এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১৬

অপেক্ষা

শুভ্র সকাল হতে জানালার পাট খুলে
মেঘলা আকাশের পানে চেয়ে আছি ।
পুবের হাওয়া কতবার বলে গেল গোপন সংবাদঃ
-'সে আসছে!' 'সে আসছে!'
অথচ কী অদ্ভুত!
সূর্য ঢলে গেল পশ্চিম পাটে তবু
এখনো বৃষ্টির দেখা নেই।
তবে কি এখন আমি
আবার ভেজিয়ে দেবো জানালার পাটগুলো?

বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬

নির্বাসন

নির্বাসনে আছি তাই
কবিতাকে দিয়েছি বিদায়।
যোগী- সন্ন্যাসীর মুখে-
সকলেই আশা করে- "ধর্মকথা";
কবিতাকে নয় ।
বিদায়লগ্নের অশ্রু ছাপিয়ে স্নেহভরে বলেছি তাকে -
বৎস !
আবার যখন আমি ফিরে যাবো লোকালয়ে
পাহাড় সমূদ্রের পথ হন্টন পরিশেষে
চলে এসো তুমি কোন এক গোধূলী দুপুরে
হাত রেখো
পরিশুদ্ধ হৃদয়ের হাটখোলা দরজায়।

বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০১৬

কীরকম অসভ্য অমানবিক সমাজে বাস করছি আমরা?

আমি স্তম্ভিত। হতবাক। ভাবতেও ভয় হয়, কীরকম অসভ্য অমানবিক সমাজে বাস করছি আমরা?
....
উত্তরার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দগ্ধ সুমাইয়া জানিয়েছেন, ঘটনার পরে শরীরে আগুন নিয়ে সাত তলা থেকে নিচে নেমে আসার সময় কেউ তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে নি। সুমাইয়া বলেন, "আমি আর সারলিনের আব্বু নাইমা আসছি। পিচ্চিটা কোলে। দৌড়ায় নামছি আর চিৎকার করতেছি। আগুন জ্বলতেছে। ওইসময় ঘরে পুরা আগুন। তিন নাম্বার ফ্লোর, চার নাম্বার ফ্লোর দরজা খুলছে। খুইলা আমাদের দেইখা দরজা আটকায় দিছে। স্পষ্ট মনে আছে। দরজা খুইলা দেখে আগুন লাগা মানুষ নামতেছে আর দরজা আটকায় দেয়, কতটা অমানবিক চিন্তা করেন।
তিনতলার মানুষটাতো একটু তোষক দিয়ে জড়ায় ধরতে পারতো। নাইলে একটা তোষকই যাইতো। আমার বাচ্চাগুলাতো বাঁচতো।”

নিচে নামতে নামতে সুমাইয়ার গায়ের কাপড় সম্পূর্ণ জ্বলে যায়। নিচে নেমে পরে থাকা ছালার চট গায়ে জড়ান তিনি। সেই সময়টিতেও একটি চাদরও কেউ এগিয়ে দেননি। সুমাইয়া বলেন, 'কত মানুষ, সবাই তাকায় রইছে। কেউ আগায় না। বলি কি একটা চাদর দেন আমাদের গায়ে। আমি মহিলা মানুষ। আমার গায়ে একটা চাদর দেন। কেউ দেয় না। বিল্ডিংয়ের মহিলারা কেউ দেয় না।'
সারলিন এবং জারিফও একা একা সাত তলা থেকে দৌড়ে নিচে নামে । তাদেরও সাহায্য করার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।
...................
কী অদ্ভুত! অকল্পনীয়। ভাবা যায়? কতটা বর্বর আর অমানবিক হয়ে গেছি আমরা?

মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০১৬

এদের সেবার জন্য আপনি ডাক্তারদের গ্রামে যেতে বলেন?

বাংলার বীর জনগন, জোরগলায় ফেসবুক ফাটিয়ে আওয়াজ তুলুন, ডাক্তারদের শুধু গ্রামে গিয়ে থাকলেই হবে না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিতসা দিতে হবে। প্রয়োজনে পিঠ পেতে দিতে হবে। জীবন দিতে হবে।
খবরঃ
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসায় গিয়ে চিকিৎসা দিতে রাজি না হওয়ায় নেতাকর্মীদের হামলায় তিনটি দাঁত হারালেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক।
তেরখাদা থানা সূত্র জানায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন রবিবার রাত ৯টার দিকে অফিসে দায়িত্বরত ছিলেন। এ সময় কয়েকজন লোক এসে জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এসএম ওহিদুজ্জামানের স্ত্রী অসুস্থ।এ জন্য তাকে আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসায় গিয়ে রোগীর চিকিৎসা করতে হবে। ডা. মামুন এমার্জেন্সি বিভাগে ডিউটিরত থাকায় বাসায় যাওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে অন্য এক সহকারীকে আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় পাঠান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের ভেতরেই তাকে বেদমভাবে প্রহার করেন। এ সময় তাদের কিল-ঘুষিতে ডা. মামুনের তিনটি দাঁত পড়ে যায়।
........
এদের সেবার জন্য আপনি ডাক্তারদের গ্রামে যেতে বলেন?