কোন
পারফিউম টা ইউজ করবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে টিপু । এরকম তার প্রায়ই
হয় । মাঝে মাঝে শার্ট প্যান্ট ম্যাচ করা নিয়েও সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে ।
অনেকেই আছে – যা পরে তাতেই মানায় । টিপুর ধারণা, সে ঐরকম না । তার হাইট
কিছুটা কম । কিছুদিন আগেও হ্যাংলা পাতলা ছিল । দুই তিন মাস হলো – একটু ওজন
বেড়েছে । তাতেও বিপদ কম না । শরীর কিছুটা হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু একই
সাথে ভুঁড়িটাও উঁকিঝুঁকি দেয়া শুরু করেছে । সময় করে জিমে যাওয়ার কথা প্রায়ই ভাবে , কিন্তু আজ কাল করে আর জিমে যাওয়া হয়নি ।
আজ টিপুর জীবনে একটি বিশেষ দিন । আজকের দিনটি তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে । আজ প্রথম সে নিজের জন্য কনে দেখতে যাচ্ছে । টিপু জানে , এই সিদ্ধান্তটা কত কঠিন । বিয়ে করবে কিনা – এই সিদ্ধান্ত নিতেই যুবকদের কেটে যায় কয়েক বছর । এস্টাবলিশ হতে হবে, তারপর বিয়ের চিন্তা । এই করে করে বেশিরভাগ ছেলের বয়স ত্রিশের কোঠায় চলে যায় । টিপুদের মত টানাটানির পরিবারের ছেলেদের জন্য সেটা আরো কঠিন । নিজেকে এস্টাবলিশ করার চিন্তা, ছোট ভাইবোনের পড়ালেখার চিন্তা , বাড়িঘর গোছগাছ করে একটা মানানসই পর্যায়ে আনা, সব করতে করতে একটু বেশিই দেরি হয়ে যায় ।
টিপু একজন ডেন্টিস্ট । ডেন্টিস্টদের জন্য আরো একটা চিন্তা থাকে – নিজের একটা চেম্বার । ডেন্টাল চেম্বারের খরচ অনেক । একটা ভালো ডেন্টাল চেয়ার কিনতেই লাগে চার-পাঁচ লাখ টাকা । ডেকোরেশন , সহকারী টেকনিশিয়ান নিয়োগ , রিসিপশনিস্ট নিয়োগ – অনেক ঝামেলা । নিজের একটা চেম্বার না হওয়া পর্যন্ত নিজেকে মনে হয় ‘ভাসমান’ , শিকড়বিহীন ।
ছয়মাস হয়েছে টিপুর পোস্টগ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হবার । সে পোস্টগ্রাজুয়েশন করেছে ‘অর্থোডন্টিক্স’ বিষয়ে । আঁকাবাঁকা- উঁচুনিচু দাঁত স্বাভাবিক করার সাবজেক্ট হলো অর্থোডন্টিক্স । এই বিষয়টি নেয়ার পেছনে টিপুর নিজের জীবনের কাহিনী আছে । আসলে তার ডেন্টিস্ট হবার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ঐ বিষয়টি । তার বড়বোনের নাম লিলি । লিলি আপা ছোটবেলা থেকেই দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী ছিলেন । কিন্তু সমস্যা হলো দুধ-দাত পড়ে যাওয়ার পর । তার স্থায়ী দাতগুলি উঠল উঁচুনিচু হয়ে । বিয়ের সময় খুব ঝামেলা হলো । বরপক্ষ প্রথমে ছবি দেখে পছন্দ করে , কিন্তু কনে দেখতে এসে আর পছন্দ করে না । মেয়ের দাঁত উঁচুনিচু, কথা বলার সময় দেখতে ভালো দেখায় না । আপা গোপনে গোপনে কাঁদে । টিপু তখনো ছোট । ক্লাস নাইনে পড়তো । তার কিছু করার ছিল না । কিন্তু একটা বিষয় তার মনের ভেতর গেঁথে যায় – দাঁত নিয়ে পড়াশোনা করবে । বছর দুয়েক অনেক দেখাদেখির পর আপার বিয়ে হয় ।
বিডিএস পাস করার পর কিছুদিন একজন স্যারের চেম্বারে কাজ করেছিল টিপু । স্যার অর্থোডন্টিক্সের সহকারী অধ্যাপক । স্যারের চেম্বারে অনেক রোগী আসত । বেশিরভাগই ছোট বাচ্চা । বাবা মা- রা এখন অনেক সচেতন । বাচ্চাদের দাঁতের ব্যাপারেও অনেকেই সচেতন । হাসপাতালে বা স্যারের চেম্বারে নিয়ে আসেন । লিলি আপার মত কেস টিপু তখনো পায়নি । পোস্টগ্রাজুয়েশন করার জন্য যখন সে ঢাকা যাওয়ার বন্দোবস্ত করছে, এমন সময় একজন পেশেন্ট এলো । মেয়ে ভার্সিটিতে অনার্স পড়ে । এমনিতে চেহারা সুন্দর- কিন্তু দাঁতের সমস্যার কারণে সৌন্দর্য ঢাকা পড়ে যায় ।
ঐ পেশেন্টের প্রাথমিক কাজগুলো টিপু করেছিল । এসব কাজ দীর্ঘমেয়াদী । দুই তিন বছর লেগে যায় । টিপু পরে আর খোজখবর রাখতে পারেনি । ব্যস্ত জীবন- পেছনের কথা এত মনে রাখার কীইবা দরকার ? পেশেন্টের নামটা অবশ্য আবছা আবছা মনে পড়ে – খুব সম্ভবত ‘নীলা’ নাম ছিল । চার-পাঁচ বছর আগের কথা । কে জানে, ‘নীলা’ না হয়ে ‘লীনা’ও হতে পারে !
‘নেসার তুমি কই ? আমি রেডি হয়ে বসে আছি – তোমার খবর নাই । দেরি করার অভ্যাসটা তোমার গেল না । তুমি বুঝতে পারছ – আমি কী রকম টেনশনে আছি ?’
টিপু তার সবচেয়ে ক্লোজ ফ্রেন্ড নেসারকে ফোন করে নিজের বিরক্তি ঝাড়লো । বিরক্ত না হয়ে উপায় আছে ? নেসারের আসার কথা সাড়ে তিনটায় , এখন চারটা বিশ বাজে- তার দেখা নাই । সে এখনো ঘুমাচ্ছে । কিন্তু যত দেরিই করুক , তাকে ছাড়া তো আর যাওয়া যাবে না । টিপুর কনে দেখা নিয়ে নেসার ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়েছে । কনে দেখতে যাবে এমন সময়- যাতে নাস্তা সেরে আলাপ সালাপ করার পর ডিনারটাও সেরে আসা যায় । বরকে তো আর যেমন তেমন খাওয়াবে না । কনে পছন্দ হোক আর নাহোক , সেটা টিপুর ব্যাপার । কিন্তু খাওয়াটা হতে হবে সেইরকম । টেবিল থেকে খুব বেশি কিছু ফেরত দেয়া হবে না । খাওয়া ভালো হলে ইয়েস ভোট , মোটামুটি হলে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকবে, আর খাবার পছন্দমত না হলে ‘নো’ ভোট ।
বন্ধুমহলে খাদক হিসেবে নেসার এখনো তার অদ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে । অবশ্য পুরো মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে তার জুড়ি কেউ ছিল না । গত দশ বছরে তার রেকর্ড কেউ ভাংতে পারেনি ।
গাড়ি নিয়ে চলে এসেছে কনে দেখা কমিটির অন্যতম সদস্য – সেলিম । আর দেরি করা যায় না । বের হওয়া যাক । নেসারকে তার বাসা থেকে তুলে নিতে হবে ।
.............................. ...
পকেট থেকে মেয়ের বায়োডাটাটা বের করে আরেকবার দেখে নিল টিপু । তারা এখন বসে আছে মেয়ের বাসার ড্রয়িং রুমে । নামটা দেখে মনে মনে কয়েকবার আওড়ালো । তাহেরা নওশীন । মেয়ের ছোটবোন এসে একটু আগে দুষ্টুমি করে গেছে । বলে গেছে – ‘নীলু আপু কিন্তু আপনাকে চেনে !’ টিপুর বুক ধ্বক ধ্বক করছে । কীভাবে চেনে ?
অবশেষে কনে এসে ঢুকলো । সাথে তার বড় খালাতো বোন । মুখের দিকে তাকিয়েই টিপু বুঝে ফেললো , এই সেই পেশেন্ট । টিপুর প্রথম পেশেন্ট । দাঁত এখন ঠিকঠাক , খুবই সুন্দর লাগছে । হাসিটা তো টিপুর কয়েকটা রিবস (বুকের হাড়) ভেঙ্গে দিয়ে গেল !
বাম হাতে তিনটা চিমটি অনুভব করলো নেসার । মানে তিনটা প্লাস । +++ ।
অর্থাৎ ঘটনা এখানেই শেষ । আর কনে দেখতে যাওয়া হবেনা । সিরিজ প্ল্যান ভেস্তে গেল নেসারের ।
নেসার দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো । এখন প্রস্তুত হবার সময় । টাইম টু গেট রেডি ফর ব্যাটল । টেবিল থেকে কোন ডিশের সামান্য ঝোলও আজ ফেরত দেয়া হবেনা ।
-অর্থোডন্টিক্স / ৩০-০৬-২০১৩
আজ টিপুর জীবনে একটি বিশেষ দিন । আজকের দিনটি তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে । আজ প্রথম সে নিজের জন্য কনে দেখতে যাচ্ছে । টিপু জানে , এই সিদ্ধান্তটা কত কঠিন । বিয়ে করবে কিনা – এই সিদ্ধান্ত নিতেই যুবকদের কেটে যায় কয়েক বছর । এস্টাবলিশ হতে হবে, তারপর বিয়ের চিন্তা । এই করে করে বেশিরভাগ ছেলের বয়স ত্রিশের কোঠায় চলে যায় । টিপুদের মত টানাটানির পরিবারের ছেলেদের জন্য সেটা আরো কঠিন । নিজেকে এস্টাবলিশ করার চিন্তা, ছোট ভাইবোনের পড়ালেখার চিন্তা , বাড়িঘর গোছগাছ করে একটা মানানসই পর্যায়ে আনা, সব করতে করতে একটু বেশিই দেরি হয়ে যায় ।
টিপু একজন ডেন্টিস্ট । ডেন্টিস্টদের জন্য আরো একটা চিন্তা থাকে – নিজের একটা চেম্বার । ডেন্টাল চেম্বারের খরচ অনেক । একটা ভালো ডেন্টাল চেয়ার কিনতেই লাগে চার-পাঁচ লাখ টাকা । ডেকোরেশন , সহকারী টেকনিশিয়ান নিয়োগ , রিসিপশনিস্ট নিয়োগ – অনেক ঝামেলা । নিজের একটা চেম্বার না হওয়া পর্যন্ত নিজেকে মনে হয় ‘ভাসমান’ , শিকড়বিহীন ।
ছয়মাস হয়েছে টিপুর পোস্টগ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হবার । সে পোস্টগ্রাজুয়েশন করেছে ‘অর্থোডন্টিক্স’ বিষয়ে । আঁকাবাঁকা- উঁচুনিচু দাঁত স্বাভাবিক করার সাবজেক্ট হলো অর্থোডন্টিক্স । এই বিষয়টি নেয়ার পেছনে টিপুর নিজের জীবনের কাহিনী আছে । আসলে তার ডেন্টিস্ট হবার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ঐ বিষয়টি । তার বড়বোনের নাম লিলি । লিলি আপা ছোটবেলা থেকেই দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী ছিলেন । কিন্তু সমস্যা হলো দুধ-দাত পড়ে যাওয়ার পর । তার স্থায়ী দাতগুলি উঠল উঁচুনিচু হয়ে । বিয়ের সময় খুব ঝামেলা হলো । বরপক্ষ প্রথমে ছবি দেখে পছন্দ করে , কিন্তু কনে দেখতে এসে আর পছন্দ করে না । মেয়ের দাঁত উঁচুনিচু, কথা বলার সময় দেখতে ভালো দেখায় না । আপা গোপনে গোপনে কাঁদে । টিপু তখনো ছোট । ক্লাস নাইনে পড়তো । তার কিছু করার ছিল না । কিন্তু একটা বিষয় তার মনের ভেতর গেঁথে যায় – দাঁত নিয়ে পড়াশোনা করবে । বছর দুয়েক অনেক দেখাদেখির পর আপার বিয়ে হয় ।
বিডিএস পাস করার পর কিছুদিন একজন স্যারের চেম্বারে কাজ করেছিল টিপু । স্যার অর্থোডন্টিক্সের সহকারী অধ্যাপক । স্যারের চেম্বারে অনেক রোগী আসত । বেশিরভাগই ছোট বাচ্চা । বাবা মা- রা এখন অনেক সচেতন । বাচ্চাদের দাঁতের ব্যাপারেও অনেকেই সচেতন । হাসপাতালে বা স্যারের চেম্বারে নিয়ে আসেন । লিলি আপার মত কেস টিপু তখনো পায়নি । পোস্টগ্রাজুয়েশন করার জন্য যখন সে ঢাকা যাওয়ার বন্দোবস্ত করছে, এমন সময় একজন পেশেন্ট এলো । মেয়ে ভার্সিটিতে অনার্স পড়ে । এমনিতে চেহারা সুন্দর- কিন্তু দাঁতের সমস্যার কারণে সৌন্দর্য ঢাকা পড়ে যায় ।
ঐ পেশেন্টের প্রাথমিক কাজগুলো টিপু করেছিল । এসব কাজ দীর্ঘমেয়াদী । দুই তিন বছর লেগে যায় । টিপু পরে আর খোজখবর রাখতে পারেনি । ব্যস্ত জীবন- পেছনের কথা এত মনে রাখার কীইবা দরকার ? পেশেন্টের নামটা অবশ্য আবছা আবছা মনে পড়ে – খুব সম্ভবত ‘নীলা’ নাম ছিল । চার-পাঁচ বছর আগের কথা । কে জানে, ‘নীলা’ না হয়ে ‘লীনা’ও হতে পারে !
‘নেসার তুমি কই ? আমি রেডি হয়ে বসে আছি – তোমার খবর নাই । দেরি করার অভ্যাসটা তোমার গেল না । তুমি বুঝতে পারছ – আমি কী রকম টেনশনে আছি ?’
টিপু তার সবচেয়ে ক্লোজ ফ্রেন্ড নেসারকে ফোন করে নিজের বিরক্তি ঝাড়লো । বিরক্ত না হয়ে উপায় আছে ? নেসারের আসার কথা সাড়ে তিনটায় , এখন চারটা বিশ বাজে- তার দেখা নাই । সে এখনো ঘুমাচ্ছে । কিন্তু যত দেরিই করুক , তাকে ছাড়া তো আর যাওয়া যাবে না । টিপুর কনে দেখা নিয়ে নেসার ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়েছে । কনে দেখতে যাবে এমন সময়- যাতে নাস্তা সেরে আলাপ সালাপ করার পর ডিনারটাও সেরে আসা যায় । বরকে তো আর যেমন তেমন খাওয়াবে না । কনে পছন্দ হোক আর নাহোক , সেটা টিপুর ব্যাপার । কিন্তু খাওয়াটা হতে হবে সেইরকম । টেবিল থেকে খুব বেশি কিছু ফেরত দেয়া হবে না । খাওয়া ভালো হলে ইয়েস ভোট , মোটামুটি হলে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকবে, আর খাবার পছন্দমত না হলে ‘নো’ ভোট ।
বন্ধুমহলে খাদক হিসেবে নেসার এখনো তার অদ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে । অবশ্য পুরো মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে তার জুড়ি কেউ ছিল না । গত দশ বছরে তার রেকর্ড কেউ ভাংতে পারেনি ।
গাড়ি নিয়ে চলে এসেছে কনে দেখা কমিটির অন্যতম সদস্য – সেলিম । আর দেরি করা যায় না । বের হওয়া যাক । নেসারকে তার বাসা থেকে তুলে নিতে হবে ।
..............................
পকেট থেকে মেয়ের বায়োডাটাটা বের করে আরেকবার দেখে নিল টিপু । তারা এখন বসে আছে মেয়ের বাসার ড্রয়িং রুমে । নামটা দেখে মনে মনে কয়েকবার আওড়ালো । তাহেরা নওশীন । মেয়ের ছোটবোন এসে একটু আগে দুষ্টুমি করে গেছে । বলে গেছে – ‘নীলু আপু কিন্তু আপনাকে চেনে !’ টিপুর বুক ধ্বক ধ্বক করছে । কীভাবে চেনে ?
অবশেষে কনে এসে ঢুকলো । সাথে তার বড় খালাতো বোন । মুখের দিকে তাকিয়েই টিপু বুঝে ফেললো , এই সেই পেশেন্ট । টিপুর প্রথম পেশেন্ট । দাঁত এখন ঠিকঠাক , খুবই সুন্দর লাগছে । হাসিটা তো টিপুর কয়েকটা রিবস (বুকের হাড়) ভেঙ্গে দিয়ে গেল !
বাম হাতে তিনটা চিমটি অনুভব করলো নেসার । মানে তিনটা প্লাস । +++ ।
অর্থাৎ ঘটনা এখানেই শেষ । আর কনে দেখতে যাওয়া হবেনা । সিরিজ প্ল্যান ভেস্তে গেল নেসারের ।
নেসার দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো । এখন প্রস্তুত হবার সময় । টাইম টু গেট রেডি ফর ব্যাটল । টেবিল থেকে কোন ডিশের সামান্য ঝোলও আজ ফেরত দেয়া হবেনা ।
-অর্থোডন্টিক্স / ৩০-০৬-২০১৩