মুহাম্মাদ (সাঃ) যে আসলে নবী
নন, তাঁর পাঠকৃত কুরআন যে আসলে আল্লাহ্র কালাম নয়- এটা প্রমাণ করার একটা
মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করেছিল আবু লাহাব । আর এর ফলে মিথ্যা প্রমাণিত হবার
বদলে কুরআন আল্লাহ্র কালাম ও মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নবী হবার ব্যাপারে আরো
একটি প্রমাণ যোগ হয় ।
মক্কী যুগের মাঝামাঝি সময়ে নাযিল হয় কুরআনের 'আল লাহাব' সুরাটি । এতে রাসুলের(সাঃ) চাচা আবু লাহাবের সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয় ।
এই সুরা নাযিলের পর আবু লাহাবের সামনে একটা মোক্ষম সুযোগ তৈরি হয় ইসলামকে মিথ্যা প্রমাণ করার । যদি সে লোক দেখানোর জন্যে হলেও ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ কালেমা পাঠ করে মুসলিম হয়ে যেত, তাহলেই প্রমাণ হয়ে যেত- মুহাম্মাদ (সাঃ) আসলে কোন নবী নন । আর তাঁর তেলাওয়াত করা কুরআন আসলে আল্লাহ্র পাঠানো কালাম নয় । মিথ্যা প্রমাণিত হত কুরআনের ভবিষ্যদ্বাণী । তাহলে একথা বলার সুযোগ তৈরি হত যে, যদি কুরআন আল্লাহ্র কালামই হত, তাহলে তো এরকম ভুয়া সুরা নাযিল হতনা !
কিন্তু আবু লাহাব আসলে ইসলামের বিরোধিতায় এতটাই অন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তার আর কোনভাবেই ইসলামের আলোয় আসা সম্ভব ছিলনা । এই সুরার প্রতিটি অক্ষর আবু লাহাবের জন্য সত্য বলে প্রমাণিত হয় ।
এই সুরা নাযিল হবার পরেও আবু লাহাব সাত-আট বছর বেঁচে ছিল । আবু লাহাব মারা যায় বদর যুদ্ধের পর । সবাই বদর যুদ্ধে গেলেও আবু লাহাব নিজে না গিয়ে তার বদলে অন্য একজনকে পাঠায় । এই সময়ে সে এমন রোগে আক্রান্ত হয় যে, তার সারা শরীরে দুর্গন্ধযুক্ত ঘা হয়ে যায় । এমনকি তার পরিবারের কেউও তার ধাঁরেকাছে ঘেষতো না । বদরে পরাজিত হয়ে সবাই ফিরে দেখে আবু লাহাব মরে গেছে । কিন্তু তার লাশের দুরবস্থা ও দুর্গন্ধের কারণে তাঁকে দাফন করার কোন উদ্যোগ এমনকি তার ছেলেরাও নেয়নি । কয়েকদিন পরে গর্ত খুঁড়ে লম্বা বাঁশের লাঠি দিয়ে কোনমতে তাকে গর্তে ফেলে মাটিচাপা দেয়া হয় ।
ইসলামের বিরোধিতায় সর্বশক্তি নিয়োগ করেও কোন লাভ হলো না আবু লাহাবের । ধ্বংস হয়ে গেল আবু লাহাবের দুই হাত, কোন কাজে আসলো না তার ধন সম্পদ সন্তান সন্ততি , আর আখেরাতে তো সে থাকবেই জাহান্নামের আগুনের লেলিহান শিখায় ।
আবু লাহাবের এই পরিণতি আর কুরআনের এই ভবিষ্যৎবাণীর সত্যতা রয়ে গেল পৃথিবীর মানুষের জন্য বিশ্বাসের উপাদান ও পথপ্রদর্শক হিসেবে ।
মক্কী যুগের মাঝামাঝি সময়ে নাযিল হয় কুরআনের 'আল লাহাব' সুরাটি । এতে রাসুলের(সাঃ) চাচা আবু লাহাবের সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয় ।
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ্র নামে শুরু
১। আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে
২। কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে
৩। সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে
৪। এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে
৫। তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে ।
এই সুরা নাযিলের পর আবু লাহাবের সামনে একটা মোক্ষম সুযোগ তৈরি হয় ইসলামকে মিথ্যা প্রমাণ করার । যদি সে লোক দেখানোর জন্যে হলেও ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ কালেমা পাঠ করে মুসলিম হয়ে যেত, তাহলেই প্রমাণ হয়ে যেত- মুহাম্মাদ (সাঃ) আসলে কোন নবী নন । আর তাঁর তেলাওয়াত করা কুরআন আসলে আল্লাহ্র পাঠানো কালাম নয় । মিথ্যা প্রমাণিত হত কুরআনের ভবিষ্যদ্বাণী । তাহলে একথা বলার সুযোগ তৈরি হত যে, যদি কুরআন আল্লাহ্র কালামই হত, তাহলে তো এরকম ভুয়া সুরা নাযিল হতনা !
কিন্তু আবু লাহাব আসলে ইসলামের বিরোধিতায় এতটাই অন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তার আর কোনভাবেই ইসলামের আলোয় আসা সম্ভব ছিলনা । এই সুরার প্রতিটি অক্ষর আবু লাহাবের জন্য সত্য বলে প্রমাণিত হয় ।
এই সুরা নাযিল হবার পরেও আবু লাহাব সাত-আট বছর বেঁচে ছিল । আবু লাহাব মারা যায় বদর যুদ্ধের পর । সবাই বদর যুদ্ধে গেলেও আবু লাহাব নিজে না গিয়ে তার বদলে অন্য একজনকে পাঠায় । এই সময়ে সে এমন রোগে আক্রান্ত হয় যে, তার সারা শরীরে দুর্গন্ধযুক্ত ঘা হয়ে যায় । এমনকি তার পরিবারের কেউও তার ধাঁরেকাছে ঘেষতো না । বদরে পরাজিত হয়ে সবাই ফিরে দেখে আবু লাহাব মরে গেছে । কিন্তু তার লাশের দুরবস্থা ও দুর্গন্ধের কারণে তাঁকে দাফন করার কোন উদ্যোগ এমনকি তার ছেলেরাও নেয়নি । কয়েকদিন পরে গর্ত খুঁড়ে লম্বা বাঁশের লাঠি দিয়ে কোনমতে তাকে গর্তে ফেলে মাটিচাপা দেয়া হয় ।
ইসলামের বিরোধিতায় সর্বশক্তি নিয়োগ করেও কোন লাভ হলো না আবু লাহাবের । ধ্বংস হয়ে গেল আবু লাহাবের দুই হাত, কোন কাজে আসলো না তার ধন সম্পদ সন্তান সন্ততি , আর আখেরাতে তো সে থাকবেই জাহান্নামের আগুনের লেলিহান শিখায় ।
আবু লাহাবের এই পরিণতি আর কুরআনের এই ভবিষ্যৎবাণীর সত্যতা রয়ে গেল পৃথিবীর মানুষের জন্য বিশ্বাসের উপাদান ও পথপ্রদর্শক হিসেবে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন