আমাদের গ্রামের গফুর দাদা মারা যাবার বহুদিন পরে একদিন গফুর দাদীকে বলতে
শুনেছিলাম, বুড়াটা মরি গ্যালো, মহরানা শোধ করি গ্যালো না। আরেক দাদী তখন
বলেছিলেন- মাফ করি দে গো বু (বু মানে বোন)। মনে কষ্ট রাখিস না। কবরে কষ্ট
পাইবে।
ছোট ছিলাম, তখন বুঝিনি। কিন্তু পরে যখন দাদীর কথাগুলোর গুরুত্ব বুঝেছিলাম, I was thundered... স্বামী মারা গেছে সেটাই একটা বড় কষ্ট, কিন্ত সেই কষ্টও তার মোহরানা না পাবার কষ্টকে আড়াল করতে পারেনি।
আমাদের সমাজে অনেক পুরুষই মোহরানা পরিশোধ না করার ধান্দায় থাকেন। ধার্য যা-ই হোক, কোনরকমে অল্প কিছু দিয়ে বাকিটা মাফ চেয়ে নেয়ার একটা গোপন ইচ্ছা পোষণ করেন। অনেকে তা করেনও।
এরকম চিন্তাভাবনা পুরুষত্বের অপমান। কাপুরুষ ছাড়া কেউ এমন চিন্তা করতে পারে না।
প্রখ্যাত সাহাবী আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) খেজুরের আঁটির সমপরিমাণ স্বর্ণ মোহরানা দিয়েছিলেন। আর রাসুল (সাঃ) একজন সাহাবীকে বিয়ে দিয়েছিলেন এতটুকু মোহরানায় যে, ঐ সাহাবী তার নিজের মুখস্থ থাকা কয়েকটি সুরা স্ত্রীকে শেখাবেন।
আপনি যা পারবেন বলে মনে করেন, তাই নির্ধারণ করবেন। ইট ডিপেন্ডস আপন ইওর ক্যাপাবিলিটি।
কিন্তু যা-ই নির্ধারণ করুন, শোধ করার ইচ্ছা রেখেই করুন। বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যে মাফ চাবেন, তা হবে না। ঐসময় হয়তো নতুন বউ চক্ষুলজ্জায় কিছু বলতে পারবে না। মৃত্যুশয্যায় শুয়ে মাফ চাবেন, সে সুযোগ কপালে নাও জুটতে পারে। আর এরকম সময়ে কেউ মাফ করলেও তা খুশিমনে বা স্বতস্ফূর্ত হবে না।
পরিস্থিতির চাপে হয়তো কেউ বাধ্য হয়ে তার দাবী ছাড়তে পারেন। কিন্তু আপনার মৃত্যুর পর কখনো অভাবে পড়লে গফুর দাদীর মত হয়তো তিনিও বলবেন- বুড়াটা মরি গ্যালো, মহরানা শোধ করি গ্যালো না।
(বিবাহ কথন-৮)
ছোট ছিলাম, তখন বুঝিনি। কিন্তু পরে যখন দাদীর কথাগুলোর গুরুত্ব বুঝেছিলাম, I was thundered... স্বামী মারা গেছে সেটাই একটা বড় কষ্ট, কিন্ত সেই কষ্টও তার মোহরানা না পাবার কষ্টকে আড়াল করতে পারেনি।
আমাদের সমাজে অনেক পুরুষই মোহরানা পরিশোধ না করার ধান্দায় থাকেন। ধার্য যা-ই হোক, কোনরকমে অল্প কিছু দিয়ে বাকিটা মাফ চেয়ে নেয়ার একটা গোপন ইচ্ছা পোষণ করেন। অনেকে তা করেনও।
এরকম চিন্তাভাবনা পুরুষত্বের অপমান। কাপুরুষ ছাড়া কেউ এমন চিন্তা করতে পারে না।
প্রখ্যাত সাহাবী আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) খেজুরের আঁটির সমপরিমাণ স্বর্ণ মোহরানা দিয়েছিলেন। আর রাসুল (সাঃ) একজন সাহাবীকে বিয়ে দিয়েছিলেন এতটুকু মোহরানায় যে, ঐ সাহাবী তার নিজের মুখস্থ থাকা কয়েকটি সুরা স্ত্রীকে শেখাবেন।
আপনি যা পারবেন বলে মনে করেন, তাই নির্ধারণ করবেন। ইট ডিপেন্ডস আপন ইওর ক্যাপাবিলিটি।
কিন্তু যা-ই নির্ধারণ করুন, শোধ করার ইচ্ছা রেখেই করুন। বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যে মাফ চাবেন, তা হবে না। ঐসময় হয়তো নতুন বউ চক্ষুলজ্জায় কিছু বলতে পারবে না। মৃত্যুশয্যায় শুয়ে মাফ চাবেন, সে সুযোগ কপালে নাও জুটতে পারে। আর এরকম সময়ে কেউ মাফ করলেও তা খুশিমনে বা স্বতস্ফূর্ত হবে না।
পরিস্থিতির চাপে হয়তো কেউ বাধ্য হয়ে তার দাবী ছাড়তে পারেন। কিন্তু আপনার মৃত্যুর পর কখনো অভাবে পড়লে গফুর দাদীর মত হয়তো তিনিও বলবেন- বুড়াটা মরি গ্যালো, মহরানা শোধ করি গ্যালো না।
(বিবাহ কথন-৮)