এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বৃহস্পতিবার, ২১ জুন, ২০১২

আওয়ামী লীগের 'জামায়াত বিরোধীতা'র কারণ কি মুক্তিযুদ্ধ ?


আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা এমনভাবে প্রচারণা চালায় এতে তরুণ সমাজের মনে হয় আওয়ামী লীগ বুঝি মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা সংক্রান্ত কারণেই জামায়াতের বিরোধিতা করে । আরো সহজভাবে বললে- ' আওয়ামী লীগ জামায়াতের বিরোধিতা করে এজন্যেই যে, জামায়াত মুক্তিযুদ্ধ করেনি ।'

ব্যাপারটা কি আসলে তাই ? মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা ভিন্ন টপিক । এই লেখায় আওয়ামী লীগের জামায়াত বিরোধীতার কারণ ও স্বরুপটা কী সেই ব্যাপারটা স্পষ্ট করতে চাই ।

আসলে মূল কারণটা হলো সম্পূর্ণ আদর্শগত বিরোধ । আওয়ামী লীগ চায় ধর্মহীন-সেক্যুলার রাষ্ট্র, আর জামায়াত চায় ইসলামী রাষ্ট্র ।

১৯৭০ সালে নির্বাচনের আগে পল্টন ময়দানে আওয়ামী লীগ জামায়াতের দুজন কর্মীকে হত্যা করেছিল । তখনো তো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি , তাহলে কেন তারা জামায়াতের কর্মীকে হত্যা করলো ?

১৯৬৯ সালের ১২ই আগস্ট তোফায়েল আহমেদ ও তার সঙ্গীরা ছাত্রসংঘ নেতা আব্দুল মালেককে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিল । এই ঘটনার ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল । যেখানে দেখা যায় তোফায়েল আহমেদ আব্দুল মালেককে আঘাত করছেন । কেন ? তখনোতো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি !

আব্দুল মালেক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রির মেধাবী ছাত্র । তুখোড় বক্তা । শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হওয়া দরকার তা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমিনার হচ্ছিলো । সেমিনারে আব্দুল মালেক ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার পক্ষে মাত্র ৫ মিনিটে জোরালো যুক্তিপুর্ন বক্তব্য রাখেন এবং সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থার পক্ষে দেওয়া আগের বক্তাদের বক্তব্য খন্ডন করেন । এতে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার পক্ষে ব্যাপক জনমত গড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি হয় । তাঁর বক্তব্য ও যুক্তি খণ্ডাতে না পেরে হিংস্র হয়ে উঠেছিলেন তোফায়েল আহমেদরা ।

১৯৯১ সালের আগে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ জামায়াতে ইসলামীকে সাথে নিয়ে কাজ করে । আওয়ামী লীগ নেতারা জামায়াতের নেতাদের সাথে করমর্দনও করতেন, এক টেবিলে আলোচনাও করতেন, খাবারও খেতেন । এই গোলাম আযম , নিজামী ,এই মুজাহিদ দের সাথেই । তখন তাঁরা অচ্ছুৎ ছিলেন না ! মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকাই যদি আওয়ামী লীগের জামায়াত বিরোধীতার কারণ হতো তাহলে তারা কীভাবে একমঞ্চে উঠলেন ? এটা তো মুক্তিযুদ্ধের পরের ঘটনা নাকি !!

১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর সরকার গঠনের জন্য আওয়ামী লীগ জামায়াতের সমর্থন চায় । সমর্থন চায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও । সমর্থন পেতে গোলাম আযমের কাছে প্রতিনিধি পাঠায় তারা । এই ঘটনা তো মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরের । তখন আওয়ামী লীগের চেতনায় জং ধরেছিল কেন ?

প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের জামায়াত বিরোধীতা মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকার কারণে নয় । মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্কের মাপকাঠি নয় । যদি তাই হতো তাহলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা , শেখ সেলিম এরা রাজাকার পরিবারের সাথে সম্পর্ক করতেন না । পুতুলের দাদাশ্বশুর নুরু মিয়া, তার ছেলে মোশাররফ হোসেন ,আওয়ামীলীগের সাবেক ধর্মমন্ত্রী নুরুল ইসলাম, সাবেক পাটমন্ত্রী একে ফয়জুল হক, মীর্জা আযমের বাবা ওরফে শায়খ আব্দুর রহমানের শ্বশুর মীর্জা আবুল কাশেম এরাও কুখ্যাত রাজাকার। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীসভায় পর্যন্ত দালাল আইনে সাজাপ্রাপ্ত রাজাকার ছিল । এখনো রাজাকারের ভাই-বেরাদাররা মন্ত্রী-পাতিমন্ত্রী-আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে বহাল তবিয়তে আছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নসিহত করছেন ! আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের কথা আর নাইবা বললাম ! ( আওয়ামী লীগের রাজাকার কানেকশন বিস্তারিত এখানে - http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=4412 )

মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বড় খলনায়ক জুলফিকার আলী ভুট্টোকে স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশে দাওয়াত দিয়ে এনেছিলেন, লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়েছিলেন । পাকিস্তানে গিয়ে ভুট্টোর গালে চুমু দিয়েছিলেনও তিনি ।

প্রকৃত ব্যাপারটা হলো সেটাই । আওয়ামী লীগ চায় নিরবচ্ছিন্ন ক্ষমতা এবং সেক্যুলার রাষ্ট্রব্যবস্থা । অপরপক্ষে জামায়াত চায় ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং আওয়ামী লীগের নিরবচ্ছিন্ন ক্ষমতাচর্চার জন্যও হুমকি । সেক্যুলারিজম, ফ্যাসিবাদ এগুলো ইসলামের সাথে সর্বদাই বিপরীতমুখী । মুক্তিযুদ্ধে আপনার ভূমিকা যাই হোকনা কেন , আওয়ামী লীগের সাথে থাকলেই আপনার সাত-আট-দশ যত খুন সব মাফ । পেতে পারেন মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটও !!!

রাসূল (সা) বলেছেনঃ “যে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে কাউকে ভালোবাসলো এবং আল্লাহর (সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে কাউকে ঘৃণা করলো, আল্লাহর (সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে দান করলো এবং আল্লাহর (সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে দান করা থেকে বিরত থাকলো, সে যেন তার ঈমানকে পূর্ণ করে নিল।” (আবু দাউদ)
বৃহস্পতিবার, জুন 21, 2012

রবিবার, ১৭ জুন, ২০১২

বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লব - হতে হবে গনঅভ্যুত্থানেই


সারা বিশ্বে একই সাথে ইসলামী বিপ্লব যদি করা যায় আমরা অবশ্যই সেটা চাই । কিন্তু বাস্তবতা সেটাকে সমর্থন করেনা । বাংলাদেশে বসে সারা বিশ্বে বিপ্লব করার ইচ্ছাটা একটা মুখরোচক বুলি ছাড়া অন্য কিছু নয় । কেউ কেউ এইকথা শুনলেই তেতে ওঠেন । তাদের কথা ইসলামের কোন দেশীয় বা আঞ্চলিক গন্ডি নেই । অবশ্যই ইসলামের কোন আঞ্চলিক গন্ডি নেই । কিন্তু বর্তমান  বাস্তবতায় সবাই কোন না কোন দেশ ,রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে থাকতে বাধ্য । কেউ চাইলেই নির্দিষ্ট সীমানা অতিক্রম করতে পারেনা । এজন্য আছে সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন ,যা মানতে সবাই বাধ্য হচ্ছে ।

তাহলে আমাদের অবশ্যই চলমান সময়ের প্রেক্ষাপটে ভূ রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনায় আনতে হবে । ইসলামী বিপ্লব অবশ্য করণীয় , প্রয়োজনে এতে জীবন বিলিয়ে দিতে হবে । কিন্তু এর মানে এই নয় যে ইসলামের নাম নিয়ে যেনতেন ভাবে হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে জীবন দিলেই হবে । ইসলাম অবশ্যই ভূ-রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক অবস্থার যথাযথ পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে কৌশল প্রণয়ন ও পদক্ষেপ নিতে বলে । খন্দকের যুদ্ধ এর একটি প্রমাণ ।

আমরা ইতিহাসের অনেক ঘাত প্রতিঘাত শেষে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের আওতায় বসবাস করছি এবং এখানে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছি । আপনি চাইলেই ফিলিস্তিন ইরাক আফগানিস্তানের মুজাহিদিন দের সাথে লড়াই তে অংশ নিতে পারেন না এবং যদি আপনি যেতে পারেনও তবু বেঘোরে প্রাণ হারানো ছাড়া অন্য কোন উপকার আপনাকে দিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা কম । এদিকে ইকামাতে দ্বীনের ফরজিয়াতও আপনার ওপর রয়ে গেছে । সুতরাং আপনাকে বাংলাদেশের ভূমিতে , বাংলাদেশের জনগনের মাঝেই ইসলামের আলোকে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফরজ দায়িত্ব পালন করতে হবে । আপাতত আপনার হাতে অন্য কোন বিকল্প নেই ।

এখন আরো কিছু বিষয় নজরে রাখতে হবে । এটা স্পষ্ট হতে হবে যে , যেকোন মূল্যে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার নাম ইসলামী বিপ্লব নয় । জনগনকে ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে মেনে নেয়ার এবং মেনে চলার জন্য প্রস্তুত না করে রাষ্ট্রক্ষমতা অর্জন করলেও ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে না । সকল মানুষের ওপর জোরপূর্বক আল্লাহর আইন চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই । এটা টেকসই হবেনা ।

দেশের মোট জনগোষ্ঠির একটা উল্লেখযোগ্য অংশকে বুঝেশুনে নিজ উদ্যোগে আল্লাহর দেয়া আইন পালনে সচেষ্ট হতে হবে । এবং তারা অন্যদেরও ক্রমাগত আল্লাহর আইন পরিপালনের ব্যাপারে উত্‍সাহিত করার ক্ষেত্রে আন্তরিক হতে হবে । তখন অবশিষ্ট জনগোষ্ঠির ওপর ইসলামের বিধান চাপিয়ে দিলেও রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিপন্ন হবেনা । ব্যক্তিযোগাযোগ , গনমাধ্যমে ইসলামী বিধানসমূহের স্বরুপ , প্রয়োজনীয়তা ও সুফল সংক্রান্ত প্রচারণা এবং বাস্তবে ইসলামী বিধান প্রতিষ্ঠার ভালো ফল দেখে ধীরে ধীরে অধিকাংশ মানুষ এর সমর্থক হয়ে যাবে । পুরো জনগোষ্ঠির ওপর জোরপুর্বক একটি আদর্শিক রাষ্ট্রব্যবস্থা চাপিয়ে দিলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে এবং অবশেষে রাষ্ট্রকাঠামোও ধ্বসে পড়বে । স্বল্পসময়ের জন্য গঠিত একটি বিশৃঙ্খল রাষ্ট্রব্যবস্থার নাম ইসলামী রাষ্ট্র হতে পারেনা ।


ইসলামের আদর্শ ও বিধানের আলোকে একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনর্গঠিত হলে সেটির ওপর অন্যান্য কাফের ও মুশরিক পরিচালিত রাষ্ট্রগুলির কুনজর পড়বেই । তারা নানাভাবে এটির অস্তিত্ব বিলোপের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠবে । কুটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ হতে পারে । হতে পারে সামরিক আক্রমণও । এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নাগরিকদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশকে স্বতস্ফূর্তভাবে এইসব বাধার মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকার মত অবস্থা তৈরি হতে হবে । এই বিষয়টিকেও ইসলামী রাষ্ট্র পরিগঠনের একটি পুর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করতে হবে ।

এই শর্তগুলো পূরণ না করে যেনতেন ভাবে , শসস্ত্র বিপ্লব বা অন্য কোন পন্থায় ক্ষমতা দখল করলেও তা ইসলামী রাষ্ট্র হবেনা এবং টেকসইও হবেনা । জনগন নিজেই বিদেশী শক্তিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে , সহযোগিতা করে এরুপ সরকারকে উত্‍খাত করবে এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তনগুলোকে পুর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে ।


বাংলাদেশে সশস্ত্র বিপ্লব করার প্রয়োজনীয়তা ও সুযোগ কোনটাই নেই । বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মুসলিম । এরা ঈমান রাখে । কিন্তু ইসলাম যে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান এই বিষয়ে জ্ঞান নেই অধিকাংশের । তারা ইসলামকে নিছক একটি ধর্ম হিসেবে মনে করে । রসম রেওয়াজ আচার অনুষ্ঠান পালন করাকেই সবকিছু মনে করেন । ইসলামে যে অর্থনৈতিক , সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিধান রয়েছে এবং সেগুলোও যে অবশ্য পালনীয় এই বিষয়টা তাদের কাছে পরিষ্কার নয় । ইসলামের রাজনৈতিক দর্শন সম্পর্কে জ্ঞান নেই বেশিরভাগের । বরং রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজনৈতিক কর্মসূচীকে তারা ধর্মের নামে স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা বলে মনে করে । কট্টরপন্থিরা একে ধর্মব্যবসা বলেও উল্লেখ করে ।
ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবন বিধান এবং দেশ সমাজ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আল্লাহর দেয়া এবং আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য নীতি-বিধান হিসেবে বিশ্বাস করে এমন লোকের সংখ্যা ১০% এর বেশি হবেনা ।

সশস্ত্র গোষ্ঠি গঠনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা আল্লাহর রাসুল(সা) এর নীতি নয় । বাংলাদেশে যদি কেউ এমনটা করতে চায় তবে তাদেরকে ক্ষমতা নিতে হবে মুসলমান শাসকদের হত্যা করার মাধ্যমেই । রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে ফেললেও অধিকাংশ মানুষ যেহেতু ইসলামের নীতি বিধান পরিপালনে প্রস্তুত নয় , হঠাত্‍ করেই সেটা চাপিয়ে দেয়াও সম্ভব হবেনা । বিচার কে করবে ? বিচারকরা তো ইসলামী বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে জানেন না । বিচার কে মানবে ? জনগন তো এই বিচারব্যবস্থার গুরুত্বই জানেনা । সেনাবাহিনী তো আল্লাহর দ্বীনের জযবায় উজ্জীবিত নয় । শাসকরা হয়তো স্বৈরাচারি শাসকের মত কিছুকাল ক্ষমতায় থাকতে পারবে , এরপর আবার অন্যকেউ তাদের একইভাবে উত্‍খাত করবে । সেনাবাহিনীই হয়তো ক্ষমতা দখল করে আবার আগের অবস্থায় নিয়ে যাবে । যেমনটা ঘটেছে তুরস্কে । এটা কোন সমাধান হতে পারে না ।

সুতরাং প্রথমে মানুষকে ইসলামের প্রকৃত রুপ সম্পর্কে জানাতে হবে , শিক্ষা দিতে হবে , সচেতন করতে হবে । ইসলামকে রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি হিসেবে গ্রহণের গুরুত্ব বুঝাতে হবে । যখন জনগনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তা বুঝবে , নিজের জীবনে ও সমাজে বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হবে তখন এই জনগনকে নিয়ে গনবিপ্লব করতে হবে । এই সংখ্যাটা কমপক্ষে মোট জনসংখ্যার ৩ ভাগের একভাগ হলে তা আশাব্যঞ্জক ধরে নেয়া যায় । গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে  প্রতিষ্ঠিত  রাষ্ট্রব্যবস্থা  অপ্রতিরোধ্য ,টেকসই , শান্তিপুর্ণ ও শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম হবে । ইরানের বিপ্লব এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ ।
মোদ্দাকথা এটাই বলতে চাই , বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লব করতে হবে আকাশকুসুম কল্পনার মাধ্যমে নয় , গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে । এবং এর কোন বিকল্প নেই ।

 রবিবার, জুন 17, 2012