অবশেষে
দুই হাজার লাশের বিনিময়ে ইসরাইল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে । এতে
গাজাবাসীরা যেমন খুশি , খুশি আমরাও । কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবেনা , ইসরাইল
নামের বিষফোঁড়াটা কিন্তু পুরোমাত্রায় রয়ে গেছে । এই বিষফোঁড়া আবার যেকোন
সময় কষ্ট দিতে পারে । বিষফোঁড়া না বলে ক্যান্সার বলাই বোধহয় ভালো । আপাতত
ওষুধের প্রভাবে সে কিছুটা শান্ত হয়েছে । কিন্তু পুরোপুরি বিলুপ্ত না হওয়া
পর্যন্ত স্থায়ী শান্তির আশা করা যাবেনা । এরকম যুদ্ধবিরতি এর আগেও হয়েছে ।
গাজা এর আগেও অবরোধমুক্ত ছিল । কিন্তু গত ষাট বছরের ইতিহাসে ইসরাইল নামের
এই বিষফোঁড়া কিংবা ক্যান্সার বারবারই শান্তিতে বিঘ্ন ঘটিয়েছে । বারবার
হামলে পড়েছে ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষের ওপর । চালিয়েছে গনহত্যা , উচ্ছেদ
করেছে ভিটেমাটি থেকে । ফিলিস্তিনের মাটি দখল করে ইহুদী বসতি স্থাপন করেছে ।
এবারের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি , অবরোধ শিথিল তারা কতদিন বজায় রাখবে বলা
মুশকিল । মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন সাংবাদিক নোয়াম চমস্কি মনে করেন ,
ইসরাইল কখনোই মধ্যপ্রাচ্যে পুরোপুরি শান্তি বজায় রাখবে না । অতীতের মত তারা
মাঝে মাঝেই হামলা করবে ।
আসলে ইসরাইলের মূলোৎপাটন এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ছাড়া শান্তি আসবে না । হামাস নেতা খালেদ মিশাল বলেছিলেন , বর্তমান পৃথিবীতে একমাত্র দখলদার রাষ্ট্র অবৈধ ইসরাইল । এই দখলদারিত্বের অবসান হতেই হবে ।
গাজায় হামলার পর সারাবিশ্বে প্রো ইসরাইলি পণ্য বর্জন শুরু করে শান্তিকামী মানুষ । ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঘৃণা বাড়ছিল ক্রমাগত । ইহুদিবাদ বিরোধী মানসিকতাও বাড়ছিল ইউরোপসহ সারাবিশ্বে । যুদ্ধবিরতি এবং অবরোধ শিথিলের পেছনে এটারও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল । জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রধান নাভি পিল্লাই তাঁর বিদায়ের আগে শেষ বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদকে ইসরাইল ইস্যুতে তুলোধুনা করেছেন ।
হামাস এবং গাজাবাসীর অকুতোভয় প্রতিরোধ, বিশ্ববাসীর অকুন্ঠ সমর্থন ও প্রতিবাদ- এসবের সাথে সাথে এগুলোও ছিল ইসরাইলের পিছু হঠার পেছনের প্রভাবক ।
.
এই সাময়িক বিজয়ে আমাদের সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না । ইসরাইলবিরোধী প্রচার প্রপাগান্ডা চালিয়ে যেতে হবে । আর প্রো ইসরাইলি পণ্য বর্জন চালিয়ে যেতে হবে । আমরা যদি আবার ইসরাইলি পণ্যে ফিরে যাই , যদি বেখবর হয়ে পড়ি , তাহলে নিশ্চিত করে বলা যায়, তা হবে ফিলিস্তিনি শহীদদের সাথে সুস্পষ্ট বেইমানি।
আসলে ইসরাইলের মূলোৎপাটন এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ছাড়া শান্তি আসবে না । হামাস নেতা খালেদ মিশাল বলেছিলেন , বর্তমান পৃথিবীতে একমাত্র দখলদার রাষ্ট্র অবৈধ ইসরাইল । এই দখলদারিত্বের অবসান হতেই হবে ।
গাজায় হামলার পর সারাবিশ্বে প্রো ইসরাইলি পণ্য বর্জন শুরু করে শান্তিকামী মানুষ । ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঘৃণা বাড়ছিল ক্রমাগত । ইহুদিবাদ বিরোধী মানসিকতাও বাড়ছিল ইউরোপসহ সারাবিশ্বে । যুদ্ধবিরতি এবং অবরোধ শিথিলের পেছনে এটারও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল । জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রধান নাভি পিল্লাই তাঁর বিদায়ের আগে শেষ বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদকে ইসরাইল ইস্যুতে তুলোধুনা করেছেন ।
হামাস এবং গাজাবাসীর অকুতোভয় প্রতিরোধ, বিশ্ববাসীর অকুন্ঠ সমর্থন ও প্রতিবাদ- এসবের সাথে সাথে এগুলোও ছিল ইসরাইলের পিছু হঠার পেছনের প্রভাবক ।
.
এই সাময়িক বিজয়ে আমাদের সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না । ইসরাইলবিরোধী প্রচার প্রপাগান্ডা চালিয়ে যেতে হবে । আর প্রো ইসরাইলি পণ্য বর্জন চালিয়ে যেতে হবে । আমরা যদি আবার ইসরাইলি পণ্যে ফিরে যাই , যদি বেখবর হয়ে পড়ি , তাহলে নিশ্চিত করে বলা যায়, তা হবে ফিলিস্তিনি শহীদদের সাথে সুস্পষ্ট বেইমানি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন