ডাক্তারদের চামড়া , তুলে নেবো আমরা !
এইটা হলো হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের শ্লোগান । সরকারী হাসপাতালে ডাক্তার ও কর্মচারীদের বিরোধটা ইদানীং বেশ ভালোভাবেই দেখা যাচ্ছে । সম্প্রতি সলিমুল্লাহ মেডিকেল এবং ময়মনসিং মেডিকেলে পাল্টাপাল্টি ধর্মঘট পর্যন্ত হয়েছে । অন্যান্য মেডিকেলের অবস্থাও কাছাকাছি ।
ডাক্তারদের সাথে কর্মচারীদের বিরোধটা কোথায় ? ‘টাকায়’ । সরকারী হাসপাতালে ভর্তি বাবদ ১৫ টাকা আর কিছু জরুরী ঔষধ কেনা ছাড়া তেমন কোন খরচ হবার কথা না রোগীর । কিন্তু তৃতীয়- চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের কারণে সেই খরচ বাড়ে অনেক । প্রতি পদে পদে এরা টাকা আদায় করে । হাসপাতালে ঢুকলেই টাকা । ট্রলিতে করে রোগী উঠাবে ১০০-২০০ টাকা । লিফটে উঠলে টাকা । টাকা দেন, আমি ডাক্তারকে বলে ভালো করে দেখাবো ! হাসপাতালের টেস্ট ভালো না, এই সেই নানারকম কথা বলে বাইরে টেস্ট করাতে পাঠায় । ছাড়পত্র দিতে টাকা , ডেথ সার্টিফিকেট দিতে টাকা । আরো নানান উপায়ে টাকা আদায় করে ।
অনেক সময় তারা ডাক্তারের নাম ভাঙ্গিয়েও টাকা নেয় । ‘বোঝেন না , এই টাকা থেকে স্যারকেও দিতে হবে । উনি ডাক্তার মানুষ, নিজ মুখে তো বলতে পারে না !’
বড় স্যাররা তো মহামানব হয়ে গেছেন , তাদের সময় নেই এগুলো দেখার । আর তাঁদের দায়িত্বও না হাসপাতালের এইসব দেখার । এগুলো দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের । (যারা জানেন না তাদের জন্য – ডাক্তার আর হাসপাতাল প্রশাসন আলাদা । ডাক্তাররা এর একটা পার্ট মাত্র ।)
কিন্তু ইন্টার্ণ ডাক্তাররা তো দুনিয়ার ভেলকিবাজি এখনো চেনে নাই, ওদের দিল-মন ফ্রেশ । তারা প্রতিবাদ করে । আর তখনই লাগে ঝামেলা ।
শুরু হয় শ্লোগান - ডাক্তারদের চামড়া , তুলে নেবো আমরা !
মাঝে মাঝে অবশ্য মনে হয় – ওদেরই বা কী দোষ দেয়া যায় ? স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বউয়ের সম্পদ যখন ৭৮২% বাড়ে- তা ওদেরও তো বউ আছে নাকি !
শুধু দুঃখ লাগে, সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার পরেও এইসব কারণে যখন অবুঝ জনগন দিনশেষে সব দায় ডাক্তারদের ওপর চাপিয়ে নচিকেতার কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে গেয়ে ওঠে –
‘সরকারী হাসপাতালের পরিবেশ, আসলে তো তোমরাই করেছ শেষ ......!’
(পাদটীকাঃ সবাই এরকম না )
এইটা হলো হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের শ্লোগান । সরকারী হাসপাতালে ডাক্তার ও কর্মচারীদের বিরোধটা ইদানীং বেশ ভালোভাবেই দেখা যাচ্ছে । সম্প্রতি সলিমুল্লাহ মেডিকেল এবং ময়মনসিং মেডিকেলে পাল্টাপাল্টি ধর্মঘট পর্যন্ত হয়েছে । অন্যান্য মেডিকেলের অবস্থাও কাছাকাছি ।
ডাক্তারদের সাথে কর্মচারীদের বিরোধটা কোথায় ? ‘টাকায়’ । সরকারী হাসপাতালে ভর্তি বাবদ ১৫ টাকা আর কিছু জরুরী ঔষধ কেনা ছাড়া তেমন কোন খরচ হবার কথা না রোগীর । কিন্তু তৃতীয়- চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের কারণে সেই খরচ বাড়ে অনেক । প্রতি পদে পদে এরা টাকা আদায় করে । হাসপাতালে ঢুকলেই টাকা । ট্রলিতে করে রোগী উঠাবে ১০০-২০০ টাকা । লিফটে উঠলে টাকা । টাকা দেন, আমি ডাক্তারকে বলে ভালো করে দেখাবো ! হাসপাতালের টেস্ট ভালো না, এই সেই নানারকম কথা বলে বাইরে টেস্ট করাতে পাঠায় । ছাড়পত্র দিতে টাকা , ডেথ সার্টিফিকেট দিতে টাকা । আরো নানান উপায়ে টাকা আদায় করে ।
অনেক সময় তারা ডাক্তারের নাম ভাঙ্গিয়েও টাকা নেয় । ‘বোঝেন না , এই টাকা থেকে স্যারকেও দিতে হবে । উনি ডাক্তার মানুষ, নিজ মুখে তো বলতে পারে না !’
বড় স্যাররা তো মহামানব হয়ে গেছেন , তাদের সময় নেই এগুলো দেখার । আর তাঁদের দায়িত্বও না হাসপাতালের এইসব দেখার । এগুলো দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের । (যারা জানেন না তাদের জন্য – ডাক্তার আর হাসপাতাল প্রশাসন আলাদা । ডাক্তাররা এর একটা পার্ট মাত্র ।)
কিন্তু ইন্টার্ণ ডাক্তাররা তো দুনিয়ার ভেলকিবাজি এখনো চেনে নাই, ওদের দিল-মন ফ্রেশ । তারা প্রতিবাদ করে । আর তখনই লাগে ঝামেলা ।
শুরু হয় শ্লোগান - ডাক্তারদের চামড়া , তুলে নেবো আমরা !
মাঝে মাঝে অবশ্য মনে হয় – ওদেরই বা কী দোষ দেয়া যায় ? স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বউয়ের সম্পদ যখন ৭৮২% বাড়ে- তা ওদেরও তো বউ আছে নাকি !
শুধু দুঃখ লাগে, সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার পরেও এইসব কারণে যখন অবুঝ জনগন দিনশেষে সব দায় ডাক্তারদের ওপর চাপিয়ে নচিকেতার কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে গেয়ে ওঠে –
‘সরকারী হাসপাতালের পরিবেশ, আসলে তো তোমরাই করেছ শেষ ......!’
(পাদটীকাঃ সবাই এরকম না )