এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০১১

বেয়াড়া স্বপ্ন

বেওয়ারিশ স্বপ্নগুলো ইদানিং হয়ে গেছে বড্ড বেয়াড়া
এদের ব্যবচ্ছেদ করে হাত করবো পাকা । হয়ে যাবো
হৃদয় খামছে ধরা এক দক্ষ শল্যচিকিতসক ।

অনুভূতির প্রতিটি তন্ত্রীতে কাঁচা ধুলোর প্রলেপ
ধাতব পয়সার মত ঝনঝন করে উঠবে হয়তো
তবুও থামবোনা আমি । ব্যবচ্ছেদ করবোই
প্রতিটি জিনের ভেতর খুঁজবো মূলের শিরা
প্রয়োজনে র‌্যাব পুলিশকে লেলিয়ে দেবো
তবু থামবোনা আমি । ব্যবচ্ছেদ করবোই
হয়ে যাবো-
হৃদয় খামছে ধরা এক দক্ষ শল্যচিকিতসক ।




বুধবার, জুন 30, 2010

সোমবার, ২৭ জুন, ২০১১

ফিরে যাবো

ফিরে যাবো আমি আমার কুড়েঘরে
মাটির দেয়াল
বাঁশের চাটাই
ছাদটি ছাওয়া আমন ধানের শুকনো খড়ে ।

দরজাপাশে চুপটি বসে
মাখবো গায়ে বৃষ্টি
বুঝবেনা কেউ কিসের ব্যথায়
ঝাপসা যে মোর দৃষ্টি ।

পড়বে বৃষ্টি ঘরের ভেতর
ছাদের ফুটো গলে
কাগজ দিয়ে নৌকো গড়ে
ভাসিয়ে দেব জলে ।

কাজের শেষে আসবে ফিরে
আঁচল ভেজা মা
আদর মেখে বলবে আমায়
বাপটি ঘরে যা ।

ভেজা শরীর ভেজা মাটি
ভেজা মায়ের মুখ
ভাবছি কবে পাবো ফিরে
সেই সে স্বর্গসুখ ।



সোমবার, জুন 27, 2011

সোমবার, ২০ জুন, ২০১১

এই পথে হাঁটো

এই পথে তুমি হাটতেই থাকো
কিংবা দৌড়াও
দোহাই তোমার ,
পথের ওপর বসে থেকো না ।
এখন আষাঢ় মাস
পথ খানিকটা পিচ্ছিল হতেই পারে
বিজলি চমকাতেই পারে আকাশে
বজ্রপাতও হতে পারে হয়তো কোথাও ।
তবু তুমি হাটতেই থাকো কিংবা দৌড়াও
দোহাই তোমার , পথের ওপর শুয়ে পড়ো না ।
যারা এই সড়কে একবার নামে
তারা সোল্লাসে যোগ দেয় অগ্রগামী মিছিলে
কিংবা পেছনে শিকার হয় নেকড়ের ।
তুমি তো জানো
এ পথের শেষ মন্জিল
মাফ করো আমায় , সমাপ্তির নিশান ছাড়া
মাঝপথে থেমে যেও না ।
পথের ওপর বসে থেকো না ।
পথের ওপর শুয়ে পড়ো না ।



 সোমবার, জুন 20, 2011

নিষ্ফল ইলশেগুড়ি

ইলশেগুড়ির মত যাচ্ছে জীবন
কালো কালো মেঘগুলি উড়ছে এলোমেলো
দমেনি সুর্যটাও দিচ্ছে মুগ্ধ আলো
খেকশিয়ালটা কাঁদছে
বিয়েটা তার আজ ভেঙ্গে গেলো ।


 সোমবার, জুন 20, 2011

শনিবার, ১৮ জুন, ২০১১

৩রা আষাঢ়ের বৃষ্টি

যেদিন আমার অপমৃত্যু হয়েছিল
শেষবারের মত সেদিন তোমার হাত ছুঁয়েছিলাম
মনে আছে , সেদিন ছিল ৩রা আষাঢ়
আকাশের নীল ভেঙ্গে
তুমি ঝরেছিলে অঝোর ধারায় ।

মাঠের কোণে সবুজ ঘাসফুলগুলি
তোমার প্রিয় ছিল খুব
দু'ফোঁটা অশ্রু তোমাকে দিয়েছিলাম উপহার
বিদায়ের আগে , নীলচে কাঁচের ফ্রেমে
ঘাসফুলের ডগায় মেখে ।
তুমি কেড়ে নিয়ে নষ্ট করেছিলে ঝড়ো হাওয়ায়
মনে আছে , সেদিন ছিল ৩রা আষাঢ়
আকাশের নীল ভেঙ্গে
তুমি ঝরেছিলে অঝোর ধারায় ।


 শনিবার, জুন 18, 2011

মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০১১

বাংলাদেশ একটি অবৈধ রাষ্ট্র !

সম্ভবত ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে একটি অবৈধ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের দলীয় তল্পিবাহী অদূরদর্শী উচ্চ আদালত । পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে জিয়ার শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে । এরশাদের সৈরশাসনও অবৈধ । তত্বাবধায়ক সরকারও অবৈধ । অবৈধ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচিত সকল সরকারও অবৈধ ।( অবৈধ বিয়ের ফসল যে সন্তান সেতো অবৈধই হবে নাকি ?) এখন যদি রায় দেয়া হয় যে শেখ মুজিবের শাসন অবৈধ তাহলেই কেল্লা ফতে ! (সম্ভবত সামনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এধরনের রায় আসবে ।) কারণ শেখ মুজিব পুর্ব পাকিস্তানের জন্য নির্বাচিত ছিলেন , স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য নন । স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য তিনি ছিলেন অনির্বাচিত ও অবৈধ শাষক ! এমনকি ৭২ এর সংবিধানই অবৈধ ঘোষণা করা যেতে/হতে পারে । কারন , যারা ঐসময় সংবিধান রচনা করেছেন তাদের স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য সংবিধান রচনার ম্যান্ডেট ছিল না । আমরা এক অবৈধ রাষ্ট্রে অবৈধ সংবিধান ও অবৈধ সরকারের অধীনে বসবাসকারী অবৈধ নাগরিক ! বাহ বাহ । সবাই জোরসে বগল বাজান ....

দৃষ্টি আকর্ষণ : বিএসএফ কিংবা র্যাব এর গুলিতে কেউ নিহত হলে দয়া করে কেউ বেহুদা চিল্লাবেন না । আগে গোড়ায় পানি ঢালেন ।


 মঙ্গলবার, জুন 7, 2011

শনিবার, ৪ জুন, ২০১১

বদনা শাহর কেরামতি !

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রী বা শিক্ষক কিংবা কর্মচারিদের মধ্যে বদনা শাহর মাজার চেনেনা এমন দুর্লভ প্রাণী সম্ভবত নাই । ক্যাম্পাসের পশ্চিম গেটের সাথে লাগোয়া বিশেষভাবে খ্যাত বদনা শাহর মাজার । সেখানে গেলেই আপনি দেখবেন শত শত বদনা ঝুলানো আছে । হরেক রকম বদনা । আপনার প্রয়োজন হলে আপনি এখান থেকে কিনতে পারেন । শুনেছি ভক্তরা মাজারে বদনা দান করেন । বদনা শাহর জীবনবৃত্তান্ত জানা না গেলেও তার কেরামতির আশায় অনেকেই লালসালুর ওপর তোহফা ঢালেন । এহেন মহান ব্যক্তির কেরামতি সম্পর্কে চমেকের সবার জানা দরকার বৈকি !
যাহোক আসল কথায় আসি । একদিন বদনা শাহর এক ভক্তের সাথে দেখা । মাজার নিয়ে কথা ওঠায় তিনি আমাকে বদনা শাহর কেরামতির এক চমকপ্রদ কাহিনী শোনালেন ।
সে অনেকদিন আগের কথা । চট্টগ্রামে একজন বুজুর্গ দরবেশ এলেন । তার নাম কেউ মুখে উচ্চারণ করতো না । পাছে আবার বেআদবি না হয়ে যায় এই ভয়ে । ফলে সাধারন মানুষ তাকে শুধু হুজুর বলেই ডাকতো । বহুদিন ধরে তিনি চট্টগ্রামে ধর্ম প্রচার করলেন । এরপর তিনি তার কিছু শিষ্যকে খুলনা অঞ্চলে পাঠালেন ধর্ম প্রচারের জন্য । শিষ্যরা নৌকায় রওয়ানা হলেন । কয়েকদিন পরে তারা খুলনায় পৌছলেন । তখনো ওই অঞ্চলে খুব বেশি বসতি ছিল না । সুন্দরবনের বাঘসহ অন্যান্য প্রাণীগুলো নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করতো । হুজুরের শিষ্যরা ফাঁকা জায়গা দেখে তাঁবু খাটালেন । ভ্রমনের ক্লান্তিতে সবাই বেঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন । শেষ রাতে হঠাত্‍ বাঘের চিত্‍কারে ঘুম ভেঙ্গে গেল তাদের । তাঁবুর সামনেই চলে এসেছে বাঘ । এখন কী হবে ? সবাই প্রাণভয়ে আল্লাহর নাম জপতে লাগলো । এমন সময়ে হঠাত্‍ একটা আর্তচিত্‍কার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো বাঘ । সাহস করে বাইরে এসে শিষ্যরা তো হতবাক । একি ! হুজুরের বদনা এখানে ! হুজুরের বদনার আঘাতেই প্রাণ হারিয়েছে বাঘটা !
হুজুর ওইসময় চট্টগ্রামে বদনা হাতে ওজু করছিলেন । এমন সময় তিনি বুঝতে পারলেন যে তার শিষ্যরা বিপদগ্রস্ত । তখন তিনি তার হাতের বদনা ছুড়ে মারেন । সেই বদনার আঘাতে মারা যায় বাঘ ! আর বিপদ মুক্ত হন শিষ্যরা । শিষ্যরা পরে বদনাটি নিয়ে ফিরে আসেন ।
এই হলো বদনা শাহর কেরামতি !

পাদটীকা : এধরনের কাহিনী ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক । দয়া করে কেউ এসবে বিশ্বাস করবেন না ।


 শনিবার, জুন 4, 2011

শুক্রবার, ৩ জুন, ২০১১

গ্ল্যাডিয়েটরের ক্ষোভ

১.
সময়ের পাগলা ঘোড়ার সাথে
দৌড়াতে পারিনা আর
ক্লান্ত হয়ে গেছে আমার ক্ষীণকায় পদযুগল
ফিরে যেতে চাই খৃষ্টপুর্ব যুগে ।

২.
গ্ল্যাডিয়েটর মনে হয় নিজেকে ।
নফসের সিংহটা বারবার পরাজিত করে আমায়
লুটোপুটি খাই ব্যর্থতা আর পাপের ধুলোয়
আনাড়ি সাতারুর মত ক্রমাগত হাতড়াই-
মহাকালের বন্যাপ্লাবিত চরে ।

৩.
হাত ধরে সামনে এগিয়ে নেয়ার কেউ নেই
সবাই শুধু পেছন হতে ধাক্কাতেই জানে ।


 শুক্রবার, জুন 3, 2011