এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১০

যুগান্তরের পাপী

ওই যে ওরা আসছে দেখো
উঠছে ধরা কাঁপি
নিষ্ঠুরতার মশাল জ্বালে
যুগান্তরের পাপী ।

হায়েনা ওরা মাতাল ওরা
রক্তপানের নেশায়
মানবতার রঙ্গিন শাড়ি
রক্ত দিয়ে পেচায় ।

এনেছে লগি এনেছে বৈঠা
নৌকা ওরা বাইবে
পদ্মাতো হায় শুকিয়ে গেছে
রক্তনদী চাই যে !

নেকড়েরা হায় নেইতো বনে
মানুষের রুপে আজ
লাশের ভেলায় নৃত্য করে
এ কোন নরপিশাচ !

 শুক্রবার, অক্টোবর 29, 2010

প্রত্যাশার আহাজারি


প্রতিদিন মারা পড়ে প্রত্যাশার পখিরা
ওদের স্বপ্নপূরনের পথে উড়ে আসে
ঈগল বাজ আর ড্রাকুলার দল ।

বাবা মা স্বপ্ন দেখে দিনমান
অনেক বড় হবে ছেলে
ভাইবোন দের অন্তরেও বাজে প্রত্যাশার গান
আর কটা দিন গেলে
আসবে ফিরে ভাই স্বপ্নের চাবি হাতে
অপূর্ণতার সকল তালা খুলবে অনর্গল ।

শুভাকাংখীদের শুভকামনায়ও প্রত্যাশার ডানা
বারবার ঝাপটায় গন্তব্যের পানে ওড়ার আশায়
প্রতিদিন আহত হয় প্রত্যাশার পাখিরা
ওদের আহাজারি অশ্রু হয়ে কখনো দুচোখ ভাসায়
এইতো জীবন চলে.....


 শুক্রবার, অক্টোবর 29, 2010

সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১০

তবু তুমি ফিরে এসো


তবু তুমি ফিরে এসো

যেদিন
তোমাকে আঘাত করেছিলো
একদলা কষ্টের মেঘ
ওদের আক্রোশ ছিল
তোমার শুভকামনায় ।
তুমি বোঝনি ওদের করুণ গান
জানতে পারনি ওতে ছিল আহবান
"তবু তুমি ফিরে এসো" ।

সেদিন
তোমার চলার পথে আছড়ে পড়েছিল
শুকনো গাছের গুড়ি
সুতা ছিড়ে উড়ে গিয়েছিল
আকাশে রঙ্গিন ঘুড়ি

চাঁদের জোছনায় হঠাত পড়েছিল টান
বুঝতে পারনি ওতে ছিলো আহবান
"তবু তুমি ফিরে এসো" ।

যদিবা করেছ তুমি মহা অপরাধ
হয়তো ফেলেছ ভেঙ্গে সীমানার বাঁধ
ওদের কথা শোন পেতে দাও কান
ওরা চেনে স্রষ্টাকে করে আহবান

"তবু তুমি ফিরে এসো-
জীবনের সরল সঠিক রাস্তায় ।


 সোমবার, অক্টোবর 25, 2010

বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১০

ঘোর



আমার কুয়োটা একটু বড়, এই যা
আমি মানুষ ব্যাং নই, এই যা
প্রকৃত পক্ষে আমি কুয়োরই !

হয়তো
তুমি ধান কাটো সারাদিন খেটে
অথবা তুমি ফেরি কর নিরন্তর হেটে
তুমি গান গাও উদাস গলায়
অথবা মাছ ধরো নদী-জলায়

হয়তো
তুমি রিক্সা চালাও সর্বশক্তি দিয়ে
অথবা তুমি কাজী, পড়াও বিয়ে
তুমি বই ঘেটে বের কর আইনের ফোকর
অথবা ঘেমে নেয়ে গলাচ্ছ লৌহ-আকর

আমি চিকিতসক, এই যা
আমার কুয়োটা ভিন্ন, এই যা
প্রকৃত পক্ষে আমি কুয়োরই !

ঘুরছি যেন অহরহ নির্দিষ্ট কুয়োর ভেতর
বেরোতে পারি না ভেঙ্গে জীবনের ঘোর ।




 বৃহস্পতিবার, অক্টোবর 21, 2010

সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১০

তিরস্কার


কবিরা সব বসে আছে
গায়ে মেখে শরতের মেঘ
তারা শুধু ছুঁতে জানে
কাশফুলের শুভ্র আবেগ

নদীর হাটুজলে তাদের রোমান্টিক মন
খায় হাবুডুবু
বালুকণার ভেতর খুঁজে ফেরে ওরা
স্বপ্নের খুশবু !

ঝিরিঝিরি হাওয়ায় ওড়ে ওদের
মসৃন ঝাকড়া চুল
জীবনের দর্শন খুঁজে হয় পেরেশান
ভাবিয়া পায়না কুল !

ইচ্ছে হয় সজোরে ধাক্কা মারি
ফেলে দেই ধানের ক্ষেতে
ঐ দেখ উজবুক কবির দল
নাঙ্গা ভূখা পায়না খেতে ।


জীবনের ছন্দ হারিয়ে ফেলে তোরা
লিখিস কবিতা 'গদ্য'
ঐ শোন ক্রন্দন ধ্বনি- শিশুর
ভূমিষ্ঠ হলো সদ্য ।

ভাবুক ভাবটা ছাড়
খাবার জোগাগে তার ।


সোমবার, অক্টোবর 18, 2010

মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০১০

শেকড়

মানুষেরও শেকড় আছে জানতাম না
জানলাম, যখন শিকড়টায় পড়লো টান ।
মানুষের শরীর আছে, আছে হাত পা
জানতাম আত্না আছে, আছে প্রাণ ।
মানুষের শেকড়ও আছে জানতাম না
জানলাম, যখন শেকড়টায় পড়লো টান ।

মানুষ খায় দায় ঘুমায় হাটে চলে
কারনে অকারনে অনর্গল কথা বলে
মানুষের জীবনে আছে সুখ দু:খ হাসি
মানুষের জীবনে আছে সুর আর গান-

মানুষের শেকড়ও আছে জানতাম না
জানলাম, যখন শেকড়টায় পড়লো টান !



 মঙ্গলবার, অক্টোবর 12, 2010

সময়ের হরতাল


সময়ের কুঠুরিগুলোয় বাস করে
কষ্টের বাপ মা ।
আমাদের জন্য তারা সন্তান উতপাদন করে
দফায় দফায় !
লাল নীল কালো ধলো বেঁটে লম্বা
ছোট বড় মাঝারি চিকন মোটা
কানকাটা কানওয়ালা
খাড়ানাক বোঁচকানাক
গোফওয়ালা দাড়িওয়ালা মাকুন্দা
চুলওয়ালা টাক্কুমাথা টিকটিকির লেজ
শতরকম কষ্টেরা হরতাল ডাকে
জীবনের রাজপথে ।

তবুও চলি আমরা ।
হয়তো গতি হয় শ্লথ
হয়তোবা পথ যায় বেকে
হয়তো খুজে নেই নতুন কোনো গলি-
তবুও আমরা সীমানার পানে চলি ।


 মঙ্গলবার, অক্টোবর 12, 2010

রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১০

আত্নআহ্বান


আবেগের কুড়েঘর ছেড়ে এসো
কঠিন বাস্তবে
প্রখর রৌদ্রে চোখ দুটি খুলে
দৌড়াও আজ তবে ।
সোনালী কাবিনের জন্য আর
করোনা অপেক্ষা ।

হে কচ্ছপ, বদলে ফেলো এই খোলস
ডাস্টবিনে ফেলে দাও পুরনো শম্বুক গতি
ঐ দেখো উদ্দাম স্রোত
ধুয়ে নিয়ে যায় তোমার জীবনের নির্যাস !





 রবিবার, অক্টোবর 10, 2010

হতাশ কৃষক



অসুন্দরের দাবড়ানিতে থেমে যায় যখন
জীবনের উল্লাস
সত্য তখন নীরবে কাদে হয়তো
অশ্রুগুলি বৃষ্টির মত অবিরল নয় বটে
শিশিরের চেয়ে কমও কিছু নয় !

আগ্রাসী সিগারেটের ধোয়া ওড়ে দম্ভ প্রাসাদের ওপর
নাগাল পায়না তার - সাহসের পদাতিকরা
অক্ষম আক্রোশ আর আফসোস চতুর্দিকে
পাকায় কেশরাজি সময়ের অপেক্ষায় ।

আর বহমান কালের নিষ্ঠুর হন্টন
জন্ম দেয় বারবার ক্রুর রক্তজবা-
এই দুর্বল কৃষকের মৃত্তিকায় ।



 রবিবার, অক্টোবর 10, 2010