এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১০

ব্যবধান


ঘোরলাগা বর্ষায় তুমি যখন উড়ছ রোমান্টিক হাওয়ায়
আমার দেয়ালে ক্লান্ত টিকটিকি ঘুমায় নিশ্চিন্তে
কেউবা তখনো হাটে উল্লম্ব দেয়ালে খাদ্যের খোঁজে।

উত্তর পশ্চিম কোণে জালে বসে ডিমে তা দেয় মা মাকড়সা
পরম মাতৃত্বে । পুবের ডোবায় ব্যাঙেরা ডাকে সারাক্ষণ
আদিম জৈবিক আকাঙ্খায় । তোমারও মনের গহীন কোণে
হয়তোবা ডাকে কোন ব্যাঙ। ভিন্ন কোন অস্তিত্বের চাওয়ায় !

অবাধ্য বৃষ্টির ছাট ভেজায় তোমার সাজানো ব্যালকনি
গ্রীলের ফাঁক দিয়ে বাড়িয়ে দেয়া রোমাঞ্চিত হাত
টিপয়ে পড়ে থাকে ঠান্ডা কফির মগ। পাশের বস্তিতে
অনুকুল চন্দ্রের ছাপড়া ঘরেও তখন ঝরে বৃষ্টি
আকাশ থেকে, দুচোখ থেকে।

নষ্ট হয়েছে পুরনো টিন ফুটোয় ভরা ছাদ
দুদিন ধরে নেই কোন কাজ, রান্না হয়নি ভাত।
বেখবর তুমি ! জানালা খুলে সোফায় শূয়ে
বৃষ্টির রোমাঞ্চে শুনছো শ্রীকান্তের গান, পরম স্বস্তিতে !



 বৃহস্পতিবার, এপ্রিল 29, 2010

বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১০

এসেছে ফিরে বুড়ো বাকশাল

পড়েছে এই দেশটা আবার
বাকশালেরই খপ্পড়ে
উন্নয়নের প্রদীপ যে তাই
যাচ্ছে নিভে দপ করে !

ওল্টালে পত্রিকার পাতা
বুকটা ওঠে ধপ করে
ফলের মত মানুষ গুলোর
যাচ্ছে জীবন টপ করে !

টাকা পয়সার গন্ধ পেলেই
পড়ছে বসে থপ করে
সত্যি সবই চোখের দেখা
বলছি যে হ-লপ করে ।

টেন্ডারগুলো আলুর মত
ভর্তা ভাজি চপ করে
অস্ত্র দিয়ে সব হটিয়ে
খাচ্ছে গিলে গপ করে !

করছে বন্ধ যখন তখন
টিভি-পেপার ঝপ করে
আসছে ফিরে বুড়ো বাকশাল
পাকা চুল ক-লপ করে !

বিরোধী দলের মামলার স্তুপ
বাড়ছে যে বে-ঢপ করে
জনগনের নাভিশ্বাস আজ
উঠছে যেন ভপ করে !

ত্রাহি ত্রাহি দেশের মানুষ
আল্লাহ রসুল জপ করে
সময় এলেই বাকশালীদের
ধরবে টুটি ঘপ করে !


 বুধবার, এপ্রিল 28, 2010

সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১০

পরজীবি


আর ভালো লাগে না মনুষ্য জীবন। ইচ্ছে করে বাঁচতে
পরজীবির মত। শুষে নিতে জীবনরস অমানুষদের
মস্তিষ্ক থেকে । চাই নিষ্কলুষ জীবন ও সমাজ ।

ইচ্ছে করে বাঁচতে পরজীবির মত। শুষে নিতে
যতসব পাশবিকতা এই ধরায় । এখানে থাকবে
শুধু মানুষ। পরজীবি নয় ।

আর ভালো লাগে না তথাকথিত মনুষ্য জীবন। ইচ্ছে করে
বাঁচতে পরজীবির মত। প্রকৃত পরজীবি।



সোমবার, এপ্রিল 26, 2010

রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১০

গর্ভ

কোন মানুষ দেখেনি কখনো তার উৎপত্তিস্থল। জানে নাই কিছুই
ছিল যখন সে একটি শুভ্র শিশির বিন্দু । পৃথিবীর লৌকিকতায়
ভুলে যায় ফিরবার কথা। তবুও ফিরতে হয় অবেলায়
নিজের অজান্তে নতুন এক বৃহৎ গর্ভে।

গর্ভ থেকে গর্ভে । এটাই জীবনের শুরু ও সমাপ্তির গান ।




রবিবার, এপ্রিল 25, 2010

শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১০

আইটেম বিড়ম্বনা

1.
Shahosh kore darai jakhon,
Arup sir er shamne...
Bolen tini shomoy je nai,
Item nibo kamne?

Kamrul sir sujog peye,
Dilen amay dholai...
Ami vabi kamon kore,
Ekhan theke polai !

Dag poreni pharma card a,
Purota tai khali...
Hotovombo ishrat madam,
A tui ki dekhali !

Khojen amay sharoj sir a,
Chhecha dewar jonno...
Bondhura koy ore mumu,
Dhonno tumi dhonno !

Ekmatro forensic ei,
Ashar alo pai...
Habib sir thakle takhon,
Cardkhani pathai !

2.
Vaggo valo noito eka,
Aro ko'jon achhe...
Achhi shobai dourer upor,
Pichhiye pori pachhe !

2nd prof er khub beshidin,
Neito baki ar...
Sent up niye buker vitor,
Cholchhe je tolpar.

Item niye taito ekhon,
voy korina amra...
Gayer opor joriyechhi,
Gondareri chamra !

Porichiti(for my friends out of CMC):-1.Arup sir-Microbiology teacher
2.Kamrul sir-Pathology teacher
3.Ishrat madam-Pharmacology teacher
4.Sharoj sir-Head of community medicine
5.Habib sir-Forensic medicine teacher
6.Mumu-Mu. Muhsin Abdullah
7.Item-One kind of exam in medical college



শনিবার, এপ্রিল 24, 2010

শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১০

পাতিমন্ত্রী

১.
গায়ে কালো কোট আছে তার
মাথায় বিশাল টাক
সেথায় বিশেষ কিছু ঢালতে
চেষ্টায় থাকে কাক !
২.
বটতলার উকিল তাকে
বলেন যখন শওকতে
একের পর এক মামলা ঠুকেন
মানহানির মওকতে !
৩.
জামাত শিবির দমন তাহার
একমাত্র ধ্যান জ্ঞান
মাইক মিডিয়া সামনে পেলেই
করেন শুধু প্যানপ্যান ।
৪.
দূর্নীতি করিয়া কোর্টে
হারান পিপি পদ
এখন তিনি পাতিমন্ত্রী
কী বিপদ বিপদ !
৫.
আপনারা তো চেনেন তাকে
স্বরাষ্ট্র ‘প্রতিবন্ধি’(!)
ইবলিশের সাথে যাহার
আছে বিশেষ সন্ধি !
৬.
জানা ছিল সবই আগে
রেডি ছিল কপ্টার
উড়ে গেলেন রাজশাহীতে
ঘুরিয়ে দিলেন নবটার !
৭.
ধরেন শিবির সবখানেতে
খালে বিলে জঙ্গলে
দিনরাত্রি হাত কচলান
এই দেশেরই মঙ্গলে !
৮.
ইসলামের নাম শুনলে যে তার
গায়ে আসে জ্বর
লুসিফারে করছে শুনি
তাহার ওপর ভর !
৯.
বাবরের অবস্থা দেখে
শিক্ষা নিতে তারে কই
নইলে বাছা টেরটি পাবেন
ঘাড়ে হাড়ে হাড়ে সই !



শুক্রবার, এপ্রিল 23, 2010

বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১০

বোধোদয়

বেঘোরে পড়েছি মারা হাঁটতে গিয়ে ঘোরেল পথে
জাটকা ইলিশের মত পড়েছি আটকা অদৃশ্য ফাঁদে
শঠের মত ঢুকতে গিয়ে পরের মঠে। হাতে নাতে
পেয়েছি ফলাফল, ফাটিয়েছি গলাখানি চরম আর্তনাদে।

করেছিনু শুরু তাহা যাহা শিখিয়েছিলেন গুরু
প্রথম প্রথম বুকটা যেন কেঁপেছিল দুরুদুরু
অবশেষে হায় কী যে হলো সামান্য এক ভুলে
ঠ্যাং হাত আর পিঠের চামড়া উঠে গেলো সুদে-মূলে।

ভেবেছিনু ভাই সবাই বোকা আমিই শুধু চতুর
সেই ভুলেতেই ধনে মানে হয়ে গেনু ফতুর
কলমেরও মলম আছে বুঝিনু অবশেষে
ততক্ষণে পড়েছি মারা পিটুনিতে আর কেশে।




বৃহস্পতিবার, এপ্রিল 22, 2010

বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০১০

চেহারা খাতুন


সুন্দরী(?) এক মন্ত্রী আছেন
নূরানী(?) তার চেহারা
দেশটা যেন পালকি তাহার
র্যাব পুলিশ বেহারা ।

‘চিরুণী’ তার খুবই প্রিয়
চালান অভিযান
ধরেন তিনি সন্ত্রাসী না
বাচ্চা পোলাপান।

আতঙ্কে আজ জনগনের
মুখটা যখন কালো
বলেন তিনি, পরিস্থিতি
সব থেকে আজ ভালো !

রাতের বেলা গাছের ডালে
প্যাঁচায় মুচকি হাসে
এমনতরো মন্ত্রী যেনো
বারে বারে আসে !



 বুধবার, এপ্রিল 21, 2010

মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০১০

ধোলাই

এ কোন দেশে আছি রে ভাই
দুর্দশা তো ঘোর
দেশের ক্ষমতায় বসেছে
এ কোন ডাইনোসর !

খুনীরা হয় বিচারপতি
সৎলোকে ওএসডি
শকুনীর খপ্পরে নাকাল
দুর্ভাগা এ দেশডি।

আবু বকর খুন হলে তা
কোন ব্যাপার না !
ফারুক মারা গেলে আহা
বুক ফাটে কার না !

পুলিশের আজ একটাই কাজ
জামাত শিবির ধরা
চোর ডাকাতে মুচকি হাসে
পকেট যে তার ভরা!

নাই বিদ্যুত নাইরে পানি
নাইরে চুলোয় গ্যাস
না খেয়ে তাই দিনে দিনে
কমছে পেটের ব্যাস!

আমরা হলাম আমজনতা
মোদের কথা কে ভাবে
ডাইনোসরে ধোলাই খাবে
চালায় যদি এ ভাবে ।



মঙ্গলবার, এপ্রিল 20, 2010

সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১০

ত্যাগ


অন্ধ বাদুড়ের মত বদ্ধ তোমার চেতনার দ্বার
আলোকের ভয়ে তাই লুকাও অন্ধকারের কৃষ্ণপর্দায়
হৃৎপিন্ডের গহ্বরে গড়েছ নৃশংস কীটের আঁধার
পাশবিকতার বিমূর্ত চিত্র তোমার চোখের আভায়।

প্রতিটি লোমকূপের গোড়ায় নৃত্য করে খলনায়কের আত্নারা
সত্যের নির্মম নিঃশ্বাস তোমার দম বন্ধ করে অজান্তে
তবুও ডাকে সুন্দরের পূজারীরা, দেয়নি তোমাকে বাদ তারা
অহরহ রক্ত ঢালে বাঁচাতে তোমায়,সত্যের পথে ফিরে আনতে।




সোমবার, এপ্রিল 19, 2010

রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১০

গরল

রোমান্টিকতার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করছে ধাতব সভ্যতা
মানুষগুলো হয়ে যাচ্ছে যন্ত্রমানব। লৌকিক ভব্যতা
কুড়ে কুড়ে খায় হৃদয়ের পাপড়ি। সময়ের শেকড় বেয়ে
উঠে আসে নৃশংস কীট। শুণ্য নিসর্গ পানে চেয়ে
ঝিম মেরে বসে থাকি আমি । একুশ বছর
বমন ক্রিয়ায় উগলে দিতে চাই অন্তরের গরল শহর ।



রবিবার, এপ্রিল 18, 2010

শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১০

অতল


ঘটনার পশ্চাতে ছিল এক ভিক্ষুকের উচ্চাকাঙ্খা
সে আকাঙ্খা কামনার। তিলে তিলে নি:শেষ হয়েছে সে
তৈলাক্ত কামনায়। অত:পর জীবন নদীতে ভেসে ওঠে ডুবোচর
আর ছিঁড়ে গিয়ে কামনার পাল মিশে গেল মোহনায়
ভয়ংকর অতলে ।

এই সেই ঘটনা , আর ঘটনার পশ্চাতের কারণ !




মঙ্গলবার, এপ্রিল 27, 2010

পথভ্রষ্ট

মাঠের পরে মাঠ পেরিয়ে যাই অবিশ্বাস্য অক্ষম আক্রোশে
অজানা গন্তব্য দূরে সরে যায় দূরত্বকে করে অস্বীকার
মাঠের শরীরে নদীর আগ্রাসী লম্পঝম্প, তবুও নির্বিকার
পথ চলি অবিরাম শম্বুক গতিতে। অতঃপর
পথের ওপর করি পদাঘাত চরম আদিম রোষে।

নদীর ঘোলাজলের অস্বচ্ছ আয়নায় দেখি নিজের বিদঘুটে ছবি
আমার পাপগুলো গলগল করে ঢালি সেথা আমারই আত্নায়
ইবলিশের আহ্বানে নিজেকে বিকোই মাগনা, অতীব সস্তায়
চোখ দুটো ঢেকে পথ চলি। অন্ধকারের টানে
পেছনে ফেলে লালিমায় রৌদ্রোজ্বল সত্য রবি।




 শনিবার, এপ্রিল 17, 2010

শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১০

চাকা


গরুর গাড়ির শুকনো চাকায় ধুলো ওড়ে জীবনের মত
প্রতিটি ঘূর্ণনে স্মৃতিময় মুহূর্তগুলি হয়ে যায় পিষ্ট
তবুও করে না আর্তনাদ- তবুও এগিয়ে চলে ধুলোক্লিষ্ট
পথের বুকে রেখে যায় আবরণহীন অগণিত ক্ষত ।

দুধারের ছোট ছোট তুঁতে গাছ করে ব্যর্থ চেষ্টা
ছায়া দিতে জীবনের চাকায় গরুর গাড়িতে
পাতার ফাঁকে মোলায়েম আলো কখনওবা গহীন নাড়ীতে
একাকার করে দেয় চাকা ও ধুলোর চিরন্তন তেষ্টা ।




 শুক্রবার, এপ্রিল 16, 2010

বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১০

পথের কথা


চিৎ হয়ে শুয়ে থাকে পিচঢালা রাজপথ
কায়া তার যেন এক শুকনো কালো নদী
জল নয়; বয়ে চলে অহরহ বহতা মানবস্রোত
ধাতবঘর্ষণ নিরবধি জাগায় শিহরণ তার
প্রতিটি লোমকূপের গভীর মোহনায় ।

ধেয়ে চলে অবিরাম দূর অজানায়
জানেনা তো শেষ তার শুরু যে কোথায়
কতযে জীবন কত বাঁক কত ইতিহাস
জড়ায়ে রয়েছে তার অন্তরঙ্গ পরিসীমার ধারে
প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ।

আর ক্ষীণকটিধারী ফুটপাত , প্রেয়সী তার
হাজারো শ্লথপায়ের প্রতিফলিত জীবনের গান ।




 বৃহস্পতিবার, এপ্রিল 15, 2010

বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১০

অভিশপ্ত


আঁধারের প্রান্ত হতে যতসব নাদান কবির পদধ্বনি
অর্বাচীন পাষন্ডদের বুকে দুরু দুরু সাহস যোগায়
তাদের অন্ধ চোখের বাইরে ঘুরপাক খায় অকল্পনীয় সত্য
আর আমাদের ভীরুতা আমাদের উত্তরসুরীদেরও ভোগায় !

ভঙ্গুর কাব্যের সম্মুখে স্রষ্টার কাব্য হাতে কাঁপে কাপুরুষের দল
বিদ্রুপের হাসি হাসে অভিশপ্ত অগ্নিকুন্ডের মুসাফির
আমাদেরও জানায় আহ্বান-সঙ্গী হতে । নত করি শির
অগ্নিকুন্ড পানে হাটি, সোৎসাহে বলি মোরা চল্ চল্ চল্ ।



বুধবার, এপ্রিল 14, 2010

মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১০

মায়া


বহুকাল পেরিয়ে গেছে পাথুরে শহরে
অনুভূতি হয়েছে ভোঁতা লুপ্তপ্রায় নিথর
শালিক দোয়েলের ওড়াউড়ি রৌদ্রছাঁয়া খেলা
হারিয়ে গেছে জীবনের পট থেকে যতই গড়িয়েছে বেলা।

তবুও এ ধূসর জীবন রয়না থেমে
নিপীড়নের কড়া রৌদ্রে অবিরাম হাঁটি ঘেমে
খুঁজে ফিরি কী এক শ্যামল স্নিগ্ধ ছাঁয়া
ধরণীর ধুলোয় মথিত জীবনের অকৃত্রিম মায়া ।





মঙ্গলবার, এপ্রিল 13, 2010

সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০১০

থুথু

তুই নাচ্ । তোর ওই মেদমত্ত শরীর নিয়ে। কারণ,
জীবনে কখনো নাচিসনি তুই ।
তুই খা। ডাস্টবিনের এই পঁচা খাবার
যা ফেলেছিলি না খাইয়ে মৃতপ্রায় মানুষকে।
চেটে নে তোর থুথু । যা নিক্ষেপ করেছিলি
কালো নোংরা টোকাইয়ের গায়ে।
আজ হাতে নে এই ভিক্ষার ঝুলি। কলমের খোঁচায়
যা লিখেছিলি তুই আমার জন্যে।
আজ তোকে পড়তেই হবে এই নোংরা ছেড়া কাঁথা
গাড়ির জানালায় একদিন যা দেখে তুই
কুঁচকেছিলি নাক মুখ। আজ তোকে ঘুমাতেই হবে
এই উলঙ্গ ফুটপাতে। জড়িয়ে ছেঁড়া চট

কত রক্ত খেয়েছিস তুই সারাটি জীবনভর
আজ দিতেই হবে হিসাব তোকে অহংকারী নর।




 সোমবার, এপ্রিল 12, 2010

রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১০

টগবগে


দূর দিগন্তেও ধূসর জীবনের আহ্বান শোনা যায়
আবেগ আর বিবেকের অন্তর্ভেদী চিৎকার সেথা নস্যি
ছুটে যাই অহরহ পশ্চিমের গোধূলী আভায়
বারুদে রক্তে ভরা তপ্ত হৃদয় আমি টগবগে দস্যি।

ঐ আছড়ে পড়া উত্তাল ঢেউ আমাকেই ডাকে বারবার
বৈশাখী ঝড়ো হাওয়া গায় বিদ্রোহী ভাটিয়ালি
আমি ভয় করিনাকো চৈত্রের তপ্তরোদ পানিশূন্য খরার
চৌচির মৃত্তিকায় বপি শুভ্র গোলাপ জীবনের রস ঢালি।



রবিবার, এপ্রিল 11, 2010

শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১০

উল্টোরথ


১.
শ্রাবণের বরিষণেও কলম থেমে আছে
কবির মাথায় ঢুকেছে গুবরে পোকা
বসে আছে ঘরের খোলা দাওয়ায়
আর হৃদয় উড়ছে তার হাওয়ায় হাওয়ায়
তবু কলম থেমে আছে ।
২.
আত্নারাম খাঁচাছাড়া আজ পেত্নীদের নগ্ন নৃত্যে
রাক্ষসের দল করছে হাঁউ মাঁউ খাঁউ
সর্বত্র আজ সভ্যতার আবরণে বর্বরতার ধান
আর কুৎসিত প্যাঁচাও গাইছে মানবাধিকারের গান !





শনিবার, এপ্রিল 10, 2010

শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০১০

ইতিহাস


প্রতিদিন আসে নতুন আগন্তুক । ফিরে যায়
পুরনো দল চিরন্তন আবাসে
তপ্ত হাওয়ায় মিশে যায় শিশির
আঘ্রানের সবুজ ঘাসে

অপাঙ্কতেয় আগন্তুকেরা নামে পাপ পুণ্যের কর্মযজ্ঞে !
পৃথিবীর দূষিত আলো বাতাসে

অতীতের পরাজয়ে বিজয়ী বর্তমান হাসে
বয়ে যায় সময় ও জীবন অরোধ্য আগ্রাসে
মানুষের কীর্তি ক্রমাগত জগতের দেয়াল নাশে
তবু সব লেখা থাকে ,অদৃশ্য ইতিহাসে ।





 শুক্রবার, এপ্রিল 9, 2010

বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১০

পথের শেষে

১.
পড়ন্ত বিকেলের স্বর্ণালী মিঠে রোদ্দুর
কাঁপন ধরিয়ে দেয় হৃদয় গহনে
বিগলিত অন্তর মিশে যায় ধুধু প্রান্তরে
চিকচিক বালুকণায় ।


২.
তোমরা দ্যাখো বৃষ্টি
আর আমি হাটি অবাক রোদ্দুরে অবিরাম
অনন্তের পথে একা , নিস্তব্ধ গোধূলীতে
থেমে যাবো অকস্মাৎ অদৃশ্য আহ্বানে
পথের যেখানে শেষ
স্বর্গ কিংবা নরকের সীমান্তে ।



বৃহস্পতিবার, এপ্রিল 8, 2010

বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০১০

অমোঘ

জং ধরে গেছে জীবনের নির্মল চাকায়
কবিতার ঠ্যাং ভেঙ্গে গেছে গতকাল
আর বৃদ্ধরা বলে কিনা বন্ধ্যাত্বের কথা !
নবীনের উল্লাস তাদের ছানিপড়া চোখে জল আনে
চেতনার বদ্ধ ঘরে ইদুরেরা ধান ভানে

কুকড়ানো বিবেকের কান চোখ নাক ধুলিময়।
তবুও পৃথিবী গড়িয়েই চলেছে
পশ্চিম থেকে পুর্বে , অবিশ্রান্ত
অমোঘ নির্দেশের আহ্বানে।






বুধবার, এপ্রিল 7, 2010

মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০১০

দুষ্টচক্র

বুকের ভাগাড়ে কষ্টগুলো জমা করি দিনরাত
লাল-নীল রঙা কষ্টের ইটগুলো দিয়ে একদিন
হয়তো রচিত হবে সুরম্য(?) প্রাসাদ। দুর্গন্ধময়
অশরিরী কীটপতঙ্গ গুলি বিচরন করবে সেথা মনের আনন্দে

আর খুবলে খুবলে খাবে দেয়ালের পঁচা মাংস ।
এভাবেই একদিন দেয়াল খসে গিয়ে ধ্বসে পড়বে
জীবনের স্তম্ভ । তখন আমি

আবার আমাকে নিয়েই হবো কেন্দ্রীভূত ।


 মঙ্গলবার, এপ্রিল 6, 2010