এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১০

মায়ের কাছে মামার বাড়ির গল্প

মা জানো,আমার না তিনটে মামা আছে !তুমি তো যাওনি কোনদিন ।বাবা সেদিন আমাকে মামার বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল ।বাবা বললো ,ইনি তোমার মামা ।ইনি তোমার মামা ।উনি তোমার মামা ।নাম আবু ,বাবু ,সাবু ।জানো মা ,সবাই আমাকে নিয়ে কত্ত আদর করলো !সবাই তোমার কথা জিজ্ঞেস করছিলো ।ওরা না সবাই তোমাকে চেনে ।আচ্ছা মা ,তুমি কি আমার মামাদের চেনো ?আবু মামাটা না একটু বোকাসোকা ।বাবু মামাটা ভালো ।আর সাবু মামাটা খুব দুষ্টু ।মামাদের বাড়ির সামনে একটা ইয়া লম্বা নারিকেল গাছ আছে ।ও বাবা ,সাবু মামা কী তরতর করে উপরে উঠে গেল ।দুইটা নারিকেল পেড়ে আনলো ।কেটে আমাকে খেতে দিল ।ওমা কী মজা !তুমি খেয়েছ কখনো ?তোমাকে একদিন নিয়ে যাবো ।আবু মামা বলেছে তোমাকে নিয়ে যেতে ।এরপর কি হলো শুনবে ?দেখলাম একটা জাল নিয়ে বাবু মামা আর সাবু মামা বের হলেন ।আমাকেও নিলেন সাথে ।বাঁশবাগানের দক্ষিণ দিকে একটা বড় দিঘী ।ওখানে জাল ফেলে বড় বড় রুই কাতলা আর পুটি মাছ তুললেন ।মাছের ঝুড়িটা আমার হাতে ছিল ।কী ভারী রে বাবা !দুপুরে আমরা ওই মাছগুলো রান্না করে খেলাম ।মাছের ডিমটা যে কত মজা ।তুমি খেয়েছ কখনো মা ?দিঘীর পাশে একটা খেজুর গাছ আছে ।ওটার ওপরে একটা কলসি ঝুলানো আছে ।সাবু মামা করলো কী জানো ?গাছে উঠে ওটা পেড়ে আনলো ।দেখলাম কলস অর্ধেকটাই রসে পুর্ণ ।এক গ্লাস খেতে দিলো আমাকে ।ও মা !কত মজা ।তোমাকে যখন নিয়ে যাব ,মামাকে বলবো ।তোমাকেও খাওয়াবেন ।
এখন আর কিছু বলবোনা ।ক্ষুধা লেগেছে ।ভাত দাও ।




বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর 30, 2010

শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১০

রোদ পোহানোর দিন

কনকনে ঠান্ডায় ফজরের নামাজ পড়ে আবারো কম্বলের নিচে ঢুকলাম ।উম-ম ।আবারো ঘুম ।বন্ধের দিন, ক্লাসে যাওয়ার তাড়া নেই ।ঘুম থেকে জেগে দেখি বয়স বেড়েছে পৃথিবীর ।সাড়ে নয়টা বাজে ।দাত ব্রাশ করে নাস্তা করতে বের হলাম ।হোস্টেলের করিডোরেই একঝলক মিষ্টি আলো আদর বুলিয়ে দিলো আমার ঠান্ডা মুখে ।দু মিনিট দাঁড়ালাম ।এই রোদ আমাকে ভেদ করে ঢুকে গেলো সময়ের গভীরে ।যেখানে শীতের আমেজে সকালের স্নিগ্ধ রোদে বসে আমি পড়ছিলাম আম পাতা জোড়া জোড়া ।আমাদের উঠানের সামনে নিমগাছগুলোর ফাঁক দিয়ে আসা ঝিরিঝিরি রোদ আমার হাফপ্যান্ট পরা পায়ে খোলা শুভ্র উরুতে চিকচিক করতো ।মাদুরে বড় ভাইকে অংক কষাতেন আব্বা ,আর আমি নতুন 'আমার বই' প্রথম ভাগ পড়তাম মাথা দুলিয়ে ।পিচ্চি ছোটবোনটা আমার বই ,স্লেট ,চক ,কলম নিয়ে টানাটানি করত ।
একটু পরেই আসতো পিঠা ভাজা আর মুড়ি ।খাঁটি সরিষার তেলের সেই ঝাঁঝ ।তারপর নয়টার পরে সবাই উঠে যেতাম আমরা ।গরম ভাত খেয়ে যে যার কাজে ।
মনে পড়ে ।খুব মনে পড়ে ।নীরবে হাহাকার করে মন ।
সেইযে আমার রোদ পোহানোর দিনগুলি....




 শনিবার, ডিসেম্বর 25, 2010

বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১০

স্বপ্নের ডায়রিয়া !

স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই এখন ।দিন দিন স্বপ্নের পরিধি কমে আসছে আশঙ্কাজনক হারে ।এভাবেই একদিন ফুরিয়ে যাবে জীবনের শেষ মুহুর্তটাও ।তখন আর স্বপ্ন দেখার কোন প্রয়োজন হবে না ।মনে হয় স্বপ্ন দেখার প্রকৃত সময়টা হলো নির্ভেজাল শৈশব ।তখনো পৃথিবীর হাজারো আবর্জনাময় নিষ্ঠুর সময় আর নিরন্তর সংঘাত জীবনকে স্পর্শ করতে পারে না ।এরপর দিন এবং রাতের আবর্তন নিয়ে আসে ঠোঁটের ওপর গোঁফের রেখা ।আর চারিদিকে হিংস্র হায়েনার নিঃশ্বাস ,আগুনের হলকার স্পর্শে অসুস্থ হয়ে পড়ে স্বপ্নরা ।সর্দি কাশি তো আছেই ।কারো কারো স্বপ্নের ডায়রিয়া হয়ে যায় ।যেমন আমার স্বপ্নগুলোর এখন ডায়রিয়া হয়েছে ।চরম দুর্বলতায় ভুগে ভুগে ওরা চলে গেছে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ।ওদের বাঁচানোর কোন উপায় কি আছে ?

সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১০

ভয়ের আত্নহত্যা

সৃষ্টির শুরু থেকে ভয় মানুষের আত্নার গভীরে প্রোথিত ।ভয় মানুষকে পেতেই হয় ।জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষ ভয় পায় নানান বিষয়কে ।প্রধানত যেসব বিষয়ে মানুষ ভয় পায় সেগুলো হচ্ছে মৃত্যুর ভয় ,আহত হওয়ার ভয় ,সম্পদের ক্ষতির ভয় ,কষ্ট পাওয়ার ভয় ,কারাবরণের ভয় ,প্রিয়জনদের হারানো বা কষ্ট পাওয়ার ভয় ইত্যাদি ।আর এই সবধরনের ভয়েরই কারন হতে পারে ইসলামী আন্দোলন বা বিপ্লবের পক্ষে কথা বলা ।বিপ্লবের জন্য কাজ করা ।পৃথিবীর আদিকাল থেকে যারাই আল্লাহর দ্বীনের আইনের শাসন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছে তারাই শিকার হয়েছে নির্যাতনের ।শয়তান ও তার মানব দোসররা নির্যাতনের মাধ্যমে থামিয়ে দিতে চেয়েছে ইসলামের অগ্রযাত্রা ।
(নিশ্চয়ই আমি তোমাদের পরীক্ষা করবো কিছুটা ভয় ভীতি ,ক্ষুধা এবং মাল জান ও ফল ফসলের ক্ষতি দ্বারা ।আর ধৈর্য অবলম্বনকারীদের সুসংবাদ দাও ।-বাকারা ১৫৫)
আর এই অত্যাচারের ভয়ে আল্লাহর দ্বীনের আন্দোলনের পথ থেকে সরে গেছে অনেক মানুষ ।অনেকেই দুরে সরে থেকেছে ।কিন্তু আসলেই কি ভয় পাওয়ার কিছু আছে ?সহজ ভাষায় বলতে গেলে ইসলামের জন্য কথা বলতে গেলেই নির্যাতনের শিকার হতে হবে আর দুরে থাকলে খুব সুথে থাকা যাবে প্রকৃত অবস্থা কিন্তু এমন নয় ।যারা মনে করেন আন্দোলনের পথ থেকে বিরত থাকলেই জীবনটা সুখী হবে তারা বোকা শয়তানের স্বর্গে বাস করেন ।আচ্ছা বলুন তো বাংলাদেশের কারাগার গুলোতে যত কয়েদী আছেন তাদের মধ্যে কতজন ইসলামী আন্দোলনের ?খুবই নগন্য সংথ্যক ।বাংলাদেশের হাসপাতাল গুলোতে যতজন আহত মানুষ যতজন কঠিন রোগে আক্রান্ত মানুষ ভর্তি আছেন তাদের কতজন ইসলামের জন্য আহত হয়েছেন ?এবার চিন্তা করুন দেখি প্রতিদিন যতলোক মৃত্যুবরন করে তাদের কতজন ইসলামের কথা বলতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ?হিসাব করে হয়তো দেখছেন সংখ্যাটা কত নগন্য তাই না !হ্যা ,এটাই বাস্তব ।আপনি আল্লাহর দ্বীনের পক্ষে কথা না বললেও আহত হতে পারেন ,হাত পা ভাঙতে পারেন ।হয়তো গাড়ি Accident এ ,হয়তো ডাকাতের আক্রমনে অথবা অন্য কোন ভাবে ।আপনি কষ্ট পেতে পারেন ক্যান্সারের মত কোন কঠিন রোগে ।আপনি কারাবরন করতে বাধ্য হতে পারেন কোন বিরুপ পরিস্থিতির শিকার হয়ে কিংবা কোন ষড়যন্ত্রের ফলে মিথ্যা মামলায় ।নিজের ঘরে থেকেও পেতে পারেন কারাগারের চেয়েও বেশি কষ্ট ।আপনার প্রিয়জনরাও পেতে পারে একইরকম কষ্ট ।ইসলামের পথে না থেকেও আপনার সম্পদহানি হতে পারে অগ্নিকান্ডের মাধ্যমে ,বিরুপ ব্যবসায়িক পরিস্থিতির কারনে ,মন্দার কারনে ।
(আল্লাহ তায়ালা যা চান তাই হয় ।-সুরা আরাফ ১৮৮)
আর মৃত্যু ?সেটাতো আপনি কোনভাবেই ঠেকাতে পারবেন না।আপনার সুনির্দিষ্ট হায়াত শেষ হলেই আপনি মরতে বাধ্য ।(প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে ।আর তোমরা কিয়ামতের দিন তোমাদের পূর্ণ প্রতিদান পাবে ।-আল ইমরান ১৮৫)
(আর আল্লাহর হুকুম ছাড়া কেউ মরতে পারে না ।সেজন্য একটা সময় নির্ধারিত রয়েছে ।-আল ইমরান ১৪৫)
বাংলাদেশের ইসলামী সংগঠনগুলোর যতজন তাগুতিশক্তির হাতে শহীদ হয়েছেন ,হিসাব করে দেখুন এর চেয়ে কতবেশি নিহত হয়েছে ওইসব জাতীয়তাবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী গোষ্ঠীর শুধুমাত্র অন্তর্কোন্দলে ।অন্যদের সাথে সংঘর্ষের কথা নাহয় বাদই দিলাম ।এরা জীবনটা ব্যয় করলো ভুল পথে ।দুনিয়ায় তো কিছু পেলো ই না ,আখেরাতেও পাবে কঠিন শাস্তি ।,
অপরদিকে যারা আল্লাহর দ্বীনের পথে কাজ করতে গিয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছে তারা আল্লাহর কাছে উচ্চ সম্মানের অধিকারী হচ্ছেন ।পরকালে তারা এর অনেকগুন বেশি পূর্ণ প্রতিদান পাবেন ।
(যারা আমারই জন্য হিজরত করেছে ,নিজেদের ঘরবাড়ি থেকে বহিস্কৃত হয়েছে ,নির্যাতিত হয়েছে ,আমারই পথে লড়াই করেছে ও নিহত হয়েছে ,তাদের সকল অপরাধই আমি ক্ষমা করে দেব এবং তাদেরকে আমি এমন জান্নাত দান করব যার নিচ দিয়ে প্রবাহমান রয়েছে ঝর্ণাধারা ।এরুপ প্রতিফলই তাদের জন্য রযেছে আল্লাহর নিকট ।আর উত্তম প্রতিফল তো কেবল আল্লাহর নিকটই পাওয়া যাবে ।-আল ইমরান ১৯৫)
আর আপনি তো কিছুই পাবেন না বরং আপনার জন্য থাকবে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ।এবার চিন্তা করুন আপনি কোনটাকে ভয় পাবেন ।দুনিয়ায় অনিশ্চিত ও নশ্বর এ জীবনে শয়তানের দোসরদের আঘাতের ভয় নাকি সর্বশক্তিমান মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ তায়ালার শাস্তির ভয় ।মনে রাখবেন-দুনিয়ার এ জীবন চরমভাবে অনিশ্চত ও ক্ষণস্থায়ী অপরদিকে পরকালের জীবন অবশ্যম্ভাবী এবং অনন্ত ।এই দুনিয়ার বিপদ আপদ থেকে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে মুক্ত রাখতে পারেন কিন্তু পরকালে আপনার সাহায্যকারী কেউ থাকবে না ।
(কোন বিপদ কখনো আসে না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া ।-তাগাবুন ১১)
যেসবকিছু ভালোবেসে আপনি আল্লাহর পথ থেকে দুরে ছিলেন সেগুলোর কিছুই আপনার কাজে আসবে না ।
(মানুষের জন্য তাদের মনঃপুত জিনিস ,নারী ,সন্তান ,স্বর্ন রৌপ্যের স্তুপ ,বাছাই করা ঘোড়া ,গৃহপালিত পশু ও কৃষিজমি বড়ই আনন্দদায়ক ও লালসার বস্তু বানিয়ে দেয়া হয়েছে ।কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উহা দুনিয়ার সাময়িক ও ক্ষণস্থায়ী জীবনের সামগ্রী মাত্র ।মুলতঃ ভালো আশ্রয় তো আল্লাহর নিকটই রয়েছে ।-আল ইমরান ১৪)
এবার ভাবুন আপনি কী করবেন !




 সোমবার, ডিসেম্বর 13, 2010

রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১০

অজ্ঞাতনামার হাজতবাস

আমি একজন অজ্ঞাতনামা ।অজ্ঞাতনামা মানে আমার কোনো নাম নেই এমনটি না ।কিংবা ওরা যে আমার নাম জানে না এমনও না ।ওদের রেজিস্টার খাতা খুলে দেখুন ,ওখানে আমার নাম স্পষ্ট করে লেখা আছে ।আমার বাবার নামও লেখা আছে নিশ্চয়ই ।তবু আমি অজ্ঞাতনামা ।কারন ,আমি অজ্ঞাতনামা না হলে ওদের উদ্দেশ্য সফল হয় না ।প্রয়োজন হলে আপনাকেও ওরা অজ্ঞাতনামা বানাবে ।হয়তো একদিন নিজের ছেলেকেও তাই করবে ।সেদিন আমাকে আমার এক বন্ধু নাস্তা করতে ডাকলো ।আমারই ক্লাসমেট ।একটা বিষয়েই শুধু তার সাথে আমার পার্থক্য ,সেটা হলো আদর্শগত ।সে প্রচলিত ধারার সুবিধাবাদী ক্ষমতার রাজনীতির সাথে যুক্ত আর আমি ইসলামকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠার পক্ষে কথা বলি ।তার দল এখন ক্ষমতায় আছে ,আর আমার নাই ।যাহোক বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে গেলাম ।বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো ।এরই মাঝে হঠাত্‍ সরকারি পোষাকধারী লাঠিয়াল বাহিনী এসে উপস্থিত ।তারা এসে সোজা আমার কাছে এলো ,আমাকে নিয়ে গাড়িতে ওঠালো এবং নিয়ে গেল থানায় ।ইসলামের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এধরনের ঘটনা শুধু স্বাভাবিকই নয় ,প্রত্যাশিতও ।শুধু একটি বিষয়ে আমি কষ্ট পেলাম খুব বেশি ।আমারই ক্লাসমেট বন্ধু শুধুমাত্র রাজনৈতিক আদর্শগত পার্থক্যের কারনে বন্ধুকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে গ্রেফতার করানোর মত জঘন্যতম কাজ করতে পারলো কিভাবে ?পরে ভাবলাম ,এটাই তো ইসলামের সাথে ওদের পার্থক্য ।ওদের কাছে মানুষের কোন মুল্য নেই ,জীবনের কোন মুল্য নেই ,ক্যারিয়ারের কোন মুল্য নেই সেখানে বন্ধুত্বের বিন্দুমাত্র মুল্য আশা করাটা যে কতটা বোকামী সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।
রাতে থানা হাজতে থাকলাম ।আমার বন্ধুরা ও বড়ভাইরা খবর পেয়ে আমাকে দেথতে এলেন ।কাপড়চোপড় ও থাবারদাবাড় দিয়ে গেলেন ।পরদিন সকালে জানলাম আমি অজ্ঞাতনামা ।পুরনো এক মামলায় নাকি অনেক অজ্ঞাতনামা আসামী ছিল ।আমিও নাকি সেই অজ্ঞাতনামাদেরই একজন ।এখন আমি আছি কোথাও ।ভালোই আছি আলহামদুলিল্লাহ ।এই হলো এক অজ্ঞাতনামার হাজতবাসের ইতিহাস ।


 রবিবার, ডিসেম্বর 5, 2010