রফিক সাহেব বিরোধী দলের কর্মী। তিনি বহুদিন ধরে বাড়িতে ঘুমান না। মাঝে
মাঝে এসে বাচ্চাদের দেখে যান। সবসময় মনে ভয়, যেকোন সময় গুম করে দেয়া হবে
তাকে। হয়তো কোন এক সকালে লাশ পড়ে থাকবে কোন এক ডোবার ধারে।
২/ নূরুদ্দিন সরকারি দলের যুববাহিনীর পাতিনেতা। নানামহলে যোগাযোগ আছে। নিজস্ব একটা গ্রুপ মেইনটেইন করেন। তবু সবসময় মনে ভয়, অন্য গ্রুপের কে কখন গুলি করে দেবে! এমনকি নিজের গ্রুপের কেউও যে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।
৩/ ফজলুর রেহমান একজন নাস্তিক। আল্লাহ-ভগবান-ঈশ্বরে তার বিশ্বাস নেই। তিনি মাঝে মাঝে ফেসবুক-ব্লগে নিজের মতামত প্রকাশ করেন। এখন তার ভয়ে ঘুম হয় না। কোথাও হাটতে বের হলে চারিদিকে চোখ রাখেন। কে জানে, কখন যেন ঘাড়ে চাপাতির কোপ এসে পড়ে!
৪/ মাওলানা শফিকুল ইসলাম মসজিদের ইমাম। তিনি স্পষ্ট ভাষায় সমাজের অন্যায় অনাচারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। জনগনকে নিয়ে অনৈতিক আয়োজনের বিরোধিতা করেন। কিন্তু এখন তারও ভয় হয়। সবসময় মনে হয়, কখন যেন সন্ত্রাসীদের গুলি এসে বুকে বিঁধবে। সবচেয়ে বেশি ভয় সাদা পোশাকধারী সরকারের বাহিনীর লোকদেরকে।
৫/ শ্রী অরুন চন্দ্র মন্দিরের পুরোহিত। এতটা কাল নিশ্চিন্তে ধর্মকর্ম করেছেন। কিন্তু আজকাল মনে ভয় ঢুকে গেছে। কার রাজনীতির বলি হতে হয় তার ঠিক নেই। দেশে যেভাবে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, কে যে কখন মন্দিরে হামলে পড়ে কে জানে!
২/ নূরুদ্দিন সরকারি দলের যুববাহিনীর পাতিনেতা। নানামহলে যোগাযোগ আছে। নিজস্ব একটা গ্রুপ মেইনটেইন করেন। তবু সবসময় মনে ভয়, অন্য গ্রুপের কে কখন গুলি করে দেবে! এমনকি নিজের গ্রুপের কেউও যে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।
৩/ ফজলুর রেহমান একজন নাস্তিক। আল্লাহ-ভগবান-ঈশ্বরে তার বিশ্বাস নেই। তিনি মাঝে মাঝে ফেসবুক-ব্লগে নিজের মতামত প্রকাশ করেন। এখন তার ভয়ে ঘুম হয় না। কোথাও হাটতে বের হলে চারিদিকে চোখ রাখেন। কে জানে, কখন যেন ঘাড়ে চাপাতির কোপ এসে পড়ে!
৪/ মাওলানা শফিকুল ইসলাম মসজিদের ইমাম। তিনি স্পষ্ট ভাষায় সমাজের অন্যায় অনাচারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। জনগনকে নিয়ে অনৈতিক আয়োজনের বিরোধিতা করেন। কিন্তু এখন তারও ভয় হয়। সবসময় মনে হয়, কখন যেন সন্ত্রাসীদের গুলি এসে বুকে বিঁধবে। সবচেয়ে বেশি ভয় সাদা পোশাকধারী সরকারের বাহিনীর লোকদেরকে।
৫/ শ্রী অরুন চন্দ্র মন্দিরের পুরোহিত। এতটা কাল নিশ্চিন্তে ধর্মকর্ম করেছেন। কিন্তু আজকাল মনে ভয় ঢুকে গেছে। কার রাজনীতির বলি হতে হয় তার ঠিক নেই। দেশে যেভাবে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, কে যে কখন মন্দিরে হামলে পড়ে কে জানে!
কেউ ভালো নেই। আস্তিক নাস্তিক মাওলানা পুরোহিত পাদ্রী রাজনৈতিক কর্মী সবাই
ভীত। সবার দিন কাটে উদ্বেগ উৎকন্ঠায়। বাংলার মানুষের জীবনে এখন সবচেয়ে বড়
বাস্তবতা হলো 'ভয়'।
জোরজবরদস্তি, স্বৈরাচারী আর বিভক্তির রাজনীতি দেশকে আজ এক অদ্ভুত শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় নিয়ে এসেছে।
জোরজবরদস্তি, স্বৈরাচারী আর বিভক্তির রাজনীতি দেশকে আজ এক অদ্ভুত শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় নিয়ে এসেছে।