এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৪

যদি ঝিনুক হতাম !

ঝিনুক হয়ে না জন্মাবার কষ্টটা, এখনো মাঝে মাঝে ফিরে আসে মাঝরাতে । 
সেইযে প্রথম সমূদ্র দেখবার ক্ষণে, আমার 'ক্ষুদ্রত্ব'কে নাড়া দিয়ে গেল 
একটি ঝিনুক । 
তারপর আরও কতবার ফিরে গেলাম বিস্তৃত বালুকাবেলায়, 
ঢেউয়ের আঁচলে সপে দিলাম সমগ্র অস্তিত্ব; কন্ঠের বাঁধন খুলে- 
বিরহ সংগীতের মূর্ছনা ছড়িয়ে দিলাম ফেরারী হাওয়ায় 
নাফের মোহনায় কতবার ভাসালাম সিন্দাবাদের নাও 
প্রবাল দ্বীপের আহ্বানে- 
হিমছড়ি-ইনানীর পথে কত পাহাড় কত ঝিনুকের সাথে হলো ক্ষণিকের মিতালী । তারপর 
বেলা পড়ে এলে 
ঠিকই ফিরতে হলো যন্ত্রনগরের পথে । 

ঝিনুক হয়ে না জন্মাবার কষ্টটা , এখনো মাঝে মাঝে ফিরে আসে মাঝরাতে । 
যদি ঝিনুক হতাম, রোজ ভোরে কাঁচা আলোয় সূর্যস্নান 
আর ঢেউয়ের সাথে উন্মাতাল গলাগলি শেষে 
চিরতরে ভুলে যেতাম এইসব কৃষ্ণ রাত্রির- পাশবিক বঞ্চনা ।  

শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

বিলম্বিত বসন্ত

বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে ।
বেশ । তারপর?
আমি তো বন্য নই,
শিশুও বলা চলেনা নিশ্চয় !
হে কবি, আমার স্থান তবে কোন্ আস্তাকুড়ে ?
-
কতকাল চলে গেল লিলুয়া বাতাসে
কত শৈত্যপ্রবাহ দুমড়ে মুচড়ে গেল আমার ওপর
মানবিক উষ্ণতা ছাড়া
কীকরে চালিয়ে যাবো নিরন্তর প্রতিবাদ?
ক্ষুদ্র এ শীতল শরীরে
কবে জড়াবো জীবন্ত একখানি মায়ার চাঁদর ?
-
তবে কি-
'বিলম্বিত বসন্ত'ই হয়ে রবে আমার কাব্যগ্রন্থের
স্থায়ী উপজীব্য? 

তোমাকেই কাঁপিয়ে দেবো !

শীতের হাত ধরে 
জানালার ফাঁক গলে ক্লিওপেট্টার বেশে  
এক পশলা হিমেল হাওয়া এসেছিল গতকাল  
আমাকে কাঁপিয়ে দিতে । 
ছদ্মবেশী ড্রাকুলার মত ওরা- নিতে এসেছিল আমার  
উষ্ণ রক্তের স্বাদ ! কন্ঠ চড়িয়ে- 
সাফসাফ জানিয়ে দিয়েছি চোখের ভাষায়, 
বেয়াদব, 
'আর একবার কাছে এলে, সবকটি ঠ্যাং ভেঙে  
তোমাকেই কাঁপিয়ে দেবো' ।
-
শীত শীত ধুয়া তুলে কাঁপিয়ে এসেছ আমাকে 
চব্বিশটি বছর । নাবালক ছিলাম বলে করিনি প্রতিবাদ । 
আর অকর্মণ্য নাদান উজবুক কবিরাও 
ভালোবাসি ভালোবাসি বলে হাওয়া দিয়েছিল 'শীতে'র 
ছলনার নৌকায় ।
-
এখন তো নাবালক নই ! 'আত্মরক্ষা' নয়, 
'আক্রমণ' হবে এবারের প্রতিরক্ষার মূলমন্ত্র । প্রস্তুত আমি- 
আর একবার কাছে এলে, সবকটি ঠ্যাং ভেঙে
'তোমাকেই কাঁপিয়ে দেবো' ।
 

বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৪

লেডি হিটলার !

পুরুষেরা তাদের ক্ষমতা বিচার বিবেচনার ভিত্তিতে ব্যবহার করে । এটা আগে থেকেই জানা কথা । কিন্তু বিবাহিত ভ্রাতৃকুলের নিকট হইতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, 'নারী ঝাতি' ক্ষমতা পেলে নাকি ব্যবহার করে একনায়কের মত । এটাই নাকি 'ন্যাচারাল হিস্ট্রি অব দা ফ্যামিলিজ' এরাউন্ড আস ।
এটা স্পষ্ট, শহুরে পরিবেশে দিনকে দিন নারীরা পরিবারগুলোতে আপারহ্যান্ড নিচ্ছে । বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী দুজনেই সমান সমান, সো কলড পারফেক্ট ম্যাচ।
আগে মেয়েরাই ছিল কম্প্রোমাইজিং, ছেলেরা ডমিনেটিং । কিন্তু আধুনিক পরিবেশে ছেলেরাই বরং মেয়েদের তুলনায় বেশি কম্প্রোমাইজিং মনোভাব পোষণ করছে । আর এর পুরোপুরি সুযোগ নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই বিষয়টাকে রীতিমত পুরুষ নির্যাতনের পর্যায়ে নিয়ে গেছে কোন কোন 'অবলা নারী' । স্বামীর প্রতিমুহূর্তের কৈফিয়ত তলব, বন্ধুবান্ধবের সাথে মিশতে না দেয়া, মোবাইল থেকে ফোন নাম্বার ডিলিট করা, ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে ক্লোজ মানুষদের বাদ দেয়া ইত্যাকার নানান রকম মানসিক অত্যাচার সহ্য করে নাকি দিন কাটাচ্ছেন অভাগা পুরুষরা । কিছুদিন আগে এমন সংবাদও পত্রিকায় দেখেছিলাম, স্ত্রীর লাথিতে স্বামীর মৃত্যু !
হায় সেলুকাস ! এই কি ছিল তোমার কপালে সখিনার পা ?
-
আমরা জীবিত মানুষ । মুক্ত, স্বাধীন । সেজন্যে মৃত ভাইয়েরা যখন দুঃখ করে বলেন- ভাইরে, যতদিন পারিস বেঁচে থাকিস । 'মরেছিস' তো মরেছিস !!
শুনে পৈশাচিক আনন্দ পাই ।
আর মনে হয়, নারী যখন ক্ষমতাচর্চার সুযোগ পায় তখন-
They are not soulmate,
not a friend,
not a helping hand,
not a partner,
They become just a 'lady HITLER'...    

বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৪

বিপ্লব করার আগে বিয়া করতে হবে !

গতবছর একদিন Dr Abdul Awal ভাইয়ের কাছে বিরাট বিরাট বিপ্লবী চিন্তাধারা শেয়ার করছিলাম । এই প্ল্যান সেই প্ল্যান । প্ল্যানের শেষ নাই ! তো মনোযোগী শ্রোতা হিসেবে সব শুনে Awal ভাই বললেন, বিপ্লব করার আগে বিয়া করতে হবে  । যদি বিয়ার পরেও বিপ্লবের চিন্তা ও নেশা বহাল তবিয়তে থাকে তাহলে কিছু হইলেও হইতে পারে । নাইলে সব অশ্বডিম্ব । 
  
ঐটাতে ধরা খাইয়া এবার শুরু করলাম অন্য প্রসঙ্গ, কীভাবে দেশ পরিচালনা করা উচিত্‍। সমাজ পরিবর্তনের জন্য কী কী করা উচিত্‍ । 
Awal ভাই বললেন, দেশ পরিচালনার চিন্তা করার আগে বিয়া করা উচিত্‍  ! সংসার পরিচালনা করতে পারলে পরে তাকে দিয়ে দেশ পরিচালনার আশা করা যায়  । নাইলে সব অশ্বডিম্ব । 
  
এইডা কিছু হইলো?  বিবাহিত লোকগুলা এমুন কেনু?