এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৬

বাষ্প

চোখ? নাকি মন? ঝাপসা হয়েছে কোনটা?
কেন আবছা লাগে আজ
ফেলে আসা সোনালি সময়?
কেন অস্পষ্ট হয়ে আসে প্রিয়
মানুষের মুখ? কেন
অসাধারণ দৃশ্যগুলো আজ শুধু
আলো ছায়ার খেলা মনে হয়?

জীবনের শেকড় হতে ক্ষণে ক্ষণে
বাষ্পীভূত হতেছে প্রতিদিন
শুধু কি সময়? নাকি
আরো অনেক অনেক অজানা মূলধন
হইতেছে ক্রমাগত ক্ষয়?

বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬

জলমগ্ন নাগরিক

এই জলমগ্ন শহরে আমি এক মৎস্য নাগরিক
সকাল সন্ধ্যা রাতে থই থই রাস্তায়
অগভীর জলেই চলছে আমার নিত্য সাঁতার।
কোথায় যাবো আমি?

এই জলমগ্ন শহরে কোথায় পাবো বলো
মানবিক জলযান?

সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬

প্রফেসর ফ্যাক্ট-২: প্রফেসর এবং তাঁর মোটাতাজা গরু!

ভাইভা বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ আব্দুল করিম সাহেব। তিনি এই শহরের একজন সিনিয়র, নামকরা, প্রথিতযশা ডাক্তার। সম্প্রতি কয়েকজন বন্ধুর সাথে শেয়ারে একটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজকে সেই ক্লিনিকের ডাক্তার নিয়োগের জন্য ভাইভা আহবান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শুরুও হয়ে গেছে। প্রফেসর সাহেবের সামনে এই মুহূর্তে বসে আছে তরুণ ডাক্তার মুনীর।
- স্যার বেতন সম্পর্কে যদি একটু ধারণা দিতেন।
- বেতন আমরা ঠিক করেছি মাসিক ২০০০০ টাকা দেব।
- স্যার এটাতো খুব কম হয়ে যায়।
- বলো কী! তুমি জানো আমি কত টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছিলাম? বলো, আন্দাজ করে বলো দেখি।
- জানি না স্যার।
- মাত্র ৫০০ টাকা! বুঝলা, মাত্র ৫০০ টাকা।

প্রফেসর সাহেব কিছুটা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লেন। সেসময় ৫০০ টাকায় কী কী করেছিলেন তার হিসাব দিতে শুরু করলেন। কীভাবে ৮০ টাকায় একটা মোটাতাজা গরু কিনেছিলেন তার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ বুজে এলো প্রফেসর সাহেবের!
তারপর তিনি বললেন- দেখো বাবা, ২০০০০ টাকা অনেক বেশি টাকা। এর বেশি আমরা দিতে পারবো না!
মুনীর বের হয়ে এলো। তার বলতে ইচ্ছে হয়ঃ স্যারগো স্যার, এইটা ২০১৬ সাল। ২০০০০ টাকায় এখন ষাঁড় নয়, বড়জোর একটা বকনা বাছুর কেনা যায়। যেকোন একটা ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার যেখানে এট লিস্ট চল্লিশ হাজার টাকা বেতন পায়, সেখানে কীকরে আপনি একজন পূর্ণকালীন ডাক্তারের বেতন বিশ হাজার টাকা প্রস্তাব করেন?
কিন্তু মুনীর ভদ্র ছেলে, সে কিছুই বলতে পারে নি। বড়দের সামনে বেশি কথা বলতে নেই, এতে নাকি বেয়াদবি হয়ে যায়!
।।।এভাবেই সিনিয়র ডাক্তারদের ইচ্ছায় অথবা তাদের নির্লিপ্ত চোখের সামনে নিষ্পেষিত হয় জুনিয়র ডাক্তাররা। কারণ, সিনিয়রদের চোখের সামনে আজও ভাসে ষাটের দশকের সেই ৫০০ টাকা, যখন ৮০ টাকায় পাওয়া যেত একটা মোটাতাজা গরু...।।।

শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬

প্রফেসর ফ্যাক্ট -১

ভাইভা বোর্ড।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন ট্রেইনি ডাক্তাররা পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েট ট্রেনিং এ যোগ দিতে এসেছেন। বলা বাহুল্য, সম্পূর্ণ বিনা বেতনে। পেট চালানোর জন্য তাদের অন্য কোথাও অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এই মুহূর্তে ভাইভার টেবিলে আছে তরুণ ডাক্তার মুনীর।
প্রফেসরঃ দেখো, আমার এখানে প্রতিদিন সকাল ৮ টায় আসতে হবে। এক মিনিট যেন এদিক ওদিক না হয়! আর তিনটার আগে কোনভাবেই যাওয়া চলবে না। সপ্তাহে দুইদিন এভেনিং ও নাইট ডিউটি করতে হবে।
মুনীরঃ স্যার সপ্তাহে এক দিন যদি অফ দিতেন স্যার...
প্রফেসরঃ না, এইখানে কোন অফ টফ চলবে না। ঠিকমত রোগী দেখবা। তুমি ডিগ্রী করতে আসছো না?
জ্বি স্যার।
মুনীরের একবার মনে হলো মুখ ফুটে বলে দেয়, যে তার মত জুনিয়র ডাক্তাররা হাওয়া খেয়ে বাঁচে না। তারাও রক্তমাংসের মানুষ, তাদেরও ক্ষুধা আছে, তাদেরও পরিবার পরিজন আছে। এমবিবিএস পাস করে এসে একজন ডাক্তারের পক্ষে বিনা পারিশ্রমিকে এইভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।
কিন্তু মুনীর কিছুই বলতে পারে না। এইসব বলা যায় না। পাছে যদি বেয়াদবি হয়ে যায়! প্রফেসরের কুনজরে পড়লে যে পরবর্তীতে পরীক্ষার ভাইভায় কোনভাবেই উতরানো যাবে না।
(এভাবেই দিনের পর দিন টিকে থাকে অবৈতনিক/অনারারী চিকিৎসা কর্মকর্তা নামের অমানবিক প্রথা.. হাজার কোটি টাকা ঠিকাদাররা লুটেপুটে খায়, কিন্তু প্রফেসররা তার অধীনে প্রশিক্ষণরত ডাক্তারদের জন্য মাত্র কয়েক'শ কোটি টাকা বরাদ্দ নিতে পারেন না।)

রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৬

অন্যরকম চাঁদের আলো

রাত প্রায় দু'টা বেজে গেছে। ডিউটি আওয়ার শেষ হতে আরো ছয় ঘন্টা বাকি। মুনীর এখন আছে সরকারী হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে।
আজকে এই ওয়ার্ডে এডমিশন নেই, মানে নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে অন্য ওয়ার্ডে। সেজন্য কিছুটা রিলাক্স হয়ে বসার সুযোগ পাওয়া গেল এতক্ষণ পর হলেও। এডমিশন নাইট হলেতো এক মুহূর্ত বসার সুযোগ হত না।
ফেসবুকে লগ ইন করতেই মুনীরের চোখে এলো অনেক রোমান্টিক স্ট্যাটাস -আজকে পূর্ণিমা রাত। বাহিরের আকাশে নাকি অসাধারণ আলো ছড়াচ্ছে পূর্ণ চাঁদ।
মুনীর কোথায় যেন পড়েছে, কবিরা নাকি খুব সৌন্দর্যপিপাসু হয়। চা-খোর যেমন মজা করে চা খায়, কবিরা নাকি সেরকম একটু একটু করে সবকিছুর সৌন্দর্য চিবিয়ে চিবিয়ে উপভোগ করে। মুনীর কবি নয়, কিন্তু সেও সৌন্দর্য পিয়াসীদের একজন। এই মুহূর্তে মুনীরের মনে পড়ে, হোস্টেলের ছাঁদে শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে কত রাত কাটিয়ে দিয়েছে সে। কৃষ্ণচূড়া গাছটার পাতার ফাঁকে দেখেছে চাঁদের লুকোচুরি। পশ্চিমের চাঁদ একসময় ঢলে গেছে পূবের আকাশে, পূবের চাঁদ পশ্চিমে। একেকটা মুহূর্তের একেকরকম সৌন্দর্য। অমাবশ্যার রাতে যখন পেঁচারা উড়ে যায়, তারও একটা অন্যরকম সৌন্দর্য আছে।
"স্যার একটু আইবেন?"
চিন্তায় ছেদ পড়ে মুনীরের। দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে এক পিচ্চি মেয়ে। বয়স সাত কি আট হবে হয়তো।
"কী হয়েছে বাবু?" নরম কন্ঠে জিজ্ঞেস করে মুনীর।
"স্যার আমার মায়ের শ্বাসকষ্ট। মায় আপনারে ডাকতে কইছে।"
স্টেথোস্কোপ গলায় ঝুলিয়ে দ্রুত উঠে পড়ে মুনীর। চলো চলো চলো, পিচ্চিটাকে তাগাদা দিয়ে নিয়ে চলে নির্দিষ্ট বেডের দিকে। যাওয়ার সময় নার্সকেও একটা হাঁক দিয়ে যায়। সিস্টার তেইশ নাম্বারে আসেন।
রোগীর ডায়াগনোসিস একিউট সিভিয়ার এজমা। গতকাল ভর্তি হয়েছে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে। পাক্কা দুই ঘন্টা চেষ্টার পর তার অবস্থা স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছিল।
শ্বাসের কষ্ট খুব খারাপ। জীবন সংশয়ের কথা বাদ দিলেও, একজন মানুষ নিঃশ্বাস নিতে পারছেনা, এটা কি যা-তা কথা? মুনীর ভাবে, আল্লাহ তায়ালা আমাদের কত আরামে রেখেছেন। তবু মানুষ কত অকৃতজ্ঞ। মুনীরের মনে হয়, একজন মানুষের যদি কিছুই না থাকে, সে যদি শুধু নিশ্চিন্তে শ্বাস নিতে পারে- তাতেই তার মস্তক অবনত করে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত। দুনিয়ায় কিছু কিছু মানুষকে শ্বাসকষ্টের রোগ দিয়ে আল্লাহ হয়তো সকল মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেন তাঁর অশেষ নেয়ামতের কথা।
মুনীর রোগীর পাশে বসে অনেকক্ষণ কাটিয়ে দিলো। শুধু ওষুধ দিয়ে ক্ষান্ত নয়, মুনীর সবসময় চেষ্টা করে রোগীকে পাশে দাঁড়িয়ে মানসিক শক্তি যোগানোর। যদিও সবসময় তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। মুনীরের অবজার্ভেশান হলো, ওষুধের পাশাপাশি মানসিক শক্তি যোগালে রোগীর উন্নতি ত্বরান্বিত হয়। একবার এমন হলো, বয়স্ক এক রোগী হাত ধরে বলে, বাবা আপনি আমার পাশে থাকেন, আপনি গেলে আমি বাঁচবো না। সত্যিই দেখা গেলো, মুনীর সেই রোগীর কাছে থাকলে তার শ্বাসকষ্ট কমে যায়, আবার দূরে গেলে বাড়ে। সাইকোলজিকাল ব্যাপার স্যাপার।
ঘড়ির কাঁটায় তিনটা অতিক্রম করে গেছে। হেঁটে হেঁটে রোগীদের অবস্থা দেখছে মুনীর। রাতের এই প্রহরে প্রায় সব রোগীই ঘুমিয়ে পড়েছে। হাঁটতে হাঁটতে মুনীর আবার এসে দাঁড়ায় তেইশ নাম্বার বেডের পাশে। এক বেডেই মা মেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। একটু আগে কী কষ্টই না পাচ্ছিলো মা-টা। আর বাচ্চাটার মুখে ফুটে উঠেছিল কী সীমাহীন উৎকন্ঠা!
আজ বাইরের পূর্নিমা চাঁদ দেখা হয়নি মুনীরের। কিন্ত এই মুহূর্তে হাসপাতালের এই ওয়ার্ডে ঘুমন্ত রোগীদের মুখ যেন একেকটা চাঁদ হয়ে ধরা দেয় মুনীরের চোখে। ভরা পূর্ণিমার চাঁদের আলো এই প্রশান্তির কাছে ম্লান হয়ে যায়।

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬

ডিম কাব্য!

বেশ আছি রাজহাঁসের ডিমের মতন। 
বাহিরের এই শক্ত আবরণ 
ঢেকে রেখেছে আমার ভেতরের তরলতা। 
দুগ্ধ সাদার ভেতর 
হলুদ আর লালে রাঙা রঙিন হৃদয় ।
আদিকাল থেকে চলছে ভবের হাটে 
মানব মানবীর নিরন্তর বেচাকেনা। তবু 
আজও নিজেকে আমি করিনি বিক্রয়। 
কে জানে- 
কার হাতের ছোঁয়া একদিন 
ভেঙে দেবে আমার এই মিথ্যে খোলস ! 
কার উনুনে তপ্ত হয়ে একদিন আমি 
ঠিকঠিক হয়ে যাবো সুস্বাদু অমলেট! 
কে জানে কার মুখের মায়ায় 
মিশে যাবে- 
সাদা আর লালে মাখা
আমার হৃদয় ।

রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৬

প্রাকটিজিং মুসলিম???

মুসলমানদের মধ্যে এমনিতেই বিভেদের শেষ নাই। এই মাযহাব সেই মাযহাব সালাফী ওহাবী পীর পন্থি মাজার পন্থি এই পন্থি সেই পন্থি আরো কত কী! এর মধ্যে আবার কিছু লোক একটা নতুন টার্ম নিয়ে এসেছে। তারা মুসলমানদের নতুন করে দুই ভাগে ভাগ করেছে- প্রাক্টিসিং মুসলিম এবং নন প্রাক্টিসিং মুসলিম !!
মানে হইলো- যার দাড়ি আছে বা যে মহিলা নিকাব পড়ে সে হইলো গিয়া প্রাক্টিসিং মুসলিম আর যার দাড়ি নাই সে হইলো গিয়া নন প্রাক্টিসিং মুসলিম!!!
মুসলিমদের অবশ্যই ইসলামের বিধিবিধান মেনে চলা উচিৎ। যারা মানেন না তাদেরকে মানার ব্যাপারে উৎসাহ দেয়া ও সহযোগিতা করা উচিৎ। কিন্তু এইসব প্রাক্টিসিং নন প্রাক্টিসিং টার্ম ব্যবহার চরম বেকুবি ছাড়া আর কিছু না। যারা এইসব টার্ম ব্যবহার করে, আমার মনে হয় তারা ভেতরে ভেতরে নিজেদের বুজুর্গী নিয়া অহংকার বোধ করেন। অন্যদেরকে নিজেদের তুলনায় খানিকটা ইনিফেরিওর ভাবেন।
ভাইবইনগন, আল্লাহর কাছে কোন বুজুর্গের অবস্থা কী হবে তা আল্লাহই ভালো জানেন। দুনিয়ায় বুজুর্গীর অহংকার দেখাইয়েন না।

শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৬

অপরাধ দমনে নাগরিক ভূমিকা

সিলেটের ঘটনায় যে মেয়েটা ভিডিও করেছে, তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। এর বেশি কিছু করা ঐসময় তার পক্ষে মোটেও সম্ভব ছিলনা। সুতরাং সে যা করেছে একদম ঠিক কাজটাই করেছে। ভিডিও দেখে আমার মনে হয়েছে, অন্য কেউ এগিয়ে গেলেও সেসময় খুব বেশি কিছু করতে পারতো না। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বদরুল খুব বেশি সময় নেয় নাই নার্গিসকে কোপানোর জন্য। সে পুরোপুরি উন্মাদ ছিল। মনে হয়, এইরকম প্রকাশ্যে কোপানোর ফলে তার নিজের পরিণতিও যে খারাপ হবে, এটা জেনেবুঝেই সে কোপাতে এসেছিল।
ধারালো অস্ত্রের মুখে নিজের বাপ-মা ভাইবোন ছাড়া অন্য কেউ খালি হাতে এগিয়ে যাবে, এই নষ্ট সময়ের নষ্ট সমাজে আপনি আমি কেউই তা আশা করতে পারিনা। আপনি নিজেও হয়তো কারো সাহায্যের জন্য হুট করে এমন ধারালো অস্ত্রের সামনে গিয়ে দাঁড়াবেন না।
পরে কিন্তু ঠিকই বদরুলকে ধরে গনপিটুনি দিয়েছে। এরকম সময়ে এমন একটা অতর্কিত নৃশংস হামলার মোকাবেলায় মানসিক ও শারিরীক প্রস্তুতির জন্য উপস্থিত লোকজনকে ওটুকু সময় দিতেই হবে।
কেউ পানিতে ডুবে যাচ্ছে, অথবা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছে এমন সময় ভিডিও করার সুযোগ নেই, কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কিন্ত অপরাধমূলক কোন ঘটনা সংঘটিত হতে দেখলে সুযোগ থাকলে অবশ্যই ভিডিও করতে হবে। সবাই ভিডিও করবে তা নয়, কিন্তু কাউকে না কাউকে ভিডিও বা অডিও নিতে হবে। নিজে হেল্প করতে গেলেও অন্য কাউকে ভিডিও নিতে বলে যাওয়া দরকার। অতি রাজনৈতিক বিভাজন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসন আর চরম মিথ্যাচারী বায়াসড মিডিয়ার এই যুগে ভিডিওর মত অকাট্য প্রমাণ অত্যন্ত জরুরী। এপর্যন্ত বেশ কিছু ঘটনায় শুধুমাত্র ভিডিও থাকার কারণে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। ভিডিও না থাকলে তা কতটুকু সম্ভব হত জানিনা।
দীর্ঘদিন পরিকল্পনা নিয়ে যখন কেউ অপরাধ করতে আসে, তখন তাকে প্রতিরোধ করা যায় না। এটা সহজ না। কিন্তু ডকুমেন্ট রাখতে পারলে তাকে খুঁজে বের করা যায়। শাস্তি দেয়া যায়। অপরাধীদের জন্য এটা কম ভয়ের বিষয় নয়।

বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৬

বিস্মৃত কাব্য!

এইযে শুন্য খাতা পড়ে আছে টেবিলের একপাশে,
ল্যাপটপের ভেতর
এমএস ওয়ার্ডের নতুন একটা ফাইল
বহুদিন ধরে একদম ফাঁকা হয়ে আছে-
লিখবার মানুষটা লিখছে না কিছু আর
গহন হৃদয়ের কথা, কোন ব্যথা, কোন অনুভূতি তার-
আসছেনা অক্ষরের রুপ নিয়ে কাব্যভূক চোখের ভেতর
জানেন, কেন হারায় এইভাবে মানুষের পাললিক অন্তর?
তবে কি সকলেই গেয়ে যাবো
নষ্ট এ সময়ের গান?
ব্যস্ততা মানে কি এইভাবে
ভুলে থাকা হৃদয়ের টান?

রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৬

শরত কামনা

শরতের এইসব পড়ন্ত বিকেলে
মন চায়-
একটা কাশবনের ভেতর দিয়ে অবিরাম হেঁটে হেঁটে
চলে যাই অজানা গন্তব্যে
অজানা প্রান্তরে।
কেউ পাশে থাকতেই হবে, এমনটা জরুরী নয়।
মোটেও জরুরী নয়
মুঠোর ভেতর অন্য কারো হাত।
আমি জানি-
কাশবনের অদ্ভুত শুভ্রতা,
আর গোধূলীর সোনারঙ আলো
আমাকে নিয়ে যাবে ওবেলায় ফেলে আসা ফেরারী শৈশবে,
আমাকে দিয়ে যাবে অবর্ণনীয় এক
অলৌকিক অনুভূতি।
এনে দেবে পৃথিবীর মাটিতেই
অপার্থিব সুখ!