এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...

এক রৌদ্রোজ্বল বিকেলে...
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭

বিয়ের ক্ষেত্রে 'সৌন্দর্য' বিবেচনা

বিয়ের ক্ষেত্রে 'সৌন্দর্য' বিবেচনা নিয়ে কিছু কথা বলা দরকার। ছেলেরা বরাবরই সুন্দরী বউ চায়, ছেলে যে একাই চায় তাও নয়। ছেলের বাপ মা ভাই বোন তারাও চায়। কখনো কখনো তারাই বেশি করে চায়। যে মা নিজেই শ্যামলা, তিনিও তার ছেলের জন্যে একটা ফর্সা সুন্দরী বউ চান। যে বাবার নিজেরও শ্যামলা মেয়ে আছে (শ্যামলা বলছি কারণ, এই উপমহাদেশে সত্যিকার কালো মানুষ নেই। পিওর ব্ল্যাক বলা যায় শুধু আফ্রিকার মানুষকে), তিনিও ছেলের জন্য ফর্সা মেয়ে চান। সুন্দরী মেয়ে চান।
আর ছেলে তো বই পুস্তক নাটক উপন্যাস বিজ্ঞাপন সবখান থেকে একটাই উদ্দীপনা পেয়ে বড় হয়- তার একটা 'সুন্দরী বউ' লাগবেই লাগবে। ইদানীং মেয়েরাও যুক্ত হয়েছে এই ক্যাটাগরিতে। তারা কম যাবে কেন? তারাও লম্বা, 'ড্যাশিং', 'হ্যান্ডসাম' ছেলে চায়।
যাহোক, চাওয়ায় দোষ নেই। বন্ধুত্ব যদি হতে হয় পাতানো, তাহলে সুন্দরী বা হ্যান্ডসাম দেখা হতেই পারে। দোষ তখনই, যখন সৌন্দর্য হয়ে ওঠে অন্যান্য যোগ্যতার ওপরে প্রধান মাপকাঠি। সুন্দরী চাইবেন, আবার অন্যসব যোগ্যতাও চাইবেন, তাইলে আপনার পথটা কঠিন। আমি ছেলেদের বলি, সৌন্দর্য দেখুন, তবে তার চেয়ে অন্য দিকগুলো বেশি গুরুত্ব দেয়াটাই ভালো। শিক্ষা দীক্ষা আচার আচরণ। আপনি যদি সুন্দরীই চান, করুন না- অশিক্ষিত কোন সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করুন। তা কি করবেন?
সুন্দর একটা কাপড় কিনলেন, কিন্ত তা যদি গায়ে দিলেই শরীর চুলকায়, ফুসকুড়ি উঠে যায়, তাহলে সেই সুন্দর পোষাকের মূল্য কী? খুব সুন্দর কোন জিনিস যদি দুমাসেই রংচটা হয়ে যায়, ছিদ্র হয়ে যায়, তখন মেজাজটা ঠিক থাকবে?
কথায় আছে, চকচক করলেই সোনা হয় না।
আমি আরেকটু বাড়িয়ে বলি- ঘরে সোনা না থাকলেও জীবন ব্যর্থ হয়ে যায় না। সোনা সিন্দুকে রাখার জন্য ভালো, প্রতিদিনকার জীবনের উত্থান পতনে তার ভূমিকা নিতান্তই নগন্য। সোনা নয়, মানুষের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন 'মানুষ'কেই। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন