পরিবর্তনের অঙ্গীকার, সৎ নেতৃত্বের দরকার
Propaganda solve
# আমাদেরকে বলা হয় মৌলবাদী-
মৌলবাদী অর্থ যারা মূল বা শেকড়কে আঁকড়ে ধরে।
হ্যাঁ, আমরা মৌলবাদী। কারণ-
- আমরা ইসলামের মূলকে আঁকড়ে ধরি
- আমরা বাঙ্গালী সংস্কৃতির মূলকে আঁকড়ে ধরি
- আমরা পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের মূলকে আঁকড়ে ধরি।
- আমরা মাটি ও মানুষের শেকড়কে আঁকড়ে ধরি।
আমরা তথাকথিত আধুনিক নই। কারণ-
- আমরা পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ করি না।
- আমরা অপসংস্কৃতির চর্চা করি না
- আমরা ধূমপান করি না।
- আমরা মাদকাসক্ত নই।
- আমরা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম করি না।
- আমরা ইভটিজিং করি না
- অশ¬ীল চিত্ত বিনোদন করি না
- কোন অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকি না
- আমরা মিথ্যার সাথে আপোষ করি না।
# বলা হয় ছাত্রশিবির ছাত্রসংসদের দায়িত্বে থাকলে- ঈঁষঃঁৎধষ ঢ়ৎড়মৎধস বন্ধ হয়ে যাবে-
- মনে রাখবেন, ছাত্রশিবির চলে ছাত্রশিবিরের সংবিধান দিয়ে
- আর ছাত্র সংসদ চলে তার নিজস্ব সংবিধান অনুযায়ী।
- তাই নির্বাচিত হয়ে সংবিধান বর্হিভূত কোন কাজ করার সুযোগ নাই। কারণ সংবিধান লংঘন করলে পদ বাতিল হয়ে যাবে।
- আপনাদের জ্ঞাতার্থে চমেকসু সংবিধান কর্তৃক নির্দেশিত কালচারাল বিভাগের কাজ তুলে ধরছি-
* বিভিন্ন ধরনের পারফরমেন্স, ড্রামা ও কালচারাল সপ্তাহ এর আয়োজন করা।
* বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও অন্যান্য ঙপপধংরড়হ এ সাংস্কৃতিক আয়োজন করা।
-
আমরা বাঙ্গালীর হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে পাশ্চাত্যের অন্ধ
অনুকরণ করে বিলীন হতে দেব না। আমরা অপসংস্কৃতির আগ্রাসন রুখবোই। আমরা
জাতিসত্ত্বার বিকাশের শাশ্বত ধারা বজায় রাখতে বদ্ধ পরিকর।
# বলা হয় ছাত্রশিবির সবাইকে বাধ্যতামূলক পর্দা (বোরখা) করাবে?
- ছাত্রসংসদ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এ ধরণের ক্ষমতা বা দায়িত্ব দেয় না।
- এটি কোন রাষ্ট্র নয়। যেখানে শিবির ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে।
- পর্দা মানুষের ব্যক্তিগত মূল্যবোধের ব্যাপার।
- জোর করে, আইন প্রণয়ন করে কারও মূল্যবোধের পরিবর্তন করা যায় না।
- একজন মানুষের দীর্ঘ বিশ-বাইশ বছরের মূল্যবোধকে রাতারাতি পরিবর্তন আকাশ-কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
-
পোশাক ব্যক্তির মন, মনন, রুচি, ব্যক্তিত্ব, বিশ্বাস ইত্যাদির পরিচয়ন বহন
করে তাই এ ব্যাপারে ব্যক্তিই সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তের অধিকার রাখে।
# ছাত্রশিবির ছাত্রীদের অবাধ বিচরণে বিঘœ ঘটাবে-
- একজন ছাত্রীর জীবন-যাপন, চলাফেরা তার ব্যক্তি স্বাধীনতা ও নারী স্বাধীনতার আওতায় পড়ে।
-
কারও ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা মূর্খতা আর সংকীর্ণমনতা ছাড়া আর
কিছু নয়। ছাত্রশিবির মূর্খ নয়, মেধাবীদের দ্বারা পরিচালিত সংগঠন।
- মনে
রাখতে হবে, এটা মেডিকেল ক্যাম্পাস। পেশাগত কারণেই এখানে ছাত্র-ছাত্রীর
একসাথে চলাফেরা, পড়ালেখা নিত্যনৈমিত্তিক ও সহজাত ব্যাপার। এখানে প্রফেশন এর
কাছে ইমোশনের কোন মূল্য নেই। ছাত্রশিবির প্রফেশনকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়।
# বলা হয় ছাত্রশিবির ছাত্রসংসদে আসলে খঐ এর দরজা সন্ধ্যা সাতটায় বন্ধ হয়ে যাবে। কেউ রাতে বের হতে পারবে না-
-
দেখুন, সন্ধ্যা ৭ টা - ৯টা, কখনও কখনও রাত ১০টা, ১১ টা, ১২ টা পর্যন্ত ও
রাতে ৩য়, ৪র্থ, ৫ম বর্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের হাসপাতালে ওয়ার্ড থাকে।
- তাই সন্ধ্যা সাতটায় খঐ এর দরজা বন্ধ করার কোন যুক্তিই থাকতে পারে না।
- ছাত্রশিবিরকে সংসদ খঐ এর দারোয়ানগিরি করার চাকরিও দেবে না। সুতরাং দরজা খোলা-বন্ধ করা সম্পূর্ণ খঐ কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন।
# আপনি কেন ছাত্রশিবিরকে সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন?
কারণ-
- ছাত্রশিবির প্রতিশ্র“তিবদ্ধ। মিথ্যে ওয়াদা করে না। প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়নে সর্বদা তৎপর।
- ছাত্রশিবির শুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চা করে।
- ছাত্রশিবির মাদক, তামাক, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভর্তিবাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ ইত্যাদি দ্বারা কলুষিত নয়।
-
ছাত্রশিবির ক্ষমতা ও অর্থলিপ্সু নয়। ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে অর্ন্তকোন্দল,
গ্র“পিং, মারিামারি, হত্যা লুন্ঠন, ইভটিজিং, ধর্ষণ, ইত্যাদি জঘন্য কাজে
জড়িত নয়।
- ছাত্রশিবিরের কাছে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী অনেক বেশি নিরাপদ।
- ছাত্রশিবির সম্পদের সকল আয়-ব্যয় ও অর্থনৈতিক লেনদেনে স্বচ্ছ।
- ছাত্রশিবির ছাত্রকল্যাণমুখী ও শিক্ষাবান্ধব সংগঠন যারা গঠনমূলক কর্মকান্ডে প্রত্যয়ী।
- ছাত্রশিবির এক ঝাঁক প্রতিভাদ্বীপ্ত, তরুণ, পরিশ্রমী, নির্মোহ, নির্লোভ, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত।
শনিবার, জুলাই 17, 2010