আমাদের মনে সুখ না থাকার মূল কারণ হলোঃ আমরা সবসময় নিজের অবস্থাকে আমাদের
আশেপাশের মানুষের সাথে তুলনা করি । এবং বেশিরভাগ সময়ই তার সাথে তুলনা করি,
যে আপাতদৃষ্টিতে আমার চেয়ে এগিয়ে আছে । ফলে সবসময় নিজের ভেতর একটা
অপ্রাপ্তির কষ্ট বয়ে নিয়ে বেড়াই । অবশ্য এই কাজটা করতে বাধ্য করে আমাদের
চারপাশের মানুষ এবং তথাকথিত সমাজ । আমরা নিজের সুখ শান্তির চেয়ে অন্যেরা কী
বলবে, কী ভাববে, তাতে গুরুত্ব দেয়া শুরু করি ।
হোয়াই নট? ক্লাস সিক্সে ওঠা বাচ্চাটাকে যখন সবাই জিজ্ঞেস করতে থাকে সে বৃত্তি পেয়েছে কিনা , তখন তার কাছে সেটাকেই একমাত্র পাওয়ার যোগ্য কিছু বলে মনে হয় । এসএসসি পরীক্ষার পর- ছেলের রেজাল্ট কী, এইচএসসির পর কোথায় চান্স পেলো, ভার্সিটিতে কোন সেমিস্টারের কী রেজাল্ট, মেডিকেলে পড়লে প্রফের রেজাল্ট কী, কবে পাস করে বের হবে, তারপর পাস করে বের হয়ে গেলে- কোথায় জব করছে এখন, হায়ার ডিগ্রি নিচ্ছে কিনা, নিলে কোন বিষয়ে, বিসিএস হয়েছে কিনা এবং শেষমেষ মোক্ষম প্রশ্ন 'বিয়ে কবে, বিয়ে করছেনা কেন'?!
...তারপর...পরবর্তী ধাপেঃ বাচ্চা কয়টা, বাচ্চার চেহারা কেমন, বাচ্চা কোথায় পড়ে, বাচ্চার রেজাল্ট কী? বয়স আরেকটু বাড়লে- চাকরিতে প্রমোশন হচ্ছেনা কেন? এইসব প্রশ্ন নিরন্তর তাড়া করে বেড়াচ্ছে আমাদের সবাইকে । আমরাই একে অপরকে এইসব প্রশ্ন করি আর মনমত জবাব না পেলে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জবাব দেই 'ও আচ্ছা' ।
.
এই অবস্থায় এই সমাজে এই সময়ে কিছুটা সুখে থাকার সম্ভবত একটাই উপায় আছে, সবাইকে বলে দিতে হবে- 'আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করোনা । আমি তোমাদের কেউ নই । আমি এই সমাজের কেউ নই ।'
হোয়াই নট? ক্লাস সিক্সে ওঠা বাচ্চাটাকে যখন সবাই জিজ্ঞেস করতে থাকে সে বৃত্তি পেয়েছে কিনা , তখন তার কাছে সেটাকেই একমাত্র পাওয়ার যোগ্য কিছু বলে মনে হয় । এসএসসি পরীক্ষার পর- ছেলের রেজাল্ট কী, এইচএসসির পর কোথায় চান্স পেলো, ভার্সিটিতে কোন সেমিস্টারের কী রেজাল্ট, মেডিকেলে পড়লে প্রফের রেজাল্ট কী, কবে পাস করে বের হবে, তারপর পাস করে বের হয়ে গেলে- কোথায় জব করছে এখন, হায়ার ডিগ্রি নিচ্ছে কিনা, নিলে কোন বিষয়ে, বিসিএস হয়েছে কিনা এবং শেষমেষ মোক্ষম প্রশ্ন 'বিয়ে কবে, বিয়ে করছেনা কেন'?!
...তারপর...পরবর্তী ধাপেঃ বাচ্চা কয়টা, বাচ্চার চেহারা কেমন, বাচ্চা কোথায় পড়ে, বাচ্চার রেজাল্ট কী? বয়স আরেকটু বাড়লে- চাকরিতে প্রমোশন হচ্ছেনা কেন? এইসব প্রশ্ন নিরন্তর তাড়া করে বেড়াচ্ছে আমাদের সবাইকে । আমরাই একে অপরকে এইসব প্রশ্ন করি আর মনমত জবাব না পেলে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জবাব দেই 'ও আচ্ছা' ।
.
এই অবস্থায় এই সমাজে এই সময়ে কিছুটা সুখে থাকার সম্ভবত একটাই উপায় আছে, সবাইকে বলে দিতে হবে- 'আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করোনা । আমি তোমাদের কেউ নই । আমি এই সমাজের কেউ নই ।'