এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

হাওয়া উত্যক্তকরণ

কলেজ গেটে গলির মোড়ে
বখাটেতে গিজগিজ
মনের সুখে দাত কেলিয়ে
করে ওরা ইভটিজ !

সবাই এখন রব তুলেছে
বলুন ওদের 'না'
কেউবা বলে ঠেকাও ওদের
করতে হবে ঘৃণা ।

শুধু ওদের ঘৃণা করাই
নয়তো কোন সমাধান
নৈতিকতা না শেখালে
বৃথা এসব কলের গান ।

বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

প্রেমের মড়া জলে ডোবে না : ইউসুফ (আঃ) এর ওপর জঘন্য অপবাদ

"প্রেমের মড়া জলে ডোবে না.. 

প্রেম করেছেন ইউসুফ নবী 
তার প্রেমে জুলেখা বিবি গো 
ও সে প্রেমের দায়ে জেল খাটিলো 
তবু সে প্রেম ছাইড়লো না দরদী...

প্রেমের মড়া জলে ডোবে না ।" 

গানটা বহুল প্রচলিত । শুনতেও খারাপ লাগেনা । একটা বাউল বাউল ভাব আসে ! কিন্তু গানটিতে নবী ইউসুফ (আঃ) সম্পর্কে জঘন্য মিথ্যাচার করা হয়েছে । বলা হয়েছে ইউসুফ (আঃ) প্রেম করেছেন এবং তিনি প্রেমের দায়েই জেল খেটেছেন ! 
এই ঘটনাকে হাল জামানার তথাকথিত প্রেমিকদের দলিল হিসেবে উপস্থাপন করতেও দেখা যায় । কয়েকদিন আগে একজন ফেসবুকে লিখেছে- 'আরে বেটা প্রেম ভালোবাসা মানে যদি হারাম আর তা কেবল ঢলাঢলি ই হয়তো তয় আল্লাহ তায়ালা ইউসুফ নবীরে দুনিয়াতে পাঠাইতেন না, জুলেখারে বানানোর তো প্রশ্নই আছিলো না।' 
কী কান্ড ! আল্লাহ তায়ালা ইউসুফ (আঃ) কে পাঠিয়েছিলেন জুলেখার সাথে প্রেম করার জন্য ! 

আসুন দেখি কুরআনে এ সম্পর্কে কী বলা হয়েছে- 
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)
"যে মহিলাটির ঘরে সে ছিল সে তাকে নিজের দিকে আকর্ষণ করতে থাকলো এবং একদিন সে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বললো, “চলে এসো।” ইউসুফ বললো, “আমি আল্লাহ‌র আশ্রয় নিচ্ছি, আমার রব তো আমাকে ভালই মর্যাদা দিয়েছেন (আর আমি এ কাজ করবো!)। এ ধরনের জালেমরা কখনো কল্যাণ লাভ করতে পারে না।” 
মহিলাটি তাঁর দিকে এগিয়ে এলো এবং ইউসুফও তার দিকে এগিয়ে যেতো যদি না তাঁর রবের জ্বলন্ত প্রমাণ প্রত্যক্ষ করতো। এমনটিই হলো, যাতে আমি তার থেকে অসৎবৃত্তি ও অশ্লীলতা দূর করে দিতে পারি। আসলে সে ছিল আমার নির্বাচিত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
শেষ পর্যন্ত ইউসুফ ও সে আগে-পিছে দরজার দিকে দৌড়ে গেলো এবং সে পেছন থেকে ইউসুফের জামা (টেনে ধরে) ছিঁড়ে ফেললো। উভয়েই দরজার ওপর তার স্বামীকে উপস্থিত পেলো। তাকে দেখতেই মহিলাটি বলতে লাগলো, “তোমার পরিবারের প্রতি যে অসৎ কামনা পোষণ করে তার কি শাস্তি হতে পারে? তাকে কারাগারে প্রেরণ করা অথবা কঠোর শাস্তি দেয়া ছাড়া আর কি শাস্তি দেয়া যেতে পারে?”
ইউসুফ বললো, “সে-ই আমাকে ফাঁসাবার চেষ্টা করছিল।” মহিলাটির নিজের পরিবারের একজন (পদ্ধতিগত)সাক্ষ্য দিল, “যদি ইউসুফের জামা সামনের দিক থেকে ছেঁড়া থাকে তাহলে মহিলাটি সত্য কথা বলেছে এবং সে মিথ্যুক ।
আর যদি তাঁর জামা পেছনের দিক থেকে ছেঁড়া থাকে তাহলে মহিলাটি মিথ্যা কথা বলেছে এবং সে সত্যবাদী।” 
স্বামী যখন দেখলো ইউসুফের জামা পেছনের দিক থেকে ছেঁড়া তখন সে বললো, “এসব তোমাদের মেয়ে লোকদের ছলনা। সত্যিই বড়ই ভয়ানক তোমাদের ছলনা!
হে ইউসুফ! এ ব্যাপারটি উপেক্ষা করো। আর হে নারী! তুমি নিজের অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো, তুমিই আসল অপরাধী।” 
শহরের মেয়েরা পরস্পর বলাবলি করতে লাগলো, “আযীযের স্ত্রী তার যুবক গোলামের পেছনে পড়ে আছে, প্রেম তাকে উন্মাদ করে দিয়েছে। আমাদের মতে সে পরিষ্কার ভুল করে যাচ্ছে।”
সে যখন তাদের এ শঠতাপূর্ণ কথা শুনলো তখন তাদেরকে ডেকে পাঠালো। তাদের জন্য হেলান দিয়ে বসার মজলিসের আয়োজন করলো। খাওয়ার বৈঠকে তাদের সবার সামনে একটি করে ছুরি রাখলো। (তারপর ঠিক সেই মুহূর্তে যখন তারা ফল কেটে কেটে খাচ্ছিল) সে ইউসুফকে তাদের সামনে বের হয়ে আসার ইশারা করলো। যখন ঐ মেয়েদের দৃষ্টি তাঁর ওপর পড়লো, তারা বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেলো এবং নিজের হাত কেটে ফেললো। তারা বললো, “আল্লাহর কী অপার মহিমা! এতো মানুষ নয়, এতো এক মহিমান্বিত ফেরেশতা।”
আযীযের স্ত্রী বললো, “দেখলে তো! এ হলো সেই ব্যক্তি যার ব্যাপারে তোমরা আমার বিরুদ্ধে নিন্দাবাদ করতে। অবশ্যই আমি তাঁকে প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সে নিজেকে রক্ষা করেছে। যদি সে আমার কথা না মেনে নেয় তাহলে কারারুদ্ধ হবে এবং নিদারুণভাবে লাঞ্ছিত ও অপমানিত হবে।” 
ইউসুফ বললো, “হে আমার রব! এরা আমাকে দিয়ে যে কাজ করাতে চাচ্ছে তার চাইতে কারাগারই আমার কাছে প্রিয়! আর যদি তুমি এদের চক্রান্ত থেকে আমাকে না বাঁচাও তাহলে আমি এদের ফাঁদে আটকে যাবো এবং অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” ---তাঁর রব তাঁর দোয়া কবুল করলেন এবং তাদের অপকৌশল থেকে তাঁকে রক্ষা করলেন। অবশ্যি তিনি সবার কথা শোনেন এবং সবকিছু জানেন।
তারপর তারা মনে করলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাঁকে কারারুদ্ধ করতে হবে, অথচ তারা (তার নিষ্কুলুষতা এবং নিজেদের স্ত্রীদের অসতীপনার) সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী দেখে নিয়েছিল।"
[সুরা ইউসুফ , ২৩-৩৫] 

আমি অবাক হই । একজন নবীর ওপর কী করে অবলীলায় মিথ্যা আরোপ করে যাচ্ছে মানুষ !


বুধবার, ফেব্রুয়ারি 20, 2013

http://goo.gl/mlz0s

সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

এবারের হেমন্ত শীত


মন খারাপের খবর নিয়ে 
চুপি চুপি এসে ফিরে গেছে এবারের হেমন্ত ও শীত  
আমার নগ্ন দুটি পা পায়নিকো এক ফোঁটাও শিশিরের ভালোবাসা  । 

উত্তুরে হিমেল হাওয়া 
ভালোবেসে বিলি কাটেনি আমার ঝাঁকড়া চুলে 
হঠাৎ পেছন থেকে ঝাপটা দিয়ে উল্টে দেয়নি শার্টের কলার । 


সোনালী ধানের ক্ষেতে 
আইল ধরে হাঁটতে পারিনি মাইলকে মাইল 
চলে গেছে ‘অগন’ মাস না খাইয়ে নবান্নের ঝরঝরে ভাত । 

সকালের আদুরে রোদে 
মাদুর পেতে বসা হয়নি উঠোনে , নিমগাছের তলায় 
মুখস্থ করা হয়নি ‘গরু’ রচনাটি, কিংবা বন্দে আলী মিয়ার ‘আমাদের গ্রাম’ । 

মায়ের আঁচলে মুখ মুছে 
অন্ধকার আঙ্গিনায় বসে খাওয়া হয়নি ভাপা পিঠা 
ঢিল মারা হয়নি বাড়ির পেছনের লিকলিকে বরই গাছটায় ।  

মন খারাপের খবর নিয়ে 
চুপি চুপি এসে ফিরে গেছে এবারের হেমন্ত-শীত 
আমাকে খবর দেয়নি কেউ , আমি নাকি খুব ব্যস্ত ছিলাম !  


সোমবার, ফেব্রুয়ারি 4, 2013
http://goo.gl/utY2u