সৌদি শাসকরা এমন বোকার মত কাজ করছে দেখে অবাক হচ্ছি । নিজেদের পতন তারা
নিজেরাই ডেকে আনছে । নবীর জন্মস্থান হওয়ায় এবং কাবা শরীফ থাকায় মুসলমানদের
আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব স্বাভাবিকভাবেই সৌদিআরবের ওপর বর্তায় । মুসলিমদের মনে
কাবা শরীফ , মক্কা , মদীনা এবং গোটা সৌদিআরবের জন্য একটা নরম স্থান বরাদ্দ
আছে । নিজের অজান্তেই মুসলিম জাতির মানুষেরা আশা করে সৌদিআরব মুসলিম
বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে । মুসলিম উম্মাহর যেকোন বিপদে পাশে দাঁড়াবে , উদ্ধার
প্রচেষ্টায় উদ্যোক্তার ভূমিকায় থাকবে । এই প্রত্যাশা পূরণে যদি সৌদি
বাদশারা একটুও মনোযোগ দিত , একটু সফলতা দেখাতে পারতো , তাহলে খুব সহজেই
মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক নেতৃত্বও সৌদিআরবই নিতে পারতো । সৌদি শাসকদের সাথে
তো কারো বিরোধ নেই , তারা কীভাবে ক্ষমতায় থাকছে এটাও কারো বিবেচনায় আসতো
না । কিন্তু এখন তাদের বোকামীর কারণে বিশ্ব মুসলিম জনমত তাদের বিরুদ্ধে
যাচ্ছে । ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা যতই কূটকৌশল অবলম্বন করছে , ইসরাইল
আমেরিকার সাথে বন্ধুত্ব রক্ষার খাতিরে মুসলিম বিশ্বের সাথে প্রতারণা করছে ,
প্রকারান্তরে তারা নিজেদের পায়েই কুড়াল মারছে । আরবের জনগন ধীরে ধীরে
ক্ষেপে উঠছে । এর একটা প্রতিক্রিয়া আজ বা কাল প্রকাশ পাবেই । তখন এই শাসকরা
কাউকেই পাশে পাবেনা । আমেরিকা ইসরাইল কোন পতনোন্মূখ শাসককে বাঁচাতে এগিয়ে
আসেনা এটা ইতিহাস । সুতরাং এদের বিদায় নিতে হবে চরম অসম্মানজনক ভাবে ।
গনধিকৃত হয়ে । সৌদি প্রিন্স ফয়সাল বললেন ,ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গাজা গনহত্যার
জন্য হামাস দায়ী । বাদশা বললেন গাজায় হত্যাযজ্ঞ চলছে , কিন্তু তিনি
ইসরায়েলের নাম নিলেন না । সৌদি মূফতি ফতোয়া দিলেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে
ডেমোনস্ট্রেশন ইসলামের দৃষ্টিতে মূল্যহীন । সারাবিশ্বের মুসলিম অমুসলিম
সবাই যখন ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গনহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে তখনো
সৌদিআরব ছিল নিশ্চুপ । যদিও এতে মুসলিমরা ক্ষুব্ধ ছিল , কিন্তু বর্তমান
অবস্থার চেয়ে তাও ভালো ছিল । এখন তো পরোক্ষভাবে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে চলমান
ফিলিস্তিন সংকটে সৌদি শাসকরা ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে । সৌদিআরবসহ বিশ্বের
মুসলিমদের মনে এটা একটা দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করলো ।
ভুল পন্থায় গদি টেকানোর এই প্রচেষ্টা থেকে এটা ধারণা করা যায় , অদূর ভবিষ্যতে সৌদিতেও লাগবে আরব বসন্তের হাওয়া । আর মানুষের ক্ষোভ উস্কে দিয়ে সেই ক্ষেত্রটা তৈরি করে দিচ্ছে বোকা শাসকরাই । এদের পতনের সময় ঘনিয়ে আসছে , এখন যত তাড়াতাড়ি হয় ততই মঙ্গল । কারণ , মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক নেতৃত্ব সৌদিআরবের হাতে না গেলে বৃহত্তর ঐক্য সাধিত হবেনা ।
ভুল পন্থায় গদি টেকানোর এই প্রচেষ্টা থেকে এটা ধারণা করা যায় , অদূর ভবিষ্যতে সৌদিতেও লাগবে আরব বসন্তের হাওয়া । আর মানুষের ক্ষোভ উস্কে দিয়ে সেই ক্ষেত্রটা তৈরি করে দিচ্ছে বোকা শাসকরাই । এদের পতনের সময় ঘনিয়ে আসছে , এখন যত তাড়াতাড়ি হয় ততই মঙ্গল । কারণ , মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক নেতৃত্ব সৌদিআরবের হাতে না গেলে বৃহত্তর ঐক্য সাধিত হবেনা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন