গাড়ি
জ্যামে আটকে আছে কতক্ষণ ধরে । এই সময়টায় বাচ্চাদের স্কুল ছুটি হয় , আর
ধানমন্ডির এই
রাস্তাটাতে ধুন্দুমার জ্যাম লেগে যায় । জ্যামে বসে থেকে বিরক্ত হতে হতে এখন সে
অনুভূতিটাও কেমন থিতু হয়ে এসেছে । ভালো স্কুল মানেই কি স্কুলের সামনে জ্যাম থাকতে
হবে ?
তবু
রক্ষা যে আজকের দিনটার আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা । আকাশে কিছু সাদা মেঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে ।
মেঘ ছাড়া বাকিটা ঝকঝকে নীল আকাশ । জ্যামে বসে আকাশ দেখা ! কী আর করা , তাও ভালো !
জানালাটা
খুলে দেয় রেখা । রুনুটা এতক্ষণ মোবাইল নিয়ে খেলছিল , গাড়ির জানালা খুলতে দেখে
মোবাইল রেখে বাইরে তাকালো । আর এমন সময়ই কোত্থেকে যেন এলো লোকটা । হাতে কয়েকটা
পুতুল । এমন পুতুল সত্যিই আগে কখনো চোখে পড়েনি রেখারও । রুনু চেঁচিয়ে উঠলো, এই আংকেল – একটা পুতুল আমাকে দেবে ?
রুনু
ক্লাস ওয়ানে পড়ছে । পুতুল যে খুব একটা ভালোবাসে তা না । এখনকার বাচ্চারা ছোটবেলা
থেকেই মোবাইল, টিভি, কম্পিউটার এইসবে আসক্ত হয়ে পড়ছে । ওদেরও বা উপায় কী ? স্কুলের সময়টা ছাড়া সারাটা দিনই তো বাসায়
একপ্রকার বন্দী । খেলার মাঠ কোথায় ? খেলার সাথীই বা কোথায় ? সেই জায়গাটা দখল করছে
ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি ।
রেখা ভেবেছিল
লোকটা হয়তো তার নিজের বাচ্চার জন্য কোথাও থেকে কিনেছে পুতুলগুলি । লোকটাকে জিজ্ঞেস
করে জানবে, কোথায় পাওয়া যায় । কিন্তু লোকটা এসে জানালো এগুলো বিক্রি করার জন্যই ফেরি করছে সে । লাল আর নীলের
কম্বিনেশনে একটা পুতুল পছন্দ করে রুনু ।
সেই
থেকে পুতুলটা ছিল রুনুর সর্বক্ষণের সঙ্গী । তুলতুলে নরম শরীর, মাথায় কী সুন্দর চুল
। লাল টুকটুকে একটা ফ্রক পড়া । আর নীল রঙের চোখ দুটো কী মায়াবী ! যেন জীবন্ত
বাচ্চার চোখ ।
পুতুলটা
সুন্দর ছড়া আবৃত্তি করতে পারতো ! টুইংকেল টুইংকেল লিটল স্টার , কানা বগির ছাঁ,
টেডি বিয়ার, আয় আয় চাঁদ মামা, ঝুমকো জবা বনের ফুল । রেকর্ড সেট করা ছিল ভেতরে,
পুতুলটার কানমলা দিলে এই ছড়াগুলো আবৃত্তি করতো । ওর একটা নামও দিয়েছিল রুনু । নিজের
নামের সাথে মিল রেখে পুতুলের নাম রেখেছিল ‘ঝুনু’ । যেখানেই যায় ঝুনুকে
কোলে করে নিয়ে যায় । শুধু স্কুলে যাওয়ার সময় বিছানায় শুইয়ে রেখে যায় ঝুনুকে ।
এসবই
একমাস আগের কথা । আপার কাছে রুনুর পুতুল কেনার কথা আগেই শুনেছিলাম । একটু আগেই
ওদের বাসায় চুরির খবরটা পেলাম । বাসার সব কিছু ঠিক আছে । শুধু আপার গয়নাগুলো নেই !
আর একটা জিনিস নেই , সেটা হলো রুনুর পুতুলটা । অবাক কান্ড !
রুনুর
জন্য কষ্ট বেশি হচ্ছে । পুতুলটা রুনুর খুব পছন্দের ছিল । গত মাসেই কিনেছিল । রুনুর কাছে পুতুলটার কথা কত শুনেছি ।
দুইমিনিট কথা বললে তার এক মিনিট রুনু কথা বলতো ওর পুতুলটাকে নিয়ে । পুতুলটাকে
দেখার আমারও খুব ইচ্ছে ছিল ।
আজ রেখা
আপা স্কুল থেকে রুনুকে নিয়ে বাসায় ফিরে দেখে রুনুর পুতুল নেই । সবগুলো ঘর তন্ন
তন্ন করে খুঁজেও কোথাও না পেয়ে কিছুটা অবাকই হয় আমার বড় বোন রেখা । কানের দুল খুলে
রাখতে গিয়ে টের পায় আলমারির ড্রয়ারে বাকি গয়নাগুলোও নেই । তারপরই আমাকে ফোন করে ।
আমি
হলাম ওর সার্বক্ষণিক উপদেষ্টা । যেকোন সমস্যায় সে আমাকে ফোন করবেই । আর আমি যা
সমাধান দেবো সেটাই করবে । আমার ওপর ওর এতটা বিশ্বাস দেখে অবাক হয়ে যাই । মাঝে মাঝে
একটু ধমকও দেই, ‘তুমি নিজে একটুও চিন্তা করোনা কেন ? তোমার মাথাটা একটু খাটাতে
পারোনা ?’
আবার
মনে হয়, হয়তো এটাই ওর ভালোবাসা । এটা সেটার ছলে আমার সাথে কথা বলে । মা বলেন, আমি
যখন ছোট ছিলাম, আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝতো না রেখা আপা । ভাইই ছিল ওর সব । বড় হয়ে আমি যখন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে
বাসা ছাড়লাম, সেকি কান্না ওর ।
আজ বেচারির
সব গয়না চোরে নিয়ে গেছে । গয়নার প্রতি ওর আকর্ষণটা ছিল অদ্ভুত । সব মেয়েরই নাকি
গয়নার প্রতি আকর্ষণ থাকে, কিন্তু ওরটা আমার কাছে কেমন যেন বেশি বেশি মনে হত । কে
জানে, নিজের বোন বলেই হয়তোবা ! যাহোক, ওর জন্যে খারাপই লাগছে আমার ।
একটু
আগে আমাকে ফোন করেই সেকি ভেউ ভেউ করে কান্না । দুলাভাইও আমাকে ফোন করে বললেন, তুমি
তাড়াতাড়ি গিয়ে ওদেরকে সামলাও । কী হয়েছে দেখো । আমি শহরের বাইরে । সন্ধ্যার আগে
ফিরতে পারবো না ।
কী আর
করা । যাচ্ছি এখন বোনের বাসায় । রুনুও ফোনে অনেক কান্নাকাটি করলো । আহা, ওর প্রিয়
পুতুলটা চোরে নিয়ে গেছে । চোরটা কীরকম বেরসিক, একটা বাচ্চার খেলনা পুতুলটাও নিয়ে
গেলো !
২।
নাস্তা
করছি । আপার স্পেশাল রেসিপি । চুরির ঘটনার পর গতকাল অনেক স্বান্তনা দিয়ে অবশেষে
কিছুটা শান্ত করতে পেরেছি । যা হবার হয়ে গেছে, এখন কান্নাকাটি করলে কি গয়না ফেরত
পাওয়া যাবে ?
রুনুর
আজকে স্কুল ছুটি । আজ রুনু আমার
সাথে সাপ লুডু খেলবে ।
খাচ্ছি আপার
বানানো বিশেষ রেসিপির নাস্তা । এই খাবারের নাম আমি জানিনা । তবে একটু পরেই জানতে
পারবো ।
আপা
মনোযোগ দিয়ে টিভিতে রান্নার অনুষ্ঠান দেখে । বাজারে রেসিপির বই পেলেই কিনে নিয়ে
আসে । আর ওর সব নতুন নতুন রেসিপি টেস্ট করায় আমাকে দিয়ে । ফুড ক্রিটিক হিসেবে আমি
আমার মূল্যবান বক্তব্য পেশ করি । পেশ করি মানে শুধু যে মুখে বলি তাই নয়, আপার একটা
ডায়েরি আছে । সেখানে ও লিখে রাখে কোনদিন কী নতুন রেসিপি রান্না করেছে ! আর তার
নিচে নীল কালির একটা কলম দিয়ে খাদকদের মন্তব্য লিখতে হয় ! আপা নিজের মন্তব্য লেখে
। দুলাভাইর কাছ থেকে মন্তব্য লিখে নেয় । রুনুর মন্তব্যও নেয় । আর স্পেশাল ফুড
ক্রিটিক হিসেবে আমার মন্তব্য ।
খাবার
যেমনই হোক, আমি সবসময় লিখি ‘অসাধারণ খাবার ! এমন সুস্বাদু খাবার আমি জীবনে খাইনি
!’ তারপর নিচে একটানে আমার বিখ্যাত বাঁকা তেড়া সাইন করে দিই ।
গতরাতে সেই ‘খাদ্যবিলাস’ খাতাটা নিয়ে দেখেছি, বিগত
বেশকিছু মন্তব্যে আমি এই একই কথা লিখেছি । এবার একটু হলেও নতুন কিছু লিখতে হবে ।
কী
লিখবো ভাবছিলাম , এমন সময় আমার কানে এলো রেখা আপার উত্তেজিত কন্ঠ । ‘বলেন কী ভাবি
?’ আপনাকে তো জানানোই হয়নি , কাল আমারও সব গয়না চুরি হয়ে গেছে । আর রুনুর পুতুলটা
।
বলেন কী
? রিমিরও পুতুল নিয়ে গেছে ?
না না ,
সবকিছুই তো ঠিকই ছিল । চোর দরজা খুলেছে মাস্টার কী দিয়ে । কোনকিছুতে হাত দেয়নি
ভাবি, শুধু গয়নাগুলো আর পুতুলটা । হ্যা হ্যা । ...
আরো
কীসব কথা বলতে লাগলো ও । আমি চুপচাপ খেয়ে হাত ধুয়ে ফেললাম । ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে । রুনু এখন ওর রুমে একা একা সাপ-লুডু
খেলছে । রুনুর কাছে গিয়ে আমি রুনুকে জিজ্ঞেস করলাম- রুনু, রিমি কে রে ? রুনু বললো –
রিমি ? রিমি আমার ক্লাসের বন্ধু । মামা জানো রিমি না...’
‘রিমিরও
কি তোমার মত পুতুল আছে ?’ আমি রুনুকে থামিয়ে দেই । প্রশ্নটা আমার জন্যে
গুরুত্বপুর্ণ ।
আপাকে
বললাম- আপা কার বাসায় চুরি হয়েছে ? আপার কাছে সব শুনে আমি বলে দিলাম রিমি ও রিমির মাকে বাসায় দাওয়াত করতে ।
৩।
রিমি ও
রিমির মা এসেছে । রিমি যে শুধু রুনুর ক্লাসমেট বান্ধবী তাই নয়, রিমির মায়ের সাথেও
রেখা আপার সম্পর্ক গলায় গলায় । এখন বাচ্চাদের স্কুল গুলো শুধু বাচ্চাদের স্কুল নয়,
অভিভাবকদেরও স্কুল ! বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে মায়েরা গার্ডিয়ান টেন্টে অপেক্ষা করে ।
পরস্পরের সাথে পরিচিত হয় । গল্প গুজব করে । অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে- বাচ্চার স্কুল
বন্ধ থাকলে বাচ্চা খুশি হয়, কিন্তু মন খারাপ হয় মায়েদের !
‘আচ্ছা
রিমির পুতুলটা কেমন ছিল ?’
খুটিয়ে
খুটিয়ে প্রশ্ন করে বর্ণনাটা শুনলাম আমি । হুবহু রুনুর পুতুলটার মতই । আর কেনার ঘটনাটাও একই রকম । একটা হ্যাংলা পাতলা মানুষের কাছে রাস্তায়
কিনেছিল । চুরি হবার ঘটনাটাও শুনলাম । আমার সন্দেহটা আরো পাকাপোক্ত হলো ।
‘আচ্ছা
এরকম পুতুল কি আর কারো কাছে আছে ? মানে আর কেউ কি কিনেছিল ?’ সবার উদ্দেশ্যে প্রশ্নটা করলাম আমি ।
কিন্তু ঐ
মুহূর্তে খেয়াল করতে পারলো না কেউই ।
বিকালে
রুনুর সাথে কথা বলতে বলতে রুনুর বন্ধুদের কথা শুনছিলাম । তখনই রুনু জানালো যে ওর
আরেক বন্ধু সিমিও একটা পুতুল কিনেছে গতমাসে । আমি রুনুকে দিয়ে ফোন করালাম সিমিদের
বাসায় । আমরা আসছি । পুতুলটা যেন হাতের কাছেই রাখে ।
আমার
বন্ধু আরিফকে ফোন করে সংক্ষিপ্ত ঘটনা বললাম । আমার সন্দেহের কথাও জানালাম ।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘন্টাখানেকের মধ্যে হাজির হলো আরিফ । ইলেক্ট্রনিক
যন্ত্রপাতির ব্যাপারে আরিফের অনেক দক্ষতা । রেখা আপা, রুনু, আমি আর আরিফ বিকাল
পাঁচটা নাগাদ পৌঁছলাম সিমিদের বাসায় । রুনু আর রেখা আপাকে পুতুলটার কাছ থেকে দূরে
থাকতে বললাম । পুতুলটাকে নিয়ে একটা রুমে ঢুকে আমরা ছিটকিনি লাগিয়ে বসলাম । আরিফ ওর
যন্ত্রপাতি দিয়ে পুতুলটাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখলো । সাবধানে
খুলেও দেখলো । এই পুরো সময়টাতে পুতুলটার চোখদুটো একটা কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখা
হল ।
হালকা
নাস্তা খেয়ে আমরা সিমিদের বাসা থেকে বিদায় নিলাম । আপার বাসায় আর গেলাম না ।
‘জরুরী কাজ আছে , পরে আসছি’ বলে আরিফের সাথে চলে এলাম আমি । অন্য সময় হলে আপা চিল্লাচিল্লি করতো, কিন্তু আরিফ সাথে থাকায় শুধু একটু
বিরক্তি আর প্রশ্নবোধক চোখে তাকিয়ে বাসায় চলে গেল । আমি আর আরিফ চলে গেলাম র্যাবের
অফিসে ।
র্যাব
কমান্ডারকে আমাদের পরিচয় দিয়ে সব কথা খুলে বললাম । অপরাধী চক্রের অবস্থান সম্পর্কে
মোটামুটি একটা ধারণা আরিফ করেছিল , সেটা কনফার্ম করা হলো র্যাবের হাতে থাকা উন্নত
যন্ত্রপাতি দিয়ে । ঠিক হলো রাত নয়টায় অপারেশন চালানো হবে । আমরা সাথে থাকার
আগ্রহ দেখালাম , কিন্তু আমাদেরকে সাথে নিতে চাইলোনা র্যাব । কমান্ডার বললেন , ‘এরা
কতবড় গ্যাং সে ব্যাপারে যেহেতু আমাদের কোন ধারণা নাই সেজন্য আপনাদের নিতে পারছি না
। আর তাছাড়া কী পরিস্থিতি হবে সে ব্যাপারেও নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না’ ।
উপায় না
দেখে আরিফকে বিদায় করে আমি আপার বাসায় ফিরে এলাম ।
৪।
খেয়েদেয়ে
ঘুমিয়েই পড়েছিলাম । রেখা আপার চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল । ঘড়িতে দেখি রাত
১২টা বাজে ।
‘এই ওঠ
ওঠ । এই দেখ খবরে কী দেখাচ্ছে ।
চোখ
ডলতে ডলতে ড্রয়িং রুমে এলাম ।
টিভিতে
নিউজ দেখাচ্ছে- ব্রেকিং নিউজ ! চোরচক্রের আস্তানায় র্যাবের হামলা , সাতজন আটক ।
চুরি হওয়া বিপুল পরিমাণ স্বর্নালংকার উদ্ধার । অভিনব কায়দায় চুরি করে যাচ্ছিল এই
অপরাধীচক্র । তারা অভিজাত এলাকার স্কুলের আশেপাশে বিশেষ ধরণের পুতুল বিক্রি করতো ।
ঐ পুতুলগুলোর চোখে সেট করা ছিল বিশেষ ধরণের সিসি ক্যামেরা । সিসি ক্যামেরার
মাধ্যমে ঘরের ভেতরের চিত্রধারণ করে বিশেষ ধরণের মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূর
থেকেই ভেতরের অবস্থা দেখে চুরির পরিকল্পনা নিত এই অপরাধীরা । গত তিনদিনে এই
পদ্ধতিতে তারা দুটি বাসায় বড় ধরণের চুরি করে । গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ তাদের
আস্তানায় অভিযান চালায় র্যাব । এসময় র্যাবের সাথে সন্ত্রাসীদের বেশ কয়েক রাউন্ড
গুলি বিনিময় হয় । র্যাব ঘটনাস্থল থেকে সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে । এছাড়া
স্বর্ণালংকার সহ চুরি করা মূল্যবান জিনিসপত্রের সাথে কয়েকটি কম্পিউটার ও বিভিন্ন
ধরণের প্রযুক্তিপন্য উদ্ধার করা হয় । অপরাধীচক্রের আস্তানা থেকে জব্দকৃত
কম্পিউটারে থাকা সকল ভিডিও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে । উদ্ধারকৃত অলংকারসমূহ অতি শীঘ্রই
মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে ।
‘হায়
আল্লাহ্ ! রুনুর পুতুলের চোখে সিসি ক্যামেরা ছিল ?’ আর্তনাদ করে উঠলো রেখা আপা ।
আপার আর্তনাদকে
পাত্তা না দিয়ে আমি বললাম , ‘কাল সকালে তো তোমার গয়না পেয়ে যাচ্ছ । এখন নতুন কী
রেসিপি রেঁধে গুণধর ভাইয়ের উদরপূর্তি করবে সেই চিন্তা করো আপা । সকালে ডাক দিও,
আমি ঘুমাতে গেলাম’ !