বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যখন আলাপ আলোচনা শুরু হয়, তখন ছেলে এবং মেয়ে উভয়
পরিবারেরই কিছু মানুষ অন্য পরিবারের নানারকম দোষ ত্রুটি উদ্ধারের
গুরুদায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন।
যারা ছেলেপক্ষের, তাদের একমাত্র কাজ হয়ে পড়ে যেকোনভাবে মেয়ের এবং মেয়ের ফ্যামিলির খুঁত বের করা। একইভাবে মেয়ের ফ্যামিলির লোকজনের একমাত্র কাজ হয়ে ওঠে ছেলের ও ছেলের ফ্যামিলির খুঁত বের করা।
এক ফ্যামিলির লোকজনের টার্গেট থাকে কীভাবে অন্য ফ্যামিলিকে তাদের চেয়ে ছোট করা যায়। দেখিয়ে দেয়া যায় যে- "আমরা ওদের চেয়ে ভালো বংশ, ভালো ফ্যামিলি!!!" নানান ছোটখাটো বিষয় নিয়ে পরস্পরকে অপদস্থ করার সুযোগ খুঁজতে থাকে কেউ কেউ।
যারা ছেলেপক্ষের, তাদের একমাত্র কাজ হয়ে পড়ে যেকোনভাবে মেয়ের এবং মেয়ের ফ্যামিলির খুঁত বের করা। একইভাবে মেয়ের ফ্যামিলির লোকজনের একমাত্র কাজ হয়ে ওঠে ছেলের ও ছেলের ফ্যামিলির খুঁত বের করা।
এক ফ্যামিলির লোকজনের টার্গেট থাকে কীভাবে অন্য ফ্যামিলিকে তাদের চেয়ে ছোট করা যায়। দেখিয়ে দেয়া যায় যে- "আমরা ওদের চেয়ে ভালো বংশ, ভালো ফ্যামিলি!!!" নানান ছোটখাটো বিষয় নিয়ে পরস্পরকে অপদস্থ করার সুযোগ খুঁজতে থাকে কেউ কেউ।
এইসব কাজে অগ্রণী ভূমিকায় থাকেন ফুপু, খালা মামীরা। কখনো কখনো হবু ননদ
ভাবী বা সম্বন্ধীরা। আর এই ডামাডোলে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন বাবা মায়েরা। কখনো
কখনো তারাও যুক্ত হন গড্ডালিকা প্রবাহে।
কাছের মানুষ হিসেবে দাবী করা দুয়েকজন প্রতিবেশীও এই কাজে তাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের অপরিহার্যতা জানান দেন। তারা যে কতটা শুভাকাঙ্ক্ষী তার প্রমাণ পেশ করেন।
তাদের বক্তব্যটা থাকে এরকম- আহা!! আমরা বেঁচে থাকতে কীকরে আমাদের মেয়ে/ছেলে কে ঐরকম একটা ছোট বংশের, ফকিরা, বেলেহাজ পরিবারে বিয়ে দিতে পারি? মান সম্মান বলে কিছু একটা তো আছে নাকি?
বিয়ের মাধ্যমে একটা নতুন আত্মীয়তার বন্ধন তৈরির চাইতে বিয়েকে প্রতিরোধ করাই যেন থাকে তাদের টার্গেট। 'হ্যা' দিয়ে নয়, তাদের সবকিছু শুরুই হয় 'না' দিয়ে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিয়ের প্রস্তাবকে কথার মারপ্যাচে মারাত্মক রকম তিতা বানিয়ে ফেলা হয়। এমনকি শেষমেষ 'তরকারিতে ঝোলের পরিমাণ' নিয়ে কলহ করে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনাও দুর্লভ নয়।
শেষমেষ কোথাও না কোথাও বিয়ে তো হয়, কিন্তু তা যেন নেহায়েত বাধ্য হয়ে। আর তাতেও থাকে তিক্ততার নানা অভিজ্ঞতা।
এমনিতেই মানুষের খুঁত ধরার প্রবণতা ভালো নয়। বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র পাত্রীর কোন ত্রুটি থাকলে সেটা জেনে নেয়া ভালো। কিন্তু সেটা নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ নয়। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অহেতুক তিক্ততা সৃষ্টি করার কোন সুযোগ কাউকে দেয়া যাবে না।
মানুষের খুঁত থাকে, কিন্তু না খুঁজলে অনেক খুঁত সারাজীবনই থেকে যায় চোখের আড়ালে। মানুষকে ভালোবাসতে হলে তার খুঁত যত কম জানা যায় ততই ভালো। জেনেশুনে মানুষের দোষ অগ্রাহ্য করার মত মন ক'জনের থাকে?
মনে রাখতে হবে, বিয়ে হলে কিন্তু দুই পরিবার পরস্পরের আত্মীয় হবেন। আপনার আত্মীয়ের অপমান কি আপনার অপমান নয়? যেসব তিক্ত মন্তব্য করে আজ পৈশাচিক আনন্দ পাচ্ছেন, সেই তিক্ততার কিছুটা কি পাত্র-পাত্রীদের মনেও বিরুপ প্রভাব ফেলছে না? সেটা কি ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে গভীর আন্তরিক সম্পর্ক সৃষ্টিতে প্রতিবন্ধক হবে না?
সবচেয়ে বড় কথা, একটা স্থায়ী বন্ধন কি কোনোভাবেই তিক্ততা দিয়ে শুরু করা উচিত?
(বিবাহ কথন-২৩) চলবে........
কাছের মানুষ হিসেবে দাবী করা দুয়েকজন প্রতিবেশীও এই কাজে তাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের অপরিহার্যতা জানান দেন। তারা যে কতটা শুভাকাঙ্ক্ষী তার প্রমাণ পেশ করেন।
তাদের বক্তব্যটা থাকে এরকম- আহা!! আমরা বেঁচে থাকতে কীকরে আমাদের মেয়ে/ছেলে কে ঐরকম একটা ছোট বংশের, ফকিরা, বেলেহাজ পরিবারে বিয়ে দিতে পারি? মান সম্মান বলে কিছু একটা তো আছে নাকি?
বিয়ের মাধ্যমে একটা নতুন আত্মীয়তার বন্ধন তৈরির চাইতে বিয়েকে প্রতিরোধ করাই যেন থাকে তাদের টার্গেট। 'হ্যা' দিয়ে নয়, তাদের সবকিছু শুরুই হয় 'না' দিয়ে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিয়ের প্রস্তাবকে কথার মারপ্যাচে মারাত্মক রকম তিতা বানিয়ে ফেলা হয়। এমনকি শেষমেষ 'তরকারিতে ঝোলের পরিমাণ' নিয়ে কলহ করে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনাও দুর্লভ নয়।
শেষমেষ কোথাও না কোথাও বিয়ে তো হয়, কিন্তু তা যেন নেহায়েত বাধ্য হয়ে। আর তাতেও থাকে তিক্ততার নানা অভিজ্ঞতা।
এমনিতেই মানুষের খুঁত ধরার প্রবণতা ভালো নয়। বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র পাত্রীর কোন ত্রুটি থাকলে সেটা জেনে নেয়া ভালো। কিন্তু সেটা নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ নয়। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অহেতুক তিক্ততা সৃষ্টি করার কোন সুযোগ কাউকে দেয়া যাবে না।
মানুষের খুঁত থাকে, কিন্তু না খুঁজলে অনেক খুঁত সারাজীবনই থেকে যায় চোখের আড়ালে। মানুষকে ভালোবাসতে হলে তার খুঁত যত কম জানা যায় ততই ভালো। জেনেশুনে মানুষের দোষ অগ্রাহ্য করার মত মন ক'জনের থাকে?
মনে রাখতে হবে, বিয়ে হলে কিন্তু দুই পরিবার পরস্পরের আত্মীয় হবেন। আপনার আত্মীয়ের অপমান কি আপনার অপমান নয়? যেসব তিক্ত মন্তব্য করে আজ পৈশাচিক আনন্দ পাচ্ছেন, সেই তিক্ততার কিছুটা কি পাত্র-পাত্রীদের মনেও বিরুপ প্রভাব ফেলছে না? সেটা কি ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে গভীর আন্তরিক সম্পর্ক সৃষ্টিতে প্রতিবন্ধক হবে না?
সবচেয়ে বড় কথা, একটা স্থায়ী বন্ধন কি কোনোভাবেই তিক্ততা দিয়ে শুরু করা উচিত?
(বিবাহ কথন-২৩) চলবে........