এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১০

মায়ের কাছে মামার বাড়ির গল্প

মা জানো,আমার না তিনটে মামা আছে !তুমি তো যাওনি কোনদিন ।বাবা সেদিন আমাকে মামার বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল ।বাবা বললো ,ইনি তোমার মামা ।ইনি তোমার মামা ।উনি তোমার মামা ।নাম আবু ,বাবু ,সাবু ।জানো মা ,সবাই আমাকে নিয়ে কত্ত আদর করলো !সবাই তোমার কথা জিজ্ঞেস করছিলো ।ওরা না সবাই তোমাকে চেনে ।আচ্ছা মা ,তুমি কি আমার মামাদের চেনো ?আবু মামাটা না একটু বোকাসোকা ।বাবু মামাটা ভালো ।আর সাবু মামাটা খুব দুষ্টু ।মামাদের বাড়ির সামনে একটা ইয়া লম্বা নারিকেল গাছ আছে ।ও বাবা ,সাবু মামা কী তরতর করে উপরে উঠে গেল ।দুইটা নারিকেল পেড়ে আনলো ।কেটে আমাকে খেতে দিল ।ওমা কী মজা !তুমি খেয়েছ কখনো ?তোমাকে একদিন নিয়ে যাবো ।আবু মামা বলেছে তোমাকে নিয়ে যেতে ।এরপর কি হলো শুনবে ?দেখলাম একটা জাল নিয়ে বাবু মামা আর সাবু মামা বের হলেন ।আমাকেও নিলেন সাথে ।বাঁশবাগানের দক্ষিণ দিকে একটা বড় দিঘী ।ওখানে জাল ফেলে বড় বড় রুই কাতলা আর পুটি মাছ তুললেন ।মাছের ঝুড়িটা আমার হাতে ছিল ।কী ভারী রে বাবা !দুপুরে আমরা ওই মাছগুলো রান্না করে খেলাম ।মাছের ডিমটা যে কত মজা ।তুমি খেয়েছ কখনো মা ?দিঘীর পাশে একটা খেজুর গাছ আছে ।ওটার ওপরে একটা কলসি ঝুলানো আছে ।সাবু মামা করলো কী জানো ?গাছে উঠে ওটা পেড়ে আনলো ।দেখলাম কলস অর্ধেকটাই রসে পুর্ণ ।এক গ্লাস খেতে দিলো আমাকে ।ও মা !কত মজা ।তোমাকে যখন নিয়ে যাব ,মামাকে বলবো ।তোমাকেও খাওয়াবেন ।
এখন আর কিছু বলবোনা ।ক্ষুধা লেগেছে ।ভাত দাও ।




বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর 30, 2010

শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১০

রোদ পোহানোর দিন

কনকনে ঠান্ডায় ফজরের নামাজ পড়ে আবারো কম্বলের নিচে ঢুকলাম ।উম-ম ।আবারো ঘুম ।বন্ধের দিন, ক্লাসে যাওয়ার তাড়া নেই ।ঘুম থেকে জেগে দেখি বয়স বেড়েছে পৃথিবীর ।সাড়ে নয়টা বাজে ।দাত ব্রাশ করে নাস্তা করতে বের হলাম ।হোস্টেলের করিডোরেই একঝলক মিষ্টি আলো আদর বুলিয়ে দিলো আমার ঠান্ডা মুখে ।দু মিনিট দাঁড়ালাম ।এই রোদ আমাকে ভেদ করে ঢুকে গেলো সময়ের গভীরে ।যেখানে শীতের আমেজে সকালের স্নিগ্ধ রোদে বসে আমি পড়ছিলাম আম পাতা জোড়া জোড়া ।আমাদের উঠানের সামনে নিমগাছগুলোর ফাঁক দিয়ে আসা ঝিরিঝিরি রোদ আমার হাফপ্যান্ট পরা পায়ে খোলা শুভ্র উরুতে চিকচিক করতো ।মাদুরে বড় ভাইকে অংক কষাতেন আব্বা ,আর আমি নতুন 'আমার বই' প্রথম ভাগ পড়তাম মাথা দুলিয়ে ।পিচ্চি ছোটবোনটা আমার বই ,স্লেট ,চক ,কলম নিয়ে টানাটানি করত ।
একটু পরেই আসতো পিঠা ভাজা আর মুড়ি ।খাঁটি সরিষার তেলের সেই ঝাঁঝ ।তারপর নয়টার পরে সবাই উঠে যেতাম আমরা ।গরম ভাত খেয়ে যে যার কাজে ।
মনে পড়ে ।খুব মনে পড়ে ।নীরবে হাহাকার করে মন ।
সেইযে আমার রোদ পোহানোর দিনগুলি....




 শনিবার, ডিসেম্বর 25, 2010

বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১০

স্বপ্নের ডায়রিয়া !

স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই এখন ।দিন দিন স্বপ্নের পরিধি কমে আসছে আশঙ্কাজনক হারে ।এভাবেই একদিন ফুরিয়ে যাবে জীবনের শেষ মুহুর্তটাও ।তখন আর স্বপ্ন দেখার কোন প্রয়োজন হবে না ।মনে হয় স্বপ্ন দেখার প্রকৃত সময়টা হলো নির্ভেজাল শৈশব ।তখনো পৃথিবীর হাজারো আবর্জনাময় নিষ্ঠুর সময় আর নিরন্তর সংঘাত জীবনকে স্পর্শ করতে পারে না ।এরপর দিন এবং রাতের আবর্তন নিয়ে আসে ঠোঁটের ওপর গোঁফের রেখা ।আর চারিদিকে হিংস্র হায়েনার নিঃশ্বাস ,আগুনের হলকার স্পর্শে অসুস্থ হয়ে পড়ে স্বপ্নরা ।সর্দি কাশি তো আছেই ।কারো কারো স্বপ্নের ডায়রিয়া হয়ে যায় ।যেমন আমার স্বপ্নগুলোর এখন ডায়রিয়া হয়েছে ।চরম দুর্বলতায় ভুগে ভুগে ওরা চলে গেছে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ।ওদের বাঁচানোর কোন উপায় কি আছে ?

সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১০

ভয়ের আত্নহত্যা

সৃষ্টির শুরু থেকে ভয় মানুষের আত্নার গভীরে প্রোথিত ।ভয় মানুষকে পেতেই হয় ।জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষ ভয় পায় নানান বিষয়কে ।প্রধানত যেসব বিষয়ে মানুষ ভয় পায় সেগুলো হচ্ছে মৃত্যুর ভয় ,আহত হওয়ার ভয় ,সম্পদের ক্ষতির ভয় ,কষ্ট পাওয়ার ভয় ,কারাবরণের ভয় ,প্রিয়জনদের হারানো বা কষ্ট পাওয়ার ভয় ইত্যাদি ।আর এই সবধরনের ভয়েরই কারন হতে পারে ইসলামী আন্দোলন বা বিপ্লবের পক্ষে কথা বলা ।বিপ্লবের জন্য কাজ করা ।পৃথিবীর আদিকাল থেকে যারাই আল্লাহর দ্বীনের আইনের শাসন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছে তারাই শিকার হয়েছে নির্যাতনের ।শয়তান ও তার মানব দোসররা নির্যাতনের মাধ্যমে থামিয়ে দিতে চেয়েছে ইসলামের অগ্রযাত্রা ।
(নিশ্চয়ই আমি তোমাদের পরীক্ষা করবো কিছুটা ভয় ভীতি ,ক্ষুধা এবং মাল জান ও ফল ফসলের ক্ষতি দ্বারা ।আর ধৈর্য অবলম্বনকারীদের সুসংবাদ দাও ।-বাকারা ১৫৫)
আর এই অত্যাচারের ভয়ে আল্লাহর দ্বীনের আন্দোলনের পথ থেকে সরে গেছে অনেক মানুষ ।অনেকেই দুরে সরে থেকেছে ।কিন্তু আসলেই কি ভয় পাওয়ার কিছু আছে ?সহজ ভাষায় বলতে গেলে ইসলামের জন্য কথা বলতে গেলেই নির্যাতনের শিকার হতে হবে আর দুরে থাকলে খুব সুথে থাকা যাবে প্রকৃত অবস্থা কিন্তু এমন নয় ।যারা মনে করেন আন্দোলনের পথ থেকে বিরত থাকলেই জীবনটা সুখী হবে তারা বোকা শয়তানের স্বর্গে বাস করেন ।আচ্ছা বলুন তো বাংলাদেশের কারাগার গুলোতে যত কয়েদী আছেন তাদের মধ্যে কতজন ইসলামী আন্দোলনের ?খুবই নগন্য সংথ্যক ।বাংলাদেশের হাসপাতাল গুলোতে যতজন আহত মানুষ যতজন কঠিন রোগে আক্রান্ত মানুষ ভর্তি আছেন তাদের কতজন ইসলামের জন্য আহত হয়েছেন ?এবার চিন্তা করুন দেখি প্রতিদিন যতলোক মৃত্যুবরন করে তাদের কতজন ইসলামের কথা বলতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ?হিসাব করে হয়তো দেখছেন সংখ্যাটা কত নগন্য তাই না !হ্যা ,এটাই বাস্তব ।আপনি আল্লাহর দ্বীনের পক্ষে কথা না বললেও আহত হতে পারেন ,হাত পা ভাঙতে পারেন ।হয়তো গাড়ি Accident এ ,হয়তো ডাকাতের আক্রমনে অথবা অন্য কোন ভাবে ।আপনি কষ্ট পেতে পারেন ক্যান্সারের মত কোন কঠিন রোগে ।আপনি কারাবরন করতে বাধ্য হতে পারেন কোন বিরুপ পরিস্থিতির শিকার হয়ে কিংবা কোন ষড়যন্ত্রের ফলে মিথ্যা মামলায় ।নিজের ঘরে থেকেও পেতে পারেন কারাগারের চেয়েও বেশি কষ্ট ।আপনার প্রিয়জনরাও পেতে পারে একইরকম কষ্ট ।ইসলামের পথে না থেকেও আপনার সম্পদহানি হতে পারে অগ্নিকান্ডের মাধ্যমে ,বিরুপ ব্যবসায়িক পরিস্থিতির কারনে ,মন্দার কারনে ।
(আল্লাহ তায়ালা যা চান তাই হয় ।-সুরা আরাফ ১৮৮)
আর মৃত্যু ?সেটাতো আপনি কোনভাবেই ঠেকাতে পারবেন না।আপনার সুনির্দিষ্ট হায়াত শেষ হলেই আপনি মরতে বাধ্য ।(প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে ।আর তোমরা কিয়ামতের দিন তোমাদের পূর্ণ প্রতিদান পাবে ।-আল ইমরান ১৮৫)
(আর আল্লাহর হুকুম ছাড়া কেউ মরতে পারে না ।সেজন্য একটা সময় নির্ধারিত রয়েছে ।-আল ইমরান ১৪৫)
বাংলাদেশের ইসলামী সংগঠনগুলোর যতজন তাগুতিশক্তির হাতে শহীদ হয়েছেন ,হিসাব করে দেখুন এর চেয়ে কতবেশি নিহত হয়েছে ওইসব জাতীয়তাবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী গোষ্ঠীর শুধুমাত্র অন্তর্কোন্দলে ।অন্যদের সাথে সংঘর্ষের কথা নাহয় বাদই দিলাম ।এরা জীবনটা ব্যয় করলো ভুল পথে ।দুনিয়ায় তো কিছু পেলো ই না ,আখেরাতেও পাবে কঠিন শাস্তি ।,
অপরদিকে যারা আল্লাহর দ্বীনের পথে কাজ করতে গিয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছে তারা আল্লাহর কাছে উচ্চ সম্মানের অধিকারী হচ্ছেন ।পরকালে তারা এর অনেকগুন বেশি পূর্ণ প্রতিদান পাবেন ।
(যারা আমারই জন্য হিজরত করেছে ,নিজেদের ঘরবাড়ি থেকে বহিস্কৃত হয়েছে ,নির্যাতিত হয়েছে ,আমারই পথে লড়াই করেছে ও নিহত হয়েছে ,তাদের সকল অপরাধই আমি ক্ষমা করে দেব এবং তাদেরকে আমি এমন জান্নাত দান করব যার নিচ দিয়ে প্রবাহমান রয়েছে ঝর্ণাধারা ।এরুপ প্রতিফলই তাদের জন্য রযেছে আল্লাহর নিকট ।আর উত্তম প্রতিফল তো কেবল আল্লাহর নিকটই পাওয়া যাবে ।-আল ইমরান ১৯৫)
আর আপনি তো কিছুই পাবেন না বরং আপনার জন্য থাকবে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ।এবার চিন্তা করুন আপনি কোনটাকে ভয় পাবেন ।দুনিয়ায় অনিশ্চিত ও নশ্বর এ জীবনে শয়তানের দোসরদের আঘাতের ভয় নাকি সর্বশক্তিমান মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ তায়ালার শাস্তির ভয় ।মনে রাখবেন-দুনিয়ার এ জীবন চরমভাবে অনিশ্চত ও ক্ষণস্থায়ী অপরদিকে পরকালের জীবন অবশ্যম্ভাবী এবং অনন্ত ।এই দুনিয়ার বিপদ আপদ থেকে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে মুক্ত রাখতে পারেন কিন্তু পরকালে আপনার সাহায্যকারী কেউ থাকবে না ।
(কোন বিপদ কখনো আসে না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া ।-তাগাবুন ১১)
যেসবকিছু ভালোবেসে আপনি আল্লাহর পথ থেকে দুরে ছিলেন সেগুলোর কিছুই আপনার কাজে আসবে না ।
(মানুষের জন্য তাদের মনঃপুত জিনিস ,নারী ,সন্তান ,স্বর্ন রৌপ্যের স্তুপ ,বাছাই করা ঘোড়া ,গৃহপালিত পশু ও কৃষিজমি বড়ই আনন্দদায়ক ও লালসার বস্তু বানিয়ে দেয়া হয়েছে ।কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উহা দুনিয়ার সাময়িক ও ক্ষণস্থায়ী জীবনের সামগ্রী মাত্র ।মুলতঃ ভালো আশ্রয় তো আল্লাহর নিকটই রয়েছে ।-আল ইমরান ১৪)
এবার ভাবুন আপনি কী করবেন !




 সোমবার, ডিসেম্বর 13, 2010

রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১০

অজ্ঞাতনামার হাজতবাস

আমি একজন অজ্ঞাতনামা ।অজ্ঞাতনামা মানে আমার কোনো নাম নেই এমনটি না ।কিংবা ওরা যে আমার নাম জানে না এমনও না ।ওদের রেজিস্টার খাতা খুলে দেখুন ,ওখানে আমার নাম স্পষ্ট করে লেখা আছে ।আমার বাবার নামও লেখা আছে নিশ্চয়ই ।তবু আমি অজ্ঞাতনামা ।কারন ,আমি অজ্ঞাতনামা না হলে ওদের উদ্দেশ্য সফল হয় না ।প্রয়োজন হলে আপনাকেও ওরা অজ্ঞাতনামা বানাবে ।হয়তো একদিন নিজের ছেলেকেও তাই করবে ।সেদিন আমাকে আমার এক বন্ধু নাস্তা করতে ডাকলো ।আমারই ক্লাসমেট ।একটা বিষয়েই শুধু তার সাথে আমার পার্থক্য ,সেটা হলো আদর্শগত ।সে প্রচলিত ধারার সুবিধাবাদী ক্ষমতার রাজনীতির সাথে যুক্ত আর আমি ইসলামকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠার পক্ষে কথা বলি ।তার দল এখন ক্ষমতায় আছে ,আর আমার নাই ।যাহোক বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে গেলাম ।বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো ।এরই মাঝে হঠাত্‍ সরকারি পোষাকধারী লাঠিয়াল বাহিনী এসে উপস্থিত ।তারা এসে সোজা আমার কাছে এলো ,আমাকে নিয়ে গাড়িতে ওঠালো এবং নিয়ে গেল থানায় ।ইসলামের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এধরনের ঘটনা শুধু স্বাভাবিকই নয় ,প্রত্যাশিতও ।শুধু একটি বিষয়ে আমি কষ্ট পেলাম খুব বেশি ।আমারই ক্লাসমেট বন্ধু শুধুমাত্র রাজনৈতিক আদর্শগত পার্থক্যের কারনে বন্ধুকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে গ্রেফতার করানোর মত জঘন্যতম কাজ করতে পারলো কিভাবে ?পরে ভাবলাম ,এটাই তো ইসলামের সাথে ওদের পার্থক্য ।ওদের কাছে মানুষের কোন মুল্য নেই ,জীবনের কোন মুল্য নেই ,ক্যারিয়ারের কোন মুল্য নেই সেখানে বন্ধুত্বের বিন্দুমাত্র মুল্য আশা করাটা যে কতটা বোকামী সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।
রাতে থানা হাজতে থাকলাম ।আমার বন্ধুরা ও বড়ভাইরা খবর পেয়ে আমাকে দেথতে এলেন ।কাপড়চোপড় ও থাবারদাবাড় দিয়ে গেলেন ।পরদিন সকালে জানলাম আমি অজ্ঞাতনামা ।পুরনো এক মামলায় নাকি অনেক অজ্ঞাতনামা আসামী ছিল ।আমিও নাকি সেই অজ্ঞাতনামাদেরই একজন ।এখন আমি আছি কোথাও ।ভালোই আছি আলহামদুলিল্লাহ ।এই হলো এক অজ্ঞাতনামার হাজতবাসের ইতিহাস ।


 রবিবার, ডিসেম্বর 5, 2010

শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১০

আদমের জ্ঞানভান্ডার

যতই জানি ততই অজানার জগত্‍ বিস্তৃত হয় ।যতই পড়ি ততই বুঝতে পারি পড়াশোনার কিছুই করিনি আমি ।Just nothing.আল্লাহ তায়ালা আদমকে সকল বস্তুর নাম শিখিয়েছিলেন ।আর এটাই ছিল আদমের শ্রেষ্ঠত্বের কারন । নাম শিখিয়েছেন মানে শুধু নামটুকুই নয় ।ঐ নাম সংক্রান্ত বিস্তারিত সবকিছুই শেখানো হয়েছে ।তাহলে আদমেরই বংশধর হিসেবে ওই জ্ঞানভান্ডার আমারও থাকার কথা ।হয়তোবা আছে ।কিন্তু সেগুলো আছে Recessive অবস্থায় ।ফলে যখনই আমি কোন কিছু শেখার চেষ্টা করি যা আমার কাছে নতুন ,শিখতে পারি ।আসলে আমার কাছে যে জ্ঞানকে নতুন মনে হচ্ছে তা আদৌ নতুন নয় ।ঐ তথ্যগুলো আমার মস্তিষ্কের কোষগুলোতে অকার্যকর অবস্থায় জমা আছে ।আমি যখন কিছু শিখতে যাই ,তখন সেই অকার্যকর তথ্যভান্ডারের ঐ অংশটুকুকে কার্যকর করে দেই মাত্র ।নিউটন আপেল গাছের নিচে বসে ছিলেন ।এমন সময় তার সামনে আপেল ঝরে পড়লো ।আর তার মাথায় খেলে গেল মধ্যাকর্ষণ শক্তির থিওরি ।এতে কি নিউটনের নিজস্ব কোন কৃতিত্ব ছিল ?আমি সেটা মনে করি না ।আসলে ঠিক ওই সময়ে নিউটনের মাথায় আদমের জ্ঞানভান্ডার থেকে পাওয়া ওই অংশটা কার্যকর হয়ে গিয়েছিল ।নিউটনের আগে আরও হাজার হাজার লোকের সামনে আপেল পড়েনি ?পড়েছিল ।কিন্তু ঐ সময় আদমের ঐ বংশধরের মস্তিষ্কে আদমের জ্ঞানভান্ডার থেকে পাওয়া জ্ঞানের ঐ অংশটি সক্রিয় হয়ে ওঠে নি ।একইভাবে পৃথিবীর সকল আবিস্কার আসলে নতুন কিছু না ।আদমকে সবকিছুই আগেই শিখিয়ে দেয়া হয়েছে ।এখন সেই জ্ঞানই নতুনভাবে আমাদের বিস্ময় জাগাচ্ছে ।এমনকি আমি যে এই লেখাটি লিখলাম তাও নিশ্চয়ই আদমের জ্ঞানভান্ডারে ছিল !নইলে আমি এসব কিভাবে বুঝবো ?আমিও তো আদমেরই বংশধর নাকি !




 শনিবার, নভেম্বর 27, 2010

শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১০

গদ্য ও পদ্য

গদ্য লেখায় আমার একদম হাত নেই ।হয়তো শুরুটা করতে পারি ,কিন্তু কিছুদুর গিয়েই শেষ ।কি লিখব খুঁজে পাইনা ।মুখে যেমন আমি কম কথা বলি ,লেখার বেলায়ও সেই একই রকম ।কথার পিঠে কোলে ঘাড়ে কথার স্তুপ চাপিয়ে বিশাল গদ্য লেখাটা আমার ধাতেই নেই ।আমার অনেক লেখক এবং চাপাবিশিষ্ট বন্ধু একবাব বলতে বা লিখতে শুরু করলে আর রক্ষে নেই ।সে এক ভয়াবহ অবস্থা ।গদ্য বেচারা মনে হয় ক্লান্ত হয়ে যায় তাদের হাতে পড়ে। পড়েছি মোগলের হাতে জাতীয় অবস্থা আর কি ! অবশ্য মানুষ এখন গদ্যই ভালোবাসে ।কারন এতে সাধারন ও সংক্ষিপ্ত কথাকে অনেক মধু খাইয়ে ,বাহারি রং দিয়ে সুখাদ্য করে তোলা হয় ।আর এটা যারা করতে পারেন তারাও নিশ্চয়ই চরম ধৈর্যশীল ।ওদিকে হতচ্ছাড়া পদ্য !বিশাল ভাবসম্পন্ন কিছুকে এত ছোটকথায় নিয়ে আসে ,অনেক সময় তার গোষ্ঠী উদ্ধার করা অসাধ্য হয়ে ওঠে ।আর পড়তেও হয় অনেক মনোযোগ দিয়ে ধৈর্য ধরে ।এত টাইম আছে নাকি আজকাল !
হায় হায় আমি আবার এইসব কি আজাইরা প্যাচাল শুরু করলাম ।আহা !আপনাদের জন্য আমার খুব দুঃখ হচ্ছে ।ঠিক আছে ,আমি দুঃখিত ।মাফ করে দিবেন ।




শুক্রবার, নভেম্বর 26, 2010

শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১০

সিসিমপুর

সিসিমপুরের কথা আমার খুব মনে পড়ে ।আমি যখন সিসিমপুরে থাকতাম তখন কত কিছু যে করেছি !কত স্মৃতি কত কথা ।সেগুলো বলতে গেলে দিন রাত ফুরিয়ে যাবে ।ইয়া বড় বড় বই লেখা যাবে ।অবশ্য বই লেখার খুব একটা প্রয়োজন নেই ।কারন ,ইতোমধ্যে কিছু উত্‍সাহী লোক আমার কাছে শুনে শুনে তারা একটা শিশুতোষ ফিল্ম বানিয়েছে ।ওটার নাম তারা দিয়েছে ১২৩ সিসিমপুর ।ভালোই করেছে ,তবু ওরা তো আর সবকিছু জানে না ।আমার কাছে যতটুকু শুনেছে তার ভিত্তিতে কিছুটা করার চেষ্টা করেছে আরকি ।এখন আমি বুড়ো হয়েছি ।হয়তো ভুলে গেছি জীবনের অনেক কাহিনী ।কিন্তু সিসিমপুরের সেই দিনগুলোর কথা এতটুকু ভুলিনি ।সব যেন জমা রেখে দিয়েছি উচ্চ ধারনক্ষমতা সম্পন্ন এক মাইক্রোচিপে ।তোমরা যদি শুনতে চাও আমার সেই দিনগুলোর কথা ,চলে এসো আমার ছোট্ট কুঁড়েঘরে ।কী !ভাবছো কোথায় বসাবো তোমাদের ?ভয় নেই ।আমার আঙিনাটা কিন্তু বিশাল ।সেখানে মাদুর পেতে দেব ।উপরে থাকবে একথালা চাঁদ ,থাকবে চাঁদের বুড়ি আর সেই কোটি বছরের বটগাছ ।ও হ্যা ,আমি তারাদের বলে দেবো ।ওরাও থাকবে তোমাদের সাথে ।আর আমি বসবো আমার উঁচু ঢিবিটার ওপর ।এরপর তোমাদের শোনাবো আমার সিসিমপুরের কথা ।
কী , খুশি তো !
তাহলে ওই কথাই রইলো !ও ,আমার ঠিকানা জানো ?আমার ঠিকানা এখন অচিনপুর ।বড় রাস্তার পাশে দেবদারু গাছ ।তার পাশে দিয়ে যে পায়ে হাঁটা পথ ,ওটার শেষ প্রান্তেই আমার বাড়িটা ।

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১০

আদমের জ্ঞানভান্ডার

যতই জানি ততই অজানার জগত্‍ বিস্তৃত হয় ।যতই পড়ি ততই বুঝতে পারি পড়াশোনার কিছুই করিনি আমি ।Just nothing.আল্লাহ তায়ালা আদমকে সকল বস্তুর নাম শিখিয়েছিলেন ।আর এটাই ছিল আদমের শ্রেষ্ঠত্বের কারন । নাম শিখিয়েছেন মানে শুধু নামটুকুই নয় ।ঐ নাম সংক্রান্ত বিস্তারিত সবকিছুই শেখানো হয়েছে ।তাহলে আদমেরই বংশধর হিসেবে ওই জ্ঞানভান্ডার আমারও থাকার কথা ।হয়তোবা আছে ।কিন্তু সেগুলো আছে Recessive অবস্থায় ।ফলে যখনই আমি কোন কিছু শেখার চেষ্টা করি যা আমার কাছে নতুন ,শিখতে পারি ।আসলে আমার কাছে যে জ্ঞানকে নতুন মনে হচ্ছে তা আদৌ নতুন নয় ।ঐ তথ্যগুলো আমার মস্তিষ্কের কোষগুলোতে অকার্যকর অবস্থায় জমা আছে ।আমি যখন কিছু শিখতে যাই ,তখন সেই অকার্যকর তথ্যভান্ডারের ঐ অংশটুকুকে কার্যকর করে দেই মাত্র ।নিউটন আপেল গাছের নিচে বসে ছিলেন ।এমন সময় তার সামনে আপেল ঝরে পড়লো ।আর তার মাথায় খেলে গেল মধ্যাকর্ষণ শক্তির থিওরি ।এতে কি নিউটনের নিজস্ব কোন কৃতিত্ব ছিল ?আমি সেটা মনে করি না ।আসলে ঠিক ওই সময়ে নিউটনের মাথায় আদমের জ্ঞানভান্ডার থেকে পাওয়া ওই অংশটা কার্যকর হয়ে গিয়েছিল ।নিউটনের আগে আরও হাজার হাজার লোকের সামনে আপেল পড়েনি ?পড়েছিল ।কিন্তু ঐ সময় আদমের ঐ বংশধরের মস্তিষ্কে আদমের জ্ঞানভান্ডার থেকে পাওয়া জ্ঞানের ঐ অংশটি সক্রিয় হয়ে ওঠে নি ।একইভাবে পৃথিবীর সকল আবিস্কার আসলে নতুন কিছু না ।আদমকে সবকিছুই আগেই শিখিয়ে দেয়া হয়েছে ।এখন সেই জ্ঞানই নতুনভাবে আমাদের বিস্ময় জাগাচ্ছে ।এমনকি আমি যে এই লেখাটি লিখলাম তাও নিশ্চয়ই আদমের জ্ঞানভান্ডারে ছিল !নইলে আমি এসব কিভাবে বুঝবো ?আমিও তো আদমেরই বংশধর নাকি !

বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০১০

অজ্ঞাতনামার হাজতবাস

আমি একজন অজ্ঞাতনামা ।অজ্ঞাতনামা মানে আমার কোনো নাম নেই এমনটি না ।কিংবা ওরা যে আমার নাম জানে না এমনও না ।ওদের রেজিস্টার খাতা খুলে দেখুন ,ওখানে আমার নাম স্পষ্ট করে লেখা আছে ।আমার বাবার নামও লেখা আছে নিশ্চয়ই ।তবু আমি অজ্ঞাতনামা ।কারন ,আমি অজ্ঞাতনামা না হলে ওদের উদ্দেশ্য সফল হয় না ।প্রয়োজন হলে আপনাকেও ওরা অজ্ঞাতনামা বানাবে ।হয়তো একদিন নিজের ছেলেকেও তাই করবে ।সেদিন আমাকে আমার এক বন্ধু নাস্তা করতে ডাকলো ।আমারই ক্লাসমেট ।একটা বিষয়েই শুধু তার সাথে আমার পার্থক্য ,সেটা হলো আদর্শগত ।সে প্রচলিত ধারার সুবিধাবাদী ক্ষমতার রাজনীতির সাথে যুক্ত আর আমি ইসলামকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠার পক্ষে কথা বলি ।তার দল এখন ক্ষমতায় আছে ,আর আমার নাই ।যাহোক বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে গেলাম ।বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো ।এরই মাঝে হঠাত্‍ সরকারি পোষাকধারী লাঠিয়াল বাহিনী এসে উপস্থিত ।তারা এসে সোজা আমার কাছে এলো ,আমাকে নিয়ে গাড়িতে ওঠালো এবং নিয়ে গেল থানায় ।ইসলামের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এধরনের ঘটনা শুধু স্বাভাবিকই নয় ,প্রত্যাশিতও ।শুধু একটি বিষয়ে আমি কষ্ট পেলাম খুব বেশি ।আমারই ক্লাসমেট বন্ধু শুধুমাত্র রাজনৈতিক আদর্শগত পার্থক্যের কারনে বন্ধুকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে গ্রেফতার করানোর মত জঘন্যতম কাজ করতে পারলো কিভাবে ?পরে ভাবলাম ,এটাই তো ইসলামের সাথে ওদের পার্থক্য ।ওদের কাছে মানুষের কোন মুল্য নেই ,জীবনের কোন মুল্য নেই ,ক্যারিয়ারের কোন মুল্য নেই সেখানে বন্ধুত্বের বিন্দুমাত্র মুল্য আশা করাটা যে কতটা বোকামী সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।
রাতে থানা হাজতে থাকলাম ।আমার বন্ধুরা ও বড়ভাইরা খবর পেয়ে আমাকে দেথতে এলেন ।কাপড়চোপড় ও থাবারদাবাড় দিয়ে গেলেন ।পরদিন সকালে জানলাম আমি অজ্ঞাতনামা ।পুরনো এক মামলায় নাকি অনেক অজ্ঞাতনামা আসামী ছিল ।আমিও নাকি সেই অজ্ঞাতনামাদেরই একজন ।এখন আমি আছি কোথাও ।ভালোই আছি আলহামদুলিল্লাহ ।এই হলো এক অজ্ঞাতনামার হাজতবাসের ইতিহাস ।

সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০১০

হাওয়া উত্যক্তকরণ

কলেজ গেটে গলির মোড়ে
বখাটেতে গিজগিজ
মনের সুখে দাত কেলিয়ে
করে ওরা ইভটিজ !
সবাই এখন রব তুলেছে
বলুন ওদের 'না'
কেউবা বলে ঠেকাও ওদের
করতে হবে ঘৃণা ।
শুধু ওদের ঘৃণা করাই
নয়তো কোন সমাধান
নৈতিকতা না শেখালে
বৃথা এসব কলের গান ।





সোমবার, নভেম্বর 8, 2010

শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১০

অনাহারী স্বপ্ন

ছোট ছোট স্বপ্নগুলোকে অনাহারে রেখেছি এখন
ওদের ডানা বেঁধেছি শক্ত করে ।
আর আটকে রেখেছি গহীন খাঁচায়
কারণ-বৃহত্‍ এক স্বপ্নের দাবি মেটাতে হবে ।

মহান এই স্বপ্নের সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজনে
ওদের অনেককে হয়তোবা বলি দেব একে একে
হৃদয়ের বেদীমূলে
ওরা যদি বেঁচে থাকে ফিনিক্স পাখির মত
ভালো । নয়তো ওদের দিকে নজর দেবার আর
সময় নেই আমার ।

ওরা যদি পারে দলা পাকিয়ে থাকুক কোথাও
হ্যা । ওদেরও উত্‍কৃষ্ট খাবার দেবো আমি একদিন
তবে এখন বাঁচাতে হবে মহান এক স্বপ্নকে
করতে হবে পরিপুষ্ট । শুধু ওইসব স্বপ্ন নয়
প্রয়োজনে বলি দিতে হবে নিজেকেও ।

ওদের মন খারাপ করা ঠিক হবে না
মহান এই স্বপ্নের জন্য
নিজেকে উত্‍সর্গ করাতেই তো ওদের স্বার্থকতা ।




 শনিবার, নভেম্বর 6, 2010

চেনা কষ্ট

চেনা কষ্ট

এইসব কষ্ট আমাদের খুব চেনা
আপনজনের মত
হাজারো বছর ধরে ওরা
আমাদের বুকে বিধে আছে ।
আমরা চলি ওদের, ওরা চলে আমাদের
নিত্যসঙ্গী হয়ে ।
এইসব পথঘাট আমাদের খুব চেনা
আমরা এই পথে হাঁটছি সৃষ্টির শুরু থেকে
এই পথ আর আমাদের স্রষ্টাতো একই ।

আমরা চিনি তায়েফ
আমরা ছিলাম শিয়াবে আবি তালিবে
বদরে ওহুদে খন্দক হুনায়েন বালাকোটে
আমরা ছিলাম বাঁশের কেল্লায়
এইসব কষ্ট আমাদের খুব চেনা ।

আমরা চিনি আমাদের রক্ত
এই মাটি জানে আমাদের রক্তের স্বাদ
কোটি বছর ধরে
এই মাটি আর আমরা করি এক্ই স্রষ্টার ইবাদাত ।

আর ওরা, শয়তানের পুজারী 
ওরাও চেনে আমাদের-আমরা ওদের
হাজারো বছর ধরে
আমাদের সাথেই তো ওদের নিত্য সংঘাত ।

এইসব কষ্ট আমাদের খুব চেনা, হাজারো বছর ধরে ।
এই পল্টন লালদিঘী চেনে আমাদের
বারবার দেখা হয় - হয়তো বদরে নয়
হয়তো বায়তুল মোকাররম আন্দরকিল্লায়
পল্টনে লালদিঘীতে কিংবা
দুর্দান্ত পথের ওপর ।

আমরা চিনি আমাদের রক্ত
এই মাটি জানে আমাদের রক্তের স্বাদ
কোটি বছর ধরে
এই মাটি আর আমরা করি এক্ই স্রষ্টার ইবাদাত ।




মুহসিন আব্দুল্লাহ
শনিবার, নভেম্বর 6, 2010

শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১০

যুগান্তরের পাপী

ওই যে ওরা আসছে দেখো
উঠছে ধরা কাঁপি
নিষ্ঠুরতার মশাল জ্বালে
যুগান্তরের পাপী ।

হায়েনা ওরা মাতাল ওরা
রক্তপানের নেশায়
মানবতার রঙ্গিন শাড়ি
রক্ত দিয়ে পেচায় ।

এনেছে লগি এনেছে বৈঠা
নৌকা ওরা বাইবে
পদ্মাতো হায় শুকিয়ে গেছে
রক্তনদী চাই যে !

নেকড়েরা হায় নেইতো বনে
মানুষের রুপে আজ
লাশের ভেলায় নৃত্য করে
এ কোন নরপিশাচ !

 শুক্রবার, অক্টোবর 29, 2010

প্রত্যাশার আহাজারি


প্রতিদিন মারা পড়ে প্রত্যাশার পখিরা
ওদের স্বপ্নপূরনের পথে উড়ে আসে
ঈগল বাজ আর ড্রাকুলার দল ।

বাবা মা স্বপ্ন দেখে দিনমান
অনেক বড় হবে ছেলে
ভাইবোন দের অন্তরেও বাজে প্রত্যাশার গান
আর কটা দিন গেলে
আসবে ফিরে ভাই স্বপ্নের চাবি হাতে
অপূর্ণতার সকল তালা খুলবে অনর্গল ।

শুভাকাংখীদের শুভকামনায়ও প্রত্যাশার ডানা
বারবার ঝাপটায় গন্তব্যের পানে ওড়ার আশায়
প্রতিদিন আহত হয় প্রত্যাশার পাখিরা
ওদের আহাজারি অশ্রু হয়ে কখনো দুচোখ ভাসায়
এইতো জীবন চলে.....


 শুক্রবার, অক্টোবর 29, 2010

সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১০

তবু তুমি ফিরে এসো


তবু তুমি ফিরে এসো

যেদিন
তোমাকে আঘাত করেছিলো
একদলা কষ্টের মেঘ
ওদের আক্রোশ ছিল
তোমার শুভকামনায় ।
তুমি বোঝনি ওদের করুণ গান
জানতে পারনি ওতে ছিল আহবান
"তবু তুমি ফিরে এসো" ।

সেদিন
তোমার চলার পথে আছড়ে পড়েছিল
শুকনো গাছের গুড়ি
সুতা ছিড়ে উড়ে গিয়েছিল
আকাশে রঙ্গিন ঘুড়ি

চাঁদের জোছনায় হঠাত পড়েছিল টান
বুঝতে পারনি ওতে ছিলো আহবান
"তবু তুমি ফিরে এসো" ।

যদিবা করেছ তুমি মহা অপরাধ
হয়তো ফেলেছ ভেঙ্গে সীমানার বাঁধ
ওদের কথা শোন পেতে দাও কান
ওরা চেনে স্রষ্টাকে করে আহবান

"তবু তুমি ফিরে এসো-
জীবনের সরল সঠিক রাস্তায় ।


 সোমবার, অক্টোবর 25, 2010

বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১০

ঘোর



আমার কুয়োটা একটু বড়, এই যা
আমি মানুষ ব্যাং নই, এই যা
প্রকৃত পক্ষে আমি কুয়োরই !

হয়তো
তুমি ধান কাটো সারাদিন খেটে
অথবা তুমি ফেরি কর নিরন্তর হেটে
তুমি গান গাও উদাস গলায়
অথবা মাছ ধরো নদী-জলায়

হয়তো
তুমি রিক্সা চালাও সর্বশক্তি দিয়ে
অথবা তুমি কাজী, পড়াও বিয়ে
তুমি বই ঘেটে বের কর আইনের ফোকর
অথবা ঘেমে নেয়ে গলাচ্ছ লৌহ-আকর

আমি চিকিতসক, এই যা
আমার কুয়োটা ভিন্ন, এই যা
প্রকৃত পক্ষে আমি কুয়োরই !

ঘুরছি যেন অহরহ নির্দিষ্ট কুয়োর ভেতর
বেরোতে পারি না ভেঙ্গে জীবনের ঘোর ।




 বৃহস্পতিবার, অক্টোবর 21, 2010

সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১০

তিরস্কার


কবিরা সব বসে আছে
গায়ে মেখে শরতের মেঘ
তারা শুধু ছুঁতে জানে
কাশফুলের শুভ্র আবেগ

নদীর হাটুজলে তাদের রোমান্টিক মন
খায় হাবুডুবু
বালুকণার ভেতর খুঁজে ফেরে ওরা
স্বপ্নের খুশবু !

ঝিরিঝিরি হাওয়ায় ওড়ে ওদের
মসৃন ঝাকড়া চুল
জীবনের দর্শন খুঁজে হয় পেরেশান
ভাবিয়া পায়না কুল !

ইচ্ছে হয় সজোরে ধাক্কা মারি
ফেলে দেই ধানের ক্ষেতে
ঐ দেখ উজবুক কবির দল
নাঙ্গা ভূখা পায়না খেতে ।


জীবনের ছন্দ হারিয়ে ফেলে তোরা
লিখিস কবিতা 'গদ্য'
ঐ শোন ক্রন্দন ধ্বনি- শিশুর
ভূমিষ্ঠ হলো সদ্য ।

ভাবুক ভাবটা ছাড়
খাবার জোগাগে তার ।


সোমবার, অক্টোবর 18, 2010

মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০১০

শেকড়

মানুষেরও শেকড় আছে জানতাম না
জানলাম, যখন শিকড়টায় পড়লো টান ।
মানুষের শরীর আছে, আছে হাত পা
জানতাম আত্না আছে, আছে প্রাণ ।
মানুষের শেকড়ও আছে জানতাম না
জানলাম, যখন শেকড়টায় পড়লো টান ।

মানুষ খায় দায় ঘুমায় হাটে চলে
কারনে অকারনে অনর্গল কথা বলে
মানুষের জীবনে আছে সুখ দু:খ হাসি
মানুষের জীবনে আছে সুর আর গান-

মানুষের শেকড়ও আছে জানতাম না
জানলাম, যখন শেকড়টায় পড়লো টান !



 মঙ্গলবার, অক্টোবর 12, 2010

সময়ের হরতাল


সময়ের কুঠুরিগুলোয় বাস করে
কষ্টের বাপ মা ।
আমাদের জন্য তারা সন্তান উতপাদন করে
দফায় দফায় !
লাল নীল কালো ধলো বেঁটে লম্বা
ছোট বড় মাঝারি চিকন মোটা
কানকাটা কানওয়ালা
খাড়ানাক বোঁচকানাক
গোফওয়ালা দাড়িওয়ালা মাকুন্দা
চুলওয়ালা টাক্কুমাথা টিকটিকির লেজ
শতরকম কষ্টেরা হরতাল ডাকে
জীবনের রাজপথে ।

তবুও চলি আমরা ।
হয়তো গতি হয় শ্লথ
হয়তোবা পথ যায় বেকে
হয়তো খুজে নেই নতুন কোনো গলি-
তবুও আমরা সীমানার পানে চলি ।


 মঙ্গলবার, অক্টোবর 12, 2010

রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১০

আত্নআহ্বান


আবেগের কুড়েঘর ছেড়ে এসো
কঠিন বাস্তবে
প্রখর রৌদ্রে চোখ দুটি খুলে
দৌড়াও আজ তবে ।
সোনালী কাবিনের জন্য আর
করোনা অপেক্ষা ।

হে কচ্ছপ, বদলে ফেলো এই খোলস
ডাস্টবিনে ফেলে দাও পুরনো শম্বুক গতি
ঐ দেখো উদ্দাম স্রোত
ধুয়ে নিয়ে যায় তোমার জীবনের নির্যাস !





 রবিবার, অক্টোবর 10, 2010

হতাশ কৃষক



অসুন্দরের দাবড়ানিতে থেমে যায় যখন
জীবনের উল্লাস
সত্য তখন নীরবে কাদে হয়তো
অশ্রুগুলি বৃষ্টির মত অবিরল নয় বটে
শিশিরের চেয়ে কমও কিছু নয় !

আগ্রাসী সিগারেটের ধোয়া ওড়ে দম্ভ প্রাসাদের ওপর
নাগাল পায়না তার - সাহসের পদাতিকরা
অক্ষম আক্রোশ আর আফসোস চতুর্দিকে
পাকায় কেশরাজি সময়ের অপেক্ষায় ।

আর বহমান কালের নিষ্ঠুর হন্টন
জন্ম দেয় বারবার ক্রুর রক্তজবা-
এই দুর্বল কৃষকের মৃত্তিকায় ।



 রবিবার, অক্টোবর 10, 2010

বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১০

কবিতার শাহাদাত

আজ আমি কবিতা লিখতে বসিনি । আমি স্মরণ করতে বসেছি প্রচণ্ড উত্তাপে ঝলসানো শরীরে দমবন্ধ হয়ে নিঃশেষ হয়ে যাওয়াআমার কবিতাগুলিকে । আমি এখনো জীবিত; কিন্তুতারা যেন আমাকে দিয়েছে শাহাদাতের মর্যাদা ।

১০ই জুলাই ২০০৮ ।
বৃহস্পতিবার রাত ।অগ্নিকুন্ডের অধিবাসী একদল বিবেকহীন নরপশু লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির নর্দমার অস্পৃশ্য কীটেরা, আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল আমার কক্ষটিতে । কারণ, সিড়ির পাশের সেই কক্ষটি থেকেই ভেসে আসতো কুরানের অন্তর্ভেদী সুর ।

দাউ দাউ করা আগুনে- যেখানে একদিন হয়তো জ্বলবে ওই পশুরা- পুড়ে গেল কুরান হাদীস তাফসির । বইপুস্তক । আর, আর আমার ১০টি ডায়েরীতে লেখা কবিতা,গল্প,দারস,নোটগুলো ।১৮ বছরের চিন্তাধারা ।

হয়তো কবিতাগুলির দমবন্ধ হয়ে গিয়েছিল । হয়তোআগুনের তাপ তাদের শরীরে কষ্ট দিয়েছিল। তারা হারিয়ে গেছে আমার নাগাল থেকে প্রভুর নৈকট্যে- তবু তারা আজো জীবিত;প্রাণময় । কারণ,শহীদেরা মরে না ।

পৃথিবীর মানুষ হয়তো তাদের দেখতে পেলো নাআমি জানি । আমার শহীদ কবিতাগুলি মধুময় গান হয়ে বাজবে জান্নাতবাসীদের কানে কানে । সেই সুরের আবেশ আমাকেও করবে আচ্ছন্ন; অপার্থিব সুখের নহরে, প্রভুর গুনগানে ।



 বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর 23, 2010

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১০

পুরুষরা জান্নাতে গেলে সুন্দরী কুমারীদেরকে ‘হুর’ হিসেবে পাবে। মেয়েরা জান্নাতে গেলে কি পাবে? -ডাঃ জাকির নায়েক

প্রশ্ন, পুরুষরা জান্নাতে গেলে সুন্দরী কুমারীদেরকে ‘হুর’ হিসেবে পাবে। মেয়েরা জান্নাতে গেলে কি পাবে?

উত্তরঃ পবিত্র কুরআনে কমপক্ষে চার জায়গায় ‘হুর’ এর কথা বলা হয়েছে। ‘হুর’ এর কথা উল্লেখ আছে সূরা দুখানের ৫৪ নং আয়াতে, সূরা তূর এর ২০নং আয়াতে, সূরা আর রাহমানের ৭২ নং আয়াতে এবং সূরা ওয়াকিয়ার ২২ নং আয়াতে। অধিকাংশ অনুবাদে বিশেস করে উর্দু ভাষায় ‘হুর’ কে সুন্দরী কুমারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যদি ‘হুর’ এর অর্থ সুন্দরী কুমারী হয়, তাহলে মহিলারা জান্নাতে কী পাবে? প্রকৃতপক্ষে, ‘হুর’ শব্দটি ‘আহওয়ার’ এবং ‘হাওয়ার’ এ দুটি শব্দের বহুবচন। ‘আহওয়ার’ পুরুষের জন্য প্রযোজ্য এবং ‘হাওয়ার’ মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য। আর ‘হুর’ শব্দটি বৈশিষ্ট্য বহন করে ‘হাওয়ার’- এর যা দ্বারা বুঝায় বড়, সাদা, সুন্দর চোখ এবং বিশেষত চোখের সাদা রং-কে বুঝায়। আল-কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় ‘আযওয়াযুম মুতাহ্হারিন বলে একই কথা বুঝানো হয়েছে। সূরা বাকারার ২৫নং আয়াতে ও সূরা নিসার ৫৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে “আযওয়াজুম মুতাহ্হারা”, অর্থ হল সঙ্গী, সাথী। মুহাম্মদ আসাদ হুরের অনুবাদ করেছেন ‘ঝঢ়ড়ঁংব’ বা বিপরীত লিঙ্গের সাথী আর আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী করেছেন ‘ঈড়সঢ়ধহরড়হ’ বা সঙ্গী হিসেবে। সুতরাং, প্রকৃতপক্ষে হুরের অর্থ হল, সঙ্গী বা সাথী। পুরুষরা পাবে বড় বড় সুন্দর চোখবিশিষ্ট নারী আর নারী পাবে বড় সুন্দর চোখবিশিষ্ট স্মার্ট পুরুষ। আশা করি বিষয়টি এখন স্পষ্ট হয়েছে।

সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০১০

স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন করেও দমন নির্যাতন নিপীড়নের শিকার ইখওয়ান


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ সরকার যুদ্ধ শেষে মিসরেক স্বাধীনতা দানের ওয়াদা করেন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই ইখওয়ান দল বৃটিশের মিসর ত্যাগের দাবীতে আন্দোলন শুরু কের। এর ফলে তাদের জনপ্রিয়তা অত্যন্ত বেড়ে যায়। মাত্র দু’বছর সময়ের মধ্যে এ দলের সক্রিয় কর্মী সংখ্যা পঁচিশ লক্ষে পৌছে। সাধারণ সদস্য, সমর্থক ও সহানুভুতিলীলদের সংখ্যা ছিল কর্মী সংখ্যার কয়েকগুণ বেশী। বৃটিশ ও স্বৈরাচারী মিসর সরকার ইখওয়ানের জনপ্রিয়তা দেখে ভীত হয়ে পড়েন এবং এ দলের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে ষড়ডন্ত্রে লিপ্ত হন।

ইংরেজী উনিশ শ’ বায়ান্ন সালের জুলাই মাসে মিসরে সামরিক বিপ্লব অনুষ্ঠিত হয়।

উনিশ শ’ চুয়ান্ন সালে কর্নেল নাসেরের সরকার ইখওয়ান পরিচালিত সাময়িকী-“ইখওয়ানুল মুসলিমুন” পত্রিকাটি বন্ধ করে দেন। কারণ, ঐ বছর মিসর সরকার বৃটিশের সাথে নতুন করে যে চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন, পত্রিকাটি তার সমালোচনা করে। পত্রিকা বন্ধ করে দেয়ার পর নাসের সরকার এ দলের উপর নির্যাতন শুরু করেন। একটি বানোয়াট হত্যা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযোগে ইখওয়ানুল মুসলিমুন দলকে বেআইন ঘোষণা করে দলের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ইখওয়ান নেতাদের মধ্যে সাইয়েদ কুতুবও ছিলেন। তাঁকে মিসরের বিভিন্ন জেলে রাখা হয়। গ্রেফতারের সময় তিনি ভীষণভাবে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। সামরিক অফিসার তাঁকে সে অবস্থায় গ্রেফতার করেন। তাঁর হাতে পায়ে শিকল পরানো হয়। শুধু তাই নয়, সাইয়েদ কুতুবকে প্রবল জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় জেল পর্যন্ত হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়। পথে কয়েকবার বেহুঁস হয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। হুঁশ ফিরে এলে তিনি বলতেনঃ ------------ (আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ)।

জেলে ঢুকার সাথে সাথেই জেল কর্মচারীগণ তাঁকে মারপিট করতে শুরু করে এবং দু’ঘন্টা পর্যন্ত এ নির্যাতন চলতে থাকে। তারপর একটি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুরকে তাঁর উপর লেলিয়ে দেয়া হয়। কুকুর তাঁর পা কামড়ে ধরে জেলের আঙ্গিনায় টেনে নিয়ে বেড়ায়। এ প্রাথমিক অভ্যর্থনা জানানোর পর একটানা সাত ঘন্টা ব্যাপী তাঁকে জেরা করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য এসব নির্যাতন সহ্য কর আর যোগ্য ছিল না। কিন্তু তিনি তাঁর সুদৃঢ় ঈমানের বলে পাষাণ থেকে উচ্চারিত হতে থাকেঃ-----------------(আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ ) জেলের অন্ধকার কুঠরী রাতে তালাবদ্ধ করা হতো। আর দিনের বেলা তাঁকে রীতিমত প্যারেড করনো হতো। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বক্ষপীড়া, হৃদপিণ্ডেরদুর্বলতা ও সর্বাঙ্গে জোড়ায় জোড়ায় ব্যাথা ইত্যাদি বিভিন্ন রোগে তিনি কাতর হয়ে পড়েন। তবু তাঁর গায়ে আগুনের ছেঁকা দেয়া হতে থাকে। পুলিশের কুকুর তাঁর শরীরে নখ এ দাঁতের আঁচড় কাটে। তাঁর মাথায় খুব গরম পানি এবং পরক্ষণেই বেশী ঠাণ্ডা পানি ঢালা হতে থাকে। লাথি, কিল, ঘুষি, অশ্লীন ভাষায় গালাগালি ইত্যাদি তো ছিল দৈনন্দিন ব্যাপার। উনিশ শ’ পঞ্চান্ন সালের তেরই জুলাই, গণআদালতের বিচারে তাঁকে পনর বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। অসুস্থতার দরূণ তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। তাঁর এক বছর কারাভোগের পর নাসের সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয় যে, তিনি সংবাদ পত্রের মাধ্যমে ক্ষমার আবেদন করলে তাঁকে মুক্তি দেয়া যেতে পারে। মর্দে মুমিন এ প্রস্তাবের যে জবাব দিয়েছিলেন, তা ইতিহাসের পাতায় অম্নান হয়ে থাকবে। তিনি বলেনঃ “আমি এ প্রস্তাব শুনে অত্যন্ত আশ্চর্যান্বিত হচ্ছি যে, মযলুমকে যালিমের নিকট ক্ষমার আবেদন জানাতে বলা হচ্ছে। আল্লাহর কসম! যদি ক্ষমা প্রার্থনার কয়েকটি শব্দ আমাকে ফাঁসি থেকেও রেহাই দিতে পারে, তবু আমি এরূপ শব্দ উচ্চারণ করতে রাযী নই। আমি আল্লাহ্‌র দরবারে এমন অবস্থায় হাযির হতে চাই যে, আমি তাঁর প্রতি এবং তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট।” পরবর্তীকালে তাঁকে যতবার ক্ষমা প্রার্থনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ততবারই তিনি একই কথা বলেছেন: “যদি আমাকে যথার্থই অপরাধের জন্য কারারুদ্ধ করা হয়ে থাকে, তাহলে আমি এতে সন্তুষ্ট আছি। আর যদি বাতিল শক্তি আমাকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে থাকে, তাহলে আমি কিছুতেই বাতিলের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবো না।”

উনিশ শ’ চৌষট্টি সালের মাঝামাঝি ইরাকের প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম আরিফ মিসর যান। তিনি সাইয়েদ কুতুবের মুক্তির সুপারিশ করায় কর্নেল নাসের তাঁকে মুক্তি দিয়ে তাঁরই বাসভবনে অন্তরীণাবদ্ধ করেন।

এক বছর যেতে না যেতেই (?)তাঁকে আবার বলপূর্বক ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। অথচ তিনি তখনও পুলিশের কড়া পাহারাধীন ছিলেন। শুধু তিনি নন, তাঁর ভাই মুহাম্মাদ কুতুব, বোন হামিদা কুতুব ও আমিনা কুতুবসহ বিশ হাযারেরও বেশী লোককে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। এদের মধ্যে প্রায় সাত শ’ ছিলেন মহিলা। উনিশ শ’পয়ষট্টি সালে কর্নেল নাসের মস্কো সফরে থাকাকালীন এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেন যে, ইখওয়ানুল মুসলিমুন তাঁকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল। আর এই ঘোষণার সাথে সাথেই সারা মিসরে ইখওয়ান নেতা ও কর্মীদের ব্যাপক ধরপকড় শুরু হয়। উনিশ শ’ চৌষট্টির ছাব্বিশে মার্চে জারীকৃত একটি নতুন আইনের বলে প্রেসিডেন্টকে যে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার,তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ প্রভৃতি দণ্ডবিধির অধিকার প্রদান করা হয়। তার জন্যে কোন আদালতে প্রেসিডেন্টের গৃহীত পদক্ষেপের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা যাবে না বলেও ঘোষণা করা হয়। কিছুকাল পর বিশেষ সামরিক আদালতে তাদের বিচার শুরু হয়। প্রথমত ঘোষনা করা হয় যে, টেলিভিশনে ঐ বিচারানুষ্টানের দৃশ্য প্রচার করা হবে। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ অপরাধ স্বীকার করতে অস্বীকার এবং তাদের প্রতি দৈহিক নির্যাতনের বিবরণ প্রকাশ করায় টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া হয়। তারপর রুদ্ধদার কক্ষে বিচার চলতে থাকে। আসামীদের পক্ষে কোন উকিল ছিল না। অন্য দেশ থেকে আইনজীবীগণ আসামী পক্ষ সমর্থনের আবেদন করেন। কিন্তু তা প্রত্যাখান করা হয়। ফরাসী বার এসোসিয়েনের ভূতপূর্ব সভাপতি উইলিয়াম থরপ (Thorp) ও মরোক্কোর দু’জন আইনজীবী আসামী পক্ষ সমর্থনের জন্য রীতিমত আবেদন করেন। কিন্তু তা না মঞ্জুর করা হয়। সুদানের দু’জন আইনজীবী কায়রো পৌছে তথাকার বার এসোসিয়েশনে নাম রেজিষ্ট্রী করে আদালতে হাযির হন। পুলিশ তাঁদের আদালত থেকে ধাক্কা মেরে বের করে দেয় এবং মিসর ত্যাগ করতে বাধ্য করে। সাইয়েদ কুতুব ও অন্যান্য আসামীগণ উনিশ শ’ ছেষট্টি সালের জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী মাসে বিচার চলাকালে ট্রাইবুনালের সামনে প্রকাশ করেন যে, অপরাধ স্বীকার করার জন্যে তাঁদের উপর অমানুষিক দৈহিক নির্যাতন চালানো হয়। ট্রাইবুনালের সভাপতি আসামীদের কোন কথার প্রতিই কান দেননি। ইংরেজী উনিশ শ’ ছেষট্টি সালের আগষ্ট মাসে সাইয়েদ কুতুব ও তাঁর দু’জন সাথীকে সামরিক ট্রাইবুনালের পক্ষ থেকে মৃত্যুদন্ডাদেশ শুনানো হয়। সারা দুনিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে। কিন্তু পঁচিশে আগষ্ট, উনিশ শ’ ছেষট্টি সালে ঐ দন্ডদেশ কার্যকর করা হয়।



 সোমবার, আগস্ট 30, 2010

বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০১০

সন্ত্রাসী শব্দের বিশ্লেষণ

দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা সব বিষয় এড়িয়ে যাই এবং বলি যে, না আমরা তো চরমপন্থী নই। আমরা তো মৌলবাদী নই। কিন্তু এই টেবিলটি আমাদের ঘুরিয়ে দিতে হবে। মুসলিমদের এখন বলা হয় সন্ত্রাসী। কিন্তু আমি বলি সব মুসলমানেরই সন্ত্রাসী হওয়া উচিত। কিন্তু আমি বলি সব মুসলমানেরই সন্ত্রাসী হওয়া উচিত। এখন সন্ত্রাসী শব্দের অর্থ কি? সন্ত্রাসী শব্দের অর্থ হলো যে লোক ত্রাস ছড়িয়ে দেয়। যখন একজন ডাকাত কোন পুলিশকে দেখে তখন সে ভয় পায়। সুতরাং পুলিশ তখন ডাকাতদের জন্য সন্ত্রাসী এবং একইভাবে যখন দেখবেন একজন ডাকাত বা ধর্ষণকারী বা সমাজের শত্র" কোন মুসলিমকে দেখবে সে ভয় পেয়ে যাবে। আমরা সমাজের শত্র"দের আতংকের মধ্যে রাখবো।আর পবিত্র কোরআনের এ উল্লেখ আছে যে, 'যারা সমাজের শত্র" তাদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার কর'।কিন্তু আমি জানি এখনকার দিনে সন্ত্রাসী কর্ম বলতে বুঝানো হয় এমন কাজ যেটি সাধারণ মানুষকে আতংকে রাখে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে কোন মুসলিমও নিরীহ মানুষের উপর সন্ত্রাস চালাবে না। একজন মুসলিম এখানে বাছাই করে সমাজের শত্র"দের সাথে এটি করতে পারেন। একানে বাছাই করে চোর, ডাকাত, ধর্ষক এর সাথে করতে পারে। যখন কোন সমাজ বিরোধী লোক কোন মুসলমানদের দেখে ভয় পাবে এবং তখনই আমরা এই পৃথিবীতে শান্তি পাব। প্রায়ই দেখা যায় একটি মানুষের একটি কাজকে দুটো আলাদা আলাদা লেবেল দেয়া হয়। ৬০-৭০ বছর আগে ইন্ডিয়ায় স্বাধীনতা পাওয়ার পূর্বে, আমার দেশ ইন্ডিয়া বৃটিশ শাসন করতো। অনেক ইন্ডিয়ানই তখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করতো। এই লোকগুলোকে বৃটিশ সরকার তখন বলতো সন্ত্রাসী। কিন্তু আমরা সাধারণ লোকের তাদের বলি মুক্তিযোদ্ধা, দেশ প্রেমিক।একই লোক একই কাজ কিন্তু দুটি আলাদা লেবেল। আপনারা যদি বৃটিশ সরকারের সাথে একমত হোন যে, ভারতকে শাসন করার অধিকার তাদের আছে, তাহলে আপনিও ঐ লোকগুলোকে বলবেন সন্ত্রাসী। কিন্তু যদি আপনি সাধারণ ভারতীয়দের সাথে একমত হন যে, বৃটিশরা ভারতে এসেছে ব্যবসা করার জন্য, আমাদের শাসন করার অধিকার তাদের নেই, তাহলে আপনি ঐ লোকগুলোকে বলবেন দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা। একই লোক কাজ কিন্তু লেবেল দুটি এবং এরকম উদাহরণ আপনারা পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক খুঁজে পাবেন। একজন দাইয়্যিই বুঝবেন এমন অনেক দৃষ্টান্ত থাকলে যে কোনটি কোথায় ব্যবহার করতে হবে, যেন লোকেরা বুঝতে পারে, কারণ পবিত্র কোরআনের (সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং- ৬৪) উল্লেখ করা হয়েছে যে,অর্থ: এসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক।ভারতীয়রা মুসলিমদের সন্ত্রাসী বলে অভিযোগ করলে আমি এই ব্যাখ্যাটি দেই, তখন তারা ভাল করে বুঝতে পারে। দুই মাস আগে ইংল্যান্ডে ছিলাম সেই বোম ব্লাস্টের পরে অর্থাৎ ৭ জুলাই-এর পরে। একটি কনফারেন্স আমি লেকচার দিয়েছিলাম। সেখানে টনি ব্লেয়ারের আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আসতে পারে নি। তবে পুলিশ প্রধান সেখানে ছিলেন, মেয়রও ছিলেন। সেখানেও আমি উদাহরণ দিয়েছি সেটি ছিল অন্যরকম। বলেছিলাম অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ হচ্ছিল, তখন বৃটিশরা আমেরিকা শাসন করতো। অনেক আমেরিকানই স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছিল। ১৭৭৬ সালে তারা স্বাধীনতা লাভ করে। আর তখনকার উচ্চপদস্থ নেতা ফ্রাংলিন, জর্জ ওয়াশিংটনকে বৃটিশ সরকার ১ নম্বর সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করতো। যে লোক ছিল ১ নম্বর সন্ত্রাসী অর্থাৎ জর্জ ওয়াশিংটন পরবর্তীতে তিনিই হলেন ইউএস-এর প্রেসিডেন্ট।একটু চিন্তা করে দেখেন ১নং সন্ত্রাসী হলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আর তিনি হলেন আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট যাকে সবাই শ্রদ্ধা করে, এমনকি জর্জ বুশও। এই হচ্ছে মিডিয়া। ১নং সন্ত্রাসী পরবর্তীতে হয়ে গেলেন আমেরিকার মতো উন্নত রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি। আমেরিকা হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে উন্নত রাষ্ট্র। আর সে দেশেন প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন একন সন্ত্রাসী। এছাড়াও বলতে পারেন নেলসন ম্যান্ডেলার কথা, বর্তমান দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্বে, সেখানকার ক্ষমতায় ছিল শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী সরকার। এই শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী সরকার নেলসন ম্যান্ডেলাকে ২৫ বছর ধরে আটকে রেখেছিল রোবেন সাইলেন্ডে। তখন তাকে বলা হতো ১ নম্বর সন্ত্রাসী।পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন বর্ণবাদী সরকার থেকে মুক্ত হলো তখন দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা। এরপর নেলসন ম্যান্ডেলা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন। আর তিনি নতুন কোন কাজের জন্য শান্তি পুরস্কার পান নি। এমন নয় যে, তিনি পূর্বে সন্ত্রাসী ছিলেন পরে ভাল হয়ে গেছেন। একজন খারাপ লোক ভাল হয়ে গেল এরকম না। সেই একই কাজ যার জন্য তাকে সন্ত্রাসী বলা হয়েছে, কয়েক বছর পরে তার জন্যই তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন। এটি খুবই অদ্ভুদ। একই কাজ যার কারণে তিনি ২৫ বছর জেলখানায় ছিলেন, যার জন্য তাকে সন্ত্রাসী বলা হলো, সেই কাজের জন্যই তিনি আরবি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন।আর ঠিক এইভাবেই মিডিয়া দিনকে রাত বানিয়ে বদলে দেয়, কালোকে সাদা বানায়, হিরোকে ভিলেন বানায় আর ভিলেনকে হিরো। এক কথায় যার কাছে ক্ষমতা থাকে সে তখন যা বলে সেই কথাটিই সত্যি হয়ে যায়। আমরা জানি যে হিটলার যখনই ইউরোপ আক্রমণ করে অনেক দেশ তখন বাধা দিয়েছিল, এমনকি ফ্রান্সও বাধা দিয়েছিল। সেই ফরাসি লোকদের তখন জার্মান বলতো সন্ত্রাসী। আর এভাবেই মিডিয়া খবর তুলে ধরে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা মুসলিমরা অনেক পেছনে পড়ে আছি। আমাদের জানতে হবে কিভাবে টেবিলটি উল্টে দেয়া যায়।



 বুধবার, আগস্ট 18, 2010

রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১০

মিডিয়ায় ইসলামের অপবাদ-ডা: জাকির নায়েক

আজকের দিনে আমরা জানি যে আন্তর্জাতিক মিডিয়া, হোক সিটি প্রিন্ট মিডিয়া, অডিও মিয়িা বা কম্পিউটার বা ইনফরমেশন টেকনোলজি। সিটি আন্তর্জাতিক খবরের কাগজ, আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনঃ রেডিও ব্রডকাস্টিং ষ্টেশন, ওয়েবসাইট অথবা টিভি স্যাটেলাইট চ্যানেল। আমরা দেখছি যে এগুলোতে ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যার বোমা ফাটাচ্ছে। এছাড়াও দেখি আন্তর্জাতিক মিডিয়া ইসলাম সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা পোষণ করে। আমরা দেখি যে আন্তর্জাতিক নিউজ চ্যানেল, তারা এমনটি বলছে যে যুদ্ধ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। কিংবা কিছু আন্তর্জাতিক নিউজ চ্যানেল আছে তারা বলছে শান্তির জন্য যুদ্ধ। তারা এখানে যেটি করছে তা শান্তির জন্য যুদ্ধ নয় শান্তির সাথে যুদ্ধ। অন্য কথায় শান্তির ধর্মের সাথে যুদ্ধ। অর্থাৎ ইসলামের সাথে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মিডিয়া সামগ্রিকভাবে আমরা দেখি যে, তারা ইসলামকে এমনভাবে তুলে ধরেছে যেন এটি একটি সন্ত্রাসের ধর্ম। এটি এমন ধর্ম যেটি এই পৃথিবীতে শান্তি চায় না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মুসলিমরা, আমরা কেউ তাদের মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদ করছি না। এই আন্তর্জাতিক মিডিয়া বিভিন্ন কলাকৌশলের মাধ্যমে ইসলামকে সম্পূর্ণ ভুলভাবে তুলে ধরছে।মিডিয়া ইসলামকে যেভাবে অপবাদ দেয় তার প্রথম কৌশলটি হলো, প্রায়ই দেখা যায় তারা যেটি করে মুসলিমদের মধ্য থেকে কিছু ভাড়াটিয়া কুলাঙ্গারকে তুলে ধরে। আর প্রচার করে যে এটাই হলো মুসলমানদের দৃষ্টান্ত। তারা এভাবে বলে যে ইসলাম হচ্ছে এমন একটি ধর্ম তারা অন্যায়কে উৎসাহ দেয়। আমরাও মানি যে আমাদের মধ্যেও কুলাঙ্গার আছে। কিন্তু কিছু মুসলিম আছে যারা অন্যায় কাজ করে। মিডিয়া এই সব মুসলিমদের তুলে ধরে এবং প্রচার করে যে এরাই হলো ইসলামের দৃষ্টান্ত। প্রচার করে যে ইসলাম এমন একটি ধর্ম যারা এ সব অন্যায় কাজ করাকে উৎসাহ দেয় এবং এই কাজগুলো মানবতার বিরুদ্ধে। আমরা সবাই একথা জানি আন্তর্জাতিক মিডিয়া বলে যে ইসলামি মাদরাসাগুলো নিষিদ্ধ করে দেয়া উচিত। কারণ তারা মানুষকে বদলে ফেলে তৈরি করে একজন সন্ত্রাসীকে। তারা এই পৃথিবীর শান্তিকে নষ্ট করে দেয়।আল-হামদুলিল্লাহ আমি এরকম হাজারও লোককে চিনি যে লোকগুলো পাস করেছে ইসলামিক মাদরাসা থেকে। আমি এমন একজনকেও দেখিনি যে লোকটি পৃথিবীর শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করে। তার মানে এই না, যারা মাদরাসা থেকে পাস করে বের হয় তারা অন্যায় কাজ করে না। কিছু লোক থাকতে পারে এরা সব মিলিয়ে ১% এর বেশি হবে না। কিন্তু মিডিয়া প্রচার করে যে কুলাঙ্গারই হলো মুসলিমদের দৃষ্টান্ত এবং যে লোকটি কোন ইসলামিক মাদরাসা থেকে পাস করেছে সে এই পৃথিবীর শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটাতে চায়। ইতিহাস আমাদের এই কথা বলে।পৃথিবীর যে লোকটি মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে হত্যা করেছে সে লোকটি কে? কে সেই লোক? তিনি হলেন 'হিটলার'। এইজন্য অবশ্য তিনি কোন পুরস্কার পাবেন না। এটা সবাই জানে। আমি প্রশ্ন করি হিটলার কোন মাদরাসা থেকে পাস করেছিলেন? হিটলার কোন মাদরাসার ডিগ্রি নিয়েছিলেন। তাছাড়াও ইতিহাস দেখেন, আর এক ঘৃণিত ব্যক্তি মুসোলিনি। মুসোলিনি কোন মাদরাসা থেকে পাস করে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে?আমরা আরো জানি যে 'মাফিয়া' কুখ্যাত ড্রাগ পাচারকারী তারা কোন মাদরাসার ডিগ্রিধারী। একটি লিস্ট করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধীদের লিস্ট। মিডিয়া যেভাবে বলে তেমন না। সত্যিই যদি কোন প্রমাণ থাকে আপনার কাছে যে, সে লোক অপরাধী। মিডিয়া কাকে সন্ত্রাসী নাম্বার এক বলে আমি তেমন বলছি না কোন প্রমাণ ছাড়া। যে লোকগুলো আসলেই অপরাধী, যেখানে অপরাধের প্রমাণ আছে যে তারা পৃথিবীর শান্তি নষ্ট করেছে। তাদের পরিচয় জানার জন্য চেষ্টা করেন। তাদের মধ্যে আপনি ১% লোকও পাবেন না, যারা মাদরাসায় লেখাপড়া করেছে। তারা লেখাপড়া করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমিও সেখান থেকে পাস করেছি। হোক সেটি দুর্ভাগ্য বা সৌভাগ্য, আমিও তেমনি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছি। মুম্বাই থেকে পাস করেছি, স্কুল পাস করার পর মেডিকেল কলেজে পড়েছি। যেভাবে একজন ডাক্তার পাস করে।এভাবে মিডিয়ার মধ্যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কিছু ভাড়াটিয়া কুলাঙ্গার তুলে ধরে বলে যে এরাই মুসলিমদের দৃষ্টান্ত। যদি কেউ ইসলাম ধর্মকে বিচার করতে চায় তাহলে মুসলিমরা বা মুসলিম সমাজ কি করে সেটি বিচার করলে হবে না। আপনারা যদি ইসলাম ধর্মকে বিচার করতে চান আপনাদের ইসলামকে বিচার করতে হবে ইসলামের মূল ধর্ম গ্রন্থগুলো দিয়ে। ইসলাম ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থগুলো হলো পবিত্র কোরআন এবং সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (সা:) এর সহীহ হাদীস। আমি চ্যালেঞ্জ করছি মানুষের মধ্য থেকে যেকোন লোক যিনি একটি নীতি খুঁজে বের করেন পবিত্র কোরআন থেকে অথবা সহীহ হাদীস থেকে, যা স্বাভাবিকভাবে মানবজাতির কোন ক্ষতি করতে পারে।মনে করেন আপনি একটি গাড়ি পরীক্ষা করে দেখবেন গাড়িটি কতখানি ভাল এবং বাজারের সবচেয়ে নতুন গাড়িটি। হতে পারে মার্সিডিজ, সিক্সহানড্রেড, এসিএল, মার্কেটে নতুন আসেছে। এখন একজন লোক যে গাড়ি চালাতে জানে না স্টিয়ারিং হুইলের পিচনে বসলো। তারপর গাড়ি নিয়ে দুর্ঘটনা ঘটালো। আপনি কাকে দোষ দিবেন। গাড়িকে না ড্রাইভারকে? দোষ নিশ্চয় গাড়িকে দিবেন না। যদি কেউ গাড়ি চালাতে না জানে আর সেটিকে নিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায় আপনারা গাড়িকে দোষ দিবেন না। যদি পরীক্ষা করে দেখতে চান গাড়িটি কতখানি ভাল, এর পিকআপ কতো, নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো কেমন, গাড়িটির স্পিড কত, গিয়ারের অবস্থা কি? তারপর বলতে পারেন গাড়িটি কতখানি ভাল। আর যদি গাড়িটি পরীক্ষা করে নিতে চান চালু করে, তাহলে স্টিয়ারিং হুইলের পেছনে বসান একজন দক্ষ চালককে।একইভাবে যদি কোন মুসলিমকে দিয়ে পরীক্ষা করতে চান যে ইসলাম কতখানি ভাল, এ বিষয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্ত আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা:)। আমার দিকে তাকিয়ে আপনারা ইসলাম ধর্ম বিচার করবেন না। অন্য কোন মুসলিম কিংবা মুসলিম সমাজের কাজগুলো দেখবেন না। আপনারা দেখবেন একজন দক্ষ চালককে অর্থাৎ যিনি ইসলাম সম্পর্কে ভালো জানেন এবং ভালভাবেই মানেন। আর যিনি সম্পূর্ণ ছিলেন তিনি হলেন মুহাম্মদ (সা:)। ইসলামের অপবাদ দিতে মিডিয়া আরো যে কৌশলগুলো অবলম্বন করে সেটি হলো তারা স্থান, কাল, পাত্রভেদে প্রসঙ্গ ছাড়াই পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের উদ্ধৃতি দেয়। আর পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত যেটি সমালোচকদের কাছে খুব বেশি পছন্দ সেটি পবিত্র কোরআনের সূরা, সূরা তাওবার ৫নং আয়াত বলা হয়েছে-অর্থ: যখন তোমরা কোন কাফিরদের দেখবে তাদের মেরে ফেলবে।আর যদি কোরআন খুলেন এই আয়াতটি দেভবেন এবং অনুবাদটিও দেখবেন। 'যখনি তোমরা কাফিরদের দেখবে তাদেরকে মেরে ফেলবে'। তবে এটি প্রসঙ্গ ছাড়া উদ্ধৃতি। তারা কোরআনের আয়াতের উদ্ধৃতি দেয় কোন প্রসঙ্গ ছাড়া। হাদীসের উদ্ধৃতিও তারা দেয় প্রসঙ্গ ছাড়া। এর প্রসঙ্গটা এর প্রথমদিকের আয়াতে আছে, বলা হয়েছে যে, একটি শান্তি চুক্তি হয়েছিল সেখানকার মুসলিম আর মক্কার মুশরিকদের মধ্যে এবং মক্কার মুশকিরাই সেই শান্তি চুক্তির শর্তগুলো ভেঙ্গেছিল। আর তখনি আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা তাওবার ৫নং আয়াত নায়িল করলেন, তিনি এখানে মুশরিকদের উদ্দেশ্য চূড়ান্ত প্রস্তাবটি দিয়েছেন, 'তোমরা আগামী ৪ মাসের মধ্যে সব ভুল শুধরে ফেল, না হলে তোমাদের যুদ্ধ করতে হবে' আর সেই যুদ্ধে আল্লহ বলেছেন মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে, 'তোমরা ভয় পেও না, যুদ্ধ কর। যেখানেই তোমাদের শত্র"দের দেখবে মেরে ফেল।'যেকোন আর্মি জেনারেল তার সৈন্যদের মনোবল বাড়াতে স্বাভাবিকভাবেই একথা বলবেন- যদি শত্র"দের দেখ মেরে ফেল। একথা বলবেন না যে, যেখানে তোমরা শত্র"দের দেখবে সেখানে তোমরা মরে যাও। তাই এখানে যুদ্ধ ক্ষেত্রে কথা বলা হচ্ছে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন- 'শত্র"রা যখন তোমাদের আক্রমণ করতে আসবে তোমরা ভয় পেওনা, যুদ্ধ করো এবং তাদের দেখলেই মেরে ফেল'। চিন্তা করুন যদি এখানো আমেরিকা আর ভিয়েতনামের যুদ্ধতি চলতে থাকতো এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলতেন যুদ্ধক্ষেত্রে অথবা কোন আর্মি জেনারেল সৈন্যদের মনোবল বাড়াতে যে, তোমরা যেখানেই ভিয়েতনামীদের দেখবে মেরে ফেলবে। এটা হলো প্রসঙ্গ। কিন্তু যদি আমরা প্রসঙ্গ ছাড়া বলি যে আজকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেছে যে, যেখানেই তোমরা ভিয়েতনামীদের দেখবে তাদের মেরে ফেলবে। তাহলে লোকজন বলতো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট একটা কসাই। এটা প্রসঙ্গ ছাড়া উদ্ধৃতি।সকল সমালোচককেই দেখেছি হয়তো এখানেই শেষ করে, না হয় একটি আয়াত বাদ দিয়ে দেয়। আর অরুনশুরি ইসলামের একজন বিখ্যাত সমালোচক। ভারতে অর্থাৎ এই উপমহাদেশে তিনি তার বইতে লিখেছেন 'দি ওয়ার্ল্ড অব ফতোয়াদ' তিনি সূরা তওবার ৫নং আয়াতের পর লাফ দিয়ে চলে গেছেন ৭ নং আয়াতে। কারণ এই ৬নং আয়াতেই তার এ অভিযোগের উত্তর দেয়া আছে। সূরা তাওবার ৬নং আয়াতে বলছে, কাফিরদেরকেও অর্থাৎ শত্র"দের কেউ আশ্রয় প্রার্থনা করলে শুধু সাহায্য করলে হবে না; বলা হয়েছে তাদের নিরাপদ কোন স্থানে পৌঁছে দেবে, যেন সে আল্লাহর বাণী শুনতে পায়'।একজন সবচেয়ে দয়াবান, সবচেয়ে দয়াবান আর্মি জেনারেল হয়তো এমনটি বলবেন যে, শত্র" যদি চলে যেতে চায়, তাহলে তাকে বলে যেতে বল। কিন্তু কোরআন এমনটি বলছে না। কোরআন বলছে শত্র"রা যদি শান্তি চায় তাহলে তাদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দাও এবং কোরআনের প্রায় সব আয়াতেই যেখানে বলা হয়েছে যুদ্ধের কথা যুদ্ধ ক্ষেত্রের কথা, অত্যাচারের বিরুদ্ধে, অবিচারের বিরুদ্ধে। তারপরের আয়াতে বলা হয়েছে যে, শান্তিই সবচেয়ে ভাল ভাল সব জায়গায়, কারণ ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। ইসলামের অপবাদ দেয়ার জন্য তারা ৩য় কৌশলটি গ্রহণ করে, তা হলো তারা যে সমস্ত উদ্ধৃতি তার ভুল ব্যাখ্যা করে হোক সেটি পবিত্র কোরআন থেকে কিংবা মহানবী (সা:) এর হাদীস থেকে। আর ৪র্থ কৌশলটি হলো এমন অপবাদ যেটি ইসলামে নেই অর্থাৎ ইসলামে এর কোন উল্লেখও নেই, সেটিকে ইসলামের সাথে জড়ায়। মিডিয়ার ৫ম কৌশলটি হচ্ছে তারা ইসলামের আলোকে ঠিক ব্যাখ্যাই দেয়, তবে সেটিকে আলাদা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। তারা ভাবে যে মানবজাতির জন্য এটি একটি সম্যা। তারা বলতে চায় যে ইসলাম মানবজাতির জন্য একটি সমস্যা। ইসলাম আসলে কোন সমস্যা নয় ইসলাম হলো মানবজাতির সমস্যার সমাধান। ইসলাম মানবজাতির জন্য কোন সমস্যা নয়।এভাবেই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন কবে মিডিয়া ইসলামের বদনাম করে। আর এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় দেখি যে মুসলিমদের বলছে মৌলবাদী, চরমপন্থী আর সন্ত্রাসী এবং বেশির ভাগ মুসলিমই অপরাধে ভোগে এবং বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা বলে যে আসলে কিছু মুসলিম এসব কাজ করে থাকে কিন্তু আমি মৌলবাদী না, আমি চরমপন্থী না, বেশির ভাগ মুসলমানই অপরাধবোধে ভোগে। কিন্তু এখানে আমরাও উত্তর দিতে পারি। মুসলিমরা তারা হবে দাইয়্যি। ইসলামের বাণী অন্যের কাছে পৌঁছে দেয়া প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে (সূরা আলে ইমরানের আয়াত নং ১১০) এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, 'তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির জন্যই তোমাদের পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছে, কারণ তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দেও, অসৎকাজের নিষেধ করো এবং আল্লাহকে বিশ্বাস করো'।আমাদের বলা হয়েছে শ্রেষ্ঠ উম্মত। কারণ আমরা সৎকাজের নির্দেশ দেই, অসৎ কাজের নিষেধ করি এবং আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আমরা যদি সৎকাজের নির্দেশ না দেই, অসৎ কাজের নিষেধ না করি তখন আমাদের মুসলিম বলা যাবে না। বলা যাবে না শ্রেষ্ঠ উম্মত। মুসলিম হিসেবে আমাদের গর্ব করা উচিত। এখন আমাদের টেবিলটা উল্টে দিতে হবে। আমার মনে আছে, যখন মার্শাল আর্ট শিখতাম তরুণ বয়সে, এখনো তরুণই আছি 'মাশ্আল্লাহ'। তখন আমি স্কুলে পড়তাম। আমরা শিখতাম মার্শাল আর্ট, হোক সেটি জুডু বা জুজুৎস, সেখানে প্রতিপক্ষের শক্তি দিয়েই তাকে ঘায়েল করা হতো। বাধা দিয়ে নয়। কেউ আমাকে ধাক্কা দিচ্ছে, সে যদি আকারে বড় হয়। কিন্তু আমাকে তো আপনারা দেখছেন সাইজে আমি হালকা পাতলা। তারপরও আমি সামনে কোন রাখি না। এটাও মিডিয়ার কৌশল। তারা শরীরটাকে ঢেকে রাখে কিন্তু আমি চাই আমরা বডি লেঙ্গুয়েজ সবই দেখেন। তাহলে বড়সড় কোন লোক যদি আমাকে ধাক্কা দেয়, তাকে বাধা না দিয়ে ঐ ধাক্কাকেই কাজে লাগিয়ে তাকে ফেলে দিতে হবে। যত বড় আকার তত সহজে ফেলা যাবে।


 রবিবার, আগস্ট 15, 2010

শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০১০

একটি Shigella র আত্মকাহিনী

Ami shigella.Amake apnara shobai na chinleo medical college er 2nd prof examinee ra shobai valo korei amake chene.Ar na chine jabe koi?Exam pass korar jonno ami ottabosshokio.Amake niye bohu bochhor dhore bohu scientist,doctor,student bohu research korechhen.Ami prithibir manusher jonno 1 moha atongko.Protidin lakh lakh lok amar nam nay oshroddha vore.Koti koti manushke ami sheba(?) diye dhonno korechhi.Emonki kono raja badsha bikkhato kobi shahittik neta kauke chhari nai.O,amar pesha ki tato bola hoy nai.Ami ja kori shetake manush nam diyechhe 'Diarrhoea/Dysentry'.Bacteria jagote eta ottonto shommanjonok pesha.Er maddhome bechara manush ra ato oshohay ar durbol hoye jay,waw mojai alada.Amar nam lekha hoyechhe onek mota mota boi a.Ei jemon dhorun 'Lange Microbiology, page142'.Obossho beshirvag student ja pore ta holo Shakhawat page 3.121,Endevour page 226 etc.Ekhon ami amar jibon brittanto likhte chai.Ami bacteria.

Amar kichhu 'PROPERTIES'-

1.Gram negative rods
2.Non lactose fermenter
3.We form colorless colonies on Mac Conkey's agar media.
4.Non motile
5.Fimbriae present
6.Aerobes or facultative anaerobes
7.Non spore forming and non capsulated
8.True intestinal.

Ami ja kori takey bola hoy Bacillary dysentry.Eita holo 'frequent painful passage of stools containing blood and mucous.'Vuktovogi matroi er moja ter peyecen.Apni na peye thakle amake janaben.Babostha korbo.

Amar main ostro jake apnara
'VIRULENCE FACTOR' bolen,shegulo holo-

1.Invasiveness
2.Exotoxin-shigella toxin,A & B chain
3.Endotoxin

Amra 4 vai.Apnader vashay 'SPECIES'.Eder namgulo holo-

1.Shigella dysenteriae
2.Shigella flexneri
3.Shigella boydii
4.Shigella sonnei.

Ebar ami apnader bolbo ami kivabe dysentry kori.Apnader vashay
PATHOGENESIS.

Route of entry-Faeco-oral
Infective dose-10-100 organisms to produce disease.

Process-
Terminal ileum>bacteria attach to surface epithelium>enters inside the cells>Spread into adjacent cells>upto lamina propria>replicate and colonize>acute inflammation>micro abscess formation>necrosis of surface epithelium>sloughing out of epithelium>ulcer formation and bleeding from mucosa>endotoxin irritates the bowel causing diarrhoea>organisms remaining localized & usually do not cause bacteremia.

Bachar jonno manushke khete hoy.Oneke acen tara shudhu khaoar jonnoi bachen.Je poriman khan,amaroi voy lage.Abar khushio hoi.Karon etai amar jatayater upojukto poth.Shujog bujhe ami dhuke jai thik peter vetor.Erpor kaj shuru.Oneke bolen 'moddhoprachche juddho shuru hoichhe'.Erpor tibro bege toilet er dike chhute giye comod a missile nikkhep.Ar amar nirapode prosthan.

Majhe majhe bipodeo porte hoy.Amar dhokar khobor peye jan keu keu.Eijonno ja kora hoy takey manushera bole
'DIAGNOSIS'.
Sheta kore evabe-

1.Specimen Collection:-
-Freshly passed stool
-Rectal swab
-Mucous
2.Stool examination:
*Naked eye examination-
Fresh stool
Mucous
Alkaline smell
Pus
*Chemical:
Alkaline in nature
*Microscopic:
Pus cells 90% polymorphs
Epithelial cells more
RBC numerous
Macrophages more
3.Culture:
a)Mac Conkey's agar media-Pale colony,incubated at 37^C for overnight.
b)DCA media
4.Serological test:
Confirmatory test done by slide agllutination test with specific antisera.
5.Detection of endotoxin:
Litmus test.
Eita naki CMCr Microbiology departmental head Anwar sir er diagnosis.Oneke mukhostho kore.Shune shune amaro jana hoye gece.

Tarpor amake marar jonno ki shob khay.Shuneci sheguloke naki bole antibiotic.Eder kichhu nam o jante pereci.
Shegulo holo-
1.Ciprofloxacin
2.Ampicillin
3.Cephalosporin
4.Cotrimoxazole.
Ei bishoytake boka manushera nam diyece 'TREATMENT'.
Ha ha ha.Prothomdike khub jhamelay pore gecilam.Ekhon obossho motamuti resistance develope korte pereci.

Ami manusher kachhakachhi thakte pochhondo kori.Oneker sheba (!) korechhi.Hoyto apnaro.Recently ami CMC 49 batch er Jony ebong Kibria ke sheba diyeci.Tara amar shebay nijeder dhonno mone korchhen bole jante perechhi.Tobe onekei achhen amar niyomito shebagrahi.Tader nam prokash kora thik hobe na tai bolci na.Apnara khuje niben.Tobe Muhsin Abdullah namey 1jon mohabir acen.Onek chesta koreo tar kono sheba korte parini bole apnader kachhe khoma prarthona korchhi...
Aj ekhanei biday.Dekha hobe exam er dine.Dhonnobad shobaike.



 শুক্রবার, আগস্ট 6, 2010

মঙ্গলবার, ৩ আগস্ট, ২০১০

মৌলবাদ কী এবং মৌলবাদী কে ?-ডা: জাকির নায়েক

মিডিয়া এখন মুসলিমদেরকে বলে মৌলবাদী। এই মৌলবাদী শব্দটির অর্থ কী ? মৌলবাদী শব্দের অর্থ হলো যেকোন নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর মূলনীতিগুলো মেনে চলা। যেমন ধরুন, যদি কোন লোক সে হতে চায় একজন বিজ্ঞানী, তাহলে তাকে বিজ্ঞানের মূলনীতিগুলো মেনে চলতে হবে। যদি সেই লোক বিজ্ঞানের বিষয়ে মৌলবাদী না হয়, সে তাহলে ভাল বিজ্ঞানী হতে পারবে না। যদি একজন লোক গণিতজ্ঞ হতে চান, তাহলে তাকে গণিতের মূলনীতিগুলো অনুসরণ করতে হবে। যদি সে লোক গণিতের সব মূলনীতি মেনে না চলে তাহলে সে ভালো গনিতবিদ হতে পারবে না । আপনি সব মৌলবাদীকেই এক কাঠিতে মাপতে পারবেন না যে তারা সবাই ভাল বা সবাই খারাপ।

মৌলবাদীরা যে যে ক্ষেত্রে মৌলবাদী, সেটা দেখে তারপর আপনার বিচার করতে হবে। যেমন ধরুন, একজন মৌলবাদী ডাকাত তার কাজ ডাকাতি করা। সে সমাজের জন্য ক্ষতিকর এবং অন্যদিকে একজন লোক মৌলবাদী ডাক্তার যে লোক হাজারও মানুষের জীবন বাঁচায়। সে সমাজের জন্য উপকারী, সব মৌলবাদীকেই এক মাপকাঠিতে মাপতে পারবেন না। আপনাকে দেখতে হবে যে, কোন ক্ষেত্রে মৌলবাদী। তারপর বলবেন সে ভাল না খারাপ। আমি আমার নিজের কথা বলতে পারি। আমি একজন মুসলিম এবং আমি একজন মৌলবাদী মুসলিম হিসেবে গর্বিত। কারণ আমি সব সময় ইসলামের মূলনীতিগুলো মেনে চলার চেষ্টা করি। আর আমি জানি যে, ইসলাম ধর্মে এমন কোন মূলনীতি নেই যা সামগ্রিকভাবে মানবতার বিরুদ্ধে যায়। ইসলাম ধর্মের বিছু মূলনীতি আছে, সেগুলোকে অমুসলিমরা মনে করে মানবতার বিরুদ্ধে। কিন্তু আপনি যদি সেই নীতিগুলোকে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে বলেন, আর বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলেন, এমন একজনও নিরপেক্ষ লোকও পাবেন না, যে লোক ইসলাম ধর্মের একটিমাত্র মূলনীতি খুঁজে বের করবে, যেটি সামগ্রিকভাবে মানবতার বিরুদ্ধে যায়। এজন্য আমি একজন মৌলবাদী মুসলিম হিসেবে গর্বিত।

ওয়েবস্টার ডিকশনারী পড়লে সেখানে দেখতে পাবেন এই মৌলবাদী শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল এজন প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টানদের বুঝাতে। আমেরিকাতে সেটি ছিল বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে। এর আগে খ্রিস্টান চার্চ বিশ্বাস করতো শুধু বাইবেলের কথাগুলো ঈশ্বর প্রদত্ত। এই প্রোটেস্ট্যান্টরা বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে আমেরিকাতে প্রতিবাদ করেছিল এই বাইবেলের আদেশগুলোই শুধু নয় বাইবেলে প্রত্যেকটি শব্দ এবং প্রত্যেকটি অক্ষরই এসেছে ঈশ্বরের কাছ থেকে। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে যে বাইবেলের কথাগুলো ঈশ্বরের প্রদত্ত এই আন্দোলনটি ভাল আন্দোলন এবং অন্যদিকে বলা হয়েছে যে মৌলবাদী হলো একজন ব্যক্তি , যে ধর্মের প্রাচীন নিয়মগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করে, বিশেষভাবে ইসলামে এই কথাটি এখন জুড়ে দেয়া হয়েছে। যখনি আপনি মৌলবাদী কথাটি শুনবেন। আপনি কোন মুসলিমের কথা ভাববেন। সে চরমপন্থী, সে সন্ত্রাসী, মিডিয়া বলে বেড়ায় যে মুসলিমরা চরমপন্থী।

আমি তা স্বীকার করবো যে আমি চরমপন্থী, চরমভাবে দয়ালু, চরমভাবে ক্ষমাশীল, চরমভাবে সৎ, চরমভাবে ন্যায়বান। তবে কোন সমস্যা নেই আমি হই চরম দয়ালু, চরম ন্যায়বান, চরম সৎ। অসুবিধা কোথায় ? আপনারা কেউ কি বলতে পারবেন যে, চরমভাবে সৎ হওয়াটা খারাপ? এমনভাবে কেউ কি আমাকে বলতে পারবে যে চরমভাবে ন্যায়বান হওয়া খারাপ দিক? কোরআন বলছে তোমরা চরম ন্যায়বান হও। আমরাতো আংশিকভাবে সৎ হবো না। যে লোক আমার বন্ধু তার কাছে সৎ থাকবো, আর যে আমার শত্রু তার কাছে সৎ থাকবো না।

পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারার ২৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, ইসলামে প্রবেশ করো সর্বাত্মকভাবে। তাহলে চরমপন্থী হতে অসুবিধা কোথায় ? কিন্তু আমাদের চরমপন্থী হতে হবে সঠিক নিয়মে। আমরা অন্যায় বা ভুল পথে চরমপন্থী হবো না। আমরা দয়া মায়াহীন হবো না। আমরা নিষ্ঠুর হবো না। আমরা চরমপন্থী হবো সঠিক উপায়ে এবং পবিত্র কোরআনও আমাদের সে কথাই বলছে।



মঙ্গলবার, আগস্ট 3, 2010

রবিবার, ১ আগস্ট, ২০১০

প্রফ এসেছে প্রফ


Shukher din shesh holo vai
Abar elo prof,
Buker vetor bajce je dram
Dhop dhopa dhop dhop !

Aatel kingba porua jara
Ahlade atkhana,
Moddhikhane purlo shudhu
Amar lolatkhana !

Pathology dekhlei amar
'Inflammation' hoy shuru,
Color dolor rubor tumor
'Fail' to shunischit guru !

'Micro' ta khulte gelei
Mone lage voy,
Virus a ar bacteriay
Korbe jibon khoy !

'Metronidazol' chhara ar
Janina to drug er nam,
Daktarita pash kora hay
Bodh hoy na amar kam !

Shikhte giye 'health' er shonga
Hoye porci shongahin,
'Com. Med' ta royei jabe
PC sir er kace rrin !

Forensic ta deyar jonno
Thakbona hoyto bachi,
Ei body ta diyei tomra
Korte parbe autopsy !



রবিবার, আগস্ট 1, 2010

বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০১০

কেন ইসলাম ধর্মে কোন নারী নবী আসেনি?-ডা: জাকির নায়েক

কেন ইসলাম ধর্মে কোন নারী নবী আসেনি?উত্তরঃ আমার বোন প্রশ্ন করেছেন, কেন ইসলামে নারী নবী আসেনি? যদি নবী বলতে আপনি বোঝেন যে, এমন এক ব্যক্তি যিনি আল্লাহর পক্ষ হতে বাণী গ্রহণ করেন এবং যিনি মানব জাতির নেতা হিসেবে কাজ করেন। সেই অর্থে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, ইসলামে আমরা কোন নারী নবী পাইনি এবং আমি মনে করি এটি সঠিক। কারণ যদি নারীকে নবী হতে হয় তবে সে সম্পর্কে কুরআনে স্পষ্ট করে বলা আছে পুরুষ হলো পরিবার প্রধান। সুতরাং যদি পুরুষ পরিবারের প্রধান হয়ে থাকে তবে কিভাবে নারী সমগ্র মানুষের নেতৃত্ব দিবে? এবার দ্বিতীয় অংশে আসি- একজন নবীকে সমাজের জামায়াতে নেতৃত্ব দিতে হয়। আমি পূর্বেই বলেছি নামাজে বেশ কিছু শারীরিক কসরত রয়েছে যেমন- কিয়াম, রুকু, সেজদা ইত্যাদি। যদি একজন নারী নবী নামাজে নেতৃত্ব দিত তবে জামায়াতের পিছনে যে সকল পুরুষ নামাজ পড়ে- তারা এবং ইমাম উভয়ের পক্ষে এটি বেশ বিব্রতকর হত।
এখানে আরো কিছু ব্যাপার রয়েছে। যেমন একজন নবীকে সকল সাধারণ মানুষের সাথে সর্বদা দেখা সাক্ষাৎ করতে হয়, এটা একজন মহিলা নবীর পক্ষে অসম্ভব। কারণ ইসলাম নারী-পুরুষ পরস্পরের মেলামেশার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে।
যদি মহিলা নবী হতো এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সে যদি গর্ভবতী হতো, তবে তার পক্ষে কয়েক মাস নবুওয়াতের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হতো না। যদি তার সন্তান হয় তবে তার পক্ষে এটা খুব কঠিন হয়ে যাবে সন্তান পালন করা এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব যথার্থভাবে পালন করা।
কিন্তু একজন পুরুষের পক্ষে পিতৃত্ব এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করা একজন মহিলার মাতৃত্ব এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করা থেকে তুলনামূলক সহজ। কিন্তু যদি নবী বলতে আপনি বোঝেন যে, এমন একজন ব্যক্তি যিনি আল্লাহর পছন্দের এবং যিনি পবিত্র ও খাঁটি ব্যক্তি, তবে সেখানে কিছু নারীর উদাহরণ রয়েছে আমি এখানে উত্তম উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করব বিবি মরিয়াম (আ)- এর নাম। এটি সূরা মরিয়মে উল্লেখ রয়েছে। সূরা আল ইমরানের ৪২নং আয়াতে উল্লেখ রয়েছে।


অর্থ: যখন ফেরেশতা মরিয়মকে বললেন, ‘আল্লাহ আপনাকে মনোনীত করেছেন, পবিত্র করেছেন এবং নির্বাচিত করেছেন বিশ্বজগতের নারীদের উপর’। (সূরা আলে-ইমরানঃ ৪২)
যদি আপনি মনে করেন নবী হলেন এমন ব্যক্তি যিনি মনোনীত এবং পরিশুদ্ধ, তবে আমরা বিবি মরিয়মকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করতে পারি। যিনি ছিলেন যিশু খ্রিষ্ট বা ঈশা (আ)-এর মাতা। আমাদের আরো উদাহরণ রয়েছে সূরা তাহরীমে।
এখানে বলা হয়েছে,

অর্থ: আল্লাহ বিশ্বাসীদের জন্য ফেরআওনের স্ত্রী (আছিয়া)- এর অবস্থা বর্ণনা করেছেন (সূরা তাহরীমঃ ১১)
তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন-


অর্থ: হে আমার রব আমার জন্য বেহেশতের মধ্যে আপনার সন্নিকটে গৃহ নির্মাণ করে দিন, আর আমাকে ফেরআউন হতে এবং তার (কুফুরী) আচরণ হতে রক্ষা করুন, আর আমাকে সমস্ত অত্যাচারী লোকজন হতে হেফাজত করুন। (সূরা তাহ্রীম- ১১)
একটু কল্পনা করুন, তিনি ছিলেন তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী সম্রাট ফারাও-এর স্ত্রী এবং তিনি আল্লাহর ভালবাসার জন্য স্বীয় সব আরাম-আয়েশ ও বিলাসিতা ত্যাগ করতে চেয়েছেন।
উপরে উল্লিখিত দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলাম চার জন মহিলা নবী এসেছেন। তারা হলেন, বিবি মরিয়ম (আ), বিবি আছিয়া (আ), বিবি ফাতেমা (রা) ও বিবি খাদিজা (রা)। আশা করি প্রশ্নের উত্তর পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার, জুলাই 29, 2010

শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০১০

এবার বসন্ত দেখবো

এবার বসন্ত দেখবো আমি ।
অবশ্যই দেখবো। কারণ,
আমি বসন্ত দেখিনি কোনদিন ।

মা বলেছেন ,আঠারোটি বসন্ত
বিগত হয়েছে জীবনে আমার । অথচ
আমি বসন্ত দেখিনি কোনদিন ।
শুনেছি বসন্তে লাল হয়ে ওঠে
কৃষ্ণচূড়ার শাখ । আর শিমুলের ডালে ডালে
ফুটে থাকে অগণন “বরকতের খুন ।”
(শহরের প্রাণকেন্দ্রে) দশতলা ভবনের ছাদ হতে
দিগন্তের বিস্তৃত নীল ডানা দেখেছি আমি । কিন্তু
বসন্ত দেখিনি কোনদিন ।

নিয়নবাতির আলোয় দুচোখ ভরেছে আমার
দেখিনি শুধু বাসন্তী সূর্যের রঙ । মাঠে মাঠে
শর্ষে ফুলের হলদে আল্পনা । কিংবা
আমের মুকুল ।
বাবার পাজেরো গাড়িটায় পুরোটা শহর
নখদর্পণে এনেছি আমি । যা-ই বলি,
আমি বসন্ত দেখিনি কোনদিন।

এবার বসন্ত দেখবো আমি ।
অবশ্যই দেখবো ।



শনিবার, জুলাই 17, 2010

শিবিরের বিরুদ্ধে Propaganda: solve

পরিবর্তনের অঙ্গীকার, সৎ নেতৃত্বের দরকার

Propaganda solve


# আমাদেরকে বলা হয় মৌলবাদী-
মৌলবাদী অর্থ যারা মূল বা শেকড়কে আঁকড়ে ধরে।
হ্যাঁ, আমরা মৌলবাদী। কারণ-
- আমরা ইসলামের মূলকে আঁকড়ে ধরি
- আমরা বাঙ্গালী সংস্কৃতির মূলকে আঁকড়ে ধরি
- আমরা পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের মূলকে আঁকড়ে ধরি।
- আমরা মাটি ও মানুষের শেকড়কে আঁকড়ে ধরি।

আমরা তথাকথিত আধুনিক নই। কারণ-
- আমরা পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ করি না।
- আমরা অপসংস্কৃতির চর্চা করি না
- আমরা ধূমপান করি না।
- আমরা মাদকাসক্ত নই।
- আমরা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম করি না।
- আমরা ইভটিজিং করি না
- অশ¬ীল চিত্ত বিনোদন করি না
- কোন অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকি না
- আমরা মিথ্যার সাথে আপোষ করি না।

# বলা হয় ছাত্রশিবির ছাত্রসংসদের দায়িত্বে থাকলে- ঈঁষঃঁৎধষ ঢ়ৎড়মৎধস বন্ধ হয়ে যাবে-
- মনে রাখবেন, ছাত্রশিবির চলে ছাত্রশিবিরের সংবিধান দিয়ে
- আর ছাত্র সংসদ চলে তার নিজস্ব সংবিধান অনুযায়ী।
- তাই নির্বাচিত হয়ে সংবিধান বর্হিভূত কোন কাজ করার সুযোগ নাই। কারণ সংবিধান লংঘন করলে পদ বাতিল হয়ে যাবে।
- আপনাদের জ্ঞাতার্থে চমেকসু সংবিধান কর্তৃক নির্দেশিত কালচারাল বিভাগের কাজ তুলে ধরছি-
* বিভিন্ন ধরনের পারফরমেন্স, ড্রামা ও কালচারাল সপ্তাহ এর আয়োজন করা।
* বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও অন্যান্য ঙপপধংরড়হ এ সাংস্কৃতিক আয়োজন করা।
- আমরা বাঙ্গালীর হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ করে বিলীন হতে দেব না। আমরা অপসংস্কৃতির আগ্রাসন রুখবোই। আমরা জাতিসত্ত্বার বিকাশের শাশ্বত ধারা বজায় রাখতে বদ্ধ পরিকর।

# বলা হয় ছাত্রশিবির সবাইকে বাধ্যতামূলক পর্দা (বোরখা) করাবে?
- ছাত্রসংসদ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এ ধরণের ক্ষমতা বা দায়িত্ব দেয় না।
- এটি কোন রাষ্ট্র নয়। যেখানে শিবির ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে।
- পর্দা মানুষের ব্যক্তিগত মূল্যবোধের ব্যাপার।
- জোর করে, আইন প্রণয়ন করে কারও মূল্যবোধের পরিবর্তন করা যায় না।
- একজন মানুষের দীর্ঘ বিশ-বাইশ বছরের মূল্যবোধকে রাতারাতি পরিবর্তন আকাশ-কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
- পোশাক ব্যক্তির মন, মনন, রুচি, ব্যক্তিত্ব, বিশ্বাস ইত্যাদির পরিচয়ন বহন করে তাই এ ব্যাপারে ব্যক্তিই সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তের অধিকার রাখে।

# ছাত্রশিবির ছাত্রীদের অবাধ বিচরণে বিঘœ ঘটাবে-
- একজন ছাত্রীর জীবন-যাপন, চলাফেরা তার ব্যক্তি স্বাধীনতা ও নারী স্বাধীনতার আওতায় পড়ে।
- কারও ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা মূর্খতা আর সংকীর্ণমনতা ছাড়া আর কিছু নয়। ছাত্রশিবির মূর্খ নয়, মেধাবীদের দ্বারা পরিচালিত সংগঠন।
- মনে রাখতে হবে, এটা মেডিকেল ক্যাম্পাস। পেশাগত কারণেই এখানে ছাত্র-ছাত্রীর একসাথে চলাফেরা, পড়ালেখা নিত্যনৈমিত্তিক ও সহজাত ব্যাপার। এখানে প্রফেশন এর কাছে ইমোশনের কোন মূল্য নেই। ছাত্রশিবির প্রফেশনকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়।

# বলা হয় ছাত্রশিবির ছাত্রসংসদে আসলে খঐ এর দরজা সন্ধ্যা সাতটায় বন্ধ হয়ে যাবে। কেউ রাতে বের হতে পারবে না-
- দেখুন, সন্ধ্যা ৭ টা - ৯টা, কখনও কখনও রাত ১০টা, ১১ টা, ১২ টা পর্যন্ত ও রাতে ৩য়, ৪র্থ, ৫ম বর্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের হাসপাতালে ওয়ার্ড থাকে।
- তাই সন্ধ্যা সাতটায় খঐ এর দরজা বন্ধ করার কোন যুক্তিই থাকতে পারে না।
- ছাত্রশিবিরকে সংসদ খঐ এর দারোয়ানগিরি করার চাকরিও দেবে না। সুতরাং দরজা খোলা-বন্ধ করা সম্পূর্ণ খঐ কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন।

# আপনি কেন ছাত্রশিবিরকে সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন?
কারণ-
- ছাত্রশিবির প্রতিশ্র“তিবদ্ধ। মিথ্যে ওয়াদা করে না। প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়নে সর্বদা তৎপর।
- ছাত্রশিবির শুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চা করে।
- ছাত্রশিবির মাদক, তামাক, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভর্তিবাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ ইত্যাদি দ্বারা কলুষিত নয়।
- ছাত্রশিবির ক্ষমতা ও অর্থলিপ্সু নয়। ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে অর্ন্তকোন্দল, গ্র“পিং, মারিামারি, হত্যা লুন্ঠন, ইভটিজিং, ধর্ষণ, ইত্যাদি জঘন্য কাজে জড়িত নয়।
- ছাত্রশিবিরের কাছে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী অনেক বেশি নিরাপদ।
- ছাত্রশিবির সম্পদের সকল আয়-ব্যয় ও অর্থনৈতিক লেনদেনে স্বচ্ছ।
- ছাত্রশিবির ছাত্রকল্যাণমুখী ও শিক্ষাবান্ধব সংগঠন যারা গঠনমূলক কর্মকান্ডে প্রত্যয়ী।
- ছাত্রশিবির এক ঝাঁক প্রতিভাদ্বীপ্ত, তরুণ, পরিশ্রমী, নির্মোহ, নির্লোভ, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত।



শনিবার, জুলাই 17, 2010