এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

পুলিশিং মানেই বন্দুক দেখানো নয়

গেন্ডারিয়ায় মসজিদ থেকে জোরজবরদস্তি করে মুসল্লিদের বের করে দেয়ার ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বরখাস্ত করে শাস্তির আওতায় আনা উচিত। তাদের শেখানো উচিত, পুলিশিং মানেই বন্দুক দেখানো নয়।

গেন্ডারিয়ার সমস্যা ছিল একটা সামাজিক সমস্যা, পুলিশি সমস্যা নয়। যদি ঐ জমি নিয়ে সত্যিই কোন বিরোধ বা প্রশ্ন থেকে থাকে, যদি কেউ মসজিদ নিয়ে অভিযোগ করেও থাকে তার মানে এই নয় যে বন্দুক দেখিয়ে মুসল্লিদের বের করে দিতে হবে। বরং এ নিয়ে আলাপ আলোচনা হতে পারত। এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি, সরকারী প্রতিনিধি সবাইকে নিয়ে বৈঠক করে সংলাপের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু সমাধান বের করা যেত।
তা না করে এই সমস্যাকে একটা ফৌজদারি রুপ দেয়া হলো। সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা হলো। এর দায় অবশ্যই পুলিশকেই নিতে হবে। 


পুলিশের উগ্রমূর্তি দেখে মনে হয় তারা নিজেদের সকল দন্ডমুন্ডের কর্তা ভেবে বসে আছে। তারা সমাজের অন্য সকল সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তিকে অস্বীকার করছে। সব কিছুকে যেন তারা বন্দুকের মাধ্যমে সমাধান করতে চায়। 


সরকারের উচিত হবে ঐ ঘটনায় জড়িতদের বরখাস্ত করে শাস্তির আওতায় আনা। এই উল্লুকদের হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে তাদের বুঝিয়ে দেয়া উচিত, বন্দুক জনগনের টাকায় কেনা। আর পুলিশিং মানেই বন্দুক দেখানো নয়।

এই সময়

তোমরা আমায় হতাশাবাদী বলতেই পারো। যাই বলো-
আজ আমি তোমাদের আশার বানী শোনাতে পারবো না।
এখন আমি আর অপটিমিস্টিক নই।
আমার দৃষ্টিশক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারো। যাই বলো,
এই জমিনে আমি আর আশার আলো দেখি না।

আগে যে স্বপ্নের কথা বলতাম?
সে তো পুরনো কথা। এখন কী নিয়ে কাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবো?
প্রতিদিন খালে বিলে পড়ে থাকে তরুণ যুবাদের লাশ,
উৎপাটিত স্বপ্নীল চোখ। এখানে এখন গুলির শিকার গর্ভের শিশুরাও।
যেখানে শুকনো পাতার মত ঝরে যায় মানুষের প্রাণ-
সেই জনপদে কী আশা, 

কী স্বপ্নের কথা আমি বলতে পারি?
#এই_সময়

মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬

যখন সত্যিই সব ফুরিয়ে যাবে

আরে বলিস কি? এতদিন হয়ে গেছে! মনে হয় এইতো সেদিনের কথা! ও নো! টাইম ইউ ওল্ড জিপসি ম্যান!

এভাবেই সময় চলে যায়। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের মনে হয়- সময়টা কত দীর্ঘ! কোথাও বসে ঘড়িতে দুঘন্টা পেরোলেই মনে হয়- কতক্ষণ হয়ে গেলো! কষ্টে থাকলে মনে হয়- আহ! কতকাল ধরে কষ্টে আছি! অথচ কোনকিছুই থেমে থাকেনা। একসময় কষ্টের দিন ফুরিয়ে যায়, একসময় সুখের দিনও ফুরিয়ে যায়। তারপর সবকিছুকে মনে হয়- এইতো সেদিনের কথা! ক'বছর আগে যাকে হামাগুড়ি দিতে দেখেছি, হঠাৎ তাকে কলেজের ব্যাগ হাতে দেখে আমরাই আশ্চর্য হই। একি! তুই এত বড় হয়ে গেছিস!

কিন্তু আমরা নিজেদের পরিবর্তনটা খেয়াল করিনা। আমাদের বয়স বাড়ছে, আর সেইসাথে কমে যাচ্ছে হায়াত। ফুরিয়ে আসছে এই পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াবার দিন। তারপর যখন সত্যিই সব ফুরিয়ে যাবে, জীবনের শেষ দিনে কিংবা আখেরাতে যখন আমাদের জিজ্ঞেস করা হবে দুনিয়ায় কতক্ষণ ছিলাম, আমরা বলবোঃ মাত্র একটা দিন ছিলাম পৃথিবীর জীবনে... এক দিনের বেশি কোনভাবেই নয়....

মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬

কর্পোরেট ইফতার মাহফিলে কোন তৃপ্তি নেই

পেশা বা সামাজিকতার প্রয়োজনে এখন মাঝে মাঝে হোটেলে ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হয় বা অংশ নিতে হয়। কিন্তু বড় বড় হোটেলে বসে এইসব কর্পোরেট ইফতার মাহফিলে আদতে কোন তৃপ্তি নেই। এর চেয়ে গ্রামের মসজিদে ছোলা মুড়ির ইফতার মাহফিল, হুজুরের সুরেলা কন্ঠের ওয়াজ, সমবেত দরুদ পাঠেই যেন আছে অন্তরের যোগ। হৃদয় শীতলকারী উপাদান।

এইসব খরুচে ইফতার পার্টি না করে বরং এই রমজান এবং ঈদে সত্যিকার গরীবের জন্য কিছু করা দরকার। পথশিশু, ছিন্নমূল শিশুদের কাপড় কিনে দেয়া যেতে পারে । তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

সামর্থ থাকলে কারো শিক্ষার দায়িত্ব নিন। কারো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিন। নিজের জন্য বরাদ্দ থেকে কিছুটা ব্যয় করুন গরীবের জন্য। 

ঈদে নিজের জামা জুতো কেনায় হয়তো অনেক খরচ করার প্ল্যান আছে। দুএকটা জামা কি দুঃস্থ কোন শিশুকে কিনে দেয়া যায় না? নিজের নতুন জামায় শরীরে আরাম হয়, অন্তরে তৃপ্তি কতটুকু? অন্যের গায়ে আপনার দেয়া নতুন জামা দেখে যতটা আনন্দ ও তৃপ্তি পাবেন, তা আর কোথাও পাবেন না।

সোমবার, ২০ জুন, ২০১৬

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। এইটা একটা খুবই পাওয়ারফুল দোয়া, খুবই শক্তিশালী রিমাইন্ডার। যখন কেউ মারা যান বা যখন কোন কিছু হারিয়ে যায় অথবা অন্য কোন ক্ষতি বা বিপদ হয় তখন এই দোয়া পড়তে হয়। এর অর্থ হচ্ছে- আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি আর তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।

এইটার অভ্যন্তুরীণ অর্থটা যদি কেউ বুঝে ফেলে তাহলে কোন কিছু হারিয়ে, কোথাও কিছু না পেয়ে বা কোথাও ঠকে গিয়ে, কোন বিপদেই সে খুব বেশি হতাশ হবে না। কারণ, এই বাক্যটা স্মরণ করিয়ে দেয়- প্রকৃতপক্ষে সবকিছুই তো আল্লাহর। যেখানে আমার নিজেকেই আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে, আমি নিজেই যখন যেকোন মুহূর্তে নাই হয়ে যেতে পারি, সেখানে এইসব আপাত ক্ষতি কী আর এমন ক্ষতি! নিশ্চয় এটা আল্লাহর ফয়সালা, আর আল্লাহর ফয়সালাই হলো সর্বোত্তম। 

এভাবে এই ছোট্ট দোয়াটি আমাদের ভেতরটাকে চরম হতাশা, দুঃখ আর ক্ষোভ, ক্রোধ থেকে রক্ষা করতে পারে, যদি আমরা এটার অর্থ বুঝে সময়মত স্মরণ করতে পারি।



-[সুরা বাকারার ১৫৫-৫৭ আয়াতে বলা হয়েছে, মানুষকে ভয়, ক্ষুধা, প্রাণ ও সম্পদের ক্ষতির মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে। যারা ধৈর্যধারণ করবে এবং এই কথা (ইন্নালিল্লাহি...) বলবে/স্মরণ করবে, তাদের ওপর আল্লাহর অশেষ রহমত বর্ষিত হবে।]

শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬

চোখ

ছোট্ট শহরের এই নির্জন পথে
অর্ধ চাঁদের আলোয় হাঁটতে হাঁটতে
মায়া জন্মে যায় জীবনের প্রতি,
পৃথিবীর প্রতি।
আর এই দুটি চোখ- বড় অদ্ভুত,
অদ্ভুত সুন্দর মনে হয়!
মনে হয়,
শুধু দুটি চোখেরই কৃতজ্ঞতায়
স্রষ্টার পানে-
আজীবন সিজদায় পড়ে থাকা যায় ।
#চোখ

রবিবার, ১২ জুন, ২০১৬

কোমর সোজা করুন !

নামাজের খুশু খুজু নিয়া বলার কিছু নাই। এইটা যার যার ব্যাপার। কিন্তু একটা বেসিক বিষয় না বললে আর চলছে না। নামাজে অনেককেই দেখি ঠিকমত রুকু সিজদা করেন না। মানে রুকুতে যান ঠিকই, কিন্তু সিজদায় যাবার আগে ঠিক সোজা হয়ে দাঁড়ান না। আবার সিজদা করেন ঠিকই, কিন্তু দুই সিজদার মাঝে সোজা হয়ে বসেন না।
নামাজের কিছু ফরয এবং ওয়াজিব আছে। এগুলো মিস করলে নামাজ হয় না। ওয়াজিব ভুল হলে সিজদায়ে সাহু করতে হয়। রুকুর পর সোজা হয়ে দাঁড়ানো এবং দুই সিজদার মাঝে সোজা হয়ে বসা, রুকু বা সিজদার সমান সময় স্থির হওয়া (মিনিমাম তিন তাসবিহ পরিমাণ সময়) ওয়াজিব।
যারা রুকু সিজদার পর কোমর সোজা করেন না, দয়া করে কোমর সোজা করুন। মাথা উঁচু করে দাঁড়ান। আপনি মেরুদণ্ড সোজা না করলে কিন্তু আপনার নামাজেরও কোমর সোজা থাকছে না। অর্থাৎ নামাজ শুদ্ধ হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

ডাক্তারের ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে !

দৃশ্যপট-১ঃ
মোবাইলটা ক'দিন ধরেই 'ঝামেলা' করছে হাফিজ সাহেবের। ঠিকমত কথা শোনা যায় না। কেমন ঘরর ঘরর করে। নাহ! এইভাবে আর চলে না। মোবাইল নিয়ে তিনি গেলেন মেকানিকের কাছে। মেকানিক মোবাইলটা হাতে নিয়ে বললোঃ কী সমস্যা?
-ঠিকমত শোনা যায় না। ঘড়ঘড় ঘড়ঘড় করে।
-পনেরশ টাকা লাগবে।
-অত ক্যান? ৫০০ রাখেন।
-তাইলে নিয়া যান।
-আচ্ছা ঠিকাছে, এক হাজার রাইখেন!

মিনিট দশেক পরে এক হাজার টাকা দিয়ে হাসিমুখে মোবাইল হাতে নিয়ে ফিরছিলেন হাফিজ সাহেব। পঞ্চাশ হাজার টাকা দামের মোবাইল তার। এক হাজার টাকায় আবার ঠিকঠাক হয়ে গেল, মন্দ কী?

দৃশ্যপট-২ঃ
কী অদ্ভুত সমস্যা হয়ে গেল, মেজাজটা তিরিক্ষি হয়ে ওঠে হাফিজ সাহেবের। গতকাল থেকে কানের ভেতর ভোঁ ভোঁ করছে। মাথাটাও মনে হয় সিলিং ফ্যানের মত ঘুরছে। নিজে নিজে ডাক্তারি করে পাড়ার ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খেয়েছেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। ডাক্তারের কাছে না গিয়ে বোধহয় আর থাকা যাচ্ছে না।

অবশেষে তিনি গেলেন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ শাহরিয়ারের কাছে। ডাক্তার তাকে বেশ কিছুক্ষণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন। তারপর সমস্যাটা বুঝিয়ে দিয়ে ওষুধ ও পরামর্শ দিলেন। হাফিজ সাহেবকে এ যাত্রায় ডাক্তারের কন্সালটেন্সি ফি হিসেবে পাঁচশ টাকা গুনতে হলো।
একে তো কান ভোঁ ভোঁ আর মাথা শো শো করছে, তার ওপর নগদ পাঁচশ টাকা খসলো! চেম্বার থেকে বের হয়ে হাফিজ সাহেব বলেই ফেললেনঃ কসাই একটা। পাঁচ-দশ মিনিট কথা বইলাই পাঁচশ টাকা রাইখা দিল। এরা জনগনকে জিম্মি কইরা টাকা নিতাছে। আইন কইরা ডাক্তারের ফি দেড়শ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া উচিৎ!
দৃশ্যপট-৩ঃ 'আইন করে ডাক্তারের ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে'
-সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

শুক্রবার, ৩ জুন, ২০১৬

হাসপাতালে এলে "মান" চলে যাবে !

বাংলাদেশে একধরনের উন্নাসিক জনগোষ্ঠী সৃষ্টি হয়েছে, যারা মনে করে হাসপাতালে এলে তাদের "মান" চলে যাবে। এরা মনে করে বাসায় ডাক্তার ডেকে চিকিৎসা নেয়া হলো "আভিজাত্য"! অদ্ভুত মানিসকতা! এরা বাংলাদেশে থাকে, খায়, তাতে মান যায় না। কিন্তু দেশের সরকারী হাসপাতালে গেলে তাদের আর কিছু থাকে না, সব যেন ধুলায় মিশে যায়!
নিকট অতীতে এরকম অনেক ঘটনায় সরকারী চিকিৎসকেরা শারীরিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েকটি ক্ষেত্রে ঘটনা ছিল এমনঃ চিকিৎসক যখন সরকারি হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তখন তাদেরকে ডেকে পাঠায় স্থানীয় সরকারদলীয় নেতা। বউ অসুস্থ!!! অতএব, হাসপাতালের এমার্জেন্সি ছেড়ে, জনগনকে অরক্ষিত রেখে বাসায় যেতে হবে নেতার বউকে চিকিৎসা দিতে ! অদ্ভুত দাবি! রোগীকে হাসপাতালে আনতে বলায় ডাক্তারের হয়ে যায় ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ! অত:পর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে হাসপাতাল আক্রমণ! 

আরেক দিন ঘটলো আরো অদ্ভুত ঘটনা! রোগী নাকি একজন বিচারক। রাতে তার খারাপ বোধ হলে তিনি হাসপাতালে না গিয়ে বাসায় ডেকে পাঠালেন এমার্জেন্সির ডাক্তারকে। বেচারা ডাক্তার সিভিল সার্জনের নির্দেশে গেলেনও। তারপর অবস্থার প্রয়োজনে বিচারক মহোদয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। কিন্তু উপজেলার সরকারি হাসপাতালে তো এসি কেবিন নাই। অত:পর যা ঘটার তাই ঘটলো। ডাক্তার ও ব্রাদার-নার্সের ওপর আক্রমণ!

ভাবা যায়? কীরকম অদ্ভুত অরক্ষিত পরিবেশে কাজ করেন বাংলাদেশের ডাক্তাররা!! রাষ্ট্র কিন্তু এই অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করে নি। বরং রাষ্ট্র ধান্দায় আছে, আরো কী কী নতুন উপায়ে ডাক্তারদের নাজেহাল করা যায়।

বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১৬

আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পঃ বাংলাদেশের "মরণফাঁদ

আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প। ভারতের নতুন মেগা প্রজেক্ট। ভারত ও বাংলাদেশের যে অভিন্ন নদীগুলো আছে, সেগুলোর উজানে বাঁধ দিয়ে ভারত সেই পানি সরিয়ে নেবে ভারতেরই অন্য জায়গায়।
বাংলাদেশের জন্য এইটা হলো "মরণ কামড়"। ফারাক্কা আর গজলডোবা বাঁধের কারণে এমনিতেই পদ্মা এবং তিস্তা এখন ধু ধু বালুচর। ইতোমধ্যেই মরে গেছে অনেক শাখা নদী। তিস্তা পদ্মাও এখন মৃতপ্রায়।
তার ওপর যদি এই আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে একেবারেই পানিশুন্য হয়ে যাবে ।
নদীগুলো মরে যাবে। পানি থাকবে না, মাছ থাকবে না। নাব্যতার অভাবে ভেঙে পড়বে জলপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

আরো নিচে নেমে যাবে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। ক্রমান্বয়ে মরুভূমি হয়ে যাবে দেশ।
পলিমাটির অভাবে কমে যাবে আমাদের মাটির উর্বরতা। সেচের পানির অভাবে খাদ্য উৎপাদনে পিছিয়ে পড়বো আমরা। এভাবে একসময় দুর্ভিক্ষের শিকার হয়ে বেঘোরে মারা পড়বে বাংলার মানুষ।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভারত এভাবে উজানে বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করতে পারে না। ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তারা, অথচ আমাদের সরকার এখনো নির্বিকার। নির্বিকার আমাদের জনগনও।
বাঙালি ভাই বেরাদর, সময় থাকতে জেগে ওঠ। নইলে কারবালার কাহিনীর মত পানির অভাবে মরার জন্য প্রস্তুত হও।