আওয়ামী
লীগের দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী
মানিক একজন চরম বিতর্কিত বিচারপতি । তার নামে আছে নানান অভিযোগ । মানি লণ্ডারিং,
প্রতারণা, দুর্নীতি, সংবিধান ও শপথ লংঘন ইত্যাদি । মাহমুদুর রহমান তার
বিরুদ্ধে এনেছেন ২৯ টি অভিযোগ । জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের এমপিরা তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম
জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠণ করে অভিশংসনের দাবি করেছেন । স্পিকার তার বিরুদ্ধে রুলিং
দিয়েছেন ।
এমন
একজন দলকানা চরম বিতর্কিত বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেয়া হলো এমন সময় যখন
বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলা আপিল বিভাগে আসছে ।
ইতোমধ্যে এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে , আল্লামা সাঈদীর মামলা শুনানির জন্যই তাকে আপিল
বিভাগে নেয়া হয়েছে । কারণ, আল্লামা সাঈদীর আপিল শুনানির জন্য গঠিত বেঞ্চে রাখা
হয়েছে এই বিতর্কিত বিচারপতি শামসুদ্দিনকে ।
আপিল
শুনানির বেঞ্চে আরো আছেন বিচারপতি এস কে সিনহা । তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম
প্রভাবিত করার । স্কাইপে কেলেংকারির একটা ডায়লগ ছিল- ‘সিনহা বাবু কইছে, এক-দুইডা রায় দিয়া লন
।
আমরা আপনারে এইখানে নিয়া আসি’ ।
আমরা আপনারে এইখানে নিয়া আসি’ ।
যাহোক,
প্রশ্ন হচ্ছে – এমনিতেই যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম দেশে বিদেশে চরমভাবে
বিতর্কিত হয়েছে এবং হচ্ছে । বিশেষ করে আল্লামা সাঈদীর বিষয়ে জনগনের সেন্টিমেন্ট
চরম অবস্থায় । এই সময়ে দুইজন বিতর্কিত বিচারপতিকে দিয়ে আপিল শুনানির উদ্দেশ্য কী ?
এর
উদ্দেশ্য স্পষ্ট । আওয়ামী লীগ কোন স্বচ্ছ বিচার চায়না । তারা চায় বিচার কার্যক্রম
বিতর্কিত করতে । এবং দেশে সংঘাত জিইয়ে রাখতে । সংঘাত বাড়াতে ।
গৃহযুদ্ধের
যে আশংকা বোদ্ধামহল করে আসছেন , আওয়ামী লীগ আসলে সেটাই চায় । অস্বচ্ছ ও বিতর্কিত
বিচারের আয়োজন করছে যাতে মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নামে । আবার পুলিশ দিয়ে নির্বিচার গুলি করে গনহত্যা করছে যাতে
মানুষ আরো ক্ষুব্ধ হয় । হাতে অস্ত্র তুলে নেয় । একসময় ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘাত শুরু করে
।
আরেকটা
উদ্দেশ্য হতে পারে । ন্যায়বিচারের আশা তিরোহিত করে জামায়াতের সাথে রাজনৈতিক
দরকষাকষির চেষ্টা ।
যেটাই
হোক , ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ । দেশের সাধারণ মানুষ । আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা
কর্মিরা । আসল এবং বড় বড় নেতারাতো বিদেশ পালিয়ে যাবে । সব ব্যবস্থা করাই আছে ।
রক্ত ঝরবে আওয়ামী লীগের যদু, জামায়াতের মধু, বিএনপির কদুর । অথবা কোন দল না করা
ইসলামপ্রিয় আব্দুর রহিমের ।