এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১০

আদমের জ্ঞানভান্ডার

যতই জানি ততই অজানার জগত্‍ বিস্তৃত হয় ।যতই পড়ি ততই বুঝতে পারি পড়াশোনার কিছুই করিনি আমি ।Just nothing.আল্লাহ তায়ালা আদমকে সকল বস্তুর নাম শিখিয়েছিলেন ।আর এটাই ছিল আদমের শ্রেষ্ঠত্বের কারন । নাম শিখিয়েছেন মানে শুধু নামটুকুই নয় ।ঐ নাম সংক্রান্ত বিস্তারিত সবকিছুই শেখানো হয়েছে ।তাহলে আদমেরই বংশধর হিসেবে ওই জ্ঞানভান্ডার আমারও থাকার কথা ।হয়তোবা আছে ।কিন্তু সেগুলো আছে Recessive অবস্থায় ।ফলে যখনই আমি কোন কিছু শেখার চেষ্টা করি যা আমার কাছে নতুন ,শিখতে পারি ।আসলে আমার কাছে যে জ্ঞানকে নতুন মনে হচ্ছে তা আদৌ নতুন নয় ।ঐ তথ্যগুলো আমার মস্তিষ্কের কোষগুলোতে অকার্যকর অবস্থায় জমা আছে ।আমি যখন কিছু শিখতে যাই ,তখন সেই অকার্যকর তথ্যভান্ডারের ঐ অংশটুকুকে কার্যকর করে দেই মাত্র ।নিউটন আপেল গাছের নিচে বসে ছিলেন ।এমন সময় তার সামনে আপেল ঝরে পড়লো ।আর তার মাথায় খেলে গেল মধ্যাকর্ষণ শক্তির থিওরি ।এতে কি নিউটনের নিজস্ব কোন কৃতিত্ব ছিল ?আমি সেটা মনে করি না ।আসলে ঠিক ওই সময়ে নিউটনের মাথায় আদমের জ্ঞানভান্ডার থেকে পাওয়া ওই অংশটা কার্যকর হয়ে গিয়েছিল ।নিউটনের আগে আরও হাজার হাজার লোকের সামনে আপেল পড়েনি ?পড়েছিল ।কিন্তু ঐ সময় আদমের ঐ বংশধরের মস্তিষ্কে আদমের জ্ঞানভান্ডার থেকে পাওয়া জ্ঞানের ঐ অংশটি সক্রিয় হয়ে ওঠে নি ।একইভাবে পৃথিবীর সকল আবিস্কার আসলে নতুন কিছু না ।আদমকে সবকিছুই আগেই শিখিয়ে দেয়া হয়েছে ।এখন সেই জ্ঞানই নতুনভাবে আমাদের বিস্ময় জাগাচ্ছে ।এমনকি আমি যে এই লেখাটি লিখলাম তাও নিশ্চয়ই আদমের জ্ঞানভান্ডারে ছিল !নইলে আমি এসব কিভাবে বুঝবো ?আমিও তো আদমেরই বংশধর নাকি !




 শনিবার, নভেম্বর 27, 2010

শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১০

গদ্য ও পদ্য

গদ্য লেখায় আমার একদম হাত নেই ।হয়তো শুরুটা করতে পারি ,কিন্তু কিছুদুর গিয়েই শেষ ।কি লিখব খুঁজে পাইনা ।মুখে যেমন আমি কম কথা বলি ,লেখার বেলায়ও সেই একই রকম ।কথার পিঠে কোলে ঘাড়ে কথার স্তুপ চাপিয়ে বিশাল গদ্য লেখাটা আমার ধাতেই নেই ।আমার অনেক লেখক এবং চাপাবিশিষ্ট বন্ধু একবাব বলতে বা লিখতে শুরু করলে আর রক্ষে নেই ।সে এক ভয়াবহ অবস্থা ।গদ্য বেচারা মনে হয় ক্লান্ত হয়ে যায় তাদের হাতে পড়ে। পড়েছি মোগলের হাতে জাতীয় অবস্থা আর কি ! অবশ্য মানুষ এখন গদ্যই ভালোবাসে ।কারন এতে সাধারন ও সংক্ষিপ্ত কথাকে অনেক মধু খাইয়ে ,বাহারি রং দিয়ে সুখাদ্য করে তোলা হয় ।আর এটা যারা করতে পারেন তারাও নিশ্চয়ই চরম ধৈর্যশীল ।ওদিকে হতচ্ছাড়া পদ্য !বিশাল ভাবসম্পন্ন কিছুকে এত ছোটকথায় নিয়ে আসে ,অনেক সময় তার গোষ্ঠী উদ্ধার করা অসাধ্য হয়ে ওঠে ।আর পড়তেও হয় অনেক মনোযোগ দিয়ে ধৈর্য ধরে ।এত টাইম আছে নাকি আজকাল !
হায় হায় আমি আবার এইসব কি আজাইরা প্যাচাল শুরু করলাম ।আহা !আপনাদের জন্য আমার খুব দুঃখ হচ্ছে ।ঠিক আছে ,আমি দুঃখিত ।মাফ করে দিবেন ।




শুক্রবার, নভেম্বর 26, 2010

শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১০

সিসিমপুর

সিসিমপুরের কথা আমার খুব মনে পড়ে ।আমি যখন সিসিমপুরে থাকতাম তখন কত কিছু যে করেছি !কত স্মৃতি কত কথা ।সেগুলো বলতে গেলে দিন রাত ফুরিয়ে যাবে ।ইয়া বড় বড় বই লেখা যাবে ।অবশ্য বই লেখার খুব একটা প্রয়োজন নেই ।কারন ,ইতোমধ্যে কিছু উত্‍সাহী লোক আমার কাছে শুনে শুনে তারা একটা শিশুতোষ ফিল্ম বানিয়েছে ।ওটার নাম তারা দিয়েছে ১২৩ সিসিমপুর ।ভালোই করেছে ,তবু ওরা তো আর সবকিছু জানে না ।আমার কাছে যতটুকু শুনেছে তার ভিত্তিতে কিছুটা করার চেষ্টা করেছে আরকি ।এখন আমি বুড়ো হয়েছি ।হয়তো ভুলে গেছি জীবনের অনেক কাহিনী ।কিন্তু সিসিমপুরের সেই দিনগুলোর কথা এতটুকু ভুলিনি ।সব যেন জমা রেখে দিয়েছি উচ্চ ধারনক্ষমতা সম্পন্ন এক মাইক্রোচিপে ।তোমরা যদি শুনতে চাও আমার সেই দিনগুলোর কথা ,চলে এসো আমার ছোট্ট কুঁড়েঘরে ।কী !ভাবছো কোথায় বসাবো তোমাদের ?ভয় নেই ।আমার আঙিনাটা কিন্তু বিশাল ।সেখানে মাদুর পেতে দেব ।উপরে থাকবে একথালা চাঁদ ,থাকবে চাঁদের বুড়ি আর সেই কোটি বছরের বটগাছ ।ও হ্যা ,আমি তারাদের বলে দেবো ।ওরাও থাকবে তোমাদের সাথে ।আর আমি বসবো আমার উঁচু ঢিবিটার ওপর ।এরপর তোমাদের শোনাবো আমার সিসিমপুরের কথা ।
কী , খুশি তো !
তাহলে ওই কথাই রইলো !ও ,আমার ঠিকানা জানো ?আমার ঠিকানা এখন অচিনপুর ।বড় রাস্তার পাশে দেবদারু গাছ ।তার পাশে দিয়ে যে পায়ে হাঁটা পথ ,ওটার শেষ প্রান্তেই আমার বাড়িটা ।

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১০

আদমের জ্ঞানভান্ডার

যতই জানি ততই অজানার জগত্‍ বিস্তৃত হয় ।যতই পড়ি ততই বুঝতে পারি পড়াশোনার কিছুই করিনি আমি ।Just nothing.আল্লাহ তায়ালা আদমকে সকল বস্তুর নাম শিখিয়েছিলেন ।আর এটাই ছিল আদমের শ্রেষ্ঠত্বের কারন । নাম শিখিয়েছেন মানে শুধু নামটুকুই নয় ।ঐ নাম সংক্রান্ত বিস্তারিত সবকিছুই শেখানো হয়েছে ।তাহলে আদমেরই বংশধর হিসেবে ওই জ্ঞানভান্ডার আমারও থাকার কথা ।হয়তোবা আছে ।কিন্তু সেগুলো আছে Recessive অবস্থায় ।ফলে যখনই আমি কোন কিছু শেখার চেষ্টা করি যা আমার কাছে নতুন ,শিখতে পারি ।আসলে আমার কাছে যে জ্ঞানকে নতুন মনে হচ্ছে তা আদৌ নতুন নয় ।ঐ তথ্যগুলো আমার মস্তিষ্কের কোষগুলোতে অকার্যকর অবস্থায় জমা আছে ।আমি যখন কিছু শিখতে যাই ,তখন সেই অকার্যকর তথ্যভান্ডারের ঐ অংশটুকুকে কার্যকর করে দেই মাত্র ।নিউটন আপেল গাছের নিচে বসে ছিলেন ।এমন সময় তার সামনে আপেল ঝরে পড়লো ।আর তার মাথায় খেলে গেল মধ্যাকর্ষণ শক্তির থিওরি ।এতে কি নিউটনের নিজস্ব কোন কৃতিত্ব ছিল ?আমি সেটা মনে করি না ।আসলে ঠিক ওই সময়ে নিউটনের মাথায় আদমের জ্ঞানভান্ডার থেকে পাওয়া ওই অংশটা কার্যকর হয়ে গিয়েছিল ।নিউটনের আগে আরও হাজার হাজার লোকের সামনে আপেল পড়েনি ?পড়েছিল ।কিন্তু ঐ সময় আদমের ঐ বংশধরের মস্তিষ্কে আদমের জ্ঞানভান্ডার থেকে পাওয়া জ্ঞানের ঐ অংশটি সক্রিয় হয়ে ওঠে নি ।একইভাবে পৃথিবীর সকল আবিস্কার আসলে নতুন কিছু না ।আদমকে সবকিছুই আগেই শিখিয়ে দেয়া হয়েছে ।এখন সেই জ্ঞানই নতুনভাবে আমাদের বিস্ময় জাগাচ্ছে ।এমনকি আমি যে এই লেখাটি লিখলাম তাও নিশ্চয়ই আদমের জ্ঞানভান্ডারে ছিল !নইলে আমি এসব কিভাবে বুঝবো ?আমিও তো আদমেরই বংশধর নাকি !

বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০১০

অজ্ঞাতনামার হাজতবাস

আমি একজন অজ্ঞাতনামা ।অজ্ঞাতনামা মানে আমার কোনো নাম নেই এমনটি না ।কিংবা ওরা যে আমার নাম জানে না এমনও না ।ওদের রেজিস্টার খাতা খুলে দেখুন ,ওখানে আমার নাম স্পষ্ট করে লেখা আছে ।আমার বাবার নামও লেখা আছে নিশ্চয়ই ।তবু আমি অজ্ঞাতনামা ।কারন ,আমি অজ্ঞাতনামা না হলে ওদের উদ্দেশ্য সফল হয় না ।প্রয়োজন হলে আপনাকেও ওরা অজ্ঞাতনামা বানাবে ।হয়তো একদিন নিজের ছেলেকেও তাই করবে ।সেদিন আমাকে আমার এক বন্ধু নাস্তা করতে ডাকলো ।আমারই ক্লাসমেট ।একটা বিষয়েই শুধু তার সাথে আমার পার্থক্য ,সেটা হলো আদর্শগত ।সে প্রচলিত ধারার সুবিধাবাদী ক্ষমতার রাজনীতির সাথে যুক্ত আর আমি ইসলামকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠার পক্ষে কথা বলি ।তার দল এখন ক্ষমতায় আছে ,আর আমার নাই ।যাহোক বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে গেলাম ।বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো ।এরই মাঝে হঠাত্‍ সরকারি পোষাকধারী লাঠিয়াল বাহিনী এসে উপস্থিত ।তারা এসে সোজা আমার কাছে এলো ,আমাকে নিয়ে গাড়িতে ওঠালো এবং নিয়ে গেল থানায় ।ইসলামের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এধরনের ঘটনা শুধু স্বাভাবিকই নয় ,প্রত্যাশিতও ।শুধু একটি বিষয়ে আমি কষ্ট পেলাম খুব বেশি ।আমারই ক্লাসমেট বন্ধু শুধুমাত্র রাজনৈতিক আদর্শগত পার্থক্যের কারনে বন্ধুকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে গ্রেফতার করানোর মত জঘন্যতম কাজ করতে পারলো কিভাবে ?পরে ভাবলাম ,এটাই তো ইসলামের সাথে ওদের পার্থক্য ।ওদের কাছে মানুষের কোন মুল্য নেই ,জীবনের কোন মুল্য নেই ,ক্যারিয়ারের কোন মুল্য নেই সেখানে বন্ধুত্বের বিন্দুমাত্র মুল্য আশা করাটা যে কতটা বোকামী সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।
রাতে থানা হাজতে থাকলাম ।আমার বন্ধুরা ও বড়ভাইরা খবর পেয়ে আমাকে দেথতে এলেন ।কাপড়চোপড় ও থাবারদাবাড় দিয়ে গেলেন ।পরদিন সকালে জানলাম আমি অজ্ঞাতনামা ।পুরনো এক মামলায় নাকি অনেক অজ্ঞাতনামা আসামী ছিল ।আমিও নাকি সেই অজ্ঞাতনামাদেরই একজন ।এখন আমি আছি কোথাও ।ভালোই আছি আলহামদুলিল্লাহ ।এই হলো এক অজ্ঞাতনামার হাজতবাসের ইতিহাস ।

সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০১০

হাওয়া উত্যক্তকরণ

কলেজ গেটে গলির মোড়ে
বখাটেতে গিজগিজ
মনের সুখে দাত কেলিয়ে
করে ওরা ইভটিজ !
সবাই এখন রব তুলেছে
বলুন ওদের 'না'
কেউবা বলে ঠেকাও ওদের
করতে হবে ঘৃণা ।
শুধু ওদের ঘৃণা করাই
নয়তো কোন সমাধান
নৈতিকতা না শেখালে
বৃথা এসব কলের গান ।





সোমবার, নভেম্বর 8, 2010

শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১০

অনাহারী স্বপ্ন

ছোট ছোট স্বপ্নগুলোকে অনাহারে রেখেছি এখন
ওদের ডানা বেঁধেছি শক্ত করে ।
আর আটকে রেখেছি গহীন খাঁচায়
কারণ-বৃহত্‍ এক স্বপ্নের দাবি মেটাতে হবে ।

মহান এই স্বপ্নের সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজনে
ওদের অনেককে হয়তোবা বলি দেব একে একে
হৃদয়ের বেদীমূলে
ওরা যদি বেঁচে থাকে ফিনিক্স পাখির মত
ভালো । নয়তো ওদের দিকে নজর দেবার আর
সময় নেই আমার ।

ওরা যদি পারে দলা পাকিয়ে থাকুক কোথাও
হ্যা । ওদেরও উত্‍কৃষ্ট খাবার দেবো আমি একদিন
তবে এখন বাঁচাতে হবে মহান এক স্বপ্নকে
করতে হবে পরিপুষ্ট । শুধু ওইসব স্বপ্ন নয়
প্রয়োজনে বলি দিতে হবে নিজেকেও ।

ওদের মন খারাপ করা ঠিক হবে না
মহান এই স্বপ্নের জন্য
নিজেকে উত্‍সর্গ করাতেই তো ওদের স্বার্থকতা ।




 শনিবার, নভেম্বর 6, 2010

চেনা কষ্ট

চেনা কষ্ট

এইসব কষ্ট আমাদের খুব চেনা
আপনজনের মত
হাজারো বছর ধরে ওরা
আমাদের বুকে বিধে আছে ।
আমরা চলি ওদের, ওরা চলে আমাদের
নিত্যসঙ্গী হয়ে ।
এইসব পথঘাট আমাদের খুব চেনা
আমরা এই পথে হাঁটছি সৃষ্টির শুরু থেকে
এই পথ আর আমাদের স্রষ্টাতো একই ।

আমরা চিনি তায়েফ
আমরা ছিলাম শিয়াবে আবি তালিবে
বদরে ওহুদে খন্দক হুনায়েন বালাকোটে
আমরা ছিলাম বাঁশের কেল্লায়
এইসব কষ্ট আমাদের খুব চেনা ।

আমরা চিনি আমাদের রক্ত
এই মাটি জানে আমাদের রক্তের স্বাদ
কোটি বছর ধরে
এই মাটি আর আমরা করি এক্ই স্রষ্টার ইবাদাত ।

আর ওরা, শয়তানের পুজারী 
ওরাও চেনে আমাদের-আমরা ওদের
হাজারো বছর ধরে
আমাদের সাথেই তো ওদের নিত্য সংঘাত ।

এইসব কষ্ট আমাদের খুব চেনা, হাজারো বছর ধরে ।
এই পল্টন লালদিঘী চেনে আমাদের
বারবার দেখা হয় - হয়তো বদরে নয়
হয়তো বায়তুল মোকাররম আন্দরকিল্লায়
পল্টনে লালদিঘীতে কিংবা
দুর্দান্ত পথের ওপর ।

আমরা চিনি আমাদের রক্ত
এই মাটি জানে আমাদের রক্তের স্বাদ
কোটি বছর ধরে
এই মাটি আর আমরা করি এক্ই স্রষ্টার ইবাদাত ।




মুহসিন আব্দুল্লাহ
শনিবার, নভেম্বর 6, 2010