যতই জানি ততই অজানার জগত্ বিস্তৃত হয় ।যতই পড়ি ততই বুঝতে পারি
পড়াশোনার কিছুই করিনি আমি ।Just nothing.আল্লাহ তায়ালা আদমকে সকল বস্তুর
নাম শিখিয়েছিলেন ।আর এটাই ছিল আদমের শ্রেষ্ঠত্বের কারন । নাম শিখিয়েছেন
মানে শুধু নামটুকুই নয় ।ঐ নাম সংক্রান্ত বিস্তারিত সবকিছুই শেখানো হয়েছে
।তাহলে আদমেরই বংশধর হিসেবে ওই জ্ঞানভান্ডার আমারও থাকার কথা ।হয়তোবা আছে
।কিন্তু সেগুলো আছে Recessive অবস্থায় ।ফলে যখনই আমি কোন কিছু শেখার চেষ্টা
করি যা আমার কাছে নতুন ,শিখতে পারি ।আসলে আমার কাছে যে জ্ঞানকে নতুন মনে
হচ্ছে তা আদৌ নতুন নয় ।ঐ তথ্যগুলো আমার মস্তিষ্কের কোষগুলোতে অকার্যকর
অবস্থায় জমা আছে ।আমি যখন কিছু শিখতে যাই ,তখন সেই অকার্যকর তথ্যভান্ডারের ঐ
অংশটুকুকে কার্যকর করে দেই মাত্র ।নিউটন আপেল গাছের নিচে বসে ছিলেন ।এমন
সময় তার সামনে আপেল ঝরে পড়লো ।আর তার মাথায় খেলে গেল মধ্যাকর্ষণ শক্তির
থিওরি ।এতে কি নিউটনের নিজস্ব কোন কৃতিত্ব ছিল ?আমি সেটা মনে করি না ।আসলে
ঠিক ওই সময়ে নিউটনের মাথায় আদমের জ্ঞানভান্ডার থেকে পাওয়া ওই অংশটা কার্যকর
হয়ে গিয়েছিল ।নিউটনের আগে আরও হাজার হাজার লোকের সামনে আপেল পড়েনি
?পড়েছিল ।কিন্তু ঐ সময় আদমের ঐ বংশধরের মস্তিষ্কে আদমের জ্ঞানভান্ডার থেকে
পাওয়া জ্ঞানের ঐ অংশটি সক্রিয় হয়ে ওঠে নি ।একইভাবে পৃথিবীর সকল আবিস্কার
আসলে নতুন কিছু না ।আদমকে সবকিছুই আগেই শিখিয়ে দেয়া হয়েছে ।এখন সেই জ্ঞানই
নতুনভাবে আমাদের বিস্ময় জাগাচ্ছে ।এমনকি আমি যে এই লেখাটি লিখলাম তাও
নিশ্চয়ই আদমের জ্ঞানভান্ডারে ছিল !নইলে আমি এসব কিভাবে বুঝবো ?আমিও তো
আদমেরই বংশধর নাকি !
শনিবার, নভেম্বর 27, 2010
শনিবার, নভেম্বর 27, 2010