এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১০

কবিতার শাহাদাত

আজ আমি কবিতা লিখতে বসিনি । আমি স্মরণ করতে বসেছি প্রচণ্ড উত্তাপে ঝলসানো শরীরে দমবন্ধ হয়ে নিঃশেষ হয়ে যাওয়াআমার কবিতাগুলিকে । আমি এখনো জীবিত; কিন্তুতারা যেন আমাকে দিয়েছে শাহাদাতের মর্যাদা ।

১০ই জুলাই ২০০৮ ।
বৃহস্পতিবার রাত ।অগ্নিকুন্ডের অধিবাসী একদল বিবেকহীন নরপশু লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির নর্দমার অস্পৃশ্য কীটেরা, আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল আমার কক্ষটিতে । কারণ, সিড়ির পাশের সেই কক্ষটি থেকেই ভেসে আসতো কুরানের অন্তর্ভেদী সুর ।

দাউ দাউ করা আগুনে- যেখানে একদিন হয়তো জ্বলবে ওই পশুরা- পুড়ে গেল কুরান হাদীস তাফসির । বইপুস্তক । আর, আর আমার ১০টি ডায়েরীতে লেখা কবিতা,গল্প,দারস,নোটগুলো ।১৮ বছরের চিন্তাধারা ।

হয়তো কবিতাগুলির দমবন্ধ হয়ে গিয়েছিল । হয়তোআগুনের তাপ তাদের শরীরে কষ্ট দিয়েছিল। তারা হারিয়ে গেছে আমার নাগাল থেকে প্রভুর নৈকট্যে- তবু তারা আজো জীবিত;প্রাণময় । কারণ,শহীদেরা মরে না ।

পৃথিবীর মানুষ হয়তো তাদের দেখতে পেলো নাআমি জানি । আমার শহীদ কবিতাগুলি মধুময় গান হয়ে বাজবে জান্নাতবাসীদের কানে কানে । সেই সুরের আবেশ আমাকেও করবে আচ্ছন্ন; অপার্থিব সুখের নহরে, প্রভুর গুনগানে ।



 বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর 23, 2010

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১০

পুরুষরা জান্নাতে গেলে সুন্দরী কুমারীদেরকে ‘হুর’ হিসেবে পাবে। মেয়েরা জান্নাতে গেলে কি পাবে? -ডাঃ জাকির নায়েক

প্রশ্ন, পুরুষরা জান্নাতে গেলে সুন্দরী কুমারীদেরকে ‘হুর’ হিসেবে পাবে। মেয়েরা জান্নাতে গেলে কি পাবে?

উত্তরঃ পবিত্র কুরআনে কমপক্ষে চার জায়গায় ‘হুর’ এর কথা বলা হয়েছে। ‘হুর’ এর কথা উল্লেখ আছে সূরা দুখানের ৫৪ নং আয়াতে, সূরা তূর এর ২০নং আয়াতে, সূরা আর রাহমানের ৭২ নং আয়াতে এবং সূরা ওয়াকিয়ার ২২ নং আয়াতে। অধিকাংশ অনুবাদে বিশেস করে উর্দু ভাষায় ‘হুর’ কে সুন্দরী কুমারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যদি ‘হুর’ এর অর্থ সুন্দরী কুমারী হয়, তাহলে মহিলারা জান্নাতে কী পাবে? প্রকৃতপক্ষে, ‘হুর’ শব্দটি ‘আহওয়ার’ এবং ‘হাওয়ার’ এ দুটি শব্দের বহুবচন। ‘আহওয়ার’ পুরুষের জন্য প্রযোজ্য এবং ‘হাওয়ার’ মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য। আর ‘হুর’ শব্দটি বৈশিষ্ট্য বহন করে ‘হাওয়ার’- এর যা দ্বারা বুঝায় বড়, সাদা, সুন্দর চোখ এবং বিশেষত চোখের সাদা রং-কে বুঝায়। আল-কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় ‘আযওয়াযুম মুতাহ্হারিন বলে একই কথা বুঝানো হয়েছে। সূরা বাকারার ২৫নং আয়াতে ও সূরা নিসার ৫৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে “আযওয়াজুম মুতাহ্হারা”, অর্থ হল সঙ্গী, সাথী। মুহাম্মদ আসাদ হুরের অনুবাদ করেছেন ‘ঝঢ়ড়ঁংব’ বা বিপরীত লিঙ্গের সাথী আর আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী করেছেন ‘ঈড়সঢ়ধহরড়হ’ বা সঙ্গী হিসেবে। সুতরাং, প্রকৃতপক্ষে হুরের অর্থ হল, সঙ্গী বা সাথী। পুরুষরা পাবে বড় বড় সুন্দর চোখবিশিষ্ট নারী আর নারী পাবে বড় সুন্দর চোখবিশিষ্ট স্মার্ট পুরুষ। আশা করি বিষয়টি এখন স্পষ্ট হয়েছে।