এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১১

হাতের মুঠোয় নেবো সুর্য

সুর্যের উত্তাপ আমার শরীরে আঁচড় কাঁটে না
হৃদয়ে আগুন ধরায় ।
আমাকে হাত পুড়ে যাবার ভয় দেখিও না
সেটা আমি জানি
একদিন ।অবশ্যই সেদিন
সুর্যটাকে আমি ভরে নেবো হাতের মুঠোয় ।

শনি গ্রহে কতটি বলয় আছে
সেকথা আমাকে বলতে এসো না ।
নিষ্ঠুর পদাঘাতে সবকটি বলয় আমি ভাংবোই ।
আমার সামনে দাঁড়িয়ে থেকোনা
বৃহস্পতিটাকে ছুঁড়ে দেবো তোমার দিকেই ।
ফু দিয়ে উড়িয়ে দেবো হিমালয় আর এভারেস্ট
এক চুমুকে শুষে নেবো সবকটি মহাসাগর
(তুমি আমার প্রভুকে চেনো না ।
তার ইচ্ছায় সবকিছু করতে পারি এক নিমেষেই)
একদিন ।অবশ্যই সেদিন
সুর্যটাকে আমি ভরে নেবো হাতের মুঠোয় ।

 মঙ্গলবার, মার্চ 29, 2011

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১১

শ্রাবণের কান্না

শ্রাবণের বিষন্ন সন্ধ্যাগুলি
হারিয়ে গেছে অনেক আগেই
এখন শ্রাবণ আসে
মেঘভরা কান্না নিয়ে ।
পৃথিবীর জন্য খুব বেশি কষ্ট
ছাড়িয়ে গেলে তার সহ্যের বাঁধন
শ্রাবণ আসে
মেঘভরা কান্না নিয়ে ।

সুর্যের দোসর ঐ বৈশাখ জৈষ্ঠ আর ভাদ্র চৈত্র
মাটির সাথে যেন ওদের চিরবৈরিতা
চৌচির মৃত্তিকাকে ভালবেসে শ্রাবণ আসে
বিষন্ন সন্ধ্যার শেষে
মেঘভরা কান্না নিয়ে ।


সোমবার, মার্চ 28, 2011

বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১১

বিদঘুটে স্বপ্ন

স্বপ্নগুলো যখন ফিকে হয়ে আসে
খুব বিদঘুটে লাগে ওদের ।
ওদের ভেংচি কাটতে ইচ্ছে করে খুব
কিংবা ওরাই বিদ্রুপ করে আমাকে ।
যখন ওরা ক্রুর বাস্তবতার নির্মম আক্রমণে আহত হয়
অন্ধ হয়ে যায় কেউ ,কেউবা  বধির
ল্যাংড়া স্বপ্নের দল ভিক্ষা করে জীবনের ফুটপাতে
প্রভুর দোহাই দিয়ে ওরা বলে
'একটু করুণা করো হে সময় !'

স্বপ্নেরাও একদিন স্বপ্ন দেখত প্রজননের
ভাবতো অনেক লুতুপুতু বাচ্চাকাচ্চা জন্ম দেয়ার কথা ।
আমার মানসপটে ক্ষুদ্র ভিটেয় তাঁবু গেড়ে
স্বপ্নেরাও গড়তে চেয়েছিল স্বপ্নের সংসার ।
আজ ওরা নিজেরাই প্রতিবন্ধী
ভুগছে চরম রক্তশুন্যতায় ,ফ্যাকাশে মুখ ও শরীর

আসলেই ,স্বপ্নগুলো যখন ফিকে হয়ে আসে
খুব বিদঘুটে লাগে ওদের ।
23.03.2011

রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১১

দোহাই তোমার (শহীদ নোমানী স্মরণে)

দোহাই তোমার
আজ তুমি আমাকে কোন কবিতা লিখতে বলো না
দোহাই তোমার ,আজ আমায়
গাইতে বলোনা কোন গান ।
স্বপ্ন দেখতে বলোনা আজ
স্বপ্নের কথা বলোনা আজ

জিজ্ঞেস করোনা তুমি
কেন আমি নিশ্চুপ ।কেন আমি
ফুলের ঘ্রান সহ্য করতে পারছি না
তোমার প্রিয় বিকেলের সোনারোদ
কেন আমার কাছে লাগছে তেতো বিস্বাদ ।

ঝর্ণার কলকল শব্দ
কেন লাগছে অসুরের গর্জনের মত
এই ফাগুনে কোকিলের কুহুরব
মনে হচ্ছে ভুভুজেলার বিদঘুটে শব্দের মত ।

দোহাই তোমার
তুমি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থেকো না
তুমি যা অশ্রু ভেবেছো ,তা অশ্রু নয় ।
আজ আমি শহীদ নোমানী ভাইকে
চরম হিংসা করছি
জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছি ।
আমি তার প্রতি আজ চরম ক্ষুব্ধ ।
তিনি কেন প্রভুর কাছে
আমাদের শাহাদাতের জন্য আবেদন করেন না ?
দোহাই তোমার
আমাকে সান্তনা দিতে এসো না ।


 রবিবার, মার্চ 13, 2011

বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০১১

মরিচীকার প্রেমিক

রাত্রির গভীরতা যখন থেমে যায়
ঝিঁঝি পোকার একঘেয়ে আর্তনাদে
মনে হয় অন্ধকার ডাকছে আমায়
জীবনের শেকড় সেথা বাদ সাধে ।

কৃত্রিম আলোয় বসে থাকি দিনরাত ।কারন
মরিচীকার সাথে আমার অবিনাশি প্রেম
ছ্যাঁকা খাওয়া প্রেমিক আমি
হোঁচট খেয়ে ফিরে আসার আগে
আরেকবার হোঁচট খাই ।
আছড়ে পড়ি বালুকাময় প্রান্তরে
ভেঙ্গে যায় জীবনের ভঙ্গুর ফ্রেম

ভুল পথে যাই ধেয়ে
পেছনে ফিরে আসা যে অনেক কঠিন
সামনে এগোনোর চেয়ে ।



 বৃহস্পতিবার, মার্চ 10, 2011

বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১১

সময়ের কষাঘাত

অস্থির সময় আমাকে ভাঙছে ক্রমাগত
ইটের মত টুকরো টুকরো
যেন সে এক অক্লান্ত শ্রমিক ।

যেন সে এক বিরতিহীন পথিক
গন্তব্য বহুদুর ।বগলদাবা করে আমায়
চলছে অবিরাম ।
ঝরিয়ে নিজের ঘাম ।

আমাকে নাকি সে গড়বে যোগ্য করে
এই পৃথিবীর জন্য ।
বোকা সময় জানো না
পৃথিবীটা অপরিপক্কদের জন্যে ।যেদিন
তুমি আমায় গড়বে
পৃথিবীর পরিপুর্ণ উপযোগী করে
ততদিনে ফুরিয়ে যাবে হয়তো
এই অধিবেশনের পাট ।
ভবের মায়াবি হাট ।

সময়ের অবিরাম কষাঘাতে জর্জরিত আমি
মিলাতে পারিনা ছন্দ
বানাতে পারিনা শব্দের নেকলেস

কেবলই বিড়বিড় করি
এই যেমন এখন...



 বুধবার, মার্চ 9, 2011

দিনযাপন

ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি অনেক কাজ ।ভাবি ,কিভাবে করবো এগুলো ।ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে যাই ।চোখ মুদে আসে ধীরে ধীরে ।সময়ের স্রোত বয়ে যায় ,পাল্টে যায় মানুষ ।পাল্টে যায় পরিবেশ ,মন্চের পর্দা উঠে আসে নতুন দৃশ্য ।
আবার নতুন করে সাজাই সবকিছু ।দিন দিন বাড়ে কাজের বোঝা ।বাড়ে আমার ক্লান্তি ।ঘিরে ধরে হতাশা ।তবুও টানতে হয় জীবনের ঘানি ।তাই টেনে যাই -কখনো কচ্ছপের মত ,কখনো নির্বাক গাধার মত । সমাপ্তির নেশায় ।



বুধবার, মার্চ 9, 2011

সোমবার, ৭ মার্চ, ২০১১

দুরের কেউ

১.
বহুদিন থেকে দুরে থাকতে থাকতে
বাবা মাকেও হঠাত্‍ কখনোবা
মনে হয় - দুরের কেউ ।
ভাইবোনদের কথা মনে পড়ে ।কখনোবা
মনে হয় - দুরের কেউ ।

মনে পড়ে শৈশবের সময়কে
পথঘাট ,নদী ,মাঠ ,গরুর গাড়ি ,ধানক্ষেত
মনে পড়ে পূর্ণিমা রাত
হঠাত্‍ চমকে দেয়া পেঁচার ডাক
মাদুরে শুয়ে এক দুই তিন ,সাত ভাই চম্পা
আকাশের তারা গোনা ।
আর উল্কাপতন ।
মনে পড়ে সাদাকালো ছবির মতন
কখনোবা মনে হয় দুরের সব
দুরের কেউ ।

গভীর রাতে চোখ রাখি বইয়ের পাতায়
সাদা পাতায় লিখি খসখস করে
মনের শুন্য গহীনেও খসখস করে ওঠে
মনে হয় আমি একা নিস্তব্ধ নিশুতি রাতে
আপনজন থেকে ,নির্মল জীবন থেকে
দুরের কেউ ।

২.
কলমটা হঠাত্‍ হাত থেকে পড়ে গেলে
অজান্তে ভয় পাই ।এই বুঝি পাশের ঘরে মা জেগে গেলেন
কী হলো রে বাবা ? পানি খাবি ?
বাবা হয়তো কিছুক্ষণ বারান্দায় পায়চারি করে বলবেন
আর পড়ার দরকার নেই ।এখন ঘুমা ।

পেছনে শব্দ হলে হঠাত্‍ মনে হয়
ছোটবোনটা বোধহয় খাট থেকে পড়ে গেলো
ও কথা শোনে না ,
পিটুনি দিতে হবে ।
বিছানায় পায়ের সাথে দেয়ালটা লাগলেই ভাবি
ভাইয়া বুঝি এখনই ঝগড়া শুরু করবে রাতদুপুরে ।

মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়
এই বুঝি পেঁচাটা ডেকে উঠবে ।

রাত শেষে দিন আসে আবার রাত
রূঢ় জীবন চলে ঘড়ির কাটার মত
আমি এখন ,
দুরের কেউ ।

 সোমবার, মার্চ 7, 2011