই বৃথা !
অথচ এখন মনে হয় , এভাবে চিন্তা করাটা ভুলই ছিল । হয়তো ডাক্তার না হলেই মানুষের জন্য আরো ভালো কোন কাজ করতে পারতাম !
একটা অল্পবয়স্ক ছেলে বা মেয়ে চারপাশের মানুষের এত চাপ উপেক্ষা করবে কীভাবে ? প্রতিবছর পরীক্ষার রেজাল্টের পর কেউ না কেউ আত্মহননের পথ বেঁছে নেয় । হাজারো ছাত্রছাত্রী হতাশাগ্রস্ত হয় । আর আমরা শুধু দেখে যাই , আফসোস করি ।
ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেয়া উচিৎ যে এটা তোমার জীবনের একটা পর্যায় মাত্র । এটাতে সফলতা পেলে ভালো । না পেলে চেষ্টা চালিয়ে যাও । পথ পরিবর্তন করতে পারো । একজন মানুষ জীবনের যেকোন পর্যায়ে গিয়েই সফল হতে পারে । এরচেয়েও বড় কথা হলো , সফলতার প্রকৃত সংজ্ঞাটা ছাত্রছাত্রীদের শেখানো উচিৎ । পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট নয় , একজন সৎ , ন্যায়পরায়ণ , কর্তব্যনিষ্ঠ এবং দয়া মায়া মানবিকতাবোধ সম্পন্ন মানুষ হওয়াই প্রকৃত সফলতা । এবং আফটার অল , মৃত্যুর পরের অনন্ত জীবনের সফলতাই হলো চূড়ান্ত সফলতা ।
সবাইকে অংক পারতে হবে এমন তো কথা নেই । সবাইকে ইংলিশে ফটফট করে কথা বলতে হবে এমন তো কোন কথা নেই । সবাইকে বাংলা ব্যাকরণের পন্ডিত হতে হবে এমন তো কোন কথা নেই । থাকার কথা নয় । বারাক ওবামা কি বাংলা ব্যাকরণ জানে ? কাজী নজরুল কি ইংরেজি ভয়েস চেন্জ করতে পারতেন ?
কেউ হয়তো ইংরেজিতে কাঁচা কিন্তু সে বাংলায় খুব ভালো কবিতা বা গল্প লেখে । কেউ হয়তো অংকে কাঁচা কিন্তু খুব ভালো খেলে । কারো ইতিহাসে আগ্রহ বেশি , কারো হয়তো ধর্মতত্ত্বে আগ্রহ বেশি । এদেরকে আমরা কীভাবে বিচার করবো ? আমরা সবাইকে এক ছাপে নিয়ে আসতে চাই , একই মানদন্ডে বিচার করি । অথচ উচিৎ ছিল যার যেদিকে আগ্রহ , যার যেদিকে ঝোঁক , যার যে বিষয়ে ন্যাচারাল পারদর্শিতা তাকে সেদিকেই ঠেলে দেয়া । সেই বিষয়ের মানদন্ডে তার যোগ্যতা বিচার করা ।
ছোটবেলায় দেখেছি , সবাই এমনভাবে কথা বলতো , বৃত্তি পরীক্ষার আগে মনে হত বৃত্তি না পেলে আর বোধহয় বেঁচে থাকাই ঠিক হবে না ! এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার আগে মনে হয়েছিল , এ প্লাস না পেলে সব শেষ ! ভর্তি পরীক্ষার আগে মনে হয়েছিল , মেডিকেলে চান্স না পেলে সবই বৃথা !
অথচ এখন মনে হয় , এভাবে চিন্তা করাটা ভুলই ছিল । হয়তো ডাক্তার না হলেই মানুষের জন্য আরো ভালো কোন কাজ করতে পারতাম !
একটা অল্পবয়স্ক ছেলে বা মেয়ে চারপাশের মানুষের এত চাপ উপেক্ষা করবে কীভাবে ? প্রতিবছর পরীক্ষার রেজাল্টের পর কেউ না কেউ আত্মহননের পথ বেঁছে নেয় । হাজারো ছাত্রছাত্রী হতাশাগ্রস্ত হয় । আর আমরা শুধু দেখে যাই , আফসোস করি ।
ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেয়া উচিৎ যে এটা তোমার জীবনের একটা পর্যায় মাত্র । এটাতে সফলতা পেলে ভালো । না পেলে চেষ্টা চালিয়ে যাও । পথ পরিবর্তন করতে পারো । একজন মানুষ জীবনের যেকোন পর্যায়ে গিয়েই সফল হতে পারে । এরচেয়েও বড় কথা হলো , সফলতার প্রকৃত সংজ্ঞাটা ছাত্রছাত্রীদের শেখানো উচিৎ । পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট নয় , একজন সৎ , ন্যায়পরায়ণ , কর্তব্যনিষ্ঠ এবং দয়া মায়া মানবিকতাবোধ সম্পন্ন মানুষ হওয়াই প্রকৃত সফলতা । এবং আফটার অল , মৃত্যুর পরের অনন্ত জীবনের সফলতাই হলো চূড়ান্ত সফলতা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন