এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭

বিয়ের মাধ্যমে আল্লাহর তায়ালার ইচ্ছা বাস্তবায়ন হয়

 "বিয়ের মাধ্যমে দ্বীনের অর্ধেক পূরণ হয়", নানান প্রচার প্রচারণার ফলে হাদিসের এই বক্তব্যটুকুর যথেষ্টই প্রচলন হয়েছে। কিন্তু যে কথাটা কেউ বলে না বা প্রচলিত হয় নাই তা হলোঃ বিয়ের মাধ্যমে আসলে আল্লাহর তায়ালার ইচ্ছাই বাস্তবায়ন হয়। 


আদম (আঃ) কে সৃষ্টির আগে আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের ডেকে বলেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি। তখন ফেরেশতাগণ বললেন, আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত আপনার গুণকীর্তন করছি এবং আপনার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না। 

(সুরা বাকারাঃ৩০) 


এভাবে পৃথিবীতে প্রতিনিধি পাঠানোর উদ্দেশ্য নিয়ে আল্লাহ তায়ালা একজন মানুষ সৃষ্টি করলেন। তারপর তার থেকেই তৈরি করলেন তাঁর সঙ্গী হাওয়াকে। আর এই দু'জন হতে সৃষ্টি করলেন সমগ্র মানব জাতিকে। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সকল মানুষকে আল্লাহ তায়ালা দু'জন মানুষ থেকেই সৃষ্টি করেছেন এবং করবেন। 


আল্লাহ তায়ালা কিন্তু এখন আর মানুষ সৃষ্টি করে সরাসরি পাঠাচ্ছেন না, বরং আল্লাহ মানুষ পাঠাচ্ছেন মানুষেরই মাধ্যমে। আর এই মাধ্যমটাই হলো বিয়ে। দু'জন মানুষ বিয়ের মাধ্যমে এক হলে তাদের মাধ্যমেই আল্লাহ তায়ালা তাঁর মানুষ প্রেরণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখছেন। 


"তিনিই সে সত্তা যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র সত্তা থেকে; আর তার থেকেই তৈরী করেছেন তার জোড়া, যাতে তার কাছে স্বস্তি পেতে পারে।" (সুরা আরাফঃ১৮৯)


"হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী।" (সুরা নিসাঃ১)


এর অর্থ স্পষ্টত এটাই দাঁড়ায় যে, বিয়ে করাটা শুধু রাসুলের সুন্নাতই নয়, এর মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহরই ইচ্ছা পূরণ হয়। আর এজন্যই আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন বিয়ের মাধ্যমে পরিবার গঠনের চিরায়ত সিস্টেম। নিষিদ্ধ করেছেন নারী পুরুষের বিয়ে বহির্ভূত সবধরণের শারীরিক সম্পর্ক।