এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১

ঈমাম মাহদী

 যারা ঈমাম মাহদি বা হযরত ঈসার (আঃ) আগমনের অপেক্ষা করছেন, ভাবছেন- খুব শীঘ্রই ঈমাম মাহদীর আগমন হবে, হয়তো পুলকিত হচ্ছেন, খুব মজা হবে...(!) তারা হলেন এমন লোক যারা নিজে নিজের বিপদ ডেকে আনতে চান। থামেন, আমি ঈমাম মাহদী বা ঈসা (আঃ)কে বিপদ বলছি না, তাঁদের আগমন হবে দুনিয়াবাসীর জন্য আল্লাহর বিরাট রহমত, কিন্তু আপনার আমার জন্য বিরাট পরীক্ষা। আপনি কি নিশ্চিত করে বলতে পারেন যে আপনি ঈমাম মাহদীর দলেই থাকবেন? ধরুন আপনার জীবদ্দশায় ঈমাম মাহদী এলেন আর আপনি কোনোভাবে তার বিপক্ষে থেকে গেলেন- সেটা আপনার জন্য কতবড় বিপদ হবে কখনো ভেবেছেন? মুহাম্মাদ (সাঃ) আসবেন জেনে শতবছর আগে থেকেই ইহুদীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে মদীনায় গিয়ে বসতি স্থাপন করেছিলো, কিন্তু ফলাফল কী হয়েছে দেখেছেন!! রাসুল (সাঃ) এর সময়ে যদি আপনার জন্ম হত, আপনি যে আবু জেহেলের পক্ষে থাকতেন না তার কোন নিশ্চয়তা আছে? যখন মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে মুহাম্মাদ (সাঃ) ও ইসলামের জয়জয়কার, সেসময়েও তো এই অঞ্চলের মানুষেরা কাফের হিসেবেই মারা গেছে নাকি?


আজকেই যদি ঈমাম মাহদী আসেন- সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, যেসব হুজুর ঈমাম মাহদীর আলোচনা করে দিন কাটাচ্ছেন, তাদের মধ্যেই অনেকে হয়তো ঈমাম মাহদীর বিরোধিতা করে বসবেন!! কারণ ঈমাম মাহদীর নাম তো আর 'ঈমাম মাহদী' থাকবে না। নবী চেনার মত করে তাঁকেও চিনতে হবে। প্রতিষ্ঠিত হবার আগ পর্যন্ত ঈমাম নিজেও জানবেন না যে তিনিই ঈমাম মাহদী। তাছাড়া ঈমাম মাহদীর চিন্তা ও সিদ্ধান্তগুলোও অনেকের সাথেই মিলবে না! এমনও হতে পারে- কেউ কেউ হয়তো ঈমাম মাহদীকেই কাফের ফতোয়া দিয়ে বসতে পারেন! 

তো জেনেবুঝে আপনারা কেউকি এরকম পরিস্থিতিতে, এরকম সময়ে উপস্থিত থাকতে চান? 


ঈমাম মাহদীর জন্য অপেক্ষা না করে আমাদের দোয়া করা উচিত- আল্লাহ যেন আমাদের ঈমাম মাহদী আসার আগেই ঈমানের সাথে তুলে নেন। যখন সময় হবে তখন আল্লাহ তায়ালা ঈমাম মাহদীকে প্রেরণ করবেন, কিন্তু সেসময় যেন তিনি আমাদেরকে জীবিত না রাখেন। কারণ, এতবড় পরীক্ষায় আমরা অনেকেই হয়তো উত্তীর্ণ হতে পারবো না।