যুগান্তরের গোষ্ঠি সম্পূর্ণ পাগল হয়ে গেছে । তারা তাদের 'মালিকের' নিজ
দোষে পাওয়া অপমানের জ্বালা কোনভাবেই ভুলতে পারছে না । সাংবাদিকতার মুখে
চুনকালি মেখে সবরকম নিয়মনীতি ভঙ্গ করে তারা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে
ডাক্তারের নামে কুৎসা- কাহিনী লিখতে ।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, একজন এমপি কী করে দলবল নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের মত ব্যস্ত হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে ডাক্তার- রোগী সবার চেয়ার দখল করে বসে থাকতে পারেন? তিনি কীরকম জনপ্রতিনিধি? সব আলোচনা শুরুর আগে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে ।
তাঁকে বলা হয়েছে- 'আপনি ডিরেক্টরের রুমে অপেক্ষা করুন, এখানে এত লোক থাকায় জরুরী রোগীদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত হচ্ছে।' এর বিপরীতে তিনি কী করেছেন? তিনি তাঁর 'পরিচয়' তুলে ধরেছেন । তিনি এই সেই । তার মানে তিনি 'এই-সেই' বলে তার জন্য জরুরী রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ রেখে ডাক্তারকে ঘোড়ার ঘাস কাটতে যেতে হবে? একজন 'জনপ্রতিনিধির'(!) এই কাণ্ডজ্ঞান ? ইমার্জেন্সি রুম ছেড়ে ডিরেক্টরের রুমে বসতে বলাটা তাঁর 'অপমান' হয়ে গেছে?
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, একজন এমপি কী করে দলবল নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের মত ব্যস্ত হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে ডাক্তার- রোগী সবার চেয়ার দখল করে বসে থাকতে পারেন? তিনি কীরকম জনপ্রতিনিধি? সব আলোচনা শুরুর আগে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে ।
তাঁকে বলা হয়েছে- 'আপনি ডিরেক্টরের রুমে অপেক্ষা করুন, এখানে এত লোক থাকায় জরুরী রোগীদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত হচ্ছে।' এর বিপরীতে তিনি কী করেছেন? তিনি তাঁর 'পরিচয়' তুলে ধরেছেন । তিনি এই সেই । তার মানে তিনি 'এই-সেই' বলে তার জন্য জরুরী রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ রেখে ডাক্তারকে ঘোড়ার ঘাস কাটতে যেতে হবে? একজন 'জনপ্রতিনিধির'(!) এই কাণ্ডজ্ঞান ? ইমার্জেন্সি রুম ছেড়ে ডিরেক্টরের রুমে বসতে বলাটা তাঁর 'অপমান' হয়ে গেছে?
যুগান্তর সম্পাদক মহিলা এমপির সামনেই তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা নারী ডাক্তারকে
তুলে নিয়ে যাওয়ার, দেখে নেওয়ার, বদলি করার হুমকি দিয়েছে । শুধুমাত্র
ডাক্তার একজন 'নারী' ছিলেন বলেই হয়তো গায়ে হাত তোলে নাই । তিনি কীরকম এমপি,
যার সামনে একজন নারী ডাক্তারকে অপহরণের হুমকী দেয়া হয়?
এবার আসি তাদের হলুদ সংবাদ প্রসঙ্গে । তারা লিখেছে- ''ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের এক অভদ্র চিকিৎসকের কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে বিস্মিত হয়েছেন রোগী ও রোগীর স্বজনরা। জরুরি বিভাগে কর্মরত একজন নারী চিকিৎসকের এ ধরেনের অসৌজন্যমূলক, রূঢ় আচরণে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন উপস্থিত লোকজন। ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা ওই নারী চিকিৎসক চরম দুর্ব্যবহারে তার সনদ বাতিলসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।''
আসলে কোন রোগী কিংবা রোগীর স্বজনই বিস্মিত কিংবা বিক্ষুব্ধ হয়নি । কারণ, যুগান্তর সম্পাদকের একপাল সাঙ্গপাঙ্গের ভীড়ে সেখানে রোগী অথবা রোগীর স্বজনরা ভিড়তেই পারেননি । আর ডাক্তার কথা বলেছেন রোগীদের স্বার্থে, সুতরাং রোগীদের বরং ঐ কাণ্ডজ্ঞানহীন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই বিক্ষুব্ধ হবার কথা । আসলে রোগী কিংবা রোগীর স্বজন নয়, বিক্ষুব্ধ হয়েছেন যুগান্তরের সাংবাদিকরা । এমপির সাঙ্গপাঙ্গরা । কিন্তু সেটা বলার সাহস তাদের নাই । মুহূর্তেই তারা নিজেরাই হয়ে গেছে - 'রোগী ও রোগীর স্বজন !!' এরপর তারা নিজেদেরকে রোগীর স্বজন হিসেবে ভেবে নিয়ে তাদের মনের ক্ষোভ ঝেড়ে ডাক্তারদের সম্পর্কে তারা এতদিন ধরে যেসব কথা বাজারে ছড়িয়ে এসেছে সেগুলোর সবই ঐ নারী চিকিৎসকের ওপর চাপিয়েছে ।
এ ছিল গতকালের কথা । এরপরের দিন অর্থাৎ আজকে তারা আবার বানিয়ে বানিয়ে ইচ্ছেমত ডাক্তারের ফ্যামিলিয়াল ম্যাটার নিয়ে 'সংবাদ' (!!) লিখেছে !! কতটা নিচুমনের হলে একজন সম্পাদক অথবা এমপি এই কাজ করতে পারেন ভেবে অবাক হই । আর হ্যা, এই ঘটনার মাধ্যমে আরো একবার যুগান্তর পত্রিকার অপসাংবাদিকতা জনগনের চোখে স্পষ্টভাবে ধরা দিল । আর বোঝা গেল, যতদিন আমাদের দেশে এরকম নিচুমনের জনপ্রতিনিধি কিংবা সম্পাদক থাকবে, ততদিন মেধাবীরা এই দেশে কাজ করার পরিবেশ পাবে না ।
এবার আসি তাদের হলুদ সংবাদ প্রসঙ্গে । তারা লিখেছে- ''ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের এক অভদ্র চিকিৎসকের কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে বিস্মিত হয়েছেন রোগী ও রোগীর স্বজনরা। জরুরি বিভাগে কর্মরত একজন নারী চিকিৎসকের এ ধরেনের অসৌজন্যমূলক, রূঢ় আচরণে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন উপস্থিত লোকজন। ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা ওই নারী চিকিৎসক চরম দুর্ব্যবহারে তার সনদ বাতিলসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।''
আসলে কোন রোগী কিংবা রোগীর স্বজনই বিস্মিত কিংবা বিক্ষুব্ধ হয়নি । কারণ, যুগান্তর সম্পাদকের একপাল সাঙ্গপাঙ্গের ভীড়ে সেখানে রোগী অথবা রোগীর স্বজনরা ভিড়তেই পারেননি । আর ডাক্তার কথা বলেছেন রোগীদের স্বার্থে, সুতরাং রোগীদের বরং ঐ কাণ্ডজ্ঞানহীন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই বিক্ষুব্ধ হবার কথা । আসলে রোগী কিংবা রোগীর স্বজন নয়, বিক্ষুব্ধ হয়েছেন যুগান্তরের সাংবাদিকরা । এমপির সাঙ্গপাঙ্গরা । কিন্তু সেটা বলার সাহস তাদের নাই । মুহূর্তেই তারা নিজেরাই হয়ে গেছে - 'রোগী ও রোগীর স্বজন !!' এরপর তারা নিজেদেরকে রোগীর স্বজন হিসেবে ভেবে নিয়ে তাদের মনের ক্ষোভ ঝেড়ে ডাক্তারদের সম্পর্কে তারা এতদিন ধরে যেসব কথা বাজারে ছড়িয়ে এসেছে সেগুলোর সবই ঐ নারী চিকিৎসকের ওপর চাপিয়েছে ।
এ ছিল গতকালের কথা । এরপরের দিন অর্থাৎ আজকে তারা আবার বানিয়ে বানিয়ে ইচ্ছেমত ডাক্তারের ফ্যামিলিয়াল ম্যাটার নিয়ে 'সংবাদ' (!!) লিখেছে !! কতটা নিচুমনের হলে একজন সম্পাদক অথবা এমপি এই কাজ করতে পারেন ভেবে অবাক হই । আর হ্যা, এই ঘটনার মাধ্যমে আরো একবার যুগান্তর পত্রিকার অপসাংবাদিকতা জনগনের চোখে স্পষ্টভাবে ধরা দিল । আর বোঝা গেল, যতদিন আমাদের দেশে এরকম নিচুমনের জনপ্রতিনিধি কিংবা সম্পাদক থাকবে, ততদিন মেধাবীরা এই দেশে কাজ করার পরিবেশ পাবে না ।