এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

শনিবার, ২৯ মে, ২০১০

প্রত্যাশা

এই যে মোলায়েম রক্তিম গোধূলী আলো
চিকচিক সবুজের প্রান্তে হেঁটে যেতে লাগে ভালো
চাই অনন্ত পথ । হৃদয়ের পাঠশালায় জমুক নৈসর্গজল
ধুয়ে যাক কালিমার পিচঢালা সড়ক। হোক সুনির্মল
মাটি ও মানুষ। মরিচীকার গহ্বরে হারায় যদিবা কেউ
ফিরে আসুক সে , মাখুক শরীরে ধ্রুব সত্যের ঢেউ ।





 শনিবার, মে 29, 2010

শুক্রবার, ২৮ মে, ২০১০

আহ্বান

প্রখর রৌদ্রে ভেজা তিক্ত ধুলোর মাঝে
থাকতে চায়না মন মাটি ও মানুষের ভাঁজে
কাগজের মত। জুড়াতে চাই নিজেকে সবুজ শাখায়
উড়তে চাই অনন্ত শূণ্যতায় পায়রার নীলিম পাখায়।
ঐ ডাকে শান্তির সুবাতাস হাতে নিয়ে সত্যের পয়গাম
এসো মিলি একসাথে হৃদয়ে হৃদয় গেয়ে মুক্তির জয়গান।





শুক্রবার, মে 28, 2010

সোমবার, ২৪ মে, ২০১০

ডাক


তপ্ত আঁধারের পানে ডাকো যবে করুণ গলায়
ক্রন্দনের মত শুনি হয়তো তোমার অজান্তে
চলেছো বক্রপথে। গালিচার শেষ প্রান্ত মিশেছে গিয়ে এক
কৃষ্ণ অগ্নিকুন্ডে। খুলে দাও বিবেকের রূদ্ধদ্বার কাঁটাভরা পথে
জানি, পৌঁছে যাবে একদিন অনন্ত সৌন্দর্যের রথে।





সোমবার, মে 24, 2010

রবিবার, ১৬ মে, ২০১০

একাকার


নিষ্ঠুরতার বিষম বাষ্প শুষে নিচ্ছে জীবন নির্যাস
পৃথিবীর সমতলে কমে যাচ্ছে 'মানুষ'
নির্মল অরণ্যে আজ বিচরণ ধাতব জন্তুর
মানব জন্তুর।

পৃথিবীর তলদেশ হতে আসছে যেন বর্বর বীজ
নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জীবন ও জগত-
মানুষ যন্ত্রে আর পশুতে নেই কোন ভেদাভেদ
নির্মল অরণ্যে আজ বিচরণ ধাতব জন্তুর
মানব জন্তুর।





রবিবার, মে 16, 2010

শনিবার, ১৫ মে, ২০১০

চিনতে পারছেন কি ?

(এখানে প্রতি ৪ লাইনে একজন করে মন্ত্রী/নেতার বৈশিষ্ট্য লেখা হয়েছে । চিনতে পারলে উত্তর দিন । যেমন , ৬. ইডেনের ছাত্রলীগ নেত্রী )

১.
দলের মহাসচিব তিনি
নিবেদিত মন দেহ,
ছাত্রলীগে শিবির আছে
কী ভয়ানক সন্দেহ !

২.
রাজাকার হইলেও তিনি
প্রধানমন্ত্রীর বেহাই ,
যুদ্ধাপরাধ তকমা থেকে
তাইতো পেলেন রেহাই !

৩.
বিষতত্ত্ব চর্চা তাহার
ভীষণ প্রিয় কাজ ,
নেত্রীকে তার করতে খুশি
ভাজেন পচা মাছ !

৪.
দেশের টাকায় ভারতীয়
সিনেমা করেন আমদানি ,
দেশকে জাতে তুলতে হবে
দেশপ্রেম তার খানদানি !

৫.
জনগনের ঘামের টাকায়
ঘোরেন দেশে দেশে ,
ভিক্ষার ঝুলিতে জোটে
আন্ডা অবশেষে !

৬.
অগাধ তাদের ভালোবাসা
প্রিয় নেতার জন্য ,
তাইতো নিজের দেহ দানে
জীবন করে ধন্য !

৭.
বিডিআর বিদ্রোহে তিনি
দিয়েছিলেন মন্ত্রণা ,
আজো বহাল তবিয়তে
রয়েছে সেই যন্ত্রণা !

৮.
এমপিও ভুক্তিতে মামায়
দেখালেন কি খেল ,
বাতিল হলো সেই লিস্টি
টাক্কু মাথায় বেল !

৯.
ভিকারুন এ ভর্তি নিয়ে
বেশ কামালেন নুন ,
মুখোশ পড়া সুশীল মুখে
পড়লো একী চুন !

১০.
ব্যাংকের এমডিকে মারতে
পাঠিয়ে দিলেন গানম্যান ,
দুর্ভাগা এ দেশটি আমার
ক্ষমতায় আজ আন-ম্যান !





শনিবার, মে 15, 2010

মঙ্গলবার, ১১ মে, ২০১০

গন্ধমের আহ্বান

১.
গন্ধমের গন্ধ আজও তাড়া করে ফেরে আমায়
আমারই বাম পাজর ডাকে বারবার করতে অবগাহন
গন্ধমের আদিম জৈবিক তাড়নায় ।
সযত্নে এড়িয়ে চলি মোহময় সেই আহ্বান
জানি, সেতো অভিশপ্ত শয়তানের বাহন ।

২.
কালনাগিনী দের অবাধ বিচরণ নমিত করে দেয়
আমার চোখ । তাদের অবিরাম ফোঁস ফোঁস শব্দ
কাঁপন ধরায় বুকে । অনেকেই তাদের ছোবলে হয়ে গেছে নীল
অচ্ছেদ্য মায়াজালে তারা আজ হচ্ছে সারাক্ষণ জব্দ
কী যে আতঙ্ক , কখন যেন ছুটে যায় নীতি বন্ধনের খিল !



মঙ্গলবার, মে 11, 2010

শনিবার, ১ মে, ২০১০

আমার পুনর্জন্ম দিবস

আজ আমার পুনর্জন্ম দিবস । ৬ষ্ঠ বার্ষিকী।
দিনটি ছিল শনিবার। ১লা মে ২০০৪ ।
প্রিয় প্রভু সেদিন আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন
জান্নাতের দ্বার থেকে। প্রিয় নবী (সাঃ) হয়তোবা
মুচকি হেসেছেন তাঁর ওহুদের দাঁতের ঔজ্জ্বল্যে সেদিন ।
আমার ঠোটের আগা হতে
ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিল শাহাদাতের অমিয় সুধা।

সেদিন আমার কচি মুখের ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি
হয়তোবা ফেরেশতারা শুনেছিল গানের পাখির মতো
আর বাতিলের অন্তরে বিধেছিল তীক্ষ বিষ-বাণ

তারা চেয়েছিল আমার ছোট্ট শরীরটাকে
মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে। আর আল্লাহ ,
আমার প্রভু চেয়েছেন আমার শরীরে আরো মাটি
চেয়েছেন আমার মাটি মুখে বলিষ্ঠ উচ্চারণ
‘আল্লাহু আকবার’ ‘আল্লাহু আকবার’।
তাই আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রভু
জান্নাতের দ্বার থেকে। আমার ঠোটের আগা হতে
ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিল শাহাদাতের অমিয় সুধা।

যে কবিতা লেখার কথা ছিল তোমার , তা আজ
লিখতে হচ্ছে আমাকে। হয়তোবা আজ তুমি আমায়
দেখতে পেতেনা এখানে । যেমনি পাওনা আব্দুল মালেককে।
শহীদের ভীড়ে অনুজ্জ্বল আমাকে হয়তো চিনতেনা সহজে
তবু আমি থাকতাম সেখানে, এখানে। জান্নাতে ।
আর তোমাদের অবচেতনায় ।

আজ আবার এই পঙ্কিল পৃথিবীতে পাপিষ্ঠ আমি
বাড়াচ্ছি আমার পাপ । তবুও প্রার্থনা একটাই, প্রভূ
আমার পুনরূথ্থান যেন হয় সেই রক্তমাখা শরীরে
লাল হয়ে যাওয়া সেই শার্ট যেন জড়িয়ে থাকে
পাপের প্রলেপ মাখা আমার ক্ষীণ কায়ায় ।



শনিবার, মে 1, 2010