বহুদিন কবিতা লিখিনি বলে, ভেবোনা ভুলে গেছি শব্দের কারুকাজ,
বাগানে বহুদিন যাইনি বলে, ভেবোনা ভুলে গেছি গোলাপের চাষ।
বহুদিন কাঁধে স্টেনগান তুলিনি বলে, ভেবোনা ভুলে গেছি বুলেটের নিশানা-
পুরনো কথা মুখে আনিনা বলে, ভেবোনা ভুলে গেছি অতীতের ইতিহাস।
বহুদিন কবিতা লিখিনি বলে, ভেবোনা ভুলে গেছি শব্দের কারুকাজ,
বাগানে বহুদিন যাইনি বলে, ভেবোনা ভুলে গেছি গোলাপের চাষ।
বহুদিন কাঁধে স্টেনগান তুলিনি বলে, ভেবোনা ভুলে গেছি বুলেটের নিশানা-
পুরনো কথা মুখে আনিনা বলে, ভেবোনা ভুলে গেছি অতীতের ইতিহাস।
ধরেন আপনি এক বেকুবকে খুব পরামর্শ দিলেনঃ "দেখো ভাই, তোমাকে খুব বুদ্ধি করে চলতে হবে। প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।"
তো এইটা দেখে আমি বুঝে গেলাম যে আপনিও একজন বেকুব। যার যেটুকু বুদ্ধি জ্ঞান আছে সে তো তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিবে! সে কীভাবে বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজ করবে? বুদ্ধি যদি থাকতোই তাহলে তো সে শুরুতেই তার ভিত্তিতে কাজ করতো!! বা পরেও এমনিই করবে!!
আবার দেখেন আমিও কীরকম একটা বেকুব যে আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি- বেকুবকে বুদ্ধিমানের মত কাজ করার পরামর্শ না দিতে!! কারণ, আপনি যে একটা বেকুব সেটা তো একটু আগেই প্রমাণ হয়ে গেছে 😂
যারা ঈমাম মাহদি বা হযরত ঈসার (আঃ) আগমনের অপেক্ষা করছেন, ভাবছেন- খুব শীঘ্রই ঈমাম মাহদীর আগমন হবে, হয়তো পুলকিত হচ্ছেন, খুব মজা হবে...(!) তারা হলেন এমন লোক যারা নিজে নিজের বিপদ ডেকে আনতে চান। থামেন, আমি ঈমাম মাহদী বা ঈসা (আঃ)কে বিপদ বলছি না, তাঁদের আগমন হবে দুনিয়াবাসীর জন্য আল্লাহর বিরাট রহমত, কিন্তু আপনার আমার জন্য বিরাট পরীক্ষা। আপনি কি নিশ্চিত করে বলতে পারেন যে আপনি ঈমাম মাহদীর দলেই থাকবেন? ধরুন আপনার জীবদ্দশায় ঈমাম মাহদী এলেন আর আপনি কোনোভাবে তার বিপক্ষে থেকে গেলেন- সেটা আপনার জন্য কতবড় বিপদ হবে কখনো ভেবেছেন? মুহাম্মাদ (সাঃ) আসবেন জেনে শতবছর আগে থেকেই ইহুদীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে মদীনায় গিয়ে বসতি স্থাপন করেছিলো, কিন্তু ফলাফল কী হয়েছে দেখেছেন!! রাসুল (সাঃ) এর সময়ে যদি আপনার জন্ম হত, আপনি যে আবু জেহেলের পক্ষে থাকতেন না তার কোন নিশ্চয়তা আছে? যখন মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে মুহাম্মাদ (সাঃ) ও ইসলামের জয়জয়কার, সেসময়েও তো এই অঞ্চলের মানুষেরা কাফের হিসেবেই মারা গেছে নাকি?
আজকেই যদি ঈমাম মাহদী আসেন- সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, যেসব হুজুর ঈমাম মাহদীর আলোচনা করে দিন কাটাচ্ছেন, তাদের মধ্যেই অনেকে হয়তো ঈমাম মাহদীর বিরোধিতা করে বসবেন!! কারণ ঈমাম মাহদীর নাম তো আর 'ঈমাম মাহদী' থাকবে না। নবী চেনার মত করে তাঁকেও চিনতে হবে। প্রতিষ্ঠিত হবার আগ পর্যন্ত ঈমাম নিজেও জানবেন না যে তিনিই ঈমাম মাহদী। তাছাড়া ঈমাম মাহদীর চিন্তা ও সিদ্ধান্তগুলোও অনেকের সাথেই মিলবে না! এমনও হতে পারে- কেউ কেউ হয়তো ঈমাম মাহদীকেই কাফের ফতোয়া দিয়ে বসতে পারেন!
তো জেনেবুঝে আপনারা কেউকি এরকম পরিস্থিতিতে, এরকম সময়ে উপস্থিত থাকতে চান?
ঈমাম মাহদীর জন্য অপেক্ষা না করে আমাদের দোয়া করা উচিত- আল্লাহ যেন আমাদের ঈমাম মাহদী আসার আগেই ঈমানের সাথে তুলে নেন। যখন সময় হবে তখন আল্লাহ তায়ালা ঈমাম মাহদীকে প্রেরণ করবেন, কিন্তু সেসময় যেন তিনি আমাদেরকে জীবিত না রাখেন। কারণ, এতবড় পরীক্ষায় আমরা অনেকেই হয়তো উত্তীর্ণ হতে পারবো না।
হিটলার ইহুদিদের মেরে সাফ করে দিয়েছিলো- এই ঘটনায় অনেক মুসলিমকে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়, যেটা ইসলামের নীতি ও শিক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত। এসব মুসলিমের উল্লাস দেখে মনে হতে পারে- ইসলাম বোধহয় ইহুদিদের কচুকাটা করতে বলেছে!! বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। আরো দুর্ভাগ্যজনক হলো- যারা নিজেদের আলেম বলে দাবি করেন, ওয়াজ নসিহত করেন তাদেরও অনেকে এই মানসিকতা উস্কে দেন। অথচ কুরআন বলছেঃ "যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। আর যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে।"- সুরা আল মায়েদাঃ ৩২।
হিটলার যেভাবে নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধ নির্বিশেষে ইহুদিদের হত্যা করেছিলো একজন মুসলমান কীকরে সেটা সমর্থন করতে পারে?
রাসুল (সাঃ) যেসব ইহুদী গোত্রকে মদীনা থেকে বের করে দিয়েছিলেন তা ছিলো তাদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে, এই কারণে নয় যে তারা ইহুদী ছিলো। শেষ জামানায় ঈসা (আঃ) যেসব ইহুদীদের হত্যা করবেন- তা করবেন যুদ্ধের ময়দানে। নিরীহ নিরপরাধ সিভিলিয়ান ইহুদিদের নয়, অথবা কেবল একারণে নয় যে- তারা 'ইহুদী'।